১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:৪৩ এম
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশ, পুরো পৃথিবী জুড়ে চলছে আন্তর্জাতিক ফুটবলের ব্যস্ততা।
দক্ষিণ আমেরিকা ব্যস্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে, ইউরোপে চলছে ইউরো বাছাইপর্ব, আর এশিয়াতে তোড়জোড়
বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর আগের প্রস্তুতি নিয়ে। উল্লেখযোগ্য ম্যাচগুলোর রেকর্ডগুলোতেই এক
নজর চোখ বুলিয়ে নেওয়া…
৭৯
বলিভিয়ার বিপক্ষে দুইবার জালে বল জড়ানোর পর নেইমারের আন্তজার্তিক গোল সংখ্যা। কাতার
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সবশেষ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করেছিলেন নেইমার। ওই গোলে
ছুঁয়েছিলেন কিংবদন্তী পেলেকে। ডিসেম্বরে পেলেকে হারিয়ছে পৃথিবী, এরও সাত মাস পর নেইমার
ছাড়িয়ে গেলেন ফুটবলের রাজাকে। ৯১ ম্যাচে পেলের
গোল ছিল ৭৭, আর নেইমার ৭৯ গোল করলেন ব্রাজিলের হয়ে নিজের ১২৫ তম ম্যাচে।
আরও পড়ুন: জিদানের কাছে মেসি মানে 'ম্যাজিক'
২৯
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন
লিওনেল মেসি। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজের ৬১ তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, করেছেন গোলও। সবার ওপরে এতোদিন একাই রাজ করছিলেন উরুগুয়ের লুইস
সুয়ারেজ। ৫৮ ম্যাচে সুয়ারেজের গোলও ২৯।
৬৫
মেসির ফ্রি কিক গোল সংখ্যা। ফ্রি কিক থেকে সবচেয়ে বেশি গোল করাদের তালিকায় ডেভিড বেকহ্যামকে
ছুঁয়েছেন মেসি। আর গোল করলেই ছুঁয়ে ফেলবেন ওপরে থাকা রোনালদিনিয়োকে।
১৬
১৬ বছর ৫৭ দিন বয়সে স্পেনের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন লামিন ইয়ামাল।
বনে গেছেন স্পেনের ইতিহাসের সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার। ম্যাচটা আরও বেশি রাঙিয়েছেন গোল করে।
৭৪ মিনিটে জর্জিয়ার বিপক্ষে ইয়ামালের গোল তাকে বানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জতিক ফুটবলের তৃতীয়
কনিষ্ঠ গোলস্কোরার। তার সামনে আছেন কেবল নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের স্যাম জনস্টোন (১৫
বছর ১৬০ দিন) ও হাঙ্গেরির জোসেফ হোভার্থ (১৬ বছর ১২দিন)। যদিও ওই দুইটি রেকর্ডের সময়কাল
বহু আগের। স্যাম জনস্টোন গোল করেছিলেন ১৮৮২ সালে আর হোভার্থ ১৯০৬ সালে।
৩
নিজের ৬৫ তম ম্যাচে এসে আন্তর্জাতিক ফুটবলে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়ছেন আলভারো মোরাতা।
জর্জিয়ার বিপক্ষে ২২, ৪০ ও ৬০ মিনিটে করেছেন গোল।
১৩
১৩ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে দক্ষিণ আমেরিকার দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছেন মার্সেলো বিয়েলসা।
উরুগুয়ের ডাগআউটে বিয়েলসার শুরুটা হয়েছে চিলিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে। মজার বাপার, সবশেষ
দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশের বিপক্ষে তার জয় ছিল ২০১০ সালে, তখন প্রতিপক্ষ ছিল উরুগুয়ে
আর তিনি ছিলেন চিলির কোচ। অবশ্য ২০১১- এর পর
থেকেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে ছিলেন তিনি।
৪
উরুগুয়ের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ৪ গোল করেছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, সবগুলোই বক্সের
বাইরে থেকে করা শটে। চিলির বিপক্ষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে করেছেন সাম্প্রতিক গোলটি।
১
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম গোল পেয়েছেন ফ্রান্সের মার্কাস থুরাম। ২৬ বছর বয়সী
ফরোয়ার্ড ফ্রান্সের হয়ে ৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তী লিলিয়ান থুরামের ছেলে। জাতীয় দলে
১৪২ ম্যাচ খেলে ডিফেন্ডার থুরাম গোল করেছিলেন ২টি। দুই গোলই ছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। বাবা-ছেলের জাতীয় দলের হয়ে গোল করার কীর্তি ফ্রান্সে এছাড়া আছে
আর একটি- জা জোরকায়েফ ও ইউরি জোরকায়েফের।
৮
টানা ৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করেছেন লিওনেল মেসি। সবশেষ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের
ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল পাননি তিনি।
৪
৭ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের শেখ মোরসালিন সম্মিলিত গোল ও অ্যাসিস্ট সংখ্যা।
১৭ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার স্টার্টিং ইলাভেনে ছিলেন ৫ ম্যাচে। গোল ৩, অ্যাসিস্ট
১। মালদ্বীপ, ভূটান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে গোল করেছেন মোরসালিন।
১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২:২৬ পিএম
বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুথ্যানে ঝড়ে গেছে কিছু তাজা প্রাণ। একটু নতুন দেশের চাওয়ায় জীবন দেয়া এই শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থী। শহীদদের স্মরণে বসুন্ধরা এবিজি স্পোর্টস ফিল্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্টুডেন্ট আপরাইজিং মেমোরিয়াল কাপ। যার মূল উদ্দেশ্য জুলাইয়ের শহীদদের খেলাধুলার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো। এই মহৎ উদ্দেশ্যে সবাইকে এক করতে পেরে আনন্দিত এই টুর্নামেন্টের আয়োজকরা।
গণ-অভ্যুথ্যানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের অনেকেই স্টুডেন্ট আপরাইজিং মেমোরিয়াল কাপে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা কেউ তাদের বন্ধু, কারও ভাই, কারও আবার খেলার সাথী। আর তাই সেই মহান শহীদদের স্মরণে ওদের আরেকবার একসাথে হওয়া। ফুটবল মাঠেই তারা স্বরণ করলো হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য প্রাণকে।
এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে মোট ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যেও কাজ করছে এক বাড়তি অনুপ্রেরণা। কারণ, এই আয়োজনটি তো তাদেরই বন্ধুদের জন্য। যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন একটা নতুন বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম করে দেখিয়েছে, তাদের এক হওয়ার শক্তি ঠিক কতখানি। তাইতো নিজেদের এই ঐক্য ধরতে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই আয়োজন গুলো। দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে সুনাম কুড়াবেন বাংলাদেশের তরুণরা, এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজক, পৃষ্ঠপোষক থেকে শুরু করে সকলের।
চোট বা নানা রোগের কারণে ফুটবলারদের অনেকেরই ক্যারিয়ারই আগেভাগে শেষ হওয়ার অজস্র নজির রয়েছে। তবে শীর্ষ পর্যায়ে পা রাখার আগেই যদি একজন তরুণ ফুটবলারের ক্যারিয়ার যদি থেমে যায়, তাহলে সেটা ভীষণ হতাশাজনকই বটে। চোটে জর্জরিত হয়ে রিয়াল মাদ্রিদের একাডেমি খেলোয়াড় ১৯ বছর বয়সী মার্ক কুকালনকে নিতে হয়েছে সেই কঠিন সিদ্ধান্ত।
স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার ২০১৬ সালে যোগ দেন রিয়ালের একাডেমিতে। এরপর থেকে আছেন এখানেই। তবে দীর্ঘ এই পথচলায় একের পর এক চোটে তাকে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছে মাঠের বাইরেই। তবে ২০২২ সালে গুরুতর এক চোটই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল প্রতিভাবান এই ফুটবলারের জন্য। ওই চোটের পর অনেক চেষ্টা করলেও আর বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি ক্যারিয়ার। রিয়ালের সিনিয়র দলে খেলার স্বপ্নকে বলি দিয়ে বাধ্য হয়েছে অবসর নেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে।
আরও পড়ুন
‘এটা রিয়াল মাদ্রিদ, ৩ ম্যাচ গোল না করলেই লোকেরা সব ভুলে যাবে’ |
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিশাল বিবৃতিতে রিয়ালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কুকালন।
“আমি বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে এই চিঠিটা শুরু করব। তাই আমি সবাইকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানিয়েই শুরু করলাম। আমি রিয়াল মাদ্রিদ একাডেমিতে ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে একটি ছোট ব্যাকপ্যাকে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম এবং আমি খুব খুশি ছিলাম। “আমার মনে হয় আমি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের সেরা ক্লাবের অংশ হতে পেরেছি এবং স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি একজন ব্যক্তি এবং একজন খেলোয়াড় হিসাবে শিখেছি এবং পরিণত হয়েছি। আমি জীবনের বাকি অংশে এই মূল্যবোধগুলি বহন করব, যা আমাকে নানা ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ফুটবল আমাকে প্রতিটি জয়ে এবং প্রতিটি পরাজয়ে শিখিয়েছে যে, আপনাকে সবসময় বাধা অতিক্রম করতে হবে এবং লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সেই শিক্ষাগুলো চিরকাল আমার জীবনের অংশ হয়ে থাকবে।”
গত কয়েক বছর ধরেই রিয়ালের একাডেমি থেকে উঠে আসছেন বেশ কিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কেউই জায়গা করে নিয়েছেন সিনিয়র দলে, আবার কেউ পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপের অন্য কোনো ক্লাবে। চোটের আঘাত না এলে এই দুটি পথের একটির যাত্রী হতে পারতেন কুকালন।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপেক্ষায় থাকে রিয়াল মাদ্রিদ: আনচেলত্তি |
তবে বিদায়বেলায় এটা নিয়ে আক্ষেপ করতে চাননি তিনি।
“আমাকে ভুল বুঝবেন না, এটা মোটেও দুঃখজনক বিদায় নয। সত্যিটা এই যে, আমার জীবন ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একেবারে বদলে যায়, যখন আমি যুব লীগের খেলায় গুরুতর আহত হয়েছিলাম। বিগত এই দুই বছর ধরে আমি আমার সব শক্তি দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে সংগ্রাম করেছি এবং আমি আমার সামর্থ্যের সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি এই খেলাটিকে আবার উপভোগ করার। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ, যারা সবসময় আমাকে প্রতিটি সিদ্ধান্তে এবং পথের প্রতিটি পাথরে সমর্থন করেছেন। আমার বন্ধুদেরও ধন্যবাদ, যারা নিঃশর্তভাবে আমাকে সমর্থন যুগিয়ে গেছে।”
১৩ ঘণ্টা আগে
১৬ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে