২১ অক্টোবর ২০২৩, ১:২৩ পিএম
ম্যাচ সামারি
নেদারল্যান্ডস ২৬২ (৪৯.৪ ওভার)
সাইব্র্যান্ড ৭০ (৮২) মাদুশাঙ্কা ৪/৪৯
ভ্যান বিক ৫৯ (৭৫) রাজিথা ৪/৫০
শ্রীলঙ্কা ২৬৩/৫ (৪৮.২ ওভার)
সামারাবিক্রমা ৯১* (৭১) আরিয়ান ৩/৪৪
নিশাঙ্কা ৫৪ (৫২) অ্যাকারম্যান ১/৩৯
ফল : শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে জয়ী।
সাউথ আফ্রিকা ম্যাচের মতোই ইনিংসের প্রথম অংশে মুখ থুবড়ে পড়ল নেদারল্যান্ডসের টপ ও মিডল অর্ডার। তবে আরেকটি প্রত্যাবর্তনের কাব্য রচনা করে লড়াই করার মত সংগ্রহ পেয়ে গেল তারা। এরপর অল্পতেই দুটি উইকেট নিয়ে ফের অঘটনের আশাও জেগেছিল ডাচ শিবিরে। তবে তাদের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে দিয়ে অপরাজিত ফিফটিতে লঙ্কা শিবিরে হাসি ফোটালেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। চতুর্থ ম্যাচে এসে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে সক্ষম হল শ্রীলঙ্কা।
লখনউয়ের ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ২০তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আসরে তাদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। আগে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস অলআউট হয় ২৬২ রানে। জবাবে ১০ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই রান তাড়া করে ফেলে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। এবারের বিশ্বকাপে এটি দেশটির প্রথম জয়।
দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় নেদারল্যান্ডস। আগের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেও আগে ব্যাটিং করে ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। সেই চিন্তা থেকেই হয়ত এই ম্যাচেও আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন স্কট এডওয়ার্ডস। সেই ম্যাচেও ১২০ রানের মধ্যেই ছয় উইকেট হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৭ রানে কাসুন রাজিথার বলে এলবিডব্লিউয়ের হন বিক্রমজিৎ সিং। এরপর ম্যাক্স ও’ডাউডকেও ফেরান এই ডানহাতি পেসার।
আরও পড়ুন: জিততে হলে ৪০০ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে
পাঁচ চারে ২৯ রান করা কোলিন অ্যাকারম্যান ভালো কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্ত তাকেও সাজঘরে পাঠান রাজিথা। এরপরই নেদাল্যান্ডসের ইনিংসে মড়ক লাগে। খুব দ্রুতই আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে ২২তম ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে মাত্র ৯১ রান। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াকু এক ফিফটিতে বিপদে দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। কিন্তু এদিন তিনি থেমে যান ১৬ রানেই। তবে দাঁতে দাঁত চেপে দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন সাইব্র্যান্ড এনজেলব্রাখ ও লোগান ভ্যান বিক। দুজনই তুলে নেন ফিফটি।
জুটিতে এই দুজন যোগ করেন রেকর্ড ১৩০ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৭ম বা এর নিচের উইকেটের জুটিতে এটিই এখন সর্বোচ্চ রান। ৮২ বলে ৭০ রান করা এনজেলব্রাখকে ফিরিয়ে জুটিতে ভাঙন ধরান দিলশান মাদুশাঙ্কা। ভ্যান বিক করেন ৫৯। তাতে শেষ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে নেদারল্যান্ডস পায় ফাইটিং টোটাল। রাজিথা ও মাদুশাঙ্কা দুজনই নেন ৪টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: করুণ শুরুর পর দারুণ শেষ নেদারল্যান্ডসের
শ্রীলঙ্কার শুরুটাও ভালো হয়নি। ৫ রানে আরিয়ান দত্তের বলে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় কুশল পেরেরার ইনিংস। এরপর কুশল মেন্ডিসকেও শিকার করেন এই পেসার। আরেকটি জয়ের স্বপ্ন দেখা নেদারল্যান্ডসের বোলাররা অবশ্য চাপ ধরে রাখতে পারেননি। বাজে বলে সহজেই রান করার সুযোগ পেয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ বের করে নেন শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫২ রান যোগ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও পথুম নিশাঙ্কা।এরপর চরিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে আরেকটি দায়িত্বশীল জুটিতে দলকে জয়ের পথে রাখেন সামারাবিক্রমা। ফিরতি স্পেলে এসে আসালাঙ্কাকে বোল্ড করে নেদারল্যান্ডস শিবিরে আশার সঞ্চার করেন আরিয়ান। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে এই ডানহাতি ব্যাটার করেন ৪৪ রান।
তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৭৬ রানের জুটিতে ম্যাচের সব রোমাঞ্চ শেষ করে দেন সেই সামারাবিক্রমা। ধনঞ্জয়া ৩০ করে আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সামারাবিক্রমা। ১০৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৯১ রানে।
No posts available.
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৫৩ পিএম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৩ পিএম
চলতি মাসের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় বেন কালিৎজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড স্কোয়াডে ডাক পেলেন ২৩ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটার।
তিন ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট। চোটের কারণে সিরিজ খেলতে পারবেন না দুই অভিজ্ঞ পেসার জশ লিটল ও মার্কা অ্যাডায়ার।
কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কালিৎজ, ২০২২ সালে আয়ারল্যান্ডে চলে যান। এরপর থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে মুন্সটার রেডস, নর্দার্ন রাইটস দলে খেলছেন। গত এপ্রিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের আয়ারল্যান্ড উলভসে ('এ' দল) ডাক পান তিনি।
পল স্টার্লিংয়ের নেতৃত্বে সাজানো দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা একমাত্র ক্রিকেটার কালিৎজ। এছাড়া ফিটনেসের উন্নতির প্রমাণ দেখিয়ে দলে ফিরেছেন গ্যারেথ ডেলানি, কার্টিস ক্যাম্ফার ও ক্রেইগ ইয়াং।
ডাবলিনে আগামী ১৭, ১৯ ও ২১ সেপ্টেম্বর হবে সিরিজের ম্যাচ তিনটি। টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথম নিজেদের মাঠে ইংল্যান্ডকে স্বাগত জানাবে আয়ারল্যান্ড।
এর আগে দুবার মাত্র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল দুই দলের ২০১০ বিশ্বকাপের ম্যাচ। আর ২০২২ সালের বিশ্বলাপে ইংলিশদের হারিয়ে দিয়েছিল আইরিশরা। কাকতালীয়ভাবে ওই দুই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ড স্কোয়াড
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), রস অ্যাডায়ার, বেন কালিৎজ, কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হিউম, ম্যাথু হামফ্রেজ, ব্যারি ম্যাকার্থি, জর্ডান নেইল, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ক্রেইগ ইয়াং।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রেকর্ড ব্যবধানে ভরাডুবি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তার ওপর যোগ হলো বাড়তি শাস্তি। মন্থর ওভার রেটের কারণে পুরো দলকে গুনতে হচ্ছে ম্যাচ ফির পাঁচ শতাংশ জরিমানা।
আইসিসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাউদাম্পটনে রোববারের (গতকাল) ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে এক ওভার কম করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিয়ম অনুযায়ী, এক ওভার কম করার জন্য ম্যাচ ফির পাঁচ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। সেই নিয়মেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে প্রোটিয়াদের। ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ফলে আলাদা কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে ৪১৪ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ৩৪২ রানের এই পরাজয় আবার ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রানের ব্যবধানে হারের রেকর্ড।
তবে প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজে আগেই নিশ্চিত করেছিল বাভুমার দল। ২৭ বছর পর ইংল্যান্ডের মাঠে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয় পেয়েছে তারা। শেষ ম্যাচের ভরাডুবি সেই আনন্দে কিছুটা তিক্ততাও যোগ করেছে।
পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা হয়েছে আজ। আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান সফর করবে লঙ্কানরা। ১১ নভেম্বর থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে এই সিরিজ।
প্রায় ছয় বছর পর পাকিস্তানে আবারও ওয়ানডে খেলবে লঙ্কানরা। সবশেষ ২০১৯ সালে তিন ওয়ানডে খেলতে এসেছিল তারা, সেবার ২–০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল স্বাগতিকেরা।
নভেম্বরের ওয়ানডে সিরিজের পরই শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে নিয়ে পাকিস্তান আয়োজন করবে নিজেদের মাঠে প্রথমবার টি–টোয়েন্টি ট্রাই-সিরিজ। সব ম্যাচই হবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এর আগে অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তান সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে তারা। নিজেদের মাঠে একের পর এক সিরিজে ব্যস্ত সময় কাটাবে বাবর-সালমানদের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গতকাল আফগানিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। এবার এশিয়া কাপ খেলতে নামছে তারা। তারপর ঘরোয়া মৌসুমে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজগুলো পাকিস্তান দলকে দেবে ২০২৬ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ।
পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজ সূচি
১১ নভেম্বর – প্রথম ওয়ানডে, রাওয়ালপিন্ডি
১৩ নভেম্বর – দ্বিতীয় ওয়ানডে, রাওয়ালপিন্ডি
১৫ নভেম্বর – তৃতীয় ওয়ানডে, রাওয়ালপিন্ডি
শুধুমাত্র সিলেট থেকে সরে এসে ভেন্যু বাড়িয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ, এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজনের ঘোষণা আগেই দিয়েছে বিসিবি। এবার তারা জানিয়েছে নতুন খবর।
ক্ষুদে ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে প্রতি ম্যাচে ২০০ থেকে ৩০০ ফ্রি টিকেটের ব্যবস্থা করবে বিসিবি। এনসিএল টি-টোয়েন্টি লঞ্চিং অনুষ্ঠানে এই খবর জানিয়েছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আকরাম খান।
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সোমবার বিকেলে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টি ২০২৫-২৬র যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
এছাড়া টুর্নামেন্টের আট দলের অধিনায়ক বা প্রতিনিধিরাও ছিলেন এই আয়োজনে। প্রায় তিন সপ্তাহের এই টুর্নামেন্টের প্রথম দিকের খেলাগুলো হবে রাজশাহী ও বগুড়ার মাঠে। পরের অংশ খেলতে সিলেটে চলে যাবে সব দল।
টুর্নামেন্টের লঞ্চিং অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন আকরাম।
“আশা করছি বগুড়া ও রাজশাহীতে অনেক দর্শক আসবে। কারণ আমি জানি, আমাদের এই বড় বড় নামকড়া ক্রিকেটারদের খেলা দেখবে বাচ্চারা এবং সেখান থেকে উৎসাহিত হবে। আর এতে করে আমরাও অনেক ক্রিকেটার পাবো।”
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাইজুল ইসলাম (রাজশাহী), সোহাগ গাজী (বরিশাল), মোহাম্মদ নাঈম শেখ (ঢাকা মেট্রো), মাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া (ঢাকা), হাসান মাহমুদ (চট্টগ্রাম), মোহাম্মদ মিঠুন (খুলনা), জাকির হাসান (সিলেট) ও আকবর আলি (ঢাকা মেট্রো)।
আকরাম জানান, ক্রিকেটারদের অনুরোধেই বাচ্চাদের ফ্রিতে টিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
“আমাদের ক্রিকেটাররা অনুরোধ করেছে, ওখানকার একাডেমিগুলোর বাচ্চাদের ফ্রিতে খেলা দেখার ব্যবস্থা করে দিতে। যাতে ওরা যেন মাঠে এসে বিনা পয়সায় খেলা দেখতে পারে।”
“আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খেলা কথা বলেছি এবং তিনি গতকাল বলেছেন প্রতি ম্যাচে ২০০-৩০০ টিকেট ফ্রি করে দিচ্ছি যেন ওরা মাঠে এসে খেলাটা দেখতে পারে।”
আগস্টে মাত্র একটি টেস্টই খেলেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। তবে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির শেষ ম্যাচটিতে ভারতের জয়ের নায়ক ছিলেন এই পেসারই। ওভাল টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুফল পেলেন সিরাজ। আইসিসির ‘প্লেয়ার অব দ্য মন্থ’ হওয়ার দৌড়ে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন এ ভারতীয় পেসার। তিনজনের তালিকায় বাকি দুজনও ফাস্ট বোলার, নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাচ হেনরি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জায়ডেন সিলস।
ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-২ ব্যবধানে সিরিজ সমতায় শেষ করে ভারত। অতিথিদের বোলিং আক্রমণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সিরাজ। শেষ ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৬ ওভারেরও বেশি বল করে নেন ৯ উইকেট, বোলিং গড় ২১.১১। ভারতের সেরা বোলার জাসপ্রিত বুমরাহর অভাব টেরই পেতে দেননি সিরাজ। শেষ টেস্টে ভারতের ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে আগুনঝরা বোলিংয়ে ১৬ উইকেট শিকার করেন কিউই পেসার হেনরি, বোলিং গড় ছিল ৯.১২। প্রতিপক্ষের মাঠে নিউজিল্যান্ডের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে সিরিজসেরা হন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বল হাতে দারুণ অবদান রাখেন সিলস। তিন ম্যাচের সিরিজে ৪.১০ ইকনোমিতে নেন ১০ উইকেট। সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন, যা ওয়ানেডেতে ক্যারিবিয়দের হয়ে তৃতীয়সেরা বোলিং ফিগার।