২০১৭ সালের কথা। রোমার জার্সিতে বিশ্ব ফুটবলের নজর কাড়া শুরু মোহাম্মেদ সালাহর। আফ্রিকান ফুটবলার, শারীরিক গঠনেও তেমন চোখে লাগার মতো না, উচ্চতা নিয়েও জেগেছিল প্রশ্ন। প্রিমিয়ার লিগের হাই প্রেস আর দ্রুত গতির ফুটবলের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও ছিল সন্দেহ। তবে এসব ছাপিয়ে সালাহতে বাজি ধরেন একজন, তিনি ইয়ুর্গেন ক্লপ। রোমা থেকে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন পাউন্ডে উড়িয়ে আনেন মিশরীয় তারকাকে। পরের গল্প তো সবারই জানা। নিজেকে নিয়ে গেছেন লিভারপুলের সেরাদের কাতারে।
সময়ের সাথে হয়েছেন বিশ্ব ফুটবলের পরিচিত মুখ। সাত বছর এক সাথে কাজ করেছেন লিভারপুলে। পার করেছেন অসংখ্য চড়াই-উতরাই। শেষ দিকে এসে অবশ্য সম্পর্কে ধরেছে কিছুটা ফাটল। তবে সব ভুলে ক্লপের শেষ ম্যাচের আগে গুরুকে বিদায় বার্তায় পুরনো স্মৃতি তাজা করেছেন সালাহ।
আরও পড়ুন: ৯৬ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করে লিভারপুল অধ্যায়ের ইতি টানলেন ক্লপ
স্কাই স্পোর্টসের সাথে সালাহর দেওয়া সাক্ষাৎকারটাই তুলে ধরা হলো নিচে-
“দুজনের প্রথম আলোচনাটা এখনও আমার মাথায় আটকে আছে। সে (ক্লপ) আমাকে কল করেছিল এটা বোঝাতে যে লিভারপুলে আমাকে তার দরকার। সে মূলত আমাকে তার পরিকল্পনা বোঝাচ্ছিল। নতুন একটা দল গঠনের চেষ্টা করছিল, যেখানে সাদিও মানে, ফিরমিনহো ছিল সাথে আমাকে যুক্ত করতে চাচ্ছিল ক্লপ।”
“সে আমাকে বললো যে আমি তোমাকে আরও পরিপক্ক ফুটবলার হয়ে উঠতে সাহায্য করবো। এখানে খেলার জন্য পুরো স্বাধীনতা পাবে তুমি। তখন আমি বললাম ঠিক আছে; তাহলে আমি আসবো। আমি আসলাম, এরপরের গল্প তো সবারই জানা।”
“প্রিমিয়ার লিগে আমরা একসাথে সাত ৮টি মৌসুম কাটিয়েছি, অনেক ভালো মূহর্ত তৈরি হয়েছে আমাদের। কিন্তু সেরা মূহর্ত বেছে নিতে হলে লিগ জেতা আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার মূহর্তটাই আমি বেছে নিবো। কারণ এই মূহর্তগুলোতে অনেক বেশি আবেগ জড়িয়ে ছিল।”
“তিনি আমাকে ভালো ফুটবলার হয়ে উঠতে অনেক সাহায্য করেছেন, আমিও তাকে নানা ভাবে সাহয্য করেছি। আমরা দুজনই দুজনকে সাহায্য করেছি। সেই সাথে শিরোপা জিততে আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি নিজেদের সেরাটা দিতে। আমার মনে এটা বাইরে থেকেও মানুষ বুঝতে পারে।”
“যখনই কোনো কিছু নিয়ে বিপদে পড়েছি, তার সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করতে পেরেছি। দুজনের এই যোগাযোগ সারা জীবনের জন্যই চলবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ আমাদের সম্পর্ক শুধুই ফুটবলের মধ্যে আটকে ছিল না, এর বাইরেও নিয়ে গেছি আমরা। তাই সম্পর্কটা সারাজীবনের জন্যই।”
আজ রাত (রবিবার) উলভসের সাথে ম্যাচ দিয়ে মাঠে লিভারপুলের সাথে প্রায় ৯ বছরের সম্পর্কের ইতি টানবেন ক্লপ। এই সময়ে ক্লাবের হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন এই জার্মান কোচ। তার বিদায়ী মঞ্চে অ্যান্ডফিল্ড সাক্ষী হতে যাচ্ছে ভিন্ন রকম এক সন্ধ্যার।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা ভালো না হলেও, শেষ ৪ ম্যাচের ৩টিতে জিতে ব্রাজিল উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের ৪ নম্বরে। লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলের তলায় থাকা ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে পরের ম্যাচ ব্রাজিলের। দরিভাল জুনিয়রের দলে পরিবর্তন আসছে, সেটা ভিনিসিয়ুসের ফেরা আর রদ্রিগোর ইনজুরিতে থাকায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো।
ব্রাজিলের দায়িত্ব নেয়ার পর দরিভাল জুনিয়রের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিলো সঠিক কম্বিনেশনটা খুঁজে বের করা। অক্টোবর উইন্ডোতে পেরু ও চিলির বিপক্ষে টানা ২ জয়ে যেনো সেই কম্বিনেশন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কেটে গেছে ব্রাজিল কোচের। বিশেষ করে মিডফিল্ডে। গারসন ও ব্রুনো গুইমারেসে মন বসেছে দরিভালের। আন্দ্রে ও লুকাস পাকেতা থেকে এগিয়ে তারা। দরিভাল জানান-
“আন্দ্রে মাঠে যতক্ষণ থাকে ওর মধ্যে ভিন্নতা থাকে, পাকেতা নিজের সেরা সময়ে নেই, তবে ও আবার ফিরবে এটা জানি। গারসন ফ্ল্যামেঙ্গোতে যেভাবে খেলছে, সেরা।এই ম্যাচের জন্য মিডফিল্ডে কারা খেলবেন সেটা আগেই ঠিক করে ফেলেছিলাম।”
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস বনাম পুরো বিশ্ব, যে লড়াইটা ফুটবলের চেয়েও বড়… |
ব্রাজিলের সম্ভাব্য একাদশ:
এদেরসন, অ্যাবনার, গ্যাব্রিয়েল, মার্কিনিয়োস, ভ্যানডারসন, গারসন, ব্রুনো গুইমারেস, সাভিনিয়ো, রাফিনিয়া, ভিনিসিয়ুস ও ইগোর হেসুস।
গারসন ও ব্রুনো গুইমারেসের সাথে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন রাফিনিয়া। রদ্রিগোর ইনজুরিতে থাকায় ব্রাজিলের ’১০ নম্বর’ জার্সির নতুন প্রতিনিধি হচ্ছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা বার্সেলোনার এই ফুটবলার।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল। পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে থাকলেও, নিজেদের ঘরের মাঠে সবশেষ ২ ম্যাচে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনাকে আটকে দিয়েছিলো স্বাগতিক ভেনেজুয়েলা।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অর না জেতায় ফুটবলের ‘পরাজয়’ দেখছেন রিচার্লিসন |
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা সবশেষ ম্যাচে জিতেছিলো ৬-০ গোলে। সেই ম্যাচে একসাথে লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ আর হুলিয়ান আলভারেজ শুরু করেছিলেন। মেসি করেছিলেন হ্যাটট্রিক আর লাউতারো ও আলভারেজও পেয়েছিলেন গোল। আর্জেন্টিনার সামনে এবার প্যারাগুয়ে, ফরোয়ার্ড লাইনে এই তিনজনকে একসাথে রেখেই কী শুরুর একাদশ নামাবেন লিওনেল স্ক্যালোনি?
আর্জেন্টিনার কোচ ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমনই,
“প্রায় একই দল নিয়েই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবো। এমন এক দলের বিপক্ষে খেলা যারা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে।”
তবে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা দলের কোচের ভাবনাতে আছে আরেক বিকল্প। তিন ফরোয়ার্ড না খেলিয়ে ৪ মিডফিল্ডারকে নিয়েও দল সাজাতে পারেন স্ক্যালোনি। সেক্ষেত্রে লাউতারো মার্তিনেজের জায়গায় একাদশে আসতে পারেন লো সেলসো।
শুরুর একাদশের বাকি ১০ পজিশন নিয়ে তেমন ধোঁয়াশা নেই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গোলকিপার হিসেবে ফিরছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। লিসান্দ্রো মার্তিনেজের ইনজুরিতে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর সেন্টার ব্যাক সঙ্গী নিকোলাস ওতামেন্দি। ন্যাহুয়েল মলিনার সাথে নিকোলাস ত্যালিয়াফিকো সামলাবেন দুই ফুল ব্যাকের দায়িত্ব। তিন মিডফিল্ডার হিসেবে রদ্রিগো দি পল, এনজো ফার্নান্দেজ আর ম্যাক অ্যালিস্টার থাকছেন। সামনে লিওনেল মেসির সাথে হুলিয়ান আলভারেজ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে