১৪ মাস পর নামলেন ওপেনিংয়ে, তবে ইনিংসের প্রথম দিকে ব্যাটে আড়ষ্টতা ছিল আগের ম্যাচের মতোই। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অন্যপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝে লড়ে গেলেন একাই। তার ফিফটির পর শেষের দিকে লড়িয়ে মানসিকতা দেখালেন জাকের আলি অনিক। তবে এরপরও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে একটা ভালো স্কোর গড়তে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান। ৭৭ রানে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার শান্তই।
সৌম্য সরকার বাদ পড়ায় ধারণা করা হচ্ছিল, মেহেদি হাসান মিরাজই হয়ত ওপেন করবেন। তবে তাকে তিনে ব্যাট করার সুযোগ দিয়ে ওপেন করতে নেমে শান্তই, যিনি নিজে তিন নম্বরে একটা লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করে আসছিলেন। দলের কম্বিনেশনের সুবিধা করে দিতে পজিশন বদল করেন তিনি।
আরও পড়ুন
১২ মাস পর ওপেনিংয়ে ফিরেই ফিফটি করলেন শান্ত |
![]() |
যদিও সেখানেও শুরুটা মসৃণ হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। নিউজিল্যান্ডের গতিময় পেসারদের বিপক্ষে ভুগতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। প্রথম ১১ বলে করতে পারেন মাত্র ৩ রান। চাপ সরিয়ে এরপর ম্যাট হেনরিকে মিড অন দিয়ে হাঁকান প্রথম বাউন্ডারি।
তবে কাইল জ্যামিসনকে মেডেন দিয়ে নিজের ওপর চাপ বাড়িয়ে ফেলেন শান্ত। এরই মাঝে অন্যপ্রান্তে আউট হন দারুণ ছন্দে থাকা তানজিদ হাসান তামিম। তরুণ এই ব্যাটার করেন বল সমান ২৪ রান। ভারতের বিপক্ষে ভালো শুরুর পর আউট হন বিশের ঘরে। তিনে নামা মিরাজও সুবিধা করতে পারেননি।
এক চার ও এক ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। তবে অন্যপ্রান্তে ইনিংস যত এগিয়েছে, ততোই নিজেকে ফিরে পান শান্ত। উইলিয়াম ও’রউর্কের করা এক ওভারেই মারেন দুটি চার। ইনিংসের ২৪তম ওভারে শান্ত দেখা পান তার ওয়ানডের দশম ফিফটির। তবে বল খেলে ফেলেন ৭১টি।
শান্তর এই ধীরলয়ের ইনিংসের কারণেই কিনা, ক্রিজে গিয়েই আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। তবে মাত্র চার বল খেলার পরই মিচেল ব্রেসওয়েলের নিরীহ এক ডেলিভারিতে চেষ্টা করেন স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারতে। একেবারেই টাইমিং না হওয়ায় বল চলে যায় সোজা ডিপ মিড উইকেটে থাকা রবীন্দ্র জাদেজার হাতে।
১০৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন চাপের মুখে, তখন নামেন চোটের কারণে ভারত ম্যাচ মিস করার মাহমুদউল্লাহ। অতীতে অনেকবার এমন জায়গা থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন, ফর্মটাও ছিল পক্ষেই। তাই তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে মাহমুদউল্লাহও সেই ব্রেসওয়েলের বলে উইকেট একইভাবে ছুঁড়েই আসেন। তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। তার আগে ১৪ বলে করতে পারেন মাত্র ৪ রান।
আরও পড়ুন
রান আউট-ক্যাচ মিসের আক্ষেপে বিদায় বাংলাদেশের |
![]() |
দেখেশুনে এগিয়ে যাওয়া শান্ত ডট বলের চাপে পড়ে গিয়েছিলেন বেশ। শেষ পর্যন্ত সেটার মাশুল দিতে হয় তাকে। সাদামাটা এক স্পেলে বাংলাদেশের সর্বনাশ করা ব্রেসওয়েলের অফ স্পিনে আউট হন শান্তও। ৯ চারে সাজান ১১০ বলের ইনিংস।
১৯৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশের একটা ভদ্রস্থ স্কোর পাওয়ার মূল অবদান জাকের আলি ও রিশাদ হোসেনের। ২ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন রিশাদ। এরপরও আড়াইশ রান পার করার আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন জাকের আলি।
আগের ম্যাচে ফিফটি করা এই ব্যাটার এবারও ছিলেন একই পথে। তবে ৪৯তম ওভারে রান আউটে কাঁটা পড়েন তরুণ এই ব্যাটার। তবে তার আগে খেলেন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ব্রেসওয়েলই।
আরও পড়ুন
কেমন হবে রাওয়ালপিণ্ডির উইকেট, কি অপেক্ষায় টাইগারদের জন্য? |
![]() |
১ আগস্ট ২০২৫, ৩:৫৯ পিএম
১ আগস্ট ২০২৫, ১:২৮ পিএম
এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারানোর পরের টেস্ট অধ্যায়টা জিম্বাবুয়ের শুধুই হতাশার। সর্বশেষ ৪ টেস্টের তিনটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার, অন্যটি রানের ব্যবধানে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল। তবে নবম জুটির ৬৪ রানে সেই লজ্জা এড়াতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৮ রানের টার্গেট দিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামিয়েছে। মাত্র ১৪ বলে এই টার্গেট পাড়ি দিয়ে ৯ উইকেটে জিতে সিরিজ শুরু করেছে সফরকারী দলটি।
প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের টার্গেটে বোলিং করেছে নিউ জিল্যান্ড। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩১/২, ইনিংস হার এড়ানোর জন্য ১২৮ রানের টার্গেটটা বেশ বড়ই তখন মনে হয়েছে। তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৫৩/৪। ৫ম উইকেট জুটিতে ৫৭ রা যোগ করেও ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল জিম্বাবুয়ের। ১১০ থেকে ১২৬, এই ১৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট পড়ে গেলে ইনিংস হারের চোখ রাঙানি দেখেছে স্বাগতিক দল। তবে ৯ম উইকেট জুটির ৬৪ রানে ইনিংস হার এড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মাত্র ১ রানের জন্য শিন উইলিয়ামস ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। বাঁ হাতি স্পিনার স্যান্টনারের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন শিন উইলিয়ামস (৬৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯)। ঠিক তৃতীয় দিনের টি ব্রেকের আগে থেমেছে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে (১৬৫/১০)।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস ছিন্ন ভিন্ন করেছে নিউ জিল্যান্ডের যে পেসার (৬/৩৯), সেই হেনরি দ্বিতীয় ইনিংসেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন (৩/৫১)। টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে দুইবার ম্যাচে ৯ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন। এটা নিয়ে (৯/৯০) সংখ্যাটা তৃতীয়-তে উন্নীত হলো তার। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনার স্যান্টনার পেয়েছেন ৪ উইকেট (৪/২৭)।
চোট আর বিশ্রাম মিলিয়ে এমনিতেই ইংল্যান্ড-ভারত চলমান পঞ্চম টেস্টে স্বাগতিকরা খেলছে অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ নিয়ে। এবার দলটির জন্য আরেক ধাক্কা হয়ে এসেছে ক্রিস ওকসের চোট। সেটা এতোটাই গুরুতর যে, এই ম্যাচের বাকি অংশ থেকেই ছিটকে গেছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে প্রথম দিনের শেষের দিকে। বাউন্ডারির লাইনে একটি বল ধরার চেষ্টায় ভেজা আউটফিল্ডে হাত পিছলে পড়ে যান ওকস। পড়ে যাওয়ার ফলে বাঁ কাঁধে বেশ চোট পান এবং সাথে সাথেই কাঁধ চেপে ধরে শুয়ে পড়েন মাঠে।
এরপর ইংল্যান্ড দলের ফিজিও বেন ডেভিস মাঠে এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে ওকস মাঠ ছেড়ে যান। রাতেই অভিজ্ঞ এই পেসারের স্ক্যান করানো হয়। সেই স্ক্যান ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করে, ওকস আর এই ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। এমনি ব্যাট হাতেও দেখা যাবে না তাকে।
তার এই ছিটকে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ভালো বিপদেই ফেলে দিতে পারে। কারণ, অধিনায়ক বেন স্টোকস না খেলায় এই ম্যাচে এমনিতেই চারজন স্পেশালিষ্ট পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে দলটি। ওকস আর বোলিং না করতে পারায় ম্যাচের বাকিটা সামাল দিতে হবে তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন এবং জশ টাংকে, যারা সম্মিলিতভাবে খেলেছেন মাত্র ১৮ টেস্ট। ফলে চাপ বাড়তে পারে দুই পার্টটাইম স্পিনার বেথেল-রুটের ওপর।
চলমান টেস্টের ভারতের প্রথম ইনিংসে ওকস ১৪ ওভার বল করে ১ উইকেট নেন। সিরিজে তিনি মোট ১৮১ ওভার বোলিং করেছেন। ৫২.১৮ গড়ে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য এই সিরিজে ইংল্যান্ডের একমাত্র পেসার হিসেবে খেলেছেন পাঁচ টেস্টেই। তবে শেষটা হল হতাশার মধ্য দিয়েই।
ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার চতুর্থ টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি পরা এক দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনার জল এরই মধ্যে গড়িয়েছে অনেকদূর। এবার সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্টে চলাকালীন এই ঘটনাটি ফারুক নাজার নামের ভুক্তভোগী দর্শক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর থেকেই এটি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সবুজ রঙের জার্সি পরে ভারত ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন নাজার। এক পর্যায়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী এসে তাকে পাকিস্তানের জার্সি ঢেকে ফেলতে বলেন। এই সময়ে সেই নিরাপত্তাকর্মী নিজেকে ল্যাঙ্কাশায়ারের একজন স্টাফ হিসেবে পরিচয় দেন। সাথে জানান, পাকিস্তানের জার্সি ঢাকার জন্য বলার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ পেয়েই তিনি এটি বলতে এসেছেন। তবে তার সেই অনুরোধ নাজার মানতে অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনার জেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে তাকে মাঠ থেকেই বের করে দেয়।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ল্যাঙ্কাশায়ার জানায়, দর্শকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে তাদের নিরাপত্তা দল কাজ করে আর এটা তারই অংশ ছিল। তবে নাজারকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় যদি কোনো দর্শক কষ্ট পেয়ে থাকেন, সেজন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এরপর কাউন্টি ক্লাবটি বিবৃতিতে আরও দাবি করে, ওই ঘটনার একদিন আগে মাঠের ভেতর ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই প্রেক্ষিতেই তাদের নিরাপত্তা দল সতর্ক অবস্থানে ছিল এবং তারই ধারাবাহিকতা তারা নাজারকে পাকিস্তানের জার্সি ঢেকে ফেলতে বলেছিলেন।
অন্যদিকে যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই নাজার এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) জানান,
“আমি তো সেখানে কোনো আপত্তিকর আচরণ করিনি। আমি শুধু পাকিস্তানের জার্সি পরেই খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এটা তো দোষের কিছু না। আমাদের মনে রাখতে হবে এটা ক্রিকেট, এখানে জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সবারই স্রেফ খেলাটিকেই উদযাপন করা উচিত।”
আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপকে সামনে রেখে বাড়তি প্রস্তুতির সুযোগ তৈরি হল অংশগ্রহণকারী তিন দেশের সামনে। চলতি মাসে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিখ্যাত শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আসর চলবে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের শুরুতে।
ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে সব মিলিয়ে মোট ৬টি ম্যাচ হবে। এরপর পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যা শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, আর চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই টুর্নামেন্টও হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন দলের মধ্যে আইসিসির সবশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান সবার চেয়ে এগিয়ে আছে, তাদের অবস্থান ৮ নম্বরে। আফগানিস্তান আছে ৯ নম্বরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত রয়েছে ১৪ নম্বরে।
বুলাওয়ে টেস্টে প্রথম দিনের হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্ঠা করেছে জিম্বাবুয়ে। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৫৮'র বেশি লিড নিতে দেয়নি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে ইনিংস হার এড়ানো থেকে ১২৬ রানে পিছিয়ে।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট করে দিন শেষে উইকেটহীন ৯২ স্কোরে স্বাগতিক দলকে রান পাহাড়ে চাপা দেয়ার আভাস দিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তবে দিনের প্রথম বলে ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করেছেন জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি। তার শর্ট বলে শর্ট লেগে উইল ইয়ং দিয়ে এসেছেন ক্যাচ (৪১)।
দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৬৬ রানে স্বাগতিক দলকে হতাশায় ফেলে দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে-হেনরি নিকোলাস। তবে মুজারাবানির বলে গালিতে নিকোলাম (৩৪) ক্যাচ দেয়ার মধ্য দিয়ে বড় একটা দমকা হাওয়া বয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের উপর দিয়ে। মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদের মুখে পড়ে নিউ জিল্যান্ড।
সেখান থেকে দলের স্কোর তিনশ' ছাড়িয়ে নিয়েছেন ড্যারেল মিচেল। নিয়াম্বুরির ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে থেমেছেন মিচেল ৮০ রানে। ২২৪ মিনিটের যে ইনিংসে ১৫টি চার এর পাশে ছিল একটি ছক্কা। তবে অবধারিত সেঞ্চুরি মিস করেছেন ডেভন কনওয়ে। চিভাঙ্গার আউট সাইড অফ ডেলিভারিতে ডেভন কনওয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে হাতছাড়া করেছেন ৫ম টেস্ট সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/৭৩)। চিভাঙ্গা পেয়েছেন ২ উইকেট (২/৫১)। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে পিছিয়ে পড়া জিম্বাবুয়ে লড়ছে ইনিংস হার এড়াতে। তবে হেনরি (১/১১) এবং ও রোর্কের (১/১৬) বোলিংয়ে স্কোরশিটে ৩১ উঠতে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেট।
৯ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে