একদিন আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার কথা বলেছিলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। পরদিন প্যারাগুয়ের কাছে হেরে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট টেবিলে পাঁচে নেমে গেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেলেসাওরা প্যারাগুয়ের কাছে হেরেছে ১৬ বছর পর।
কনমেবলের ১০ দেশ থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি বাছাই করবে ৬ দল। সপ্তম হওয়া দলেরও প্লে-অফ খেলে বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। ৮ ম্যাচ শেষে এখন পর্যন্ত ৩ জয়ে ব্রাজিলের পয়েন্ট ১০। তবে ৮ নম্বরে থাকা বলিভিয়ার সঙ্গে ব্রাজিলের পয়েন্টের ফারাক এক। ১৮ ম্যাচের বাছাইপর্বের বেশিরভাগটাই অবশ্য এখনও বাকি।
পারাগুয়ের গোলটি এসেছে ম্যাচের ২০ মিনিটে। বাম দিক থেকে আসা ক্রস বক্সের ঠিক বাইরে রিসিভ করেন গোমেজ। এরপর সেখান থেকেই ট্রাইভেলা শটে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন প্যারাগুইয়ান তরুণ। অমন নিখুঁত শটে গোল হজম করে ব্রাজিল যেন আরও নুয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘দরিভাল সেরা ফুটবলের সন্ধানে আছেন, ফলাফলে এর প্রভাব পড়ছে’
প্রথমবারের মতো ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগোর সঙ্গে একাদশে ছিলেন এন্দ্রিক। এছাড়া বাকি একাদশ ছিল আগের ম্যাচের মতোই। তবে একুয়েদরকে হারানোর আত্মবিশ্বাস প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের কাজে দেয়নি একদমই।
যদিও ২৪ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের কাটব্যাক থেকে আরানা দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার হয় সেই চেষ্টা। কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়ুসও ভালো জায়গা বল পেয়েছিলেন, কিন্তু টাইট অ্যাঙ্গেল থেকে তেমন কিছু করার ছিল না তার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এন্দ্রিক ও ব্রুনো গিমারেশকে বসিয়ে লুইজ এনরিকে ও জাও পেদ্রোকে মাঠে নামান দরিভাল। তিন মিনিট বাদেই তাতে ফলও প্রায় পেয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল। কিন্তু বক্সের ঠিক বাইরে থেকে প্রায় রদ্রিগো শট মারেন ওপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের সেরা সুযোগ আসে ৭৩ মিনিটে। ভিনিসিয়ুস বাম দিক থেকে কাট করে খানিকটা ভেতরে ঢুকে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে শট নেন। কিন্তু তখন বাধা হয়ে দাঁড়ান গোলকিপার রবার্তো গাতিতো।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার চেষ্টা করে গেছে প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলকে তাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এক মুহুর্তের জন্যও নিতে দেয়নি গুস্তাফো আলফারোর দল। ব্রাজিলকে হারিয়ে নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ডটা আরও উজ্জ্বল করেছেন আর্জেন্টাইন কোচ। ২০২১ থেকে একুয়েদর ও কোস্টারিকার কোচ হিসেবে ৩ বার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়ে হারেননি একবারও। এবার তো ব্রাজিলকে হারিয়েই দিলেন আলফারো।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়েছে কী? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য খোদ পেপ গার্দিওলাই খুঁজে পাচ্ছেন না। শেষ ১২ ম্যাচে ৯ হার অন্তত তাই বলে। শনিবার রাতে সিটিজেনরা আরও একবার হার দেখেছে অ্যাস্টন ভিলার কাছে। তাতে সমালোচনার মুখে সিটি বস। এমন কঠিন সময়েও গার্দিওলার উপর আস্থা হারাচ্ছেন না দলটির তারকা স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। এই স্প্যানিয়ার্ডের উপর পূর্ণ বিশ্বাস আছে বলেই জানিয়েছেন হলান্ড।
ভিলা পার্কে দুই আর্ধে দুই গোল হজম করেছে সিটি। শেষদিকে ফিল ফোডেন এক গোল শোধ দিলেও ম্যাচে ফেরা হয়নি প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। তাতে পয়েন্ট টেবিলে আরও এক ধাপ পিছিয়েছে তারা। ১৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সিটিজেনরা আছে ছয় নম্বরে।
দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা ঝেঁকে ধরেছে গার্দিওলাকে। কঠিন সময়ে স্প্যানিশ এই কোচের পাশে দাঁড়িয়েছেন হলান্ড। তাগিদ দিয়েছেন কঠিন পরিশ্রমের, “গেল সাত মৌসুমে সে আমাদের ছয়বার লিগ জিতিয়েছে। আমরা এটা কখনো ভুলবনা। সে একটা সমাধান খুঁজে বের করবে। আমাদের সবার বিশ্বাস আছে গার্দিওলার উপর। এখন সময় হয়েছে পরিশ্রমের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার।”
ক্যারিয়ারে এমন বাজে সময় গার্দিওলা কখনো পার করেননি। কিছুতেই যেন হিসেবটা মেলাতে পারছেন না। তারমধ্যে একের পর এক চোট গার্দিওলার জন্য কাজটা যেন আরও কঠিন করে তুলছে। ভিলা ম্যাচ শেষে দলের হারের পেছনে গার্দিওলা আরও একবার সে দিকেই ইঙ্গিতটা দিয়েছেন, “ফুটবলারদের মাঠে ফেরাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। মাত্র একজন সেন্টার ডিফেন্ডার ফিট আছেন আমাদের দলে। পরের ম্যাচে আমরা আবারও নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করবো। এর থেকে বেশি দূর এখন আমরা চিন্তা করতে চাই না।”
ম্যাচ না জিতলেও অ্যাস্টন ভিলার সাথে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট গার্দিওলা। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন ফুটবলারদের উপর রাখতে চান পুরো ভরসা, “আমাদের চিন্তা ইতিবাচক রাখতে হবে এবং এই ফুটবলারদের উপর আস্থা রাখতে হবে। বেশ কয়েকজনই দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। আমাদের একটা উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ধীরে ধীরে আমরা সেটা পারবো।”
ম্যাচ শেষ হতেই দিয়েগো সিমিওনে বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে টানেল ধরে চলে গেলেন ভেতরে। হয়তো নিজের খুশিটা আটকাতে পারেননি। ১৩ বছর আতলেতিকো মাদ্রিদের ডাগআউটে কাটিয়ে ফেললেও বার্সার মাঠ থেকে কখনো জয় নিয়ে ফেরা হয়নি আর্জেন্টাইন এই কোচের। গলার কাঁটা হয়ে থাকা রেকর্ডটা শনিবার রাতে দূর করতে পেরেছেন আতলেতিকো কোচ। সেই সাথে ১৮ বছর ধরে বার্সার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে না পারার আক্ষেপও ঘুচেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ সমর্থকদের।
স্তাদিও অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচ দাপট দেখিয়েছে বার্সেলোনা। তবে একের পর এক সহজ সুযোগ মিসে কপাল পুড়েছে কাতালান ক্লাবটির। শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-১ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। তাতে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো লা লিগার শীর্ষস্থান হারিয়েছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার হয়েই শীতকালীন ছুটিতে যাচ্ছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
পরিসংখ্যান বলছে ম্যাচের ৬৩ ভাগ বলই ছিল বার্সেলোনার দখলে। সব মিলিয়ে ১৯ টি শট আর ৭ অন টার্গেট নিয়ে কেবল একবারই জাল খুঁজে নিতে পারেছে বার্সেলোনা, অন্যদিকে ৪ অন টার্গেট শট নিয়ে দুইবারই বল জালে জড়িয়েছে আতলেতিকো।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে বার্সেলোনা। মিডফিল্ড কিংবা আক্রমণভাগ কোথাও পাত্তা দেয়নি আতলেতিকো মাদ্রিদকে। লামিন ইয়ামাল না থাকায় রাইট উইংয়ে সুযোগ মিলে রাফিনিয়ার। নিজের পছন্দের জায়গায় ফিরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। প্রথম দশ মিনিটের মাঝেই তৈরি করেন বেশ কয়েকটা সুযোগ। তবে বারবারই হিমিনেজের কল্যাণে রক্ষা পায় আতলেতিকো।
সময় যত গড়াতে থাকে বার্সেলোনাও আক্রমণে ততটাই যেন ধার বাড়াতে থাকে। যার ফল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। প্রথমআর্ধ জুড়ে দারুণ ফুটবল উপহার দেওয়া পেদ্রির গোলে ৩০ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সা। গাভির সাথে বেশ কয়েকবার বল দেওয়া নেওয়া করে পেদ্রি ডুকে পড়েন আতলেতিকোর ডি বক্সে। কিছুটা জায়গা তৈরি করে বাঁকানো এক শটে বল জালে জড়ান বার্সা মিডফিল্ডার। দারুণ এই গোলটা বার্সেলোনা সমর্থকদের লম্বা সময় চোখে লেগে থাকার কথা।
অবশ্য শুধু আক্রমণ না রক্ষণেও বার্সেলোনা ছিল দারুণ। প্রথমআর্ধে কাতালান ক্লাবটি ছয় শট নিলেও আতলেতিকো নিতে পারেনি একটি শটও। বল দখলের লড়াইয়ে সিমিওনের দল ছিল বেশ পিছিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধেও চিত্রটা একই। দাপুটে বার্সেলোনা ৪৭ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। তবে ফারমিন লোপেজের নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন ওবালক। ৫৯ মিনিটে পোস্টের বাধায় আটকা পড়েন রাফিনিয়া। তবে তার এক মিনিট বাদে পুরো অলিম্পিক স্টেডিয়াম চুপ কুরিয়ে দেন রদ্রিগো দি পল। প্রতিআক্রমণ থেকে আতলেতিকোকে ম্যাচে ফেরান আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার। ডি বক্সের বেশ বাইরে থেকে দৃষ্টিনন্দন এক শটে বোকা বানান বার্সেলোনা গোলকিপারকে।
গোল হজম করে বার্সেলোনা আরও বেশি আক্রমণাত্বক হয়ে উঠে। তবে রাফিনিয়া, রবার্ট লেভানদফস্কিদের একের পর এক সহজ সুযোগ হাতছাড়া আর ওবালকের দুর্দান্ত সব সেইভে গোল পাওয়া হয়নি বার্সার। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডরা ভুল করলেও ভুল করেননি আতলেতিকো স্ট্রাইকার আলেক্সেন্দার সোরলথ। অতিরিক্ত সময়ে আবারও প্রতিআক্রমণে বার্সেলোনার হৃদয় ভাঙে আতলেতিকো। বদলি হিসেবে নামা মলিনার দারুণ এক পাস থেকে পারফেক্ট ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান সোরলথ। তাতে নিশ্চিত হয় আতলেতিকোর ইতিহাস গড়া জয়।
নিজেই জানিয়েছেন, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত থাকার কথা। এরপরও মার্কাস রাশফোর্ডকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেই রেখে দেওয়ার পক্ষে কোচ রুবেন আমোরিম। তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের দলবদলের গুঞ্জন। আর সেখানে উঠে আসছে সৌদি আরবের তিন ক্লাবের নাম, যারা এই জানুয়ারিতেই রাশফোর্ডকে দলে টানতে প্রস্তুত।
সবশেষ ম্যানচেস্টার ডার্বিতে স্কোয়াডেও জায়গা পাননি রাশফোর্ড। এরপর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, তিনি 'নতুন চ্যালেঞ্জ খুঁজছেন'। এর প্রেক্ষিতে টকস্পোর্ট এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, আল আহলি, আল ইত্তিহাদ ও আল কাদসিয়াহ রাশফোর্ডকে দলে পেতে আগ্রহী।
তিন ক্লাবের মধ্যে আল ইত্তিহাদ আগেও রাশফোর্ডকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আর আল কাদসিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তিন দলের মধ্যে আল আহলিই বর্তমানে সবচেয়ে সুনির্দিষ্টভাবে ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডকে জানুয়ারিতে স্কোয়াডে যুক্ত করতে আগ্রহী।
তবে তিন ক্লাবের জন্যই সৌদি প্রো লিগের নিবন্ধন নিয়ম বাধার কারণ হতে পারে। কারণ, রাশফোর্ডকে নিতে হলে দলগুলোকে প্রথমে একজন বিদেশী খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিতে হবে।
টকস্পোর্ট তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে যে, আল আহলি তাদের অধিনায়ক রবার্তো ফিরমিনোর সাথে চুক্তি বাতিলের পথ বিবেচনা করছে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে টানার জন্য তুর্কি ক্লাব ফেনারবাচ ও আরেক সৌদি ক্লাব আল তাওউ আগ্রহী।
অন্যদিকে তিনটি সৌদি ক্লাব রাশফোর্ডকে দলে চাইলেও একই সময়ে তারা লড়াইয়ে নামবে না তাকে নেওয়ার জন্য। কারণ, সৌদি প্রো লিগের স্পোর্টিং ডিরেক্টর মাইকেল এমেনালো এই বিষয়গুলো দেখভাল করেন এবং তিনিই একটি ক্লাবে খেলোয়াড় নিবন্ধন বরাদ্দ করার কাজটি নির্ধারণ করেন।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৪টি ম্যাচ খেলা রাশফোর্ড গোল করেছেন ৭টি। খেলেছেন মাত্র ১ হাজার ৫০০ মিনিট।
৩৯ বছর বয়সেও অর্জনের পাল্লাটা ভারি করে চলছেন লুকা মদ্রিচ। বুধবার রাতে রিয়ালের হয়ে মদ্রিচ উঁচিয়ে ধরেছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা। তাতে হয়ে গেছেন স্প্যানিশ ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা ফুটবলার। যা নিয়ে বিস্মিত কিলিয়ান এমবাপে। মজার ছলে তুলনায় টেনে এনেছেন নিজের বয়সের সাথে রিয়াল অধিনায়কের শিরোপার সংখ্যার দিকটি, যেখানে এগিয়ে আছে মদ্রিচের বয়সই।
গত শুক্রবার কিলিয়ান এমবাপে পা দিয়েছেন ২৬-এ। আর ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা জেতার মধ্য দিয়ে মদ্রিচের ক্যারিয়ারে শিরোপা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮- এ। সেই হিসেবে এমবাপের বয়সের তুলনায় ২টি শিরোপা বেশি জিতেছেন মদ্রিচ। যা ফরাসি অধিনায়কের কাছে অবিশ্বাস্য বলেই মনে হচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা জয়ের উদযাপনের ভিডিও প্রকাশ করেছে রিয়াল। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা মিলেছে মদ্রিচের শিরোপা উদযাপন নিয়ে এমবাপের সেই মন্তব্য। যেখানে বেশ অবাক হয়েই এমবাপেকে বলতে শোনা গেছে,
“আমার বয়সের চেয়ে তোমার শিরোপার সংখ্যা বেশি।” অবশ্য এমবাপে থামেননি এখানে। জানিয়েছেন মদ্রিচের জন্য জিততে চান আরও শিরোপা, “আশা করছি আমরা মদ্রিচ এবং এখানে অন্য যারা আছে তাদের জন্যও অনেক শিরোপা জিতব।”
এমন অর্জনের পর মদ্রিচও বেশ খুশি।
“এটা দারুণ এক অনুভূতি। রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবসময়ই আনন্দের। আশা করছি এই শিরোপা জয় আমাদের সামনে আত্ববিশ্বাস যোগাবে, কারণ সামনে অনেকগুলো ম্যাচ রয়েছে আমাদের।”
এক মাস বাদে মদ্রিচ সুযোগ পাচ্ছেন তার ট্রফি কেবিনেটে সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেওয়ার। আগামী মাসেই যে তারা খেলবে স্প্যানিশ সুপার কাপ। যেখানে সেমিফাইনালে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে মায়োর্কাকে।
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে চমকই দেখাচ্ছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। শনিবার ব্রাদার্স ইউনিউনের বিপক্ষে তারা জয় তুলে নিয়েছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফকিরাপুল ইয়ং মেন্স ক্লাব। ফর্টিস এফসি ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের ম্যাচটা হয়েছে ১-১ গোলের ড্র।
তাতে পয়েন্ট টেবিলে এসেছে রদবদল। তিন জয়ে আবাহনীকে টপকে রহমতগঞ্জ উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। দুই দলের সমান নয় পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দুইয়ে রহমতগঞ্জ। অন্যদিকে লিগে প্রথম জয় তুলে নিয়ে টেবিলের আট নম্বরে উঠে এসেছে ফকিরাপুল।
মুন্সিগঞ্জে ম্যাচের শুরতেই রহমতগঞ্জকে এগিয়ে দেন স্যামুয়ের বোয়াটে। এরপর অবশ্য ম্যাচ চলে কিছুটা ধীরগতিতে। তাতে এগিয়ে থেকেই প্রথমআর্ধ শেষ করে রহমতগঞ্জ। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা মেলে নাটকীয়তার। ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাদার্সকে ম্যাচে ফেরান চেইক সেনে। তবে মিনিট পাঁচেক বাদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাদার্স ফরোয়ার্ড সাজ্জাদ হোসাইন।
এই লাল কার্ডই যেন গড়ে দেয় ম্যাচে ভাগ্য। ১০ জনের দল নিয়ে ব্রাদার্স আর পেরে উঠেনি রহমতগঞ্জের সাথে। ৭৯ মিনিটে নাবিব নাওয়াজ জীবনের গোলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। আর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান বোয়াটে।
দিনের অন্য ম্যাচের ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে চট্ট্রগ্রাম আবাহনীকে হেসে-খেলেই হারিয়েছে ফকিরাপুল। প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই পায়নি গোলের দেখা। দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেদ সায়েদ হোসাইন সায়েম ও সরদার জাখোনভের গোলে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফকিরাপুল।
অন্যদিকে ফর্টিসকে আটকে দিয়েছেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। প্রথমার্ধে সাকিব বেপারি বাবুর গোলে এগিয়ে যায় ওয়ান্ডারার্স। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ভেলেরির গোলে সমতায় ফেরে ফর্টিস। শেষ পর্যন্ত আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে ম্যাচ চললেও গোলের দেখা মেলেনি কারোরই। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৫ দিন আগে