১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৩:৫৬ পিএম

আসছে গ্রীষ্মকালীন দলবদলে কিলিয়ান এমবাপে ছাড়তে চান পিএসজি। এরই মধ্যে ক্লাব কতৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা। এরপর থেকেই ফরাসি তারকাকে নিয়ে বাতাসে ভাসছে নানা গুঞ্জন। হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে এমবাপের পরবর্তী ঠিকানা কোথায় হবে, তা নিয়ে। যেখানে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুলের পর নতুন করে যুক্ত হয়েছে আর্সেনালের নাম। দলটির কোচ মিকেল আরতেতাও দিয়েছেন তেমনই ইঙ্গিত।
এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদে যেতে চান, খবরটা অনেক পুরনো। পিএসজি তারকাকে দলে ভেড়ানোর ক্ষেত্রে সবকিছু বিবেচনায় এখনো সবার চেয়ে এগিয়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরাই। তবে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমগুলো এই তালিকায় রাখছে আর্সেনালের নামও।
আরও পড়ুন: এমবাপের দলবদলে নতুন মোড়
দলটির কোচ আরতেতাও ক্লাবের সমর্থকদের যোগালেন আশা। “এমন বড় মাপের ফুটবলারকে দলে পেতে আমরাও নিজেদের নামটা জুড়ে দিতে চাই। কিন্তু এটা অনেক কঠিন কাজ, শুধু এটুকুই বলবো আমি।”

বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিলেন এমবাপে। রিয়াল সোসিয়েয়াদের বিপক্ষে জয় পাওয়া সে ম্যাচে গোলের দেখাও পান তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে খবর আসে এমবাপের পিএসজি ছাড়ার।
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি দলটির কোচ লুইস এনরিকে। “দুই পক্ষ এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেনি, কিলিয়ান এমবাপে সরাসরি কিছু বলেননি। তারা কথা বললে আমি আমার মতামত দেব।”
No posts available.
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:২৫ পিএম
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

দুই দিনের জন্য স্থগিত হওয়ার পর এবার কমে গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের দ্বাদস সংস্করণের ভেন্যু। চট্টগ্রামের মাঠে গওয়ার অপেক্ষায় থাকা সবগুলো ম্যাচ এখন সিলেটের মাঠেই হবে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএলের পরিবর্তিত সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন সূচি অনুযায়ী, সিলেটের মাঠে ১২টির বদলে হবে ২৪টি ম্যাচ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিপিএলের মঙ্গলবারের দুই ম্যাচ স্থগিত করে নেওয়া হয়েছে ৪ জানুয়ারিতে। পূর্ব নির্ধারিত সূচিতে ৫ তারিখ থেকে চট্টগ্রামে হওয়ার কথা ছিল বিপিএল।
কিন্তু বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি আর সম্ভব হবে না। তাই ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলের সব ম্যাচ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই হবে।
এরপর ১৫ জানুয়ারি থেকে শেষ পর্বের জন্য ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। লিগ পর্বের শেষ ৬টি ম্যাচ হবে শের-ই বাংংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পরে প্লে-অফের ৪ ম্যাচও হোম অব ক্রিকেটেই অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্ব ঘোষিত সূচি ঠিক রেখে ২৩ জানুয়ারিই হবে বিপিএলের ফাইনাল।

চলতি অ্যাশেজ সিরিজের মেলবোর্ন টেস্টে ছিল পেসারদের দাপট। মাত্র দুই দিনে শেষ হওয়া বক্সিং ডে টেস্টের পর আইসিসির হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়েও বড় উন্নতি করেছেন বেশ পেসাররা।
মেলবোর্নে টেস্টে দুই দলের ৩৬টি উইকেটের সবকটিই নিয়েছেন পেস বোলাররা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ইংলিশ পেসার জশ টাং। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন ৩০ নম্বরে (৫৭৩ রেটিং পয়েন্ট)।
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন টাংয়ের সতীর্থরাও। চোট কাটিয়ে মেলবোর্ন টেস্টে ফেরা গাস অ্যাটকিনসন তিন উইকেট নিয়ে চার ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১৩ নম্বরে উঠেছেন (৬৯৮)। পাঁচ উইকেট নিয়ে ছয় ধাপ উন্নতি করে ২৩ নম্বরে উঠে এসেছেন ব্রাইডন কার্স (৬৩৮)।
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক গত সপ্তাহের তুলনায় রেটিং পয়েন্ট কমলেও এক ধাপ এগিয়ে নোমান আলির সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন (৮৪৩)। স্কট বোল্যান্ড দুই ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৮১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছেন।
মেলবোর্নে ব্যাট হাতে ২৮ রান করা অ্যাটকিনসন অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছেন (২৩৮)। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ধরে রেখেছেন তৃতীয় স্থান (৩১৬)।
মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪১ ও রান তাড়ায় অপরাজিত ১৮ রানের সুবাদে হ্যারি ব্রুক তিন ধাপ এগিয়ে টেস্ট ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন (৮৪৬)। শীর্ষে রয়েছেন জো রুট।
দুই ধাপ পিছিয়ে পাঁচ নম্বরে নেমেছেন স্টিভ স্মিথ, আর এক ধাপ নেমে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ট্রাভিস হেড।

তারকা পেসার ফজলহক ফারুকি ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবদিন নাইবকে ফিরিয়ে সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। দলের নেতৃত্বে আছেন রশিদ খান।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। ওই সিরিজেও এই একই দল নিয়ে নামবে তারা।
বাঁহাতি পেসার ফারুকি, পেস অলরাউন্ডার নাইব ছাড়াও আফগানিস্তানের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন রহস্য স্পিনার মুজিব উর রহমান ও ডানহাতি পেসার নবীন উল হক। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরের দলের ছিলেন না ফারুকি ও নাইব।
বিশ্বকাপের দলে মুজিব জায়গা পাওয়ায় আরেক রহস্য স্পিনার আল্লাহ্ মোহাম্মদ গজনফারের জায়গা হয়নি। তবে রিজার্ভে আছেন তরুণ স্পিনার। যেখানে তার সঙ্গী ইজাজ আহমেদজাই ও জিয়াউর রহমান শরিফি।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ সংস্করণে সেমি-ফাইনাল খেলেছিল আফগানিস্তান। যে কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে এটিই তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য।
আগামী ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। ডি গ্রুপে তাদের অন্য তিন সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ও বিশ্বকাপের জন্য আফগানিস্তান স্কোয়াড
রশিদ খান (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান (সহ-অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ইশহাক (উইকেটরক্ষক), সেদিকউল্লাহ অতল, দারউইশ রসুলি, শহিদউল্লাহ কামাল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, গুলবদিন নাইব, মোহাম্মদ নবী, নুর আহমেদ, মুজিব উর রহমান, নবীন উল হক, ফজলহক ফারুকি, আব্দুল্লাহ ওমরজাই।
রিজার্ভ: আল্লাহ্ মোহাম্মদ গজনফার, ইজাজ আহমেদজাই ও জিয়াউর রহমান শরিফি

২০২৫ সালে ক্রিকেট এমন কিছু সংখ্যার জন্ম দিয়েছে, যেগুলো অস্বাভাবিক, অসম্ভবপ্রায় বা নিছকই চমকপ্রদ। পরিসংখ্যানগত ব্যতিক্রম থেকে শুরু করে প্রত্যাশা ছাপিয়ে দেওয়া রেকর্ড- এমন ২৫টি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো বছরের শেষ দিনে।
১০ লাখে ১ বার!
গাণিতিক হিসেবে টানা ২০টি টস হারের সম্ভাবনা প্রতি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৬ বারের মধ্যে একবার। সেটিই করে দেখিয়েছে ভারত। এই ধারা শুরু হয়েছিল ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল (আহমেদাবাদ) থেকে এবং শেষ হয়েছে বছরের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে, বিশাখাপত্তমে।
ওয়ানডেতে এর পরের সবচেয়ে খারাপ টস-হারার রেকর্ডটি নেদারল্যান্ডসের- ২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১টি।
২
চলতি অ্যাশেজ সিরিজে দুটি টেস্ট দুই দিনের মধ্যে শেষ হয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো সিরিজে দুই বা তার বেশি টেস্ট দুই দিনে শেষ হলো।
শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৯১২ সালের ত্রিদেশীয় সিরিজে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড অংশ নিয়েছিল- যা ছিল ইতিহাসের প্রথম বহুজাতিক টেস্ট টুর্নামেন্ট।
চলতি অ্যাশেজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ায় খেলা ৪৫০টি টেস্টের মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ দুই দিনের মধ্যে শেষ হয়েছিল, আর চলতি মৌসুমেই সেই সংখ্যার সমান দেখা গেছে।
৩
২০২৫ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। যদিও তারা টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচ হেরেছিল। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এই প্রথম তিন ম্যাচ হেরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কোনো দল। পুরুষদের বিশ্বকাপে এমন ঘটনা ঘটেছে দুইবার- পাকিস্তান (১৯৯২) ও ইংল্যান্ড (২০১৯)।
৪
গত ২৫ এপ্রিল, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে ছিলেন ২২ বছরের নিচের চারজন খেলোয়াড়- আয়ুশ মাত্রে, শাইখ রশিদ, নূর আহমেদ ও দেওয়াল্ড ব্রেভিস।
এর আগে চেন্নাই কখনও এত কম বয়সের ৪ জন ক্রিকেটার একই ম্যাচে নামায়নি। আইপিএল ২০২৫ শুরুর আগে তারা কখনও এক ম্যাচে দু’জনের বেশি এমন খেলোয়াড় খেলায়নি।
৫
ইন্দোনেশিয়ার অলরাউন্ডার গেদে প্রিয়ান্দানা গত ২৩ ডিসেম্বর বালিতে কাম্বোডিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে (পুরুষ বা নারী) এক ওভারে পাঁচ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার হন।
তিনি ছিলেন ইনিংসে ব্যবহৃত সপ্তম বোলার। একমাত্র ওভারে তার বোলিং ফিগার ১-০-১-৫! যা পুরুষদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম খরচে পাঁচ উইকেট। ৬৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার ২৮ উইকেটের মধ্যে পাঁচটিই এসেছে ওই এক ওভারে।
৬
দ্য ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে জিতেছিল ভারত। যা ছিল বছরের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর টেস্ট সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। শেষ দিনে ৫২ মিনিটের নাটকীয় লড়াইয়ে শেষ হয় সিরিজ।
এটি টেস্টে ভারতের সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয় এবং একই সঙ্গে ৩০০-এর বেশি রান ডিফেন্ড করে ১০ রানের কম ব্যবধানে জয়ের ইতিহাসে প্রথম উদাহরণ।
৭
২০২৫ সালের মেজর লিগ ক্রিকেটের লিগ পর্বে ১০ ম্যাচের মধ্যে ৭টি হেরেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমআই নিউ ইয়র্ক। ন্যূনতম ১০টি লিগ ম্যাচ থাকা পাঁচ বা তার বেশি দলের কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এত কম জয়-হারের অনুপাত (০.৪৩) নিয়ে কেউ কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি।
৮
গত ২৬ ডিসেম্বর মায়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন ভুটানের সোনাম ইয়েশে। যা কোনো পেশাদার পুরুষ বা নারী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (গ্লোবাল লিগ বা আন্তর্জাতিক) সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড।
৯
২০২৫ সালের আইপিএলে কোয়ালিফায়ার-১ ও ফাইনালসহ নিজেদের ঘরের বাইরে ৯ ম্যাচের সবকটি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। আইপিএলের ১৮ মৌসুমের ইতিহাসে এটিই প্রথম ঘটনা।
১০
২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত টানা ১০টি টেস্ট জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় দীর্ঘতম। এই ধারার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন ছিল লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো।
প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এখন তার প্রথম ১২টি টেস্টের মধ্যে ১১টিতেই জয় পেয়েছেন। যা আলাদা রেকর্ড।
১১
চলতি পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ার লেগেছে মাত্র ১১ দিন। যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে তাদের জন্য একই সময় লেগেছিল ১৯৫০/৫১ (দেশে), ২০০১ (বাইরে) ও ২০০২/০৩ (দেশে)।
সর্বনিম্ন রেকর্ডটি ১৯২১ সালের ইংল্যান্ড সফরে- মাত্র ৮ দিন।
১২ বছর ২ মাস ২৬ দিন
দিল্লির হয়ে বিরাট কোহলির দুই লিস্ট-এ ম্যাচের মধ্যবর্তী সময় ১২ বছর ২ মাস ২৬ দিন। বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার আগে তিনি শেষ খেলেছিলেন ২০১৩ সালের এনকেপি সালভে চ্যালেঞ্জার ট্রফি ফাইনালে। সেই একাদশে ছিলেন গৌতম গম্ভীর, ভিরেন্দর শেবাগ ও আশিস নেহরার মতো খেলোয়াড়রা।
দুই সপ্তাহের একটু বেশি সময় পরে তিনি জয়পুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি (৫২ বলে) করেছিলেন।
১৩
নেপিয়ারে গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০৯* করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার হন শাই হোপ। এর মাধ্যমে তিনি প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাকি ১১টি পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে শতক করেন।
সবচেয়ে বেশি দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে মাহেলা জয়বর্ধনে ও ক্রিস গেইল- ১২টি করে। শচীন টেন্ডুলকার, গ্যারি কার্স্টেন, রাহুল দ্রাবিড়, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা, হাশিম আমলা, মার্টিন গাপটিল, শিখর ধাওয়ান ও পল স্টার্লিং করেছেন ১১টি দলের বিপক্ষে।
১৪ বছর ২৭২ দিন
চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে মাত্র ১৪ বছর ২৭২ দিন বয়সে ৮৪ বলে ১৯০ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করা কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হয়ে যান বৈভব সূর্যবংশী। আগের রেকর্ডটি ছিল জহুর এলাহির- ১৫ বছর ২০৯ দিন
এর আগে গত আইপিএলে তিনি টি-টোয়েন্টিতে কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান হয়েছিলেন। পরে ইন্ডিয়া ‘এ’ ও বিহারের হয়েও শতক করেছেন। ১৮ বছর হওয়ার আগে পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে আর কোনো ক্রিকেটারের শতক নেই।
১৫
গত জুলাইয়ে ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বে রানার্স-আপ হয়ে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করেছে ইতালি। তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা ১৫তম সহযোগী সদস্য দল (আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডসহ)।
ইউরোপিয়ান বাছাই থেকে বাদ পড়া তিন দলের মধ্যে ছিল স্কটল্যান্ড। যারা আগের নয়টি আসরের ছয়টি খেলেছিল।
১৬
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারতের প্রতি উইকেটে গড় রান ছিল ১৬.৩৯ (অতিরিক্তসহ)। যা ভারতের কোনো হোম টেস্ট সিরিজে সর্বনিম্ন এবং সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। সর্বনিম্ন গড়ের রেকর্ড ২০০২-০৩ নিউজিল্যান্ড সফরে- মাত্র ১৩.৩৭।
এর আগের বছর ভারত ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ০-৩ ব্যবধানে হেরেছিল। টানা দুই বছরে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট সিরিজ হারার ঘটনা এর আগে ঘটেছিল চার দশকেরও বেশি আগে- ১৯৮৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ১৯৮৪-৮৫তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
১৭–০
২০২৩ সাল থেকে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভারতের নিখুঁত রেকর্ড- ১৭-০। যা শুরু হয় ২০২৩ এশিয়ান গেমস (চীন) দিয়ে। যেখানে ফাইনাল বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও সিডিংয়ের কারণে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়।
এরপর ২০২৪ সালে ক্যারিবিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। গত সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপেও অপরাজিত থাকে তারা।
১৮
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছাড়া আইপিএলে টানা দুটি ফাইনালের জন্য লেগেছে ১৮টি আসর। এই টুর্নামেন্টের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক ২০২৩ পর্যন্ত ১১টি ফাইনালে খেলেছেন। যার একটি ছিল ২০১৭ সালে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টের হয়ে, স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে।
১৯
২০২৫ সালের মেজর লিগ ক্রিকেটে ওয়াশিংটন ফ্রিডমের বিপক্ষে সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নসের হয়ে এক ম্যাচে ১৯টি ছক্কা মেরেছিলেন ফিন অ্যালেন। যে কোনো টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ। এর আগে ক্রিস গেইল ২০১৭ বিপিএল ফাইনালে এবং এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহান গত বছর সাইপ্রাসের বিপক্ষে ১৮টি করে ছক্কা মেরেছিলেন।
২০
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বরে থাকা স্পেন টানা ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে (ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে), যা যে কোনো দলের জন্য সর্বোচ্চ। অদ্ভুতভাবে, এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেকোনো দলের যৌথভাবে দীর্ঘতম জয়রখ, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। যারা সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ২০ ম্যাচ জিতেছিল।
২১ বছর ২৭৯ দিন
নাভি মুম্বাইয়ে নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়ার সময় শেফালি বর্মার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর ২৭৯ দিন। যা তাকে পুরুষ ও নারী মিলিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ ম্যাচসেরা বানিয়েছে।
তিনি চোট পাওয়া প্রাতিক রাওয়ালের বদলি হিসেবে দলে এসেছিলেন। সেমি-ফাইনালের আগে এক বছর তিনি কোনো ওয়ানডে খেলেননি। অন্যদিকে ৩৬ বছর ২৩৯ দিনে হারমনপ্রীত কৌর নারী বিশ্বকাপ জেতা বয়োজ্যেষ্ঠ অধিনায়ক হন।
২২
চলতি অ্যাশেজ সিরিজে জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেটের ওপেনিং জুটি গড়ে ২১.৭৫ বল টিকেছে। যা অন্তত সাতবার ওপেন করা কোনো জুটির জন্য টেস্ট সিরিজ ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এর আগে এতদিন সবচেয়ে খারাপ গড় ছিল ৩১ বল।
সিরিজে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটির গড় মাত্র ১৯, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার ৩৪.৮৭। আট ইনিংসের মধ্যে তিনটিতে প্রথম উইকেট পড়েছে প্রথম ওভারে এবং কখনও আট ওভারের বেশি টেকেনি এই জুটি।
২৩
টেস্ট ক্রিকেটে ২৩ ইনিংসে প্রথম ওভারে মোট ২৬টি উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। বল বাই বল তথ্য অনুযায়ী, এই দুই সংখ্যায় তার ওপরে আছেন শুধু জিমি অ্যান্ডারসন- ২৯ ইনিংসে ২৯ উইকেট।
২০২৫ সালে স্টার্ক প্রথম ওভারে নিয়েছেন ৮ উইকেট, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ।
চলতি বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে তার প্রথম ওভারের তিন উইকেট তাকে টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম পাঁচ উইকেট এনে দেয়- মাত্র ১৫ বলে।
২০২৫ সালে স্টার্কের স্ট্রাইক রেট ২৮.৩ (উইকেট ৫৫টি )। এক পঞ্জিকাবর্ষে অন্তত ৫০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে সেরা। ওয়াসিম আকরামের ৪১৪ উইকেট ছাড়িয়ে তিনি এখন বাহাতি বোলারদের মধ্যে শুধু রঙ্গনা হেরাথের (৪৩৩) পেছনে।
২৪
টেস্টে ১৫০ বা তার বেশি রান পাঁচবার করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। যার সবশেষটি গত নভেম্বরে দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ২৪ বছর বয়সের আগে সবচেয়ে দেড়শ রানের তালিকায় টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আটটি দেড়শ নিয়ে সবার ওপরে ডন ব্র্যাডম্যান।
২৫
২০২৫ সালে নারী ওয়ানডেতে ৩০০ বা তার বেশি রান হয়েছে ২৫ বার, যা এই ফরম্যাটে এক বছরের রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ ১০ (২০২২) থেকে আড়াই গুণ বেশি।
এর মধ্যে ভারত করেছে ৯টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ৬টি ও অস্ট্রেলিয়া ৫টি। এর আগে কোনো দল এক বছরে পাঁচটির বেশি ৩০০ রান করেনি।
তথ্যসূত্রঃ ক্রিকবাজ

দীর্ঘ দিন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর অবশেষে হার মানলেন আকশু ফার্নান্ডো। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে প্রায় সাত বছর কোমায় থেকে মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই ব্যাটার।
২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর, কলম্বোর দক্ষিণ উপশহর মাউন্ট লাভিনিয়ায় সমুদ্রতটে অনুশীলন শেষে একটি অরক্ষিত রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন আকশু। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি অধিকাংশ সময় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
ডানহাতি প্রতিভাবান ব্যাটার আকশুর ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ার তখনই গতি পাচ্ছিল। ওই ঘটনার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন।
একই সঙ্গে অফস্পিন বোলিংয়েও উন্নতি করছিলেন তিনি। সিনিয়র পর্যায়ে তার নামের পাশে ছিল সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। নয় বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে আকশু খেলেছেন কল্টস ক্রিকেট ক্লাব, পানাদুরা স্পোর্টস ক্লাব, চিলাও মারিয়ন্স স্পোর্টস ক্লাবসহ একাধিক শীর্ষ ক্লাবের হয়ে।
আকশুর মৃত্যুর খবরে শোক প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও রাগামা ক্রিকেট ক্লাবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোশন আবেসিংহে।
“তিনি (আকশু) ছিলেন একজন অসাধারণ তরুণ, যার সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার নির্মম এক দুর্ঘটনায় থেমে যায়। স্কুল ক্রিকেট ও রাগামা ক্লাবের হয়ে তিনি ছিলেন মানসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়।”
“যারা তাকে চিনতাম, আমাদের সবার জন্য আজকের দিনটি খুবই বেদনাদায়ক। তিনি ছিলেন প্রফুল্ল, বন্ধুসুলভ এবং প্রকৃত অর্থেই একজন ভদ্রলোক। আমরা আজীবন তোমাকে মনে রাখব, আকশু। শান্তিতে ঘুমাও।”