সিলেটে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ ছন্নছাড়া। সে সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের চা বিরতি পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সফরকারীদের হাতে। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে লঙ্কানদের লিড ৪৩০ রানের।
শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে কৃতিত্ব অনেকটাই ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্ডু মেন্ডিসের। প্রথম ইনিংস যেনো দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিরল সিলেটে। দুই ইনিংসেই জোড়া শতক দুই লঙ্কানের।
আরও পড়ুন: ৫১১ রানের টার্গেট টাইগারদের সামনে
লঙ্কান অধিনায়কের ১২তম টেস্ট শতক, ম্যাচে দ্বিতীয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৯ বলে ১০৮ রানের ইনিংস এই ব্যাটারের। ছয়ে নামা লঙ্কান অধিনায়কের ব্যাটে ৯ চার ও ২ ছয়। শতকের পর ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে জাকির হাসানের ক্যাচ হয়ে।
মেন্ডিসও পেয়েছেন শতক। চা বিরতির আগে করেছেন নিজের শতক উদযাপন। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা কামিন্ডু ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাই। অপরাজিত রয়েছেন ১০০ রানে। ১৭১ বলের ইনিংসে কামিন্ডুর ব্যাটে ১৩ চার।
লঙ্কানরা ৯৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৮৮ রান। প্রথম ইনিংসে দলটা করেছিল ২৮০ রান, বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে থেমেছিল ১৮৮ রানে।
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ এম
২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
গ্লোবাল সুপার লিগে রান আউটে কপাল পুড়েছে রংপুর রাইডার্সের, প্রথম ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান সেটি স্বীকারও করেছেন। সহজ ম্যাচ নির্ধারিত ২০ ওভারে জিততে না পারা, এরপর সুপার ওভারে হেরে যাওয়ার পর অধিনায়ক বেশ হতাশাই প্রকাশ করেছেন।
গায়ানায় টস জিতে আগে ব্যাট করে হ্যাম্পশায়ার। নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে ইংলিশ দলটি। জবাবে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল রংপুর, ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে তারা। স্কোর টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। শেষ ৩ ওভারে রংপুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। এমন সমীকরণও মেলাতে পারেনি রংপুর। অধিনায়ক সোহান হতাশা লুকাননি 'এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। টুর্নামেন্ট ভালোভাবে শুরু করার খুব দারুণ সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা সুযোগটা হাতছাড়া করলাম।'
কেন এই সহজ সমীকরণ মেলানো যায়নি তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অধিনায়ক। তাঁর হিসেবে রানআউটের কারণেই হারতে হয়েছে,
‘পনেরো ওভার পর আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিলাম। এরপর আমরা এটা মিস করেছি। আমার মনে হয় রান আউট দু’টির কারণে আমাদের ম্যাচ হারতে হয়েছে।'
সুযোগ ছিল সুপার ওভারেও। খুশদিল শাহ’র ছক্কায় ১২ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। এই রান ডিফেন্ড করতে ইংলিশ পেসার জ্যাক চ্যাপেলের ওপর আস্থা রেখেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। শেষ ২ বলে যখন ৫ রান দরকার, তখন পঞ্চম বলে এই পেসারকে আরো একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন তাঁরই স্বদেশি লিয়াম ডসন।
গায়ানার উইকেটে মাঝে-মাঝে বল নিচু হয়ে আসছিল, কিন্তু ব্যাটে খুব ভালোভাবে আসছিল বলে ম্যাচ শেষে জানান অধিনায়ক। গায়ানায় শান মাসুদের ধীর গতির ফিফটিতে ১৩২ রানের পুঁজি পায় হ্যাম্পশায়ার। রংপুরের হয়ে ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন জ্যাক চ্যাপেল। ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টেফেন টেইলর উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৬ রান। তবে দুই ওপেনার ফেরার পরই রানের গতি কমে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের ৭ রান প্রয়োজন ছিল। ৬ রানের বেশি নিতে পারেনি রংপুর।
১ ডিসেম্বর রাত ৮টায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে রংপুর রাইডার্স, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেভাবে আলো না ছড়াতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অগ্নিঝরা এক স্পেল উপহার দেন তাসকিন আহমেদ। টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার উপহার দেন অভিজ্ঞ এই পেসার। তার একটা দারুণ স্বীকৃতি পেলেন তিনি। বোলারদের টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছেন তাসকিন।
বুধবার আইসিসি প্রকাশ করেছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ। সেখানে ১৬ ধাপ এগিয়ে ৫১তম স্থানে উঠে এসেছেন তাসকিন। ডানহাতি এই পেসারের রেটিং পয়েন্ট এখন ৩৮৩, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ উইকেটে নেন ৬ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটাই ছিল তাসকিনের প্রথম ফাইফার।
প্রথম টেস্টে সেরা ছন্দে না থাকা তাইজুল ইসলাম কিছুটা পিছিয়ে গেছেন। বাঁহাতি এই স্পিনার ৫ ধাপ নেমে এখন আছেন ২৩তম স্থানে। দুই ইনিংসে চার উইকেট নিলেও আরেক স্পিনার ও বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের এক ধাপ অবনমনে অবস্থান ২৬তম।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য দারুণ উন্নতি করেছেন ম্যাচে ব্যাট হাতেও ভালো করা মিরাজ। ২৩ ও ৪৫ রানের দুটি ইনিংস ও সাথে চার উইকেট তাকে নিয়ে এসেছে যৌথভাবে সাকিব আল হাসানের সাথে তৃতীয় অবস্থানে। দুজনেরই রেটিং পয়েন্ট ২৬৯।
প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করা লিটন দাস এক ধাপ উন্নতি করেছেন ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে। যৌথভাবে তিনি এখন আছেন ৩২তম। প্রথম ইনিংসে ঠিক ৫০ রান করা অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হকেরও উন্নতি হয়েছে। এক ধাপ এগিয়ে তিনি এখন আছেন ৪৭তম অবস্থানে। চোটের কারণে এই সিরিজ মিস করা বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তিন ধাপ পিছিয়ে চলে গেছেন ৫৯তম স্থানে।
চলতি বছর বাংলাদেশের মেয়েদের সব ফরম্যাটে গেছে কঠিন একটি বছর। ব্যাটারদের অধারাবাহিকতা ম্যাচের পর ম্যাচ দলকে ভুগিয়েছে। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভিন্ন চেহারায় হাজির হলেন তারা। দেড় বছর পর দলে ফেরা শারমিন আক্তারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সাথে জ্বলে উঠলেন অন্য ব্যাটাররাও। এরপর বোলারদের সম্মিলিতে প্রয়াসে মিলল দাপুটে জয়।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১৫৪ রানের। আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ২৫২, যা এই ফরম্যাটে এখন দলীয় সর্বোচ্চ। জবাবে মাত্র ৯৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড নারী দল। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
শুরুটাই ছিল দারুণ বাংলাদেশের। ওপেনিং জুটিতে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং হলেও ভালো একটা ভিত এনে দেন ফারজানা হক ও মুরশিদা খাতুন। পাঁচ বাউন্ডারিতে ৩৮ রান করে মুরশিদার বিদায়ে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। এরপরই বাংলাদেশ পায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া জুটিটি।
ফারজানা ধরে খেললেও এক বছরের বেশি সময় পর জাতীয় দলের জার্সিতে নামা শারমিন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলে দেন প্রতিপক্ষের বোলারদের। দারুণ সব শট খেলেন ইনিংসের একদম শুরু থেকেই। মাত্র ৪১ বলেই করে ফেলেন ফিফটি। শতরানের জুটি গড়ার পথে পঞ্চাশে পা রাখেন ফারজানাও।
শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ৬১ রান করে থামেন তিনি। তবে তার আগে শারমিনের সাথে গড়েন ১০৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। শেষের দিকে নেমে দ্রুত রান তোলার কাজটা ভালোই করে দেন অধিনায়ক নিগার। ১০০ স্ট্রাইক রেটে ৩ চারে করেন ২৮ রান।
চমৎকার একটি ইনিংস খেলার পরও আক্ষেপই সঙ্গী হয় শারমিনের। ফ্রেয়া সার্জেন্টের বল ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ৯৬ রানে। মাত্র ৮৯ বলের ইনিংসটি সাজান ১৪ বাউন্ডারিতে। তবে তার ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ পায় ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। আগেরটি ছিল ২০২৩ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (৩ উইকেটে ২৫০)।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড। কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। ওপেনার সারাহ ফোর্বস কিছুটা লড়েন ২৫ রান করে। পুরো ইনিংসে তিনি ছাড়া আর মাত্র দুজন ব্যাটার পারেন দুই অঙ্কের ঘরে যেতে।
ফলে ২৮.৫ ওভারে একশর আগেই শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের। পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত এক স্পেল করা মারুফা আক্তার চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সুলতানা খাতুন ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। স্পিনার নাহিদা আক্তার ২ উইকেট নেন ২৩ রান খরচায়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর থেকে যেন উল্টো পথে ছুটছে বাংলাদেশ। লাল বলের ক্রিকেটে একে একে টানা ছয় ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে দলটি। আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ব্যাটারদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। বোলাররা দারুণ লড়াই করলেও সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তাই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে মেহেদি হাসানের মিরাজের দলকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক আশাবাদী, দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে দল।
আর ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা জাকের আলি অনিকের চাওয়া ওপরের দিকের ব্যাটারদের চেয়ে আরও বেশি অবদান। মাত্র দুই টেস্ট খেলা তরুণ এই ব্যাটার এরই মধ্যে সাত-আটে নেমে খেলে ফেলেছেন দারুণ কয়েকটি ইনিংস। যার মধ্যে রয়েছে এই টেস্টে একটি ফিফটি ও ৩২ রানের ইনিংস এবং দুটিই চাপের মুখে। এর মূল কারণ শীর্ষ ছয়ের ব্যাটারদের ভালো না করতে পারা। প্রথম ছয় ব্যাটার মিলে দুই ইনিংসে ফিফটি এসেছে কেবল একটি।
২০১ রানে হারের পর মিরাজ শুনিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, যা কয়েক মাস ধরে লাল বলের ক্রিকেটে কোনভাবেই যেন করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। “এই ম্যাচটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। যেভাবে খেলা উচিৎ ছিল, আমরা ব্যাটাররা সেভাবে খেলতে পারিনি। জ্যামাইকাতে নতুন কন্ডিশন, নতুন উইকেট থাকবে। উইকেট ও কন্ডিশন দেখে আমরা একাদশ সাজানোর চেষ্টা করব। এই ম্যাচে ভুলগুলো কোথায় করেছি তা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।”
প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করা বাংলাদেশের তিন ব্যাটার মুমিনুল হক (৫০ রান) লিটন দাস (৪০ রান) ও মিরাজ (২৩ রান) সেট হয়েও পারেননি ইনিংস লম্বা করতে। ফলে বড় একটা জুটি হয়নি, যা দলকে চারশ বা তার বেশি রানের স্কোর এনে দিতে পারত। যা বদলে দিতে পারত ম্যাচের চিত্র। কারণ, দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিলেন বোলাররা।
মিরাজের আক্ষেপ তাই একটা বড় জুটি না হওয়ার। “আমাদের বড় জুটি হয়নি। ৩০, ৪০, ৫০ রানের ছোট ছোট জুটি হয়েছে। ১০০-১২০ রানের একটা জুটি হলে ম্যাচটা অন্যরকম হত। চারশর কাছাকাছি যেতে পারলে ম্যাচটা সহজ হয়ে যেত। দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের দেড়শ রানে অলআউট করে দিয়েছিলাম।”
অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার ছিলেন জাকের। সাতে নেমে দুই ইনিংসেই ব্যাটিং করেছেন পরিস্থিতির চাহিদা মেনে। করেছেন মোট ৮৪ রান। ডানহাতি এই ব্যাটারের মতে, শুরুর ব্যাটারদের ভালো করার বিকল্প নেই। “নতুন বটা আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার আশা, পরের ম্যাচে টপ অর্ডার থেকে কেউ না কেউ একটা বড় স্কোর করবে।”
পঞ্চম দিনে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই বাংলাদেশের হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস নিয়ে আক্ষেপ বেড়ে যাচ্ছেই। ২৬১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও যে দলটি করে ফেলে সাড়ে চারশ রান। অস্টম উইকেটে দলটি পায় রেকর্ড জুটি, যা শেষ পর্যন্ত ম্যাচে গড়ে দিয়েছে ব্যবধান। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও মনে করেন, ওই জুটিটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
অস্টম উইকেটে জাস্টিন গ্রিভস ও পেসার কেমার রোচ বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়ে ছাড়েন। ১৪০ রানের জুটি গড়েন দুজন মিলে। গ্রিভস করেন সেঞ্চুরি, আর রোচ করেন ৪৭। প্রথম ইনিংসে তাতে বিশাল স্কোর পেয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত ৩৩৪ রানের টার্গেট ২০১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ আক্ষেপ করেন গ্রিভস ও রোচের সেই জুটি নিয়ে। “আমার মনে হয় আমরা ভালো বোলিং করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন ছয় উইকেট পেলেও (প্রথম ইনিংসে) তাদের (অস্টম উইকেটে) একটা ভালো জুটি ছিল। আমার মনে হয় সেই ১৪০ রানের জুটিটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। এই ম্যাচে আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। আমরা কিছু ভুল করেছি, তবে এটা খেলারই অংশ। এমনটা হতেই পারে। পরের ম্যাচের আগে আমাদের শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে হবে।”
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ছিল ১৮১ রানে। তাসকিন আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার, যেখানে তিনি নেন ছয় উইকেট, সেটা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল। মাত্র ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে প্যাকড হয়ে বড় হার বরণ করতে হয়েছে সফরকারীদের।
মিরাজ তাই দিলেন ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগিদ। “আমাদের উন্নতি করতে হবে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালো করতে হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলব। আমাদের আক্রমণে ভালো পেসার আছে, তারা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। এই কন্ডিশনের জন্য আমাদের কিছু ভালো স্পিনারও আছে। এই টেস্টে আমরা দুই ইনিংসেই ভালো ব্যাট করতে পারিনি। আমরা দেখব যে সামনে কিভাবে ভালো করা যায়।”
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৯ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
৩২ দিন আগে