আজ আর ঘটেনি তেমন অঘটন। চ্যাম্পিয়নস লিগের তৃতীয় রাউন্ডে সব বড় দলই জয় পেয়েছে নিজেদের ম্যাচে। টানা তিন জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে জয়ের ধারায় ফিরেছে দুই ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং আর্সেনাল। 

মাদ্রিদে চলছে বেলিংহাম জাদু 

চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পর্তুগালের ক্লাব ব্রাগাকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। গোল পেয়েছেন রদ্রিগো এবং বেলিংহাম। এই জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘সি’ তে সবার উপরে অবস্থান করছে রিয়াল মাদ্রিদ। 

ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় দুই ব্রাজিলিয়ানের যুগলবন্দীতে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়ুসের পাস থেকে ঠান্ডা মাথায় লক্ষ্য ভেদ করেন রদ্রিগো। প্রথমার্ধে আরও কিছু সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ভিনিসুয়াস, রাদ্রিগোরা। ফরে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ীরা। 

বিরতি থেকে ফিরে গোলের দেখা পান জুড বেলিংহাম। মাদ্রিদের হয়ে মাঠে নামবেন আর গোলের দেখা পাবেন না এমনটা এই সিজনে এখন পর্যন্ত খুব একটা দেখা যায়নি। এবারও অবশ্য পাসটা এসেছে ভিনিসুয়াসের থেকেই। এই নিয়ে মাদ্রিদের হয়ে ১২ ম্যাচ খেলতে নেমে ১১ গোল করে ফেলেছেন ইংলিশ এই মিডফিল্ডার। রদ্রিগো, ভিনিসুয়াসের সাথে তার লিংকআপটাও জমেছে বেশ ভালভাবেই। 

 এই ম্যাচে নিজেকে অভাগাই ভাবতে পারেন ভিনিসুয়াস জুনিয়র। দারুণ খেলেও নামের পাশে যে গোল নেই এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের। একটি গোল করেছিলেন তাও কাঁটা পড়ে অফসাইডের ফাঁদে। ৬৩ মিনিটে আলভারোর গোলে ফেরার ইংগিত দিলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি ব্রাগার। 

দুই ব্রাজিলিয়ান জেতালেন আর্সেনালকে 

দুই ব্রাজিলিয়ানের গোলে সেভিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’ এর শীর্ষ স্থান দখল করেছে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে হারতে হয়েছিল লঁসের বিপক্ষে। আজ অবশ্য গ্রাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি এবং গ্রাবিয়েল জেসুস তেমন কিছু হতে দেননি।

ম্যাচের শুরু থেকে অধিপত্য বিস্তার করে খেললেও প্রথম গোলের দেখা পেতে আর্সেনালকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রথমার্ধের শেষ মিনিট পর্যন্ত। এখানেও দুই ব্রাজিলিয়ানের কারসাজী। জেসুসের দারুণ পাস থেকে আর্সেনালকে এগিয়ে এন মার্টিনেল্লি। বিরতি থেকে ফিরে জেসুজ নিজেই করেন গোল। তবে ৫৮ মিনিটে সেভিয়া ১ গোল শোধ দিলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মিকেল আর্তেতার দিল। 

ম্যাগুয়ের উদ্ধার করলেন ইউনাইটেডকে

চ্যাম্পিয়নসের লিগের আগের দুই ম্যাচ হেরে এমনিতেই চাপ নিয়েই মাঠে নেমছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেই চাপটা আরও বাড়ে প্রথম হাফে গোল না পাওয়ায়। ম্যাচ যেভাবে এগুছিলো তাতে ইউনাইটেড ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে এমনটাই মনে হচ্ছিলো। তবে ৭২ মিনিটে রেড ডেভিলদের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। গোল করে এগিয়ে দেন ইউনাইটেডকে। তবে শেষের দিকে পেনাল্টি সেভ দিয়ে ইউনাইটেডের মান বাঁচিয়েছে ওনানা। 

গত একবছর থেকেই সমর্থকদের রোষনলের স্বীকার হতে হচ্ছিলো ম্যাগুয়েরকে। আজ অনেক দিন পর ইউনাইটেড সমর্থকেরা এই ডিফান্ডারকে নিয়ে উল্লাসে মেতেছে। ম্যাচ শেষে নিজের অনুভুতির কথা জানাতে গিয়ে ম্যাগুয়ের বলেন, “ গত এক বছর থেকে এই কঠিন পরিস্থিতি আমি যেভাবে পার করেছি সেই জন্য আমি গর্বিত। আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে যা আমি কাজে লাগাতে পেরেছি এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি। যা সত্যি আনন্দের।”