১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এম
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েই ঘোষণা দেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে তার দল। তবে বাছাইয়ে ধুঁকতে থাকা দলটির মাঠের খেলায় এর নেই কোনো প্রভাব। প্যারাগুয়ের কাছেও হেরে যাওয়ার পর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মারকুইনহোস বলেছেন, দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন কোচ আর সেটার প্রভাবই দেখা যাচ্ছে তাদের খেলায়।
সেই কাতার বিশ্বকাপ থেকেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলের সমীহ জাগানিয়ে দলটি ক্রমেই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। নেই কোনো ধারাভিকতা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরু থেকে বাজে পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া দলটি কোপা আমেরিকায় বিদায় নেয় শেষ আট থেকে। বাছাইয়ে কয়েকদিন আগে ইকুয়েডরকে হারালেও প্যারাগুয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে দরিভালের দল।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর পর প্যারাগুয়ের কাছে হারলো ব্রাজিল
ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান টিভি গ্লোবোর সাথে আলাপচারিতায় মারকুইনহোস চাপে থাকা কোচের পক্ষে ঢাল ধরেন। “কোচ এখনও আমাদের সেরা ফুটবল খেলার উপায় খুঁজে বের করছেন। ফলাফলে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে, আমাদের মাঝে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। (বিশ্বকাপে খেলার) যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়, এটা একটা কঠিন সময় এবং কীভাবে এটা পার করতে হবে আমাদের তা জানতে হবে। এটি একটি উত্তরণের সময়, আমরা মোটেও আত্মবিশ্বাসী নই। আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে যাচ্ছি, যাতে মাঠের ফলাফল দিয়ে সবকিছুর উত্তর দেওয়ার যায়।”
ম্যাচের ২০তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন দিয়েগো গোমেজ, যা প্যারাগুয়েকে এনে দেয় ১৪ বছর পর ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথম জয়। আর বাছাইয়ে টেনেটুনে এগিয়ে যাওয়া পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এটি নিজেদের শেষ চার ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়। ম্যাচে হতশ্রী ফুটবল খেলা ব্রাজিল প্রথমার্ধে গোলের জন্য একটি শটও নিতে পারেনি।
এই ম্যাচের পর সাত ম্যাচে তিন জয়, এক ড্র ও তিন হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইয়ের শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি জায়গা পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপে।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩০ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:২৭ পিএম
ম্যাচ শুরুর আগে একটা পরিসংখ্যান বেশ নজর কেড়েছিল বিশ্লেষকদের মাঝে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিরোনার সব ফুটবলার মিলিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ৬৫ ম্যাচ, যেই অভিজ্ঞতা কিনা আছে পিএসজির মার্কো অ্যাসেনসিওর একারই। এর কারণ অবশ্য জিরোনা প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসাটা। তাদের ফুবলারদের এই ৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও হয়েছে ভিন্ন ক্লাবের হয়ে। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পিএসজির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। শেষ মূহর্তে ম্যাচ হারলেও জিরোনা জিতে নিয়েছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের মন।
ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তারা জিরোনার রক্ষণ টলাতে পারেনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহর্তে জিরোনা গোলকিপার পাওলো গাযানিগার ভুলে গোল হজম করেছে তারা। তাতে পুরো ম্যাচের কঠিন পরিশ্রমটাই যেন বৃথা গেল দলটার।
অবশ্য পয়েন্ট না পেলেও জিরোনা ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছেন পিএসজি কোচ এনরিকের। স্প্যানিশ ক্লাবটার বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন সেটাই ম্যাচ শেষে শুনিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। “আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম, তবে রক্ষণে তারা আমাদের আটকে দিয়েছিল বারবারই। খুবই কঠিন ছিল তাদের বিপক্ষে খেলা। সম্মান রেখেই ম্যাচে শেষে ওদের কোচকে বলেছি তাদের বিপক্ষে খেলা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চেয়েও কষ্টকর।”
সব মিলিয়ে এদিন ৬৪ ভাগ বলের দখল আর ২৬ শট নিয়েও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পিএসজিকে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যে তারা অন টার্গেটে শট রাখতে পেরেছে মোটে পাঁচটা। যার বড় কৃতিত্বই জিরোনার। দলের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত জিরোনা কোচ মিচেল।
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ভাসিয়েছেন প্রশংসায়, “ড্রেসিংরুমে ফুটবলাররা এখন কিছুটা হতাশ। তবে আমি ওদের বলেছি যেই পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করা উচিত। পিএসজি আমাদের চাপে রেখেছিল, গাযানিগা বেশ কিছু ভালো সেইভ দিয়েছিল। যার মধ্যে দুই তিনটা গোলও হতে পারতো। জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল, তবে আমরা যেই পরিশ্রম করেছি তা নিয়ে নিজেদের গর্ব করা উচিত।”
বুধবার রাতে জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সেল্টিক এবং স্পার্তা প্রাগও। সর্বশেষ আসরের ফাইনাল খেলা ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রাগাকে। সেল্টিক নিজেদের মাঠে স্লভোন ব্রাতিসলাভাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে। সালজবুর্গের বিপক্ষে স্পার্তার জয় ৩-০ ব্যবধানে। আর বোলোনিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে শাখতারের সাথে।
ইতিহাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা এবার ঠিকঠাক হলো না ম্যানচেস্টার সিটির। অবশ্য এর পুরো কৃতিত্বই দিতে হবে ইন্তার মিলানকে। সিমনে ইনজাগির দল ম্যাচজুড়েই রক্ষণে ছিল বেশ সাবলীল। অনেকটা গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দেখানো পথেই হেঁটেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তাতে তারা বেশ সফলও। উড়ন্ত সিটিকে তাদের ঘরের মাঠেই আটকে দিয়েছে গোল শূন্য ড্র-তে।
দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছে ইস্তানবুলে ২০২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। ৪৬৬ দিন পর ইউরোপিয়ান দুই সেরা দল আর সেরা কোচের লড়াই ছিল কিছুটা ধীরগতিরই। যার কারণ ইন্তারের রক্ষণাত্মক মনোভাব। সিটি বলের দখল কিংবা আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায়নি। ৪ ম্যাচে ৯ গোল করা হলান্ড এদিন আটকে গেছেন আকেরবি-বাস্তোনিদের রক্ষণের সামনে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেপ গার্দিওলার অধীনে সিটি ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো গোল করতে পারেনি। তাই ম্যাচ শেষে টিনএনটি স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে ইন্তারকে গার্দিওলা দিয়েছেন পুরো কৃতিত্বই, “আমরা খুবই ভালো খেলেছি, এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ফাইনাল থেকেও। আমার দলের ওপর ভরসা আছে, খুবই দারুণ একটা দল। ইন্তার রক্ষণে ছিল দুর্দান্ত। ডিফেন্সে আর ট্রাঞ্জিশনে তারা সেরা ছিল।”
অন্যদিকে ইন্তার কোচ ইনজাগিও সন্তুষ্ট ইতিহাদ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারায়, “দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে ছেলেরা। ওদের বলেছি তোমারা ভালো করেছো। যেমনটা বলেছি তারা তেমনটাই খেলছে। সবাই জানি সিটি কতটা শক্তিশালী, তাদের আটকাতে আমাদের সেরা একটা ম্যাচ খেলতে হতো। যেটা আমরা করেছি। আমরা কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছি আবার একসাথে তাদের রুখতে ডিফেন্সও করেছি।”
এদিন সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি ৬০ ভাগ বলই রেখেছিল তাদের কাছে। অন টার্গেট শটেও এগিয়ে ছিল গার্দিওলার দল। সব মিলিয়ে ৫টি অন টার্গেট শট নিয়েছিল তারা। অন্যদিকে ইন্তারও কয়েকটা সুযোগ পেয়েছিল। তারা সব মিলিয়ে সিটির গোলপোস্টে শট রাখতে পেরেছিল ৪টি।
৮ মাসের মাথায় রোমার কোচের পদ থেকে ছাঁটাই হয়েছেন দানিয়েলে দে রসি। জোসে মরিনিয়োকে জানুয়ারিতে বরখাস্ত করার পর অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে ক্লাবের সাবেক অধিনায়ককে কোচ করে এনেছিল ইতালিয়ান ক্লাবটি। পরে গেল জুনে তার সঙ্গে নতুন চুক্তিও করেছিল রোমা। কিন্তু নতুন মৌসুম শুরু হতে না হতেই দে রসিকে বিদায় দিয়েছে তারা।
সিরি আ-তে ম্যাচ হয়েছে ৪টা। এই চার ম্যাচে এখনও জয়হীন রোমা, তিন ম্যাচে ড্র, আর এক হার- সবশেষ জেনোয়ার বিপক্ষে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ মুহুর্তে ড্র করেছিল। ওই ম্যাচের তিন দিনের মাথায় দে রসিকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে রোমা। ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৌসুমের শুরুতেই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে যাতে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
দে রসি যে বরখাস্ত হতে পারেন এমন শঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন তার রোমা ও ইতালির সাবেক সতীর্থ ফ্রাঞ্চেস্কো টট্টি। সপ্তাহখানেক আগে এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন মরিনিয়োর মতো পরিণতি হতে পারে দে রসির। সপ্তাহ না ঘুরতেই টট্টির কথা ফলে গেছে।
গেলবার সিরি আ-তে ষষ্ঠ হয়ে শেষ করেছিল রোমা। যেটাকে ওই মৌসুমের বিচারে দে রসির সাফল্য হিসেবেই ধরা হচ্ছিল। কিন্তু গ্রীষ্মের দলবদলের দে রসিকে যথেষ্ট সাহায্য করা হয়নি বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন টট্টি।
“দলবদলে রোমা অনেক ফুটবলারকে দলে আনতে চাইলো। পরে শেষদিকে গিয়ে একসঙ্গে চারজনকে আনা হলো। আমি আসলে কিছুই বুঝলাম না কী ঘটলো।
এতো খরচ করলে আপনার তো চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ালিফাই করতে পারা উচিত। ১০০ মিলিয়ন খরচ করে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে না পারলে তো ব্যর্থতাই। দে রসি ঝুঁকিতে আছে, তাকে বলির পাঁঠা করা হতে পারে। একই ঘটনা মরিনিয়োর সঙ্গেও হয়েছিল।“
নতুন কোচ হিসেবে ইভান জুরিচকে নিয়োগ দিচ্ছে রোমা। ক্রোয়াট কোচ গেল মৌসুমে কাজ করছিলেন ইতালির আরেক ক্লাব তোরিনোতে।
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
২১ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
২৩ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে