
ভারতের মাটিতে হওয়া টেস্টে স্বাগতিকরা বরাবরই স্পিন নির্ভর উইকেটে দলে প্রাধান্য দিয়ে থাকে স্পিনারদেরই। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে সিরিজেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। চার স্পিনার নিয়ে প্রথম টেস্টের জন্য স্কোয়াড দিয়েছে ভারত। লম্বা বিরতির এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন কিপার-ব্যাটার রিশাভ পান্ত।
চেন্নাইয়ের আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। শক্তিশালী স্কোয়াডে এছাড়া আছেন নিয়মিত সব সদস্যই। নেতৃত্ব দেবেন যথারীতি রোহিত শর্মা। আছেন বিরাট কোহলিও।
আরও পড়ুন: শরিফুলের জন্য সব উইকেটই এখন ‘ড্রিম উইকেট’
চেন্নাইয়ের উইকেট সবসময়ই স্পিনারদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে। আর সেই কারণেই চারজন স্পিনার রাখা হয়েছে ভারত দলে। অফ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিননের সঙ্গী তিন বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা, আকসার প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব।
২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনার পর এই প্রথম লাল বলের ক্রিকেটে ডাক পেলেন পান্ত। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর সম্প্রতি খেলেছেন দুলীপ ট্রফিতে। স্কোয়াডে তিনি ছাড়া অন্য দুই উইকটরক্ষক হলেন তরুণ ধ্রুব জুরেল ও লোকেশ রাহুল।

পেসারদের মধ্যে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ ও ইয়াশ দয়াল।
প্রথম টেস্টের জন্য ভারতের স্কোয়াড : রোহিত শর্মা, ইয়াশাশভি জয়সওয়াল, শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, সরফরাজ খান, রিশাভ পান্ত, ধ্রুব জুরেল, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, আকসার প্যাটেল, কুলদীপ যাদব , মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ, জাসপ্রিত বুমরাহ, ইয়াশ দয়াল।
No posts available.
১ নভেম্বর ২০২৫, ৭:২৬ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৭:১৭ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৩৯ পিএম

হংকং সিক্সেসের জন্য দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। সাত সদস্যের অজি দলের অধিনায়কত্ব করবেন অ্যালেক্স রস। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক না হলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত তিনি। ২০২৪ বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকা এবং ২০২৫ বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলেছেন রস।
আগামী ৭ থেকে ৯ নভেম্বর হংকংয়ের টিন কুয়ং রোড রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে হবে হংকং সিক্সেস। ৩৩ বছর বয়সী অ্যালেস মিডল-অর্ডার ব্যাটার পাশাপাশি, অফস্পিনে সহায়তা করবেন দলকে। তিনি দলের অভিজ্ঞতা ও স্থিতিশীলতা যোগ করবেন। স্কোয়াডে আছেন টপ-অর্ডার ব্যাটার ও উইকেটকিপার বেন ম্যাকডারমট, স্পিন অলরাউন্ডার ক্রিস গ্রিন, ডেথ বোলিংয়ে দারুণ দক্ষ অ্যান্ড্রু টাই, টপ-অর্ডার ব্যাটার নিক হবসন।
আরিভা স্পোর্টসের কো-ফাউন্ডার রাজনিশ চোপড়া বলেছেন,
‘অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণ হংকং সিক্সেসকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলেছে। তাদের জয়ের মানসিকতা এবং খেলাধুলার দৃষ্টিভঙ্গি এই ফরম্যাটের সঠিক চিত্র।’
টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ১২টি দল। যার মধ্যে আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও হংকং। তিন দিনে মোট ২৯টি ম্যাচ হবে। প্রতিটি ম্যাচে ৬ জন খেলবে, ৬ ওভার খেলা হবে, এবং একজন বোলার সর্বোচ্চ দুই ওভার করতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড: অ্যালেক্স রস (অধিনায়ক), বেন ম্যাকডারমট, জ্যাক উড, নিক হবসন, ক্রিস গ্রিন, উইল বোসিস্টো ও অ্যান্ড্রু টাই।

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা নামছে কাল। ইতিমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাত ম্যাচে এক জয়ে সাত নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবারের বিশ্বকাপ প্রাইজমানির দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেছে আগের সব টুর্নামেন্টকে।
আগামীকাল নতুন চ্যাম্পিয়নের হাতে উঠবে নারী বিশ্বকাপ। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে যে দল জিতবে, তারাই প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করবে। পাশাপাশি প্রাইজমানি হিসেবে হাতে উঠবে রেকর্ড অর্থ।
এবারের টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা, আর রানার্স-আপ দল পাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির সমান পারিশ্রমিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই রেকর্ড পুরস্কার অর্থ নারী ক্রিকেটে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
আরও পড়ুন
| আবারও টেস্ট অধিনায়ক শান্ত |
|
২০২৫ বিশ্বকাপের পুরস্কারের অর্থ ২০২২ সালের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। তিন বছর আগে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা, এবারের আসরে যেখানে ৩৬ কোটি টাকা বেশি পাচ্ছে শিরোপা জয়ী দল। বিশাল অঙ্কের প্রাইজমানি পাচ্ছে ফাইনালে হেরে যাওয়া দলও। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড পাবে প্রায় ১২ কোটি টাকার মতো করে।
বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি ১৪০ কোটি টাকার কাছাকাছি, যা ২০২২ সালের নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের চারগুন বেশি। এমনকি ২০২৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের মোট পুরস্কার ১০০ কোটি টাকাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রথমবার নারী ও পুরুষ বিশ্বকাপে সমান পুরস্কার অর্থ ঘোষণা করল আইসিসি।
অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল পাবে প্রায় ২ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল পাবে ৭ কোটি টাকার মতো করে।
আরও পড়ুন
| ৪ নভেম্বর আইসিসি সভায় উঠছে এশিয়া কাপের ট্রফি বিতর্ক |
|
এবারের বিশ্বকাপে মাত্র এক ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে থেকে শেষ করেছে তারা। সপ্তম ও অষ্টম দল পাবে প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি জয়ের জন্য বরাদ্দ ৩৫ লাখ টাকার পুরস্কার। এছাড়া বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিটি দল পাবে ২ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দল মোট পাচ্ছে ৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার পাঁচটি ভেন্যুতে হচ্ছে এবারের ১৩তম নারী বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের সাত বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা ভারত। ৩৩৯ রানের রেকর্ড তাড়া করে জয় পেয়েছে দলটি। তার আগে প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।

গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে হারের পর বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। চার মাস পর আবারও তাঁর কাঁধেই উঠল টেস্ট সংস্করণের নেতৃত্ব।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করেছে, চলমান ২০২৫–২০২৭ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র শেষ হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শান্ত।
২৭ বছর বয়সী শান্ত প্রথম মেয়াদে ২০২৩ সালে টেস্ট দলের অধিনায়ক হন ১৪ টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন,
‘এই সিদ্ধান্ত বোর্ডের তরফ থেকে ২৭ বছর বয়সী ব্যাটারের নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের লাল-বল ক্রিকেটের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি আস্থা প্রদর্শন করে। শান্ত ধৈর্য, প্রতিশ্রুতি এবং টেস্ট ক্রিকেটের গভীর বোঝাপড়া প্রদর্শন করেছেন।’
শান্তর নেতৃত্বে দলের উন্নতি দেখছে বিসিবি। বুলবুল বলেন,
‘তার নেতৃত্বে আমরা দলের উন্নয়ন এবং বিশ্বাসের দৃশ্য দেখেছি। বোর্ড মনে করছে, নেতৃত্বে ধারাবাহিকতা আমাদের নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে ভালো ফল দেবে।’
আবারও নেতৃত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত শান্ত,
‘বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। আমার অধিনায়কত্বে বোর্ড যে আস্থা ও বিশ্বাস দেখিয়েছে, তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। আমার দেশের টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব। আমাকে যেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা যথাসাধ্যভাবে পালন করব।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারও অধিনায়কত্ব শুরু করবেন শান্ত। বললেন,
‘এটি একটি আনন্দের বিষয়, আমি এমন একটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছি যার অনেক প্রতিভা ও সম্ভাবনা আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সামনে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও ইতিবাচক মৌসুম অপেক্ষা করছে। আমরা এই মাসের শেষের দিকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য অপেক্ষা করছি, যা বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য একটি ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সূচনা চিহ্নিত করে।’
শান্ত প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য বাংলাদেশ দল আর কোনো টেস্ট খেলেনি। ৩৭টি টেস্ট খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। করেছেন ২১৮৯ রান, ব্যাটিং গড় ৩২.১৯। ৭টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৫ ফিফটি।

এশিয়া কাপ শেষ হয়েছে মাসখানেক আগে। তবে ট্রফি বিতর্ক এখনো থামেনি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভায় তুলতে যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুবাইয়ে শুরু হতে যাওয়া সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া।
বিসিসিআই জানিয়েছে, তারা ১০ দিন আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানায়। সেই চিঠির কোনো জবাব দেয়নি এসিসি। তার পরই বিষয়টি আইসিসিতে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
সাইকিয়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে বলেন,
‘আমরা এসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি, কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। তাই বিষয়টি আইসিসি সভায় তোলা হবে। ট্রফি ভারতেরই, সেটা আমাদের কাছেই আসবে—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু সময় ঠিক করতে হবে।’
ঘটনার শুরু এশিয়া কাপের ফাইনালের পর। পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা উদযাপন করার কথা ভারতের। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিসি চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ভারতীয় দল সিদ্ধান্ত নেয়, তারা কোনো পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তার হাত থেকে ট্রফি নেবে না।
ফলে মঞ্চে উপস্থিত কর্মকর্তারা বিব্রত অবস্থায় পড়ে যান। শেষ পর্যন্ত কেউ কিছু না বলেই ট্রফিটি সরিয়ে ফেলা হয়। ট্রফি কোথায় নেওয়া হলো, বা পরে কার হাতে থাকবে—তা নিয়েও কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
বিসিসিআইয়ের অবস্থান অটল। সাইকিয়া বলেন,
‘যদি নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে হতো, তাহলে ফাইনালের দিনই নিয়ে নিতাম। কিন্তু আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—আমরা পাকিস্তানের কোনো সরকারি কর্মকর্তার হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করব না। সেই সিদ্ধান্ত এখনও বহাল।’
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এসিসি চেয়ারম্যান নাকভি ট্রফিটি পরে নিজের হোটেল কক্ষে নিয়ে যান। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, তিনি ট্রফি ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন। তবে এক শর্তে—ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের হাতে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যমে ট্রফি ও মেডেল তুলে দিতে চান।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থায় এমন কোনো অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। বিসিসিআই বলছে, তারা বিষয়টি শান্তভাবে সমাধান করতে চায়, কিন্তু এসিসির নীরবতা অগ্রহণযোগ্য।
বিসিসিআই মনে করে, ভারত যোগ্যভাবে মাঠে জিতে ট্রফি অর্জন করেছে। তাই সেটি ভারতের কাছেই আসবে—কিন্তু নাকভির হাত থেকে নয়। সাইকিয়া বললেন,
‘ট্রফি ভারতেরই থাকবে। মাঠে জিতে আমরা সেটা অর্জন করেছি। এখন শুধু বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাধান করার অপেক্ষা।’

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদার লড়াই- অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হচ্ছে ২১ নভেম্বর থেকে। পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ। ২০১০-১১ মৌসুমের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারেনি ইংলিশরা। সবশেষ সিরিজেও নিজেদের মাঠে অজিদের কাছে ট্রফি হারিয়েছে তারা।
বেন স্টোকসের নেতৃত্বে এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারে নিশ্চয়ই মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে ইংলিশরা। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন অ্যাশেজ জেতার ক্ষেত্রে স্টোকসেই ইংল্যান্ডের ভরসা। অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
স্টোকসের অধীনে দারুণ উন্নতি করেছে ইংল্যান্ড। তাঁর সময়ে ৩৬ টেস্টের মধ্যে ২২টি জয় পেয়েছে ইংলিশরা। তার আগের ১৭টি টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছিল তারা। তবে স্টোকস ও ম্যাককালাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ড কোনো পাঁচ টেস্টের সিরিজ জিততে পারেনি। ২০২৩ সালের হোম অ্যাশেজে ২-২ ড্র করেছিল তারা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ইংল্যান্ড ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
ভায়াগোগোর এক অনুষ্ঠানে অ্যাশেজ সিরিজ নিয়ে কথা বলেছেন ভন। তিনি মনে করেন, স্টোকসের অধিনায়কত্বে সাফল্য দেখানোর সময় এসেছে। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বলেন,
‘ইংল্যান্ডের এখন একটি ট্রফি প্রয়োজন। বেনের মানসিকতা এবং খেলার ধরন অনুযায়ী, এটি তার সময়। তাকে সফল হতে হবে এবং সেই ট্রফি জিততে হবে। এখনই সঠিক সময়।’
২০০৫ সালের অ্যাশেজে ভন ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়ে ১৮ বছরের অ্যাশেজ খরার অবসান ঘটিয়েছিলেন। তবে বর্তমান বাস্তবতায়, ২-২ ড্র হলেও মন্দ হবে না বলে মনে করেন তিনি। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক বলেন,
‘শেষ কয়েকটি সিরিজে, ২০১০-১১ ছাড়া ইংল্যান্ড কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি। তাই ইংলিশদের ক্রিকেটের উন্নতি দেখলে দারুণ হবে, যদি ২-২ ড্রও হয়।’
অ্যাশেজ খেলতে ফিট রয়েছেন জফরা আর্চার, মার্ক উডের মতো পেস তারকা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ব্রাইডন কার্স, জস টাংরা। অস্ট্রেলিয়ান কোচ ডেভিড সেকারকে ইংল্যান্ড ইতিমধ্যেই ফাস্ট বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছে। তবে ভন সতর্ক করেছেন, শুধুমাত্র পেস বোলিংই অস্ট্রেলিয়ায় সফলতার মূলমন্ত্র নয়।
সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়ান পিচ সাধারণত সবুজ এবং কুকাবুরা বলের জন্য অনুকূল। ভনের মতে, স্টোকসই একমাত্র বোলার যারা এমন পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে সফল হতে পারেন। ভন বলেন,
‘সবকিছু কেবল গতি নিয়ে নয়। খুব কম দ্রুত বোলারই ধারাবাহিকভাবে অফ-স্টাম্পের উপরের দিকে বল করতে পারে। স্কট বোল্যান্ড তাই সফল, সে ধারাবাহিকভাবে অফ-স্টাম্প হিট করে। এই সিরিজে হয়তো পেসের চেয়ে অফ-স্টাম্পে ধারাবাহিক বল করাই মূল অস্ত্র। বেন স্টোকস একমাত্র এমন বোলার যাকে বলা যায়, যে সেটি পারবে।’