ফলাফল
বার্সেলোনা ২-১ পর্তো
ম্যচের তখন ৫৬ মিনিট। জোয়াও কানসেলোর পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিলেন জোয়াও ফেলিক্স। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে থেকে ধারাভাষ্যক বলে উঠলেন “ হয়তো বার্সেলোনার এই মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটাই করে ফেললেন ফেলিক্স।” এই কথা বলার একটাই কারণ, আগের দুই মৌসুমেই বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। আজ হারলে সেই শঙ্কা অনেকটাই জেঁকে বসতো। তবে দুই পর্তুগিজের যুগলবন্দীতে তা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্সা। সেই সাথে গ্রুফ ‘এইচ’ এ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার জাভির দল।
দুই দলের শেষ দেখায় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনাই। নিজেদের ঘরের মাঠে বার্সার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগালের ক্লাবটির। তাই এই ম্যাচটা অনেকটা প্রতিশোধেরও ছিল তাদের জন্য। সেই লক্ষ্যে শুরুটা খারাপ করেনি তারা। ম্যাচের ত্রিশ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান উইংগার পেপের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল সফরকারীরা।
তবে তাদের সেই এগিয়ে থাকা বেশিক্ষণের জন্য স্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে বার্সাকে সমতায় ফেরান এই মৌসুম ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ধারে খেলতে আসা ফুলব্যাক জোয়াও কানসেলো। অনেকটা একেক নৈপূর্ণে বার্সাকে সমতায় ফেরান কানসেলো। বাঁ প্রান্ত থেকে পেদ্রির বাড়ানো বল থেকে পর্তোর কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক শটে গোল করেন কানসেলো। তার এমন গোল দেখার পর বোঝার উপায় ছিল না তিনি যে একজন ডিফেন্ডার। এতটা নিখুঁত ফিনিশিংয় দেখে জাভিও বেশ উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ১০০ তম ম্যাচে ১০০তে 'ম্যাক্সওয়েল ম্যাজিক'
প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি কেউ। তবে বিরতি থেকে ফিরে বার্সেলোনার আক্রমণে বাড়ে গতি। দুই মিনিটের মাথায়ই ফেলিক্সের জোরালো শট আটকে যায় গোল পোস্টে। তবে ৫৭ মিনিটে আর পোস্ট বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি ফেলিক্সের জন্য। এখানেও অবশ্য জড়িয়ে আছে কানসেলোর নাম। বামপ্রান্ত দিয়ে আবারো ঢুকে পড়েন তিনি। নিখুঁত এক পাসে খুঁজে নেন স্বদেশী ফেলিক্সকে। বল পেয়ে দেরি করেননি ফেলিক্স। আড়াআড়ি শটে খুঁজে নেন জাল। সেই সাথে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা। আরও একটা ধারাও তারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে। পর্তুগাল ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ঘরের মাঠে টানা ৭ ম্যাচ না হারার রেকর্ডটা আটে নিয়ে গেছে বার্সা।
আরও পড়ুনঃ আক্ষেপ থাকলেও স্পিনারদের ওপর ভরসা রাখতে চান জয়
এই জয়ে বার্সার শেষ ১৬ যাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। আন্টোয়ার্পের বিপক্ষে তাই পরের ম্যাচ নির্ভার হয়েই খেলতে নামবে তারা। তবে গ্রুপ এইচে দ্বিতীয় হওয়ার লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে। ৫ ম্যাচ শেষে পর্তো ও শাখতার দোনেৎস্কের পয়েন্ট সমান। শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। যারাই জিতবে তারাই বার্সার সঙ্গে যোগ দিবে শেষ ১৬ তে।
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৮:২৬ পিএম
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৬:২৩ পিএম
ফ্রান্স ও ইসরায়েল ম্যাচে যে গ্যালারিতে বিপজ্জনক হতে পারে, তার আভাস ছিল আগেই। সেটা রুখে দিতে তাই স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। তবে ফিলিস্তিনের ওপর আগ্রাসনের কারণে ইসরায়েলের প্রতি ক্ষুব্ধ ফরাসি সমর্থকরা প্রতিপক্ষকে ছাড় দেননি মোটেই। দেশটির জাতীয় সঙ্গীতে দুয়ো দেওয়াতেই থেমে না থেকে তারা হাতাহাতি-মারামারিতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন ইসরায়েলের সমর্থকদের সাথে।
আমস্টারডামে গত সপ্তাহে ম্যাকাবি তেল আবিবের সাথে ডাচ সমর্থকদের তীব্র হাতাহাতি হয়েছিল। তেমন কিছু যাতে না হয়, সেজন্য গত বৃহস্পতিবার স্টাড ডি ফ্রান্সে ইউয়েফা নেশন্স লিগের ফ্রান্স ও ইসরায়েলের ম্যাচে ৪ হাজার ফরাসি নিরাপত্তা কর্মী স্টেডিয়াম, এর আশেপাশে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মোতায়েন করা হয়েছিল।
নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে ৮০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১৬ হাজার ৬১১ জন। ১৯৯৮ সালের পর এই স্টেডিয়ামে যা সর্বনিম্ন উপস্থিতির রেকর্ড।
ম্যাচ শুরুর আগে ইসরায়েলি জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় কিছু দুয়ো শোনা যায়, যা তখন লাউড স্পীকারে চালু ছিল। এর প্রতিবাদে ইসরায়েলি ভক্তরা হলুদ বেলুন নাড়তে শুরু করে এবং হামাসের হাতে তাদের দেশের বন্দীদের মুক্তি চেয়ে ‘জিম্মিদের মুক্ত করুন’ স্লোগান দেওয়া শুরু করে।
আর ম্যাচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে ইসরায়েলের সমর্থকদের গ্যালারিতে কয়েক মিনিট ধরে হাতাহাতি হয়েছিল। সেই সময়ে দুই দলের সমর্থকদের দৌড়াতে ও একে অন্যকে ঘুষি মারতে দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে তা থামায়।
ম্যাচ শুরুর আগেও চিত্রটা ভিন্ন ছিল না। প্যারিসের সেন্ট-ডেনিস জেলার একটি স্কোয়ারে কয়েকশ ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভকারী জড়ো হন। সেই সময়ে তারা ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়েছিলেন। তাদের সাথে লেবানিজ এবং আলজেরিয়ান সমর্থকরাও এই ম্যাচের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকেন। ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে দুটি বড় ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করা হয়।
এই ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে কিছু ইসরায়েল ভক্ত ইসরায়েলি এবং ফরাসি উভয় রঙ মিশ্রিত পোশাক পরেছিলেন। দুজনের পরনে ছিল ইসরায়েলি ক্লাব ম্যাকাবি তেল আবিবের লোগো সম্বলিত একটি টি-শার্ট। পিছনে লিখা ছিল ‘নি ওবলি নি সরি’ (কখনও ক্ষমা করবেন না)। আর একজন প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন, যেখানে লিখা ছিল ‘জাহান্নামে যাও হামাস।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় যুদ্ধের কারণে ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং অসহিষ্ণুতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
পেশাদার ফুটবলে পা রাখার পর থেকে নিজেকে কেবলই নিয়ে গেছেন নতুন নতুন উচ্চতায়। কিলিয়ান এমবাপের জন্য তাই ক্যারিয়ারের এই সময়টা ভীষণ কঠিন। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকে সময়টা খুব ভালো কাটছে না। ফিট থেকেও টানা দুই দফায় আছেন জাতীয় দলের বাইরে। ফরাসি তারকার বিষয়টি কিছুটা হলেও ধরতে পারছেন দিদিয়ে দেশম। ফ্রান্স কোচের মতে, শারীরিক ও মানসিক দুই সমস্যাতেই ভুগছেন রিয়াল তারকা।
গত মাসে চোটে থাকা অবস্থায় ফ্রান্সের ম্যাচের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন এমবাপে। এরপর সুস্থ হয়ে খেলেন রিয়ালের দুটি ম্যাচ। তাতে দেশের মাটিতে পড়েন তীব্র সমালোচনার মুখে। আর এবারের আন্তর্জাতিক বিরতিতে তিনি খেলতে চাইলেও দেশম রাখেননি স্কোয়াডে। এই ঘটনা এমন এক সময়ে, যেখানে এল ক্লাসিকোতে বাজে পারফরম্যান্স সহ গোলখরা নিয়ে ভীষণ চাপের মুখেই আছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
আরও একবার ফ্রান্স দলের বাইরে এমবাপে, কোচের সাথে দ্বন্দের আভাস? |
ইসরায়েলের সাথে ইউয়েফা নেশন্স লিগের গোলশূন্য ড্রয়ের পর এমবাপের থাকা প্রসঙ্গে দেশম বলেন, সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার। “তিনি এখানে থাকতে চেয়েছিলেন। আমি মনে করি এই মুহুর্তে তার জন্য (ফ্রান্স দলে) না থাকাটাই শ্রেয়। সবাইকেই একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখানে শারীরিক ও মানদিক দুটি দিকই আছে।”
চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সেভাবে আলো ছড়াতে পারছেন না এমবাপে। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে নিজের সবশেষ সাত ম্যাচে মাত্র একটি গোল করেছেন সাবেক পিএসজি তারকা। আর জাতীয় দলের হয়ে গত জুন মাসের পর পাননি জালের দেখা।
আরও পড়ুন
নৈশক্লাবে এমবাপে কী করছেন, তা নিয়ে চিন্তা নেই ফ্রান্স কোচের |
দেশম আশাবাদী, শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এমবাপে।
“এটা সত্যি যে সে এখন একটা কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, তিনি এমন একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় নয়।”
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
২০ দিন আগে