১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৩৯ পিএম

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্রেফ প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়েই র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতানোর পথে অবদান রেখে দুই পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও ম্যাচ সেরা স্পিনার শেখ মাহেদি হাসান টি-টোয়েন্টির বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে দিয়েছেন বড় লাফ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের মঞ্চে তিনজন ভালো করলেও এই ম্যাচটি বিবেচনায় আসবে আগামী সপ্তাহের র্যাঙ্কিংয়ে।
বুধবার আইসিসির প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদে মাত্র এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়েই সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে হাসানের। তরুণ এই পেসার প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। তাতে ৩৮ ধাপ উন্নতিতে তিনি এখন উঠে এসেছেন কাগিসো রাবাদা ও নুয়ান থুশারার সঙ্গে যৌথভাবে ৪৭তম স্থানে। হাসানের রেটিং পয়েন্ট ৫০৬।
আরও পড়ুন
| পেস বিপ্লবের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন তাসকিন |
|
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের মূল নায়ক ছিলেন মাহেদি। এই ফরম্যাটে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগ্র উপহার দিয়ে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ব্যবধান গড়ে দেন ৭ রানের জয়ে। তাতে ১৮ ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান এখন ৫৯০ রেটিং পয়েন্টে ২৩তম।
আর ওই ম্যাচে ২৮ রানে দুই উইকেট নেওয়া তাসকিন উন্নতি করেছেন তিন ধাপ। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সেরা অবস্থান নিয়ে ৬০৮ রেটিং পয়েন্টে অভিজ্ঞ এই পেসার আছেন ১৮তম স্থানে। দুই ধাপ নেমে এই সিরিজ না খেলা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান নেমে গেছেন ১৯তম স্থানে। আগের মত ৩৮তম অবস্থানেই আছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে কেউই উন্নতি করতে পারেননি। সেরা অবস্থানে আছেন এই সিরিজে না খেলা তাওহীদ হৃদয়। অবশ্য অবনমন হয়েছে তার। ছয় ধাপ নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রিস্টান স্টাবসের সাথে যৌথভাবে নেমে গেছেন ২৯তম স্থানে। ৪৪ থেকে ৪৬তম স্থানে নেমে গেছেন প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া লিটন দাস। শীর্ষ ৫০-এ বাংলাদেশের আর কেউ নেই এই মুহূর্তে।
আরও পড়ুন
| তাসকিনের প্রথম টেস্ট ফাইফার, বল হাতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ |
|
No posts available.
৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ পিএম

দুইশ ছাড়ানো লক্ষ্যে মাত্র ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় জয়ই হয়তো দেখতে পাচ্ছিল নিউ জিল্যান্ড। তবে তাদের কাঁপিয়ে দিলেন রভম্যান পাওয়েল, রোমারিও শেফার্ড ও ম্যাথু ফোর্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিন অলরাউন্ডার। অল্পের জন্য বেঁচে গেল কিউইরা।
অকল্যান্ডে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ২০৮ রানের লক্ষ্যে শেষের ঝড়ে ২০৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে ক্যারিবিয়ানরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
অথচ পাওয়েল ও ফোর্ডের ঝড়ে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, সহজেই জিতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশেষ করে শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণে ফোর্ড দুইটি চার মারলে প্রথম দুই বলে ৯ রান পেয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৪ বলে বাকি থাকে ৭ রান।
সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান জেমিসন। ফ্রি হিট বলে তিনি দেন মাত্র ১ রান। পরে পাওয়েলকে আউট করেন কিউই তারকা পেসার। শেষ বলে বাকি থাকে ৫ রান। তবে জেমিসনের স্লোয়ারে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি ফোর্ড।
রান তাড়ায় শুরুতে অবশ্য ম্যাচেই ছিল না সফরকারীরা। প্রথম ওভারে উইকেট মেডেন নেন জ্যাকব ডাফি। জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আলিক আথানেজ ও শাই হোপ। আথানেজ ২৫ বলে ৩৩ ও হোপ ২৬ বলে ২৪ রান করে আউট হন।
এরপর আকিম অগাস্ত (৭ বলে ৭), জেসন হোল্ডার (৮ বলে ১৬) ও রস্টোন চেজ (৬ বলে ৬) হতাশ করলে ১২.৫ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৯৩ রান।
সেখান থেকে মাত্র ২৪ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন পাওয়েল ও শেফার্ড। ১ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে ১৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন শেফার্ড। পরে ফোর্ডের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নেন পাওয়েল। দুজনের জুটিতে আসে ১৮ বলে ৪৭ রান।
ষষ্ঠ উইকেট পড়ার উইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৪৩ বলে ১১৫ রান। সেই লক্ষ্যে পাওয়েল, শেফার্ড ও ফোর্ড মিলে ৩৯ বলে করে ফেলেন ১০৮ রান। কিন্তু শেষ ৪ বলে ৭ রানের সমীকরণ আর তারা মেলাতে পারেননি।
পাওয়েল ১৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। ফোর্ড ১৩ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে মোট ১৮টি ছক্কা মারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউ জিল্যান্ডের মাঠে যা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এর আগে কিউইরা ভিন্ন তিন ম্যাচে ১৮টি ছক্কা মেরেছিল।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন ইশ সোধি ও মিচেল স্যান্টনার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঝড় তোলেন টিম রবিনসন। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ বলে ৩৯ রান করেন কিউই ওপেনার।
এরপর তাণ্ডব চালান মার্ক চ্যাপম্যান। চার নম্বরে নেমে ৬ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা মেরে মাত্র ২৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
শেষ দিকে ড্যারেল মিচেল ১৪ বলে ২৮ ও স্যান্টনার ৮ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় নিউ জিল্যান্ড।
নেলসনে আগামী রোববার সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে অক্টোবর মাসের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে জায়গা পেয়েছেন রশিদ খান। যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুই স্পিনার নোমান আলি ও সেনুরান মুত্থুসামি।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার অক্টোবরের 'প্লেয়ার অব দা মান্থ' মনোনয়ন প্রকাশ করেছে আইসিসি। নারী ক্রিকেটে অক্টোবরের সেরার দৌড়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার, ভারতের স্মৃতি মান্ধানা ও দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের তিন ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র ৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন রশিদ।
আরও পড়ুন
| গ্যালারিতে ক্যাচ নিলেই বল রেখে দিতে পারবেন দর্শকরা |
|
পরে ওয়ানডেতে দেখা যায় রশিদের বিধ্বংসী রুপ। প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে তিনি নেন ৩টি করে উইকেট। আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে একাই গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং। তিন ম্যাচে ওভারপ্রতি তার খরচ ছিল মাত্র ২.৭৩ রান।
এমন পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে আছেন রশিদ। যেখানে তাকে লড়তে হবে পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার সেনুরান মুত্থুসামির সঙ্গে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন নোমান। পরের ইনিংসে তার শিকার ৪ উইকেট। পরের ম্যাচে দুই ইনিংসেই ২টি করে উইকেট নেন তিনি।
কম যাননি মুত্থুসামিও। লাহোরে প্রথম টেস্টে হেরে যাওয়া ম্যাচে ১১ উইকেট নেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেন ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তার হাতেই ওঠে সিরিজ সেরার পুরস্কার।
এছাড়া সদ্য সমাপ্ত নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে অক্টোবরের সেরার দৌড়ে আছেন গার্ডনার, মান্ধানা ও উলভার্ট। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৩২৮ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ৭ উইকেট নিয়েছেন গার্ডনার।
বিশ্বকাপের সাত ম্যাচে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ৩৮১ রান করেছেন স্মৃতি। আর অক্টোবর মাসে উলভার্টের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ ইনিংসে ৪৭০ রান।

ক্রিকেট মাঠে দর্শক আগমনের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন 'দর্শক ক্যাচ' নিয়ম চালু করছে অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিগ ব্যাশ লিগের সামনের আসরে গ্যালারিতে ক্যাচ নিতে পারলেই বল রেখে দিতে পারবেন দর্শকরা।
মেজর লিগ বেসবলে অনেক দিন ধরেই চলছে এই দর্শক ক্যাচ নিয়ম। যেখানে গ্যালারিতে বসে যে ক্যাচ নিতে পারলে আর বল ফেরত দিতে হয় না দর্শকদের। ছেলে ও মেয়েদের বিগ ব্যাশে সেই নিয়মই চালু করতে যাচ্ছে আয়োজকরা।
তবে পুরো ম্যাচের জন্য অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর থাকবে না। ম্যাচের দুই ইনিংসের প্রথম ওভারে ছক্কা হয়ে গ্যালারিতে যাওয়া বল ক্যাচ নিতে পারলে, সেই বল বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন দর্শকরা। ক্রিকেটে এর আগে কখনও এমন নিয়ম দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন
| বিক্রি হচ্ছে কোহলিদের আরসিবি, মার্চের মধ্যেই নতুন মালিক |
|
গত জুলাইয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকিং পার্টনার হওয়া 'ওয়েস্টপ্যাক' এই উদ্যোগের স্পন্সর হয়েছে। আগামী রোববার নারী বিগ ব্যাশের প্রথম ম্যাচ থেকেই কার্যকর হয়ে যাবে এই নিয়ম।
বিগ ব্যাশের গত মৌসুমের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ছেলেদের টুর্নামেন্টে প্রতি ২ ম্যাচে একবার করে প্রথম ওভারে গ্যালারিতে গিয়েছে বল। আর মেয়েদের খেলায় প্রতি ১০ ম্যাচে একবার প্রথম ওভারে গ্যালারিতে আছড়ে পড়েছে ছক্কা।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিবারই মাঠে ফেরত দিতে হয়েছে বল। তবে রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগে, প্রথম ওভারে গ্যালারিতে বসে ক্যাচ নিতে পারলেই সেটি রেখে দিতে পারবেন যে কোনো দর্শক।
আয়োজকদের আশা, এই নিয়ম চালুর মাধ্যমে গ্যালারিতে দর্শকদের খেলা উপভোগের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তারা জানিয়েছে, মেজর লিগ বেসবলের দর্শক ক্যাচ নিয়ম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
| বার্মিংহাম ফিনিক্সের হেড কোচ শেন বন্ড |
|
এই নিয়মে, প্রতি ইনিংসে ওয়েস্টপ্যাক ব্র্যান্ডেড বল দিয়ে খেলা শুরু হবে। একইসঙ্গে আম্পায়াররা নিজেদের পকেটে একটি বাড়তি বল রাখবেন। গ্যালারিতে যাওয়া বল যদি কোনো দর্শক ক্যাচ নিতে পারেন, তাহলে ওই বাড়তি বল দিয়ে খেলা শুরু করা হবে।
ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য, প্রতি ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ হওয়ার পর নতুন কুকাবুরা বল দিয়ে বাকি ১৯ ওভার খেলা হবে। গ্যালারিতে যদি কোনো দর্শক ক্যাচ নাও নিতে পারেন, তবুও দ্বিতীয় ওভার শুরু হবে নতুন কুকাবুরা বল দিয়েই।
স্লো ওভার রেট পেনাল্টির ক্ষেত্রেও ম্যাচ অফিসিয়ালরা সব কিছু মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। আগের মৌসুমের মতো এবারও প্রতি ইনিংসের শুরুতে টাইমার চালু করা হবে। সেই সময় শেষ হওয়া মাত্র, যত বলই বাকি থাকুক, একজন ফিল্ডার ৩০ গজের ভেতরে আনতে হবে ফিল্ডিং দলের।
এরপর ছেলেদের বিগ ব্যাশের জন্য ৫ মিনিট ও মেয়েদের বিগ ব্যাশের জন্য ৫ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড বেঁধে দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি বাকি ওভার করতে না পারে, তাহলে বাকি থাকা বলগুলোতে পাওয়ার প্লের মতো অর্থাৎ বৃত্তের বাইরে দুজন ফিল্ডার রেখে বোলিং করতে হবে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় দল, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে।
দলটির মালিক প্রতিষ্ঠান ডিয়াজিও বুধবার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) জমা দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য তাদের।
অর্থাৎ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নতুন মালিকানা পেতে পারেন বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, স্মৃতি মান্ধানারা।
ডিয়াজিওর ভারতীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড স্পিরিটস লিমিটেড (ইউএসএল) জানিয়েছে, তাদের পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (আরসিএসপিএল)-র বিনিয়োগ পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরসিএসপিএলের ব্যবসায়িক দলের মধ্যে রয়েছে আইপিএল ও ডব্লিউপিএল- এই দুই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া পুরুষ ও নারী দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী প্রভীন সোমেশ্বর বিবৃতিতে বলেন, 'আরসিবি আমাদের জন্য মূল্যবান সম্পদ। তবে এটি আমাদের পানীয় ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক লক্ষ্য ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
ঘোষণাটি মূলত শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী করা হলেও, বিশ্লেষকদের মতে এর অর্থ স্পষ্ট- ডিয়াজিও সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আরসিবির মালিকানা ছাড়তে চায়।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠান আরসিবি কেনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, আদানি গ্রুপ, জিন্দাল পরিবারের জেএসডব্লিউ গ্রুপ, সিরাম ইনস্টিটিউটের আদার পুনাওয়ালা, দেবয়ানি ইন্টারন্যাশনালের রবি জয়পুরিয়ার নাম আলোচনায় আছে।
আরসিবি বিক্রির গুঞ্জন অবশ্য নতুন নয়। গত জুনে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে মর্মান্তিক পদদলিতের ঘটনায় ১১ সমর্থকের মৃত্যু এবং বহু আহত হওয়ার পর থেকেই দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়।
শেয়ারহোল্ডারদের চাপ, মূল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের বাইরে থাকা এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রভাব- সব মিলিয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রির পথে হাঁটছে ডিয়াজিও। আইপিএলের ইতিহাসে এটি হতে পারে সবচেয়ে বড় মালিকানা হস্তান্তরগুলোর একটি।

ইংল্যান্ডের দা হান্ড্রেডের দল বার্মিংহাম ফিনিক্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিলেন শেন বন্ড। দুই বছরের চুক্তিতে সাবেক সতীর্থ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির স্থলাভিষিক্ত হলেন নিউ জিল্যান্ডের গতিতারকা।
বার্মিংহাম ছেড়ে সানরাইজার্স লিডস দলের দায়িত্ব নেবেন ভেট্টোরি। তবে এখনও সেটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কোচিংয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে বন্ডের। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং কোচ ছিলেন তিনি। এরপর থেকে রাজস্থান রয়্যালসে একই দায়িত্বে আছেন সাবেক কিউই তারকা।
এছাড়া বিগ ব্যাশে সিডনি থান্ডার ও এসএটোয়েন্টিতে পার্ল রয়্যালসের হেড কোচ হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে বন্ডের।
বার্মিংহাম ফিনিক্সের মালিকানা বদলের পর বন্ডকে প্রধান কোচ বানানোর মাধ্যমে প্রথম বড় সিদ্ধান্ত নিল দলটি। এখন ওয়ারউইকশায়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ফার্ম নাইটহেড ক্যাপিট্যালের যৌথ প্রযোজনায় পরিচালিত হয় ক্লাবটি।
২০০২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে খেলেছিলেন বন্ড। সেবার ৪ ম্যাচে ১২ উইকেট নেন তিনি।
বন্ড ছাড়াও হান্ড্রেডের কোচিং প্যানেলে এবার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে। ট্রেন্ট রকেটস ছেড়ে এরই মধ্যে লন্ডন স্পিরিটে যোগ দিয়েছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ওভাল ইনভিন্সিবলস ছেড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের গ্লোবাল দায়িত্ব নিয়েছেন টম মুডি। সানরাইজার্স লিডস ছেড়েছেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ।