২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১:৫০ পিএম
বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আটকে দিয়েছে মরিনিয়োর ফেনারবাচে। যদিও ম্যাচের ফল ছাড়িয়ে সব আলোচনা স্প্যাশাল ওয়ানকে ঘিরে। এদিন ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মরিনিয়ো। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে তিনি রেফারিকে ধুয়ে দিয়েছেন। সেই সাথে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউয়েফার প্রতিযোগিতা ছাড়ারও।
মূলত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফেনারবাচের এক পেনাল্টির আবেদন নিয়ে রেফারির সাথে বিতর্ক জড়ান মরিনিয়ো। যার জন্য রেফারি তাকে লাল কার্ডও দেখান। ম্যাচ শেষে যা নিয়ে টিএনটি স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে রেফারির উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ এই কোচ।
“তিনি অবিশ্বাস্য এক কথা বলেছেন। একই সময়ে তিনি নাকি বক্সে খেলা দেখার পাশাপাশি টাচলাইনে আমার আচরণের দিকেও চোখ রেখেছেন। এমন কিছু তো অসম্ভব ব্যাপার। নিদারুণ দৃষ্টিশক্তির জন্য তাকে অভিনন্দন, তিনি অবিশ্বাস্য। ম্যাচের সময়, যেটা প্রায় ১০০ মাইল গতিবেগে চলছিল, তার এক চোখ ছিল পেনাল্টি–পরিস্থিতির ওপর এবং আরেকটি চোখ নজর রেখেছে বেঞ্চে আমার আচার–আচরণে। তিনি আমাকে এই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন। তিনি এ কারণেই বিশ্বের অন্যতম সেরা রেফারি।”
যদিও ডাগআউটে এমন সব কাণ্ড মরিনিয়োর জন্য নতুন না। কয়েক দিন আগে তো তুর্কিশ সুপার লিগে রেফারির সিদ্ধান্ত পছন্দ না হাওয়ায় ক্যামেরার সামনে ল্যাপটপ রেখে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন। এর আগে গত বছর ইউরোপা লিগ ফাইনালে রোমার কোচ হিসেবে রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করায় ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। তাই এসব ঝামেলা থেকে বাঁচতে তিনি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা ছাড়ার কথাও বলেছেন।
“ফেনেরবাচে ছাড়ার পর আমাকে এমন একটি ক্লাবে যেতে হবে, যারা উয়েফার প্রতিযোগিতায় নেই। সেটাই হবে সেরা সিদ্ধান্ত। তাই ইংল্যান্ডের নিচুর সারির কোনো দলের যদি আগামী দুই বছরের মধ্যে কোচের প্রয়োজন হয়, আমি যেতে রাজি।”
এদিন নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচ শেষ হয় ১-১ এর সমতায়। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ৪৯ মিনিটে ফেনারবেচেকে সমতায় ফেরান ইউসেফ এন–নেসরি।
বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা সবশেষ ম্যাচে জিতেছিলো ৬-০ গোলে। সেই ম্যাচে একসাথে লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ আর হুলিয়ান আলভারেজ শুরু করেছিলেন। মেসি করেছিলেন হ্যাটট্রিক আর লাউতারো ও আলভারেজও পেয়েছিলেন গোল। আর্জেন্টিনার সামনে এবার প্যারাগুয়ে, ফরোয়ার্ড লাইনে এই তিনজনকে একসাথে রেখেই কী শুরুর একাদশ নামাবেন লিওনেল স্ক্যালোনি?
আর্জেন্টিনার কোচ ইঙ্গিত দিয়েছেন তেমনই,
“প্রায় একই দল নিয়েই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবো। এমন এক দলের বিপক্ষে খেলা যারা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে।”
তবে, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা দলের কোচের ভাবনাতে আছে আরেক বিকল্প। তিন ফরোয়ার্ড না খেলিয়ে ৪ মিডফিল্ডারকে নিয়েও দল সাজাতে পারেন স্ক্যালোনি। সেক্ষেত্রে লাউতারো মার্তিনেজের জায়গায় একাদশে আসতে পারেন লো সেলসো।
শুরুর একাদশের বাকি ১০ পজিশন নিয়ে তেমন ধোঁয়াশা নেই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গোলকিপার হিসেবে ফিরছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। লিসান্দ্রো মার্তিনেজের ইনজুরিতে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর সেন্টার ব্যাক সঙ্গী নিকোলাস ওতামেন্দি। ন্যাহুয়েল মলিনার সাথে নিকোলাস ত্যালিয়াফিকো সামলাবেন দুই ফুল ব্যাকের দায়িত্ব। তিন মিডফিল্ডার হিসেবে রদ্রিগো দি পল, এনজো ফার্নান্দেজ আর ম্যাক অ্যালিস্টার থাকছেন। সামনে লিওনেল মেসির সাথে হুলিয়ান আলভারেজ।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
মালদ্বীপের বিপক্ষে আক্রমণের ঝড় তুলেও গোল পায়নি বাংলাদেশ। দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেও বল পৌঁছাতে পারেনি রাকিব-ফাহিমরা। স্বভাবতই মন খারাপের একটা রাত পার করতে হয়েছে তাদের! এমন প্রেক্ষাপটে দলকে অনুপ্রাণিত করতে, একটু উদ্বুদ্ধ করতে- সাত সকালে টিম হোটেলে হাজির হন নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়াল।
স্বাভাবিক কারণে নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়ালেরও মন খারাপ হওয়ার কথা। কারণ তিনি সভাপতি হওয়ার পর এটাই ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম ম্যাচ। আর সেখানেই বছরব্যাপী ফিফার নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশ মালদ্বীপকে বাগে পেয়েও হারাতে তো পারেইনি দল, বরং হেরে গেছে।
খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবার সঙ্গে নাস্তার টেবিলে বৈঠক করেছেন সাবেক এই ফুটবলার। পরের ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করেছেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। ম্যানেজার আমের খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন 'গত ম্যাচে যা হওয়ার হয়েছে। সামনের ম্যাচে জয়ের জন্য যথাসম্ভব ভুল এড়ানো এবং সেরা খেলা উপহার দেয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন সভাপতি'।
শনিবার একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ। তার আগে তাবিথ আওয়ালের এই অনুপ্রেরণা প্রথম ম্যাচের স্মৃতি ভুলতে সহায়তা করবে কাবরেরার দলকে।তাবিথ আউয়াল শুধু বাংলাদেশ দল নয়, সফরকারী মালদ্বীপ দলের সঙ্গেও দেখা করেছেন নাস্তার টেবিলে। এতে খুশি হয়েছে মালদ্বীপ দলের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন ফুটবলারদের সাথে। এসময় তাঁর সাথে বাফুফে’র শীর্ষস্থানীয় কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। আগেরদিন মাঠে বসে দলের খেলা দেখে হতাশ হয়েছেন, পরদিন সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে ফেডারেশন সভাপতি হিসেবে দলকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে