অনেক চোখ রাঙানির পর আফগানদের শেষমেশ ফিরতে হলো খালি হাতেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা হারার সাথে সাথেই চূড়ান্ত হয়ে গেল সুপার ফোরের দল। অনুমিতভাবেই আপসেট ছাড়া এশিয়ার সেরা চারটা দলই পেল সুপার ফোরের আরাধ্য টিকেট।
বুধবার লাহোরে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সুপার ফোরের লড়াই। এশিয়া কাপের হোস্ট পাকিস্তানে এটাই শেষ ম্যাচ। দিবারাত্রির ম্যাচ খেলেই বাংলাদেশকে ধরতে হবে শ্রীলঙ্কার ফ্লাইট। শনিবারেই আবার আছে আরেক হোস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ। গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তানের হাই ভোল্টেইজ ম্যাচটা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সুপার ফোরে আরও একবার মিলবে সেই মহারণের স্বাদ্গ্রহণের সুযোগ। ১০ই সেপ্টেম্বার দিবারাত্রির ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভিরাট-বাবররা।
একদিন বাদেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ভারত। ১৪ তারিখ পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা আর সুপার ফোরের সবশেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
আরও পড়ুন: সাকিব-শরিফুল জুটিতে দিশেহারা নিউজিল্যান্ড
গ্রুপ স্টেইজে শ্রীলঙ্কায় সবগুলো ম্যাচ হয়েছে পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে। সুপার ফোরের ম্যাচগুলো হবার কথা কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। তবে বৃষ্টির আশঙ্কায় গুঞ্জণ ওঠে বিকল্প ভেন্যু হতে পারে হাম্বানটোটা বা ডাম্বুল্লা। এরই মধ্যে পিসিবি আবার দাবি জানায় তাদের দেশে যেন হয় সুপার ফোর আর ফাইনাল।
তবে হোটেল সুবিধা আর সম্প্রচারের অপ্রতুলতায় শেষমেশ আর বদলাচ্ছে না ভেন্যু। দড়ি টানাটানি শেষে ঐতিহ্যবাহী প্রেমাদাসাই হবে ফাইনালসহ বাকী ম্যাচগুলোর ভেন্যু। তা হোক বৃষ্টি-বাদল কিংবা সাপের আনাগোনা। তবে ভারত-পাকিস্তান আর ফাইনালের জন্যে থাকছে রিজার্ভ ডে-র সুযোগ।
১৭ই সেপ্টেম্বার পর্দা নামবে এশিয়া কাপের। তিন তিনবার ফাইনাল খেলা টাইগারদের অবশেষে শিরোপার স্বাদ মিলবে কিনা সেটা হয়তো জানা যাবে সেদিনই।
২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪৭ পিএম
২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এম
টপ অর্ডারের ব্যাটাররা হলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া সৈনিক মাহমুদউল্লাহ আরও একবার লড়ে গেলেন দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। রিশাদ হোসেন তুললেন শেষের ঝড়। রান তাড়ায় ওপেন করতে নামা নাইম শেখ লড়লেন শেষ পর্যন্ত। তবে শুরুর দিকে তার ডিফেন্ডিং ব্যাটিংই কাল হলো খুলনা টাইগার্সের। ফরচুন বরিশাল পেল দারুণ এক জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩০তম ম্যাচে বরিশাল পেয়েছে ৭ রানের জয়। ৯ উইকেটে তামিম ইকবালের দল করেছিল ১৬৭ রান। আশা জাগিয়েও খুলনার ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ১৬০ রানে।
ব্যাট হাতে বরিশালের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নময়। একাদশে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা খুলনার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ নিজেই ওপেন করেন। আর কী একটা ওভারই না করেছেন জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দেন তামিম ইকবালকে। দারুণ এক টার্নিং ডেলিভারিতে এরপর দাভিদ মালানকেও গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে বোল্ড করেন মিরাজ।
চার মেরে রানের খাতা খোলা মুশফিকুর রহিম খানিক বাদেই হন রান আউট। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপের মুখে পড়ে যাওয়া বরিশালের রানের গতি এরপর বেশ কমে যায় স্বাভাবিকভাবেই। অষ্টম ওভারে গিয়ে ইনিংসের প্রথম ছয়ের আর আসে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে।
এরপর জিয়াউর রহমানকেও ছক্কায় উড়িয়ে হাসি ফোটান বরিশাল সমর্থকদের মুখে। তবে সেটা বেশিক্ষণ টেকেনি আর। ফিরতি স্পেলে এসে তাওহীদের ৩৬ রানের ইনিংসের ইতি টানেন মিরাজ। পরের ওভারে ফের উইকেট। এক রানেই থামেন মোহাম্মদ নবি।
সেখান থেকে বরিশালের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রাথমিক কাজটা করেন মাহমুদউল্লাহ। আর লড়াকু স্কোর এনে দেওয়ার দায়িত্বটা সামলান রিশাদ। তরুণ এই লেগ স্পিনার জিয়াউরকে হাঁকান হ্যাটট্রিক বাউন্ডারি। চাপের মুখে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ ৩ চার ও ২ ছক্কায় আউট হন ঠিক ৫০ রানে।
বিশাল সব ছক্কার সমাহার ঘটানো রিশাদও চলে গিয়েছিলেন ফিফটির খুব কাছে। সেটা শেষ পর্যন্ত না পারলেও খেলেন মাত্র ১৯ বলে ৩৯ রানের খুনে ইনিংস, যা নিশ্চিত করে দেয় বরিশালের দেড়শ রানের স্কোর। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে খুলনার সেরা বোলার ছিলেন মিরাজ।
ব্যাট হাতে খুলনাও পায়নি আদর্শ সূচনা। শূন্য রানে ইমরুল কায়েসকে সাজঘরের পথ দেখান জাহানদাদ খান। এরপর সেই নাইম ও মিরাজের সেই জুটি, যা আদতে দলকে ফেলে দেয় আরও অস্বস্তিদায়ক অবস্থানে। মাঝেমধ্যে কিছু বড় শট খেললেও উভয়ই রান করেন বেশ ধীরলয়ে।
ফলে প্রায় একশ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ে এই জুটি ৫৯ রান যোগ করলেও তা চাপ বাড়িয় দেয় বেশ। ১০ ওভার শেষে খুলনার বোর্ডে জমা জয় কেবল ৬৪ রান। মোহাম্মদ নবির প্রথম শিকার হয়ে মিরাজ যখন ফেরেন ৩৩ রানে, তখন নাইমের নামের পাশে রান ৩২ বলে ২৮, এক পর্যায়ে যা দাঁড়ায় ৪৪ বলে স্রেফ ৩৫ রানে!
ফলে ক্রিজে গিয়ে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের চাপটা নিতে হয় আফিফ হোসেনকে। রিপন মন্ডলকে চার ও ছক্কা মারা নাইম ৪৯ বলে পূরণ করেন ফিফটি। আফিফ ২৭ রানে বিদায় নেওয়ার পর অবশ্য কয়েকটি বড় শট খেলে খুলনা শিবিরে জয়ের আশার সঞ্চার করেন নাইমই।
৬ বলে ২৫ প্রয়োজন, এমন সমীকরণে টানা দুই ছক্কায় অসম্ভবকে সম্ভব করার দিকে এগিয়ে গেলেও পারেননি আর। ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংসটি তাই খুলনাকে উপহার দেয় একরাশ আক্ষেপের। বরিশালের সেরা বোলার জাহানদান ২০ রানে শিকার করেন ২ উইকেট।
পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতের অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকে বাতাসে ভাসছে নানা গুঞ্জন। এর মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হল নিজেদের জার্সিতে স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানের নাম না রাখার প্রস্তাব। তবে সেসব উড়িয়েই দিয়েছেন বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সেক্রেটারি দেবজিৎ সাইকিয়া। তার দাবি, আইসিসির অনুমোদিত অফিসিয়াল লোগো গায়েই টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন রোহিত-কোহলিরা।
অনেক জলঘোলা করেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার অন্য ভারতকে নিতে ব্যর্থ হওয়া পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে হয়েছে হাইব্রিড মডেল। যেখানে, ভারতের গ্রুপ পর্বের ও নকআউট পর্বের সব ম্যাচ হবে দুবাইতে। ভারত ফাইনালে গেলে এমনকি সেটাও মাঠে গড়াবে দুবাইতেই। এর মাঝেই জোড়াল হয় গুঞ্জন, জার্সিতে পাকিস্তানের নাম রাখতে আপত্তির কথা নাকি আইসিসিকে জানিয়েছে বিসিসিআই।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারত দলের জার্সি এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লোগো নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করেছেন দেবজিৎ সাইকিয়া বলেন। “আইসিসির নির্দেশিকা যাই হোক না কেন, আমরা সেটাই অনুসরণ করব। জার্সির ক্ষেত্রে আমরা আইসিসির নির্দেশনা অনুসরণ করব।”
আরও পড়ুন
তানজিদের বিধ্বংসী ফিফটিতে ঢাকার তৃতীয় জয় |
সাধারণত, অংশগ্রহণকারী দলগুলো সব বৈশ্বিক ইভেন্টে আইসিসির নির্দেশিকা অনুসরণ করে থাকে। মূল জার্সির পাশাপাশি অনুশীলনের কিটও অনুমোদনের জন্য আইসিসি-তে পাঠাতে বাধ্য থাকে দলগুলো।
লোগোর পাশাপাশি আরেকটি আলোচিত বিষয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা পাকিস্তানে যাবেন কিনা, সেটা। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির সেই অনুষ্ঠানে তার যাওয়া বা না যাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি বিসিসিআই। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের পর দ্বিপাক্ষিক বা কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে যায়নি ভারত।
ওপেনার দুজনই পেলেন ভালো শুরু, তবে কেউই পারলেন না দ্রুত রান তোলার কাজটা করতে। চিটাগং কিংসের পরের ব্যাটাররাও পারলেন না পরিস্থিতির চাহিদা মিটিয়ে ব্যাটিং করতে। ফলে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বোর্ডে জমা পড়ল মামুলি স্কোর। রানটা যে একেবারেই যথেষ্ট, তা প্রমাণ করে দিলেন এক তানজিদ হাসান তামিমই। ঢাকা ক্যাপিটালসের এই তরুণ ওপেনার উপহার দিলেন আরও একটি দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যা তার দলকে এনে দিল আসরে তৃতীয় জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২৯ তম ম্যাচে ঢাকা পেয়েছে অনায়াস জয়। চিটাগংকে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানে আটকে দিয়ে থিসারা পেরেরার দল জয় তুলে নিয়েছে ১১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই।
আরও পড়ুন
জার্সিতে পাকিস্তানের নাম, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বিসিসিআই |
রান তাড়ায় ঢাকার শুরুটাই ছিল দুরন্ত। প্রথম কয়েক ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন দুই ওপেনারই। লিটন দাস কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও তানজিদ ছিলেন সেরা ছন্দেই। আসরে ঢাকার সেরা এই ব্যাটার শরিফুল ইসলামকে টানা দুই ছক্কায় উড়িয়ে আভাস দেন ভালো কিছুর।
প্রথম ছয় ওভারে ৫৭ রান করে ফেলে ঢাকা। তবে ডট বলের চাপে ক্রমেই চাপে পড়ে যাওয়া লিটন পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। হুসনাইন তালাতের বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে করতে পারেন মোটে ২৬ রান। তানজিদ মাত্র ২৮ বলে ছক্কা মেরে পা রাখেন ফিফটিতে।
তবে লিটনের মত তার সাথে তাল মেলাতে ব্যর্থ হন মুনিম শাহরিয়ারও। ওয়ানডে মেজাজে খেলা ইনিংসে আলিস আল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার অবদান ১৮ বলে মাত্র ১২।
তবে ঢাকাকে জেতানোর দায়িত্বটা একর কাঁধে নিয়ে নেওয়া তানজিদ দলকে কোনো বিপদেই পড়তে দেননি। চোখ ধাঁধানো সব শটের পসরা সাজিয়ে উপহার দেন আরও একটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
আরও পড়ুন
বরিশাল ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ আলিসের বোলিং অ্যাকশন |
তানজিদ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৯০ রানে। মাত্র ৫৪ বলের ইনিংস সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। এক ছক্কায় ১৪ রানের ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সাব্বির রহমানও।
ঢাকার এই সহজ জয়ের পটভূমি রচনা হয়ে গিয়েছিল অবশ্য ম্যাচের প্রথম ভাগেই ওপেনিং জুটিতে ৭.২ ওভারে মাত্র ৪০ রান করতে পারেন নাইম ইসলাম ও জুবাইদ আকবারি। আগের ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলা নাইম রানের দেখা পান এদিনও, তবে ধীরলয়ের ব্যাটিংয়ে পরের ব্যাটারদের চাপে ফেলে দেন। মোসাদ্দেকে হোসেনের বলে মুনিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ১১০ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান।
এরপর শামিম হোসেন, হায়দার আলিরাও পারেননি ঝড় তুলতে। ফলে প্রায় ১৫০ ছুঁইছুঁই একটা স্কোর গড়ে দলটি, যা মোটেও জয়ের মত রান ছিল না।
আরও একবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রশ্নবিদ্ধ হল আলিস আল ইসলামের বোলিং অ্যাকশন। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে চিটাগং কিংসের এই স্পিনারের অধিকাংশ ডেলিভারি সন্দেহজনক ছিল বলে রিপোর্ট দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি।
আর তাই বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে আলিসকে। বিপিএলের কারিগরি কমিটির মাধ্যমে জানা গেছে, মিরপুরে আগামী ২৫ জানুয়ারি হবে ডানহাতি এই স্পিনারের অ্যাকশন পরীক্ষা।
আলিসের জন্য এটি বড় এক ধাক্কাই, কারণ এই বিপিএলেই নিজের অভিষেক ম্যাচেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল তার বোলিং অ্যাকশন। ২০১৯ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলা সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন তিনি। কয়েক বছর বিরতির পর অ্যাকশন বদলে ফেরার পর অনেকটাই নিজেকে হারিয়ে ফেলেন।
তবে চলতি বিপিএলে আছেন দারুণ ছন্দেই। ৮ ম্যাচে শিকার করেছেন ১১ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন মাত্র ৬.৯০ রান। তবে বরিশালের বিপক্ষে যে ম্যাচে আম্পায়ারদের কাছে সন্দেহজনক লেগেছে তার বেশ কিছু ডেলিভারি, সেখানে খুব একটা ভালো করতে পারেননি৷ তিন ওভারে ২১ রান দেন, পাননি উইকেটের দেখা।
প্রথম ম্যাচে ১৯৮ রান করেও হারতে হয়েছিল বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে এরচেয়েও কম রান করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেয়েদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের আশা ছিল কমই। তবে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার আশা টিকিয়ে রাখার ম্যাচে বোলাররা মামুলি স্কোর নিয়েই জিতিয়ে দিয়েছেন। প্রথমবারের মত তাই জেগেছে বিদেশের মাটিতে সিরিজ জয়ের আশা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিশ্বাস, ইতিহাস গড়তে সক্ষম হবে তার দল।
প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় পরের দুটি ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য হয়ে গেছে ফাইনালের মতোই। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হলে দুটিতেই যে জেতার বিকল্প নেই৷ সেই লড়াইয়ে ব্যাট হাতে লড়ে যান কেবল নিগারই। তার ৬৮ রানের ইনিংস বাংলাদেশ পুঁজি পায় ১৮৪ রানের। তবে এই রান নিয়েই উজ্জীবিত পারফরম্যান্স উপহার দেন বোলাররা। ৩৫ ওভারে মাত্র ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত নিগার বললেন, ইতিহাস গড়েই বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণ মেলাবে তার, এই আশা এখন পুরো দলেরই। “সমীকরণের চিন্তা এখনও করছি না। কারণ, প্রথম ম্যাচে হারের একদিন পরই দল এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এটা অনেক কাজে দেবে। দুইটা পয়েন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।৷ তবে মোরাল ভিক্টোরির জন্যও এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই, পরবর্তী ম্যাচেও এটা আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। সিরিজ জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকবে। বিদেশে আমরা কখনও সিরিজ জিততে পারিনি, তাই এটা যদি অর্জন করতে পারি, তাহলে সেটা দলের জন্য একটা মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।”
আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছিল ৯ উইকেটে। ফলে, আরও কম রান কাজটা কঠিন করে দেয় বোলারদের জন্য। তবে তিন স্পিনার নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খাতুন মিলে ৭ উইকেট ভাগাভাগি করে প্রতিপক্ষের জন্য এই রানই করে তোলেন পাহাড়সম। পেসার মারুফা আক্তার শিকার করেন দুই উইকেট।
নিগার মনে করেন, বোর্ডে যথেষ্ট রান না থাকলেও দল নিজেদের সামর্থ্যে ভরসা রেখেছিল।
“প্রথমত আমি মনে করি দলের মাঝে বিশ্বাসটা অনেক ছিল, যদিও রান অনেক কম ছিল আমাদের। এই ধরনের উইকেটে ২০০ প্লাস না করলে বোলারদের জন্য কাজটা আসলে খুব কঠিন। আমি আগেই বলেছিলাম, আমরা সবাই যেন নিজেদের ওপর বিশ্বাসটা রাখি। কারণ, আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারি, তাহলে এটা সম্ভব হবে। সব কৃতিত্ব দলের। প্রতিটা বোলার ও ফিল্ডার যেভাবে ১১০ ভাগ উজাড় করে দিয়েছে, যে নিবেদন দেখিয়েছে তারা… সেটা দুর্দান্ত ছিল। সবার প্রচেষ্টা ছিল জয়ের।”
৫ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে