১ জানুয়ারি ২০২৪, ৪:৫৬ পিএম
গ্রীষ্মের দলবদল থেকেই চলছে ফ্রেঙ্কি ডি জংয়ের বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জন। তাকে নিজেদের শিবিরে ভেড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ডাচ মিডফিল্ডার অবশ্য শুরু থেকে ক্লাব ছাড়ার বিরোধী। জানুয়ারির দলবদলের শুরুতেই ফের জানিয়ে দিলেন, বার্সেলোনাই তার স্বপ্নের ক্লাব এবং এখানেই তিনি থাকতে চান।
২০২২ সালে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন সাবেক আয়াক্স কোচ এরিক টেন হাগ। তার অধীনে একসময় ক্লাবটিতে খেলেছিলেন ডি জং। ২০২৬ সাল পর্যন্ত লা লিগা চ্যাম্পিয়নসের সাথে চুক্তিবদ্ধ আছেন তিনি। তবে পুরনো শিষ্যকে বর্তমান ক্লাবে আনার জন্য শুরু থেকেই চেষ্টা করছেন টেন হাগ।
আরও পড়ুন: ধার করা দুই পর্তুগিজই মান বাঁচাল বার্সেলোনার
নিজের অবস্থানে অবশ্য অটল ডি জং। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, বার্সেলোনার হয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতাই তার একমাত্র লক্ষ্য। ‘আমি সবসময় যেখানে থাকতে চেয়েছি, যেখানে খেলার স্বপ্ন ছিল, আমি সেখানেই আছি। আমি যে শিরোপাগুলো জিততে চেয়েছি, এখন পর্যন্ত তা জিততে পারিনি। আমার এখনও উন্নতির জায়গা আছে এবং আমার হাতে এখনও সময় আছে। তবে আমি যত দ্রুত সম্ভব সেই জায়গায় যেতে চাই।’
এখন না হলেও ভবিষ্যতে ইউনাইটেডে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়েও দেননি ডি জং। ইংল্যান্ডের ক্লাবটিতে যোগ দিতে পারেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘সম্ভবত পারি। তবে আমি বার্সেলোনায় খুব ভালো আছি। এটা সবসময়ই বলা কঠিন। আপাতত আমি এখানে ভালো অনুভব করছি।”
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৮:২৬ পিএম
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২৩ পিএম
ফ্রান্স ও ইসরায়েল ম্যাচে যে গ্যালারিতে বিপজ্জনক হতে পারে, তার আভাস ছিল আগেই। সেটা রুখে দিতে তাই স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। তবে ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসনের কারণে ইসরায়েলের প্রতি ক্ষুব্ধ ফরাসি সমর্থকরা প্রতিপক্ষকে ছাড় দেননি মোটেই। দেশটির জাতীয় সঙ্গীতে দুয়ো দেওয়াতেই থেমে না থেকে তারা হাতাহাতি-মারামারিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন ইসরায়েলের সমর্থকদের সাথে।
আমস্টারডামে গত সপ্তাহে ম্যাকাবি তেল আবিবের সাথে ডাচ সমর্থকদের তীব্র হাতাহাতি হয়েছিল। তেমন কিছু যাতে না হয়, সেজন্য গত বৃহস্পতিবার স্টাড ডি ফ্রান্সে ইউয়েফা নেশন্স লিগের ফ্রান্স ও ইসরায়েলের ম্যাচে ৪ হাজার ফরাসি নিরাপত্তা কর্মী স্টেডিয়াম, এর আশেপাশে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মোতায়েন করা হয়েছিল।
নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৬ হাজার ৬১১ জন। ১৯৯৮ সালের পর এই স্টেডিয়ামে যা সর্বনিম্ন উপস্থিতির রেকর্ড।
ম্যাচ শুরুর আগে ইসরায়েলি জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় কিছু দুয়ো শোনা যায়, যা তখন লাউড স্পীকারে চালু ছিল। এর প্রতিবাদে ইসরায়েলি ভক্তরা হলুদ বেলুন নাড়তে শুরু করে এবং হামাসের হাতে তাদের দেশের বন্দীদের মুক্তি চেয়ে ‘জিম্মিদের মুক্ত করুন’ স্লোগান দেওয়া শুরু করে।
আর ম্যাচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইসরায়েলের সমর্থকদের গ্যালারিতে কয়েক মিনিট ধরে হাতাহাতি হয়েছিল। সেই সময়ে দুই দলের সমর্থকদের দৌড়াতে ও একে অন্যকে ঘুষি মারতে দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে তা থামায়।
ম্যাচ শুরুর আগেও চিত্রটা ভিন্ন ছিল না। প্যারিসের সেন্ট-ডেনিস জেলার একটি স্কোয়ারে কয়েকশ ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভকারী জড়ো হন। সেই সময়ে তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়েছিলেন। তাদের সাথে লেবানিজ এবং আলজেরিয়ান সমর্থকরাও এই ম্যাচের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকেন। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে দুটি বড় ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
এই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে কিছু ইসরায়েল ভক্ত ইসরায়েলি এবং ফরাসি উভয় রঙ মিশ্রিত পোশাক পরেছিলেন। দুজনের পরনে ছিল ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিবের লোগো সম্বলিত একটি টি-শার্ট। পিছনে লিখা ছিল ‘নি ওবলি নি সরি’ (কখনও ক্ষমা করবেন না)। আর একজন প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন, যেখানে লিখা ছিল ‘জাহান্নামে যাও হামাস।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় যুদ্ধের কারণে ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
পেশাদার ফুটবলে পা রাখার পর থেকে নিজেকে কেবলই নিয়ে গেছেন নতুন নতুন উচ্চতায়। কিলিয়ান এমবাপের জন্য তাই ক্যারিয়ারের এই সময়টা ভীষণ কঠিন। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে সময়টা খুব ভালো কাটছে না। ফিট থেকেও টানা দুই দফায় আছেন জাতীয় দলের বাইরে। ফরাসি তারকার বিষয়টি কিছুটা হলেও ধরতে পারছেন দিদিয়ে দেশম। ফ্রান্স কোচের মতে, শারীরিক ও মানসিক দুই সমস্যাতেই ভুগছেন রিয়াল তারকা।
গত মাসে চোটে থাকা অবস্থায় ফ্রান্সের ম্যাচের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন এমবাপে। এরপর সুস্থ হয়ে খেলেন রিয়ালের দুটি ম্যাচ। তাতে দেশের মাটিতে পড়েন তীব্র সমালোচনার মুখে। আর এবারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে তিনি খেলতে চাইলেও দেশম রাখেননি স্কোয়াডে। এই ঘটনা এমন এক সময়ে, যেখানে এল ক্লাসিকোতে বাজে পারফরম্যান্স সহ গোলখরা নিয়ে ভীষণ চাপের মুখেই আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
আরও একবার ফ্রান্স দলের বাইরে এমবাপে, কোচের সাথে দ্বন্দের আভাস? |
ইসরায়েলের সাথে ইউয়েফা নেশন্স লিগের গোলশূন্য ড্রয়ের পর এমবাপের থাকা প্রসঙ্গে দেশম বলেন, সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার। “তিনি এখানে থাকতে চেয়েছিলেন। আমি মনে করি এই মুহুর্তে তার জন্য (ফ্রান্স দলে) না থাকাটাই শ্রেয়। সবাইকেই একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখানে শারীরিক ও মানদিক দুটি দিকই আছে।”
চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সেভাবে আলো ছড়াতে পারছেন না এমবাপে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে নিজের সবশেষ সাত ম্যাচে মাত্র একটি গোল করেছেন সাবেক পিএসজি তারকা। আর জাতীয় দলের হয়ে গত জুন মাসের পর পাননি জালের দেখা।
আরও পড়ুন
নৈশক্লাবে এমবাপে কী করছেন, তা নিয়ে চিন্তা নেই ফ্রান্স কোচের |
দেশম আশাবাদী, শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এমবাপে।
“এটা সত্যি যে সে এখন একটা কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, তিনি এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় নয়।”
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
২০ দিন আগে