১৫ এপ্রিল ২০২৪, ৮:৫৬ এম

দুই দলের সামনেই ছিল শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকে সবার ওপরে যাওয়ার। তবে লিভারপুলের মত আর্সেনালও নিজেদের ম্যাচে হেরে সুযোগ হাতছাড়া করেছে। অ্যাস্টন ভিলার কাছে হার মিকেল আর্তেতার দলের জন্য শেষ পর্যন্ত হতে পারে একরাশ আক্ষেপের গল্প। তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ আর্সেনাল কোচ। দলকে লড়াকু মানসিকতার দেখানোর আহ্বান তার কন্ঠে।
গত রবিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় আর্সেনাল। ৮৪ ও ৮৭তম মিনিটে গোল দুটি হজম করে লন্ডনের ক্লাবটি। চলতি বছরে লিগে এটি আর্সেনালের প্রথম হার। এই পরাজয়ের শিরোপা জেতার সম্ভাবনা আর নিজেদের হাতে নেই দলটির, তাকিয়ে থাকতে হবে এখন সিটির দিকে।
আরও পড়ুন: আর্তেতার বিরুদ্ধে ‘পরিবারকে অপমানের’ অভিযোগ পোর্তো কোচের
টানা কয়েক মাস জিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই হারে হতাশ আর্তেতা৷ তবে ইতিবাচক প্রাপ্তি কথাও শোনান ম্যাচের পর। “যদি একটা ফলাফলই আমাদের গুড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী নই। ব্যাপারটা খুব সহজ। প্রথমার্ধে সত্যিই ভালো একটা দলের বিপক্ষে এটা আমাদের পুরো মৌসুমের সেরা পারফরম্যান্সের একটি ছিল। এটাই ঘুরে দাঁড়ানো এবং নিজেদের প্রমাণ করার সময়। আপনি যখন জিতবেন এবং জিতবেন এবং চার মাস জেতার মধ্যে থাকবেন, তখন এটা করা খুব সহজ। সেটাই করার সময় এখন।”
৩২ ম্যাচ পর ৭৩ পয়েন্ট সিটির। আর্সেনাল ও লিভারপুলের পয়েন্ট সমান ৭১। ফলে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে জিতলে ছয় মৌসুমের মধ্যে নিজেদের পঞ্চম লিগ শিরোপা উঠবে আবারও পেপ গার্দিওলার দলের হাতেই।

পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়াকেই একমাত্র পন্থা মনে হচ্ছে আর্তেতার। “আমাদের তো অন্য কোনো উপায় নেই। আপনি যদি চ্যাম্পিয়নশিপ (প্রিমিয়ার লিগ) জিততে চান, আপনি যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকতে চান, তখন এই মুহুর্তগুলোতে আপনাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তা যদি না হয়, তার মানে হল আপনার কাছে এমন একটা গুণ নেই যা খুবই প্রয়োজনীয়। এখন এটা আমাদের জন্য একটা বড় পরীক্ষা।”
No posts available.
১ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৩২ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৫:০৯ পিএম

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বড় দলগুলোর হারের সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে আর্নেনাল। সবশেষ টানা পাঁচ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আরও জেঁকে বসেছে গানাররা। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মিকেল আর্তেতার দল টানা নয় ম্যাচে জয় পেল। একই সময়ের অন্য ম্যাচে টানা তিন জয়ের পর ড্র করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আজ বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের মাঠে ভিক্টর ইয়োকেরেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন ডেকলান রাইস।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করল আর্সেনাল। এক ম্যাচ কম খেলে দুই নম্বরে থাকা বোর্নমাউথের পয়েন্ট ১৮। আর চলতি মৌসুমে লিগে ষষ্ঠ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে বার্নলে।
নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে বল দখলে ভালোই লড়েছে বার্নলি। তবে আক্রমণে সফরকারীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১১টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল। যেখানে পুরো ম্যাচে মাত্র দুটি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন ইয়োকেরেস। আরেকবার কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করল আর্সেনাল। রাইসের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করা গোলটি আসে আগের গোলের যোগানদাতার নৈপুণ্যে। ইয়োকেরের নিঁখুত পাস থেকে বল পান লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ক্রস করলেন িএই উইঙ্গার, সেখান থেকে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান রাইস।
মূল্যবান এক পয়েন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে খালি হাতেই ফেরার দিকে এগোচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে ৮১ মিনিটে ৮১তম মিনিটে আমাদ দিয়ালো দুর্দান্ত এক ভলিতে নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে করম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নটিংহ্যামের মাঠ সিটি গ্রাউন্ডে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমে ক্যাসেমিরোর গোলে এগিয়ে যায় রুবেন আমোরিমের দল। বিরতির পর দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল হজম করে বসে রেড ডেভিলরা। এরপর শেষ দিকে দলকে গুরুত্বপূর্ণি একটি পয়েন্ট এনে দেওয়া গোলটি করেন দিয়ালো।
এই ড্রয়ের পর ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে ইউনাইটেড। বিপরীতে অবনমন অঞ্চলে থাকা ফরেস্ট ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে অবস্থান করছে।
প্রথমার্ধে কাসেমিরোর হেডে থেকে করা গোলে টানা চতুর্থ জয় পেতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের চিত্র পুরো উল্টে যায়। ৪৮ মিনিটে ডানদিক থেকে রায়ান ইয়েটসের ক্রসে ফরেস্ট অধিনায়ক মরগান গিবস-হোয়াইট ইউনাইটেডর রাইট-ব্যাক আমাদকে পরাস্ত করে বল দখলে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।
দুই মিনিট পরই আবার আক্রমণ ফরেস্টের। ডানদিক থেকে আরেকটি বিপদজনক ক্রস ইউনাইটেডের রক্ষণ হুমকির মুখে পড়ে। ইগর জেসুসের হেড কয়েকজন খেলোয়াড়ে থেকে বক্সে পড়লে ঠাণ্ডা মাথায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রেড ডেবিলদের গোলকিপার সানে ল্যামেন্সকে পরাস্ত করেন নিকোলো সাভোনা।
পিছিয়ে পড়ে সমতাসূচক গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে থাকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৮১ মিনিটে আসে সুযোগ। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, তারপরই আমাদ এক লাফিয়ে ওঠা বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকেই প্রথম ছোঁয়ায় ভলিতে বল জালে পাঠান।
জয়সূচক গোলটিও পেয়ে যেতে পারত আমোরিমের দল। শেষ মুহূর্তে আমাদের আরেকটি শট জয় ফরেস্টের মুরিলো গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে দলকে রক্ষা করেন।

ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন লামিনে ইয়ামাল। চোট, ছন্দহীনতা, বিতর্ক কিংবা ব্যাক্তিগত জীবন সবখানেই হোঁচট খাচ্ছেন বার্সেলোনার তারকা উইঙ্গার। এবার প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন ইয়ামাল।
স্পেনের সংবাদ মাধ্যমের খবর, প্রেমিকা নিকি নিকোলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনেছেন ইয়ামাল। ‘আরটিভিই কাতালুনিয়া’ এর সাংবাদিক জাভিয়ার দে হোয়োসকে ইয়ামাল নিশ্চিত করেছেন, আর্জেন্টাইন গায়িকা নিক্কির সঙ্গে তিন মাসের প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয়েছে তাদের।
এল ক্লাসিকোর কদিন পরই ইতালির মিলানের একটি পার্টিতে দেখা যায় ইয়ামালকে। সেখানে সেখানে ইতালীয়ান সামাজিক মাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার আনা জেগনোসোর সঙ্গে ছিলেন ১৮ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফুটবলার। গুঞ্জন উঠেছে নতুন প্রেমের সম্পর্কের কারণে নিকোলের সঙ্গে সম্পর্ক ইতি টেনেছেন ইয়ামাল।
অবশ্য স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ইয়ামালের যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, সেখানে বার্সা তারকা নতুন প্রেমের কথা অস্বীকার করেন। বার্সা তারকা বলেছেন, ‘আমরা (ইয়ামাল ও নিকি) এখন আর একসঙ্গে নেই। এটি কোনো অবৈধ সম্পর্কের কারণে হয়নি। আমরা কেবল আলাদা হয়ে গিয়েছি, বিষয়টি এখানেই শেষ। যা কিছু বাইরে আসছে, তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করিনি বা কারও সঙ্গে কিছু করছি না।’
সম্প্রতি মাঠের বাইরের বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনায় আসছেন ইয়ামাল। মাঠে চিরচেনা ইয়ামালকে গত কয়েক ম্যাচেই দেখছে না সমর্থকরা। চোটও বেশ ভুগাচ্ছে তাকে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্তের’ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পিউবালজিয়া চোটে পড়া ইয়ামাল হয়তো আর শতভাগ ফিট হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন না।

ক্যারিয়ারে পুরো ইউরোপ চষে বেড়িয়েছেন তিনি। ইউরোপের জায়ান্ট সব ক্লাব মাতিয়ে পড়ন্ত বেলায় ফিরেছেন শৈশবের ক্লাব রোসারিও সেন্ট্রালে। এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাব হয়ে শেষে ‘ঘরে’ ফিরে এখনও যেন একই ছন্দেই আছেন আর্জেন্টিনা সাবেক হয়ে যাওয়া তারকা উইঙ্গার ডি মারিয়া।
রোসারিও সেন্টালের সবশেষ ম্যাচের জয়ের নায়ক ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার লিগ ‘লিগা প্রফেশনালে’ ইনস্টিটিউটোরের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে একটি গোলের সঙ্গে সহায়তা করেছেন আরেকটি গোলে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে প্রথামার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। এরপর বিরতির পর ৬৪ মিনিটে দলকে পেনাল্টি থেকে লিড এনে দেন ডি মারিয়া। আর এই গোলের লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠে এলেন ৩৭ বছর বয়সী বিশ্বকাপজয়ী তারকা। এই সাত গোলের চারটি গোল পেনাল্টি থেকে।
পেনাল্টি থেকে গোল করা বেশ দক্ষই হয়ে উঠেছেন ডি মারিয়া। স্পটকিক থেকে সবশেষ ১৫টি শট নিয়ে সবক’টি জালে পাঠিয়েছেন সাবেক আর্জেন্টাইন উইঙ্গার।
দলকে লিড এনে দেওয়া গোলের মিনিট তিনেক পর ডি মারিয়ার ফ্রি-কিক থেকেই হেডে ব্যবধান ৩-১ করেন ইভান ওভান্ডো। ডি মারিয়ার সঙ্গে দারুণ ছন্দে আছে তাঁর ক্লাবও। ১৪ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রোসারিও সেন্ট্রাল।
শৈশবের ক্লাবে ফিরে এই ম্যাচেই প্রথম অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেন ডি মারিয়া। ম্যাচ শেষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির সাবেক তারকা বলেন, ‘তারা আমাকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল, এবং সেটা করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। কিন্তু এটি বড় কোনো ব্যাপার নয়, কারণ এখানে কোনো একক অধিনায়ক বা তারকা নেই। এখানে এমন একটি দল আছে যারা জার্সির জন্য সব উজাড় করে দেয়। এই দল গত মরশুমে তার সব দিয়েছে, এবং এই মরশুমেও আমরা একই পথে এগোতে হবে।’
১৯৯২ সালে মাত্র ৪ বছর বয়সে রোজারিও সেন্ট্রাল একাডেমিতে যোগ দেন ডি মারিয়া। ১৩ বছর ক্লাবটির বয়সভিত্তিক ও যুব দলে খেলার পর ২০০৫ সালে মূল দলে তাঁর অভিষেক হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত মূল দলের হয়ে ৩৯ ম্যাচ খেলেন, ৬ গোলের পাশাপাশি ২টি অ্যাসিস্ট করেন।

মুদ্রার অনেকটা উল্টো পিঠ দেখতে হচ্ছে লামিনে ইয়ামালকে। বার্সেলোনার এই তারকার উইঙ্গার সবশেষ মৌসুমেও রীতিমতো উড়ছিলেন। অসাধারণ পারফরম্যান্সে ফুটবলবিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বিস্ময় বালক খ্যাতি পাওয়া ইয়ামাল। তবে এই মৌসুমে একের পর হোঁচট খেতে হচ্ছে ১৮ বছর বয়সী তারকাকে।
এল ক্লাসিকোর আগে-পরে বিতর্কে তো জড়িয়েছেনই পাশপাশি ইয়ামালের ব্যাক্তিগত জীবনও হয়েছে সংবাদের শিরোনাম। তবে সে সব বিষয় পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেও, চোট থেকে তো আর চাইলেই মুক্তি মিলবে না। ‘পিউবালজিয়া’ নামক চোট ভোগা ইয়ামালকে নিয়ে বড় দুঃসংবাদই দিলেন চিকিৎসক।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্তের’ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পিউবালজিয়া একটি জটিল চোট। ঠিক কতটা গুরুতর ইয়ামালের সমস্যা এখনই বলা সম্ভব না, তবে হয়তো সে আর শতভাগ ফিট হয়ে ফিরতে পারবেন না।
ইয়ামালের চোট নিয়ে ফিজিওথেরাপিস্ট লুইস পুইগের কথায় হতাশই হতে হবে। তিনি বলেন,
‘প্রথমে আমাদের বলতে হবে, পিউবালজিয়া একটি মাংসপেশীর ইনজুরি নয়। এটি পাবিস অঞ্চলের একটি পরিবর্তন, যেখানে বিভিন্ন পেশী একত্রিত হয়। আমাদের বিভিন্ন স্তরে কাজ করতে হবে। আমরা বলতে পারি না যে এটি একটি মাসেই সেরে যাবে। আমাদের এই চোট নিয়েই থাকতে হবে এবং প্রতিরোধমূলক কাজ করতে হবে, যাতে তিনি (ইয়ামাল) সর্বোচ্চ স্তরে খেলতে পারেন।’
পুইগ আরও জানিয়েছেন, ইয়ামালের পেশীর পরিবর্তনও হতে পারে এই চোটের কারণ। স্পোর্টস ট্রমাটোলজিস্ট বা আঘাত বিশেষজ্ঞ ডা. রিপোল বলেন এই চোট খেলোয়াড়দের সক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়,
‘এটি এমন একটি ইনজুরি যা চিকিৎসা করা সত্যিই কঠিন। এটি এমন ব্যথা সৃষ্টি করে যা খেলোয়াড়ের চলাচল ও শট নেওয়ার ক্ষমতা প্রায় অর্ধেকই কমিয়ে দেয়। এই চোট এমন যে সে (ইয়ামাল) নিয়মিত খেলতে পারবে, কিন্তু মাঠে তার থেকে শতভাগ পাওয়া যাবে না।’
যদিও বার্সেলোনা এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। তবে ইয়ামাল যে পিউবালজিয়ায় আক্রান্ত সেটা ইতোমধ্যে সবারই জানা। ঊরুর উপরাংশে এই চোটের কারণে অ্যাথলেটদের স্ট্যামিনা ও চলাচলে অস্বস্তিবোধ হয়। আর চিকিৎসকের কথা যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে শুধু বার্সা নয় পুরো ফুটবলের জন্যই এটি বড় দুঃসংবাদই হবে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ‘সবচেয়ে বাজে চালক’ চেলসি ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা! যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য সান থেকে এমন তকমা পেয়েছেন এই ফরাসি তারকা। ২৪ বছর বয়সী ফোফানা অল্পের জন্য জেল এড়ালেও শাস্তি হিসেবে পেয়েছেন ১৮ মাসের ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা ও ৩০০ ঘণ্টা সমাজসেবার আদেশ।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বের প্রদেশ সারের হুক শহরে মোটরওয়েতে বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয় ফোফানার বিরুদ্ধে। আদালতে দেখানো ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা যায়, তিনি ল্যাম্বরগিনি চালিয়ে হার্ড শোল্ডার দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি ওভারটেক করছেন।
ফোফানার এটি নবম ড্রাইভিং অপরাধ। এর আগেও একাধিকবার অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য ধরা পড়েছেন তিনি। কখনো রোলস রয়েস, কখনো অডি, কখনো ল্যাম্বরগিনি— সব সময়ই গতির নেশায় মত্ত ছিলেন ফরাসি এই ডিফেন্ডার।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ‘ইস্টএন্ডারস’ তারকা ডিন গাফনির গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফোফানা। তাতেও শুধরানো হয়নি। নতুন এই অপরাধের জন্য এখন আবারও নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন তিনি।
আদালতে বিচারক জুলি কুপার বলেন, ‘তুমি অনেক তরুণের আইডল। তোমার এমন বেপরোয়া আচরণ অন্যদের জন্য ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করছে।’ তবে ফোফানার আইনজীবী জানান, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে লেস্টার সিটি থেকে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন ফোফানা। চোট ও অনিয়মে ভরা ক্যারিয়ারে মাঠের বাইরেই যেন বেশি আলোচনায় এই তরুণ ডিফেন্ডার।