১২ আগস্ট ২০২৪, ৪:১০ এম
ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বাইরে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এবারই প্রথম দেশের বাইরে জাতীয় দলের বাইরে খেলছেন একটি টুর্নামেন্টে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পাচ্ছে বিগ ব্যাশের জনপ্রিয় সব দলকে। মেলবোর্ন রেনেগেটসকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই টুর্নামেন্টে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ এইচপি দল। দলের দুই সদস্য পারভেজ হোসেন ইমন ও রাকিবুল হাসানের বিশ্বাস, সামনের পথচলায় এটি তাদের বাড়তি প্রেরণা যোগাবে।
ম্যাচে এইচপির শুরুটা ছিল উড়ন্ত। তবে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেও পড়ে গিয়েছিল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে তিনে নামা ইমন খেলেন আগ্রাসী এক ইনিংস। তার মাত্র ৪৮ বলে ৬৯ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের বড় স্কোর। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে এইচপি দল পায় ৭৭ রানের বিশাল এক জয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান শাহিন্সের কাছে এইচপির বড় পরাজয়
ম্যাচের পর ইমন বলেছেন, নিজের শক্তির জায়গা কাজে লাগিয়েই ব্যাটিং করে সফল হয়েছেন তিনি। “টার্গেট ছিল নিজের প্রসেসে ব্যাটিং করব। আমাদের দ্রুত কয়েকটি উইকেট চলে গিয়েছিল। এরপর আমরা চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার।”
বিগ ব্যাশের দল ছাড়াও এই টুর্নামেন্টে এইচপ দলের সাথে রয়েছে পাকিস্তান শাহিন্স। কঠিন এই প্রতিযোগিতায় মেলবোর্নের মত একটি দলকে হারানো এইচপির জন্য নিঃসন্দেহে বড় এক অর্জনই।
ইমনের তাই আশা, এই ধারা সামনেও বজায় থাকবে। “অবশ্যই এটা আমাদের জন্য ভালো একটা শুরু ছিল। টুর্নামেন্টের শুরুটা এমন একটা জয় খুব ভালো ছিল। এই জয়কে নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো এবং দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবো। এটা একটা ভালো অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য। দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পেয়েছি। বিগ ব্যাশের দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হচ্ছে। অবশ্যই এই অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে অনেক কাজে দেবে।”
মেলবোর্নকে ১৫.২ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল। ৩.২ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৩১ রানে দুই উইকেট নেন আরেক স্পিনার। পেসাররাও ভালো করলেও ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার বলেই স্পিনারদের দারুণ বোলিং এইচপির জন্য ছিল বড় এক পাওয়া।
রাকিবুল জানিয়েছেন, তারা শুধু পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করে গেছেন। “এরকম একটা টুর্নামেন্টে জয় দিয়ে শুরু করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। দল হিসেবে এটা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। আমরা পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পেরেছি। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল না। অধিনায়ক যে প্ল্যান দিয়েছিল, আমরা তিনজন স্পিনার ব্যবহার করেছি। তাই আমাদের কার কখন কী করতে হবে, সেটা ভাগ ভাগ করা ছিল। তাই আমরা শুধু চেষ্টা করেছি পরিকল্পনা কাজে লাগাতে। এটা তো সত্যি যে এই ধরণের কন্ডিশনে স্পিনারদের জন্য কাজটা একটু কঠিন।“
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:০৪ পিএম
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৪৭ পিএম
চা বিরতির ঠিক আগে আক্রমণে ফিরলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই আউট হলেন পেসার হাসান মাহমুদ, আর তখনই চা বিরতি দিয়ে দিলেন আম্পায়াররা। আর সেটা বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছে আরও বিপদের মুখে। একে একে যে এই সেশনেই সাজঘরে ফিরেছেন পাঁচ ব্যাটার। তাতে এখন উঁকি দিচ্ছে ফলো-অনের শঙ্কা।
দিনের শুরুতে ভারতকে দ্রুতই ৩৭৬ রানে অলআউট করে ভালো কিছু আশা জাগাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে নামতেই উবে যায় সব। ভারতের পেসারদের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। তাতে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
যেখানে শেষ, সেখান থেকেই যেন শুরু দ্বিতীয় সেশনের। বুমরাহকে এক ওভারে দুটি চার মেরে অবশ্য ইতিবাচক ক্রিকেটের আভাস ছিল মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। তবে তাদের লড়াই বেশিদূর যেতে পারেনি। ৩ চারে ২০ রান করে মোমাম্মদ সিরাজের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
পরের ওভারে মুশফিকুরকেও ফিরিয়ে মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দাঁতে দাঁত চেপে এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
এই দুজনের ৫২ রানের জুটি ভাঙে রবীন্দ্র জাদেজার বলে লিটন দাস সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউটে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে জাদেজাকেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। তার আগে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস।
এরপর হাসানের ওই উইকেট। আর তাতে ৩৬.৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে ১১২। পিছিয়ে এখনও ২৬৪ রানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টের দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই নেমেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। আর সেই উপলক্ষ্যটা কী দারুণভাবেই না রাঙিয়েছেন হাসান মাহদুদ। চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পূর্ণ করেছেন পাঁচ উইকেট। ফলে টানা দুই ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার অসাধারণ কীর্তি গড়েছেন বাংলাদেশ পেসার। তাতে রেকর্ডের পাতায়ও এনেছেন কিছু পরিবর্তন।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংস হাসান শেষ করেছেন ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের এটিই এখন সেরা বোলিং ফিগার। আগেরটি ছিল আবু জায়েদ রাহির (৪/১০৮)।
চার ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দুইবার ইনিংসে পাঁচ শিকার করেছেন হাসান। আর এটা তাকে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় তুলে এনেছে যৌথভাবে রবিউল ইসলামের (৯ ম্যাচ) পাশে। চারবার ফাইফার নিয়ে শীর্ষে আছে শাহাদাস হোসেন (৩৮ ম্যাচ)।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান। অন্য চারজন হলেন নাঈমুল রহমান দুর্জয়, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টানা দুই ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন হাসান। এর আগে এই রবিউল এই কীর্তি গড়েন ২০১৩ সালে হারারেতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
হাসান মাহমুদ প্রথম বাংলাদেশি বোলার যিনি ভারতে টেস্ট ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন। এরআগের সফরগুলোতে সাকিব-তাইজুল-মিরাজদের মত কোন স্পিনারও এই সাফল্য দেখাতে পারেননি। একজন পেসার হিসেবে চেন্নাইয়ের উইকেটে হাসানের সাফল্যে ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করে টাইগাররা।
২০১৯ সালে ইন্দোর টেস্টে পেসার আবু জাহেদ রাহি ১০৮ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন- এটাই ছিল বাংলাদেশি কোন বোলারের সেরা সাফল্য। এবার হাসান মাহমুদ ৮৩ রান খরচায় নিলেন পাঁচ উইকেট। জাসপ্রীত বুমরাহকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে পাঁচ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেন হাসান। বুমরাহ ছাড়া তার বাকি চার শিকারের সবাই প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা ব্যাটসম্যান। রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, ভিরাট কোহলি ও রিশাভ পান্ত- প্রত্যেকেই টেস্টের প্রথমদিন তাঁর দুর্দান্ত সুইং বোলিংয়ের শিকার হন। এরমধ্যে প্রথম তিন জন আউট হন সিঙ্গেল ফিগারে, একমাত্র পান্ত খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস।
রাওয়ালপিণ্ডি টেস্টের শেষ ইনিংসে ৪৩ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান, যেটি ঐ টেস্ট জিততে সহায়তা করেছিল টাইগারদের। অর্থাৎ টানা দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন হাসান। মাত্র চতুর্থ টেস্ট খেলছেন তিনি, সবমিলে ১৯ উইকেট তাঁর ঝুলিতে ২২.৭৮ গড়ে। তাঁর এই দুর্দান্ত শুরু নতুন দিনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাকে। এখনও ২৫ বছর না ছোঁয়া হাসান টানা দুই ইনিংসে ফাইফার পেয়ে ধারাবাহিকতার নজিরও রাখলেন।
লক্ষীপুরের লক্ষ্মী ছেলে হাসান এখন পর্যন্ত ২০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন কেবল ঐ টেস্ট ম্যাচে। দু’বারই ঘটনা ঘটেছে বিদেশের মাটিতে।
এরআগে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে ইনিংসে সর্বাধিক চারবার পাঁচ উইকেট নেন শাহাদাত হোসেন। দু’বার করে নেন রবিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। এছাড়া একবার করে নিয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। সবমিলে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের ক্লাবে আছে ৭ বাংলাদেশি পেসারের নাম।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে