সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নূন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ দল বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় চারদিনেই। দুই ইনিংসেই ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল হকের ফিফটি ছাড়া পুরো ম্যাচেই একের পর এক বাজে শট খেলে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। কিছু আউট ছিল ব্যাখাতীতও। এমন পারফরম্যান্সে বিরক্ত বিসিবি সভাপতি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। বললেন, টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি কোনো নিবেদনই দেখা যায়নি ব্যাটারদের মধ্যে।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। শীর্ষ চার ব্যাটারদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় করেন সর্বোচ্চ ১২। পরের দিকের ব্যাটাররাও হন ব্যর্থ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ৪৭ রানে টেনেটুনে ১৮৮ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই একই চিত্র। স্রেফ ৩৭ রানেই সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটার। দুই ইনিংসে দেখা গেছে এমন কিছু উইকেট, যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ছিল দৃষ্টিকটু। সেই দলে আছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন দাসও।
আরও পড়ুন: সব ফরম্যাট থেকে লিটনকে বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে পাপন
যে উইকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা অনায়াসে রান করেছেন, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন পারফরম্যান্স বলে দেয়, উইকেটে টিকে থাকার যথেষ্ট একাগ্রতা ছিল না তাদের মাঝে। মিরপুরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় সিলেট টেস্ট নিয়ে নিজের হতাশার কথা শোনান পাপন। “সবার কাছে যেমন লেগেছে, আমার কাছেও তাই। এটা ভালো লাগার কারণ নাই। প্রথম কথা হচ্ছে হার-জিত নিয়ে আমি অতোটা চিন্তিত না। কী হয়েছে এটা গুরুত্বপূর্ণও না। এটা যে একেবারেই ধারণার বাইরে ছিল, তা না। সমস্যা হচ্ছে যেভাবে তারা খেলেছে, তাদের যে মাইন্ডসেট, শট সিলেকশট, এটা জঘন্য। মনে হয়েছে হয় তারা এই ফরম্যাটে খেলতে চায় না, অথবা অন্য কোনো সমস্যা। এটা নিয়ে আমরা হতাশ। এই ধরণের মাইন্ডসেট, এই ধরণের শট সিলেকশট টেস্ট ক্রিকেটে যায় না, ওরা কেউ তো বাচ্চা ছেলে না।”
টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ বেলায় বাংলাদেশ নেমেছিল ৫১৪ রানের টার্গেটে। দিনের বাকিটা কাটিয়ে দেওয়াটাই যেখানে হওয়া ছিল একমাত্র লক্ষ্য, সেখানে ব্যাটাররা অস্থিরতায় ভুগে যোগ দেন যাওয়া-আসার মিছিলে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন অহেতুক অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে। আর প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস।
এরপরও বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮২ করতে পারে কেবল মুমিনুল হকের কল্যাণে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানে। তার ইনিংসই প্রমাণ করে, চেষ্টা করলেই ভালো কিছু করা সম্ভব ছিল অন্যদের পক্ষেও। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩২৮ রানে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে