
তার চোট পাওয়ার চিত্র দেখে হরহামেশাই মন্তব্য মেলে ‘নাটক বুঝি’। অথচ তার প্রতিটা ব্যাথার কথা তো একমাত্র তিনিই জানেন। গেল অক্টোবরে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের সঙ্গে ম্যাচে কতটা কাতরে কাতরেই না মাঠ ছাড়লেন নেইমার। ব্যাথার যন্ত্রণায় শক্তপোক্তো এই পুরুষের চোখেও পানি এসেছিল সেদিন।
ইন্সটাগ্রামে কি ফেসবুকে সব জায়গায় তার ব্যাথায় কাতরানো বা সেবা পাওয়ার ছবি-ভিডিওরই দেখা মেলে। কয়েক দিন আগে নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ক্যাপশনে নিজের কষ্ট আর লড়াইয়ের কথা।
যে পা দিয়ে ফুটবল জাদু দেখানোর কথা বেশিরভাগ সময়ই তা সেবা-শুশ্রূষা পাওয়ায় ব্যস্ত। নেইমার এখন খবরের শিরোনাম হন কেবলই যেন তার চোটের কারণে। একের পর এক ইনজুরি আর একের পর এক ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া।
আর তার ফলস্বরুপ, আগামী বছর কোপা আমেরিকাতেই তার খেলা নিয়ে সংশয়। এমনটা জানিয়েছেন খোদ ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমা। মঙ্গলবার ব্রাজিলের রেড ৯৮ কে তিনি বলেন,
তার হাঁটুর লিগামেন্টের এই ইনজুরিটা বেশ দুশ্চিন্তার। এটা সেরে ওঠার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করার কোনই সুযোগ নেই। অযথা ঝুঁকি নেওয়া একবারেই ঠিক হবে না। আমি বলব সামনের কোপা আমেরিকায় তার খেলার সম্ভাবনা নেই। বরং সঠিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে তিনি ফিরতে পারবেন ২০২৪ মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ সামনের বছরের অগাস্টে। ধাপে ধাপে এটার চিকিৎসা করতে হবে আর আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। তাহলেই আমরা আশা করতে পারি সে আবারও দারুণ ভাবে খেলতে পারবে।
ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন হওয়ার কিংবা ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা হওয়ার অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল নেইমারের ক্যারিয়ার। অথচ এই ইনজুরি তাঁকে বারবার আটকে দিয়েছে সেই সম্ভাবনা থেকে। এবার বাঁ হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে নেইমারের। সেটা ঠিক করাতে নভেম্বরে ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তেতে অস্ত্রোপচার করান এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বকালের সবোর্চ্চ গোলস্কোরার তিনি। ১২৯ ম্যাচে ৭৯ গোল। ইনজুরি না থাকলে যা হয়তো আরো বাড়তো। ফ্রান্সের পিএসজির সঙ্গে ৬ বছরের সম্পর্ক শেষ করে চলতি মৌসুমে গেলেন সৌদির আল হিলালে। সেখানেও ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি তেমন। মাত্র পাঁচ ম্যাচে খেলেছেন। গোল করেছেন একটা।
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের কোপা আমেরিকা হওয়ার কথা ২০ জুন থেকে ১৪ জুলাই। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এ সময় ব্রাজিলের পাওয়া হচ্ছে না নেইমারকে। অবশ্য প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত অনেকেই সেরে ওঠেন অনেক চোট থেকে। নেইমার ভক্তরা নিশ্চয়ই থাকবে এমন মিরাকেলেরই অপেক্ষায়।
No posts available.