পেস বিভাগে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। পিঠের পুরোনো চোটে অন্তত ১২ মাসের জন্য ছিটকে গেলেন ‘দা ওয়াইল্ড থিং’ খ্যাত ল্যান্স মরিস।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে মরিসকেই ধরা হয় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গতিময় পেসার। কিন্তু চোট তাকে পিছু ছাড়ছে না। যে কারণে জাতীয় দলের হয়ে সেভাবে খেলতেই পারছেন না ২৭ বছর বয়সী পেসার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন মরিস। কিন্তু সিরিজ শুরুর আগে পিঠ নিয়ে সমস্যায় ভোগায় তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
টপ এন্ড সিরিজে সেরা জিসান-রকিবুল, বাকিদের কী অবস্থা |
![]() |
পরবর্তী পরীক্ষানিরীক্ষার পর চোটের গুরুত্ব বুঝে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা। যে কারণে চলতি মৌসুম তো বটেই, আগামী ১২ মাসের মধ্যেই আর মাঠে নামা হবে না মরিসের।
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই অস্ত্রোপচার করাবেন মরিস। গত অক্টোবরে তার অস্ট্রেলিয়ান সতীর্থ ক্যামেরন গ্রিনও একই জায়গা থেকে অস্ত্রোপচার করান।
গ্রিন, মরিস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে জেমস প্যাটারসন, জেসন বেহরেনডর্ফ ও বেন ডোয়ারশিসও একই ধরনের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগেছেন।
এ নিয়ে তৃতীয় বছর অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন মরিস। কিন্তু একের পর এক চোটের কারণে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তিনি।
২৪ আগস্ট ২০২৫, ৩:৩৩ পিএম
সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই মাঠে প্রথমবার ধবলধোলই করার। তবে সেটি সম্ভব করা কঠিনই ছিল। তিন সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের দেওয়া ৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। উল্টো নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হার দেখল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ হেরেছে তারা ২৭৬ রানে।
রানের দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০৯ সালে ডারবানে ১৪১ রানে জেতা ম্যাচটি ছিল সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয়। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ২০২৩ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৩০৯ রানে হারিয়েছিল অজিরা। ওয়ানডে ক্রিকেট ষষ্ঠতম রান ব্যবধানের জয়।
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার এটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরেছিল ২৪৩ রানে। এবার সেটি ছাড়িয়ে নতুন হারের রেকর্ড গড়ল প্রোটিয়ারা।
সিরিজ আগেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে হারানোর তেমন কিছু ছিল না। যদি পাওয়ার কিছু থাকে, সেটি ধবলধোলাই এড়ানো। এই ম্যাচকে আজ ব্যর্থতার দায়মুক্তি হিসেবেই যেন বেছে নিলেন হেড-গ্রিনরা।
ম্যাকায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে; শেষ ওয়ানডেকে রীতিমতো রেকর্ড বন্যায় ভাসালেন। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার শীর্ষ তিন ব্যাটার দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির- ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শের পর ক্যামেরন গ্রিন। যার সৌজন্যে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ২ উইকেটে ৪৩১ রান।
আরও পড়ুন
প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের হেড কোচ গাঙ্গুলি |
![]() |
৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই উইকটে হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কের পৌঁছাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ২৬ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৪৯ রান করেন। অজি বোলারদের মধ্যে কুপার কনোলি ২২ রান দিয়ে ওয়ানডতে প্রথমবার শিকার করেছেন ৫ উইকেট।
তার আগে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ার সব ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটিতে হেড-মার্শ গড়েছেন ২৫০ রানের অসাধারণ এক জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকটে অস্ট্রেলিয়ার এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব দল মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০৩ বলে ১৪২ রান করেছেন হেড, মার্শের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৬ বলে ১০০ রান। আর শেষ দিকে তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ৫৫ বলে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন গ্রিন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির সংগ্রহ ৩৭ বলে ৫০ রান। অজিদের স্কোরে জমা হয় ৪৩১ রান।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করেছিল তারা। সেই ম্যাচটি অবশ্য অবিশ্বাস্যভাবে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জিতে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার সেরকম কিছু ঘটতে দেননি অজি বোলাররা। সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল প্রোটিয়ারা। একই ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ টোয়েন্টির দল প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএ টোয়েন্টির চতুর্থ আসরে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার জনাথন ট্রটের জায়গায় এই দায়িত্ব নেবেন গাঙ্গুলি।
এসএ টোয়েন্টিতে প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের যাত্রা এখন পর্যন্ত মিশ্র অভিজ্ঞতার। প্রথম মৌসুমে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থাকলেও ফাইনালে তারা হেরে যায় সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের কাছে। পরের দুই আসরে টানা পঞ্চম হয়ে প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়ে দলটি।
নতুন কোচকে ঘিরে তাই এবার ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যাশা অনেক।
আরও পড়ুন
টপ এন্ড সিরিজে চ্যাম্পিয়ন পার্থ |
![]() |
গাঙ্গুলির জন্য প্রধান কোচ হিসেবে এটিই প্রথম দায়িত্ব। এর আগে তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে আইপিএলে যুক্ত হলেও অল্পদিন পরই ছেড়ে দেন সেই দায়িত্ব।
পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করেন।
গত বছর গাঙ্গুলি যোগ দেন জেএসডব্লিউ স্পোর্টসের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে, যা প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকানার অংশীদার। নতুন ভূমিকায় তার প্রথম বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের নিলাম, যেখানে দল গড়ার কৌশলই নির্ধারণ করবে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ সাফল্য।
ঝড়ো সেঞ্চুরিতে পার্থ স্কর্চার্স একাডেমিকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন ব্যাক্সটার হল্ট। ম্যাকেঞ্জি হার্ভি ও হ্যারি মানেন্তির ঝড়ে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স একাডেমিও দিলো সমানে সমান জবাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না তারা। দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো পার্থ।
ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে ১৫ রানে জিতল পার্থ। ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে লড়াই করলেও ৬ উইকেটে ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি অ্যাডিলেড। তাই রানার্স-আপ হয়ে শেষ হয় তাদের যাত্রা।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে পার্থকে বড় পুঁজি এনে দেন হল্ট। চার নম্বরে নেমে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ বলে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন উইকেটকিপার-ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক টিগ উইলির ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৬ রান।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে রেকর্ড আর রেকর্ড |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রানে ২ উইকেট হারায় পার্থ। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি হল্ট ও উইলি। দুজন মিলে ৯৬ বলে ১৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। যেখানে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন চার নম্বরে নামা হল্ট।
পরে রান তাড়া করতে নেমে ঝড় তোলেন অ্যাডিলেইডের হার্ভি ও মানেন্তি। দশম ওভারে একশ পেরিয়ে যায় অ্যাডিলেইড। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৬০ রান করে আউট হন মানেন্তি। পরে অনেকটা একা হয়ে যান হার্ভি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৫২ বলে ৮৩ রান করেন ২৪ বছর বয়সী ওপেনার হার্ভি। চার নম্বরে নামা হ্যারি নিয়েলসেন ২৭ বলে করেন মাত্র ২৮ রান। যা অনেকটা পিছিয়ে দেয় অ্যাডিলেইডকে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
সিরিজ আগেই হেরে গেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে হারানোর তেমন কিছু ছিল না। যদি পাওয়ার কিছু থাকে, সেটি ধবলধোলাই এড়ানো। এই ম্যাচকে আজ ব্যর্থতার দায়মুক্তি হিসেবেই যেন বেছে নিলেন হেড-গ্রিনরা।
ম্যাকায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে; শেষ ওয়ানডেকে রীতিমতো রেকর্ড বন্যায় ভাসালেন। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার শীর্ষ তিন ব্যাটার দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির- ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শের পর ক্যামেরন গ্রিন।
ওপেনিং নেমে হেড-মার্শ গড়েছেন ২৫০ রানের অসাধারণ এক জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকটে অস্ট্রেলিয়ার এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব দল মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ২৫০ রানের জুটির সঙ্গে নাম লেখালেন হেড। বসলেন শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির পাশে। তাঁদের সামনে আছেন কেবল একজন, হেডের সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার। যিনি সর্বাধিক ৫টি আড়াই শ রানের ওপেনিং জুটি গড়ার রেকর্ড গড়েছিলেন।
আরও পড়ুন
ইউএস ওপেনেও আলকারাজ-সিনারের ধ্রুপদী দ্বৈরথ |
![]() |
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া করেছে ২ উইকেটে ৪৩১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে তাদের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তবে নিজেদের মাঠে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ রান অজিদের। অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি জোহানেসবার্গে, ২০০৬ সালে ৪ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৪৩৪ রান।
ক্যামেরন গ্রিন ৩ নম্বরে খেলতে নেমে হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা, যা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। দলীয়ভাবে ১৮টি ছক্কা মেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ৫০ ওভারের ম্যাচে চতুর্থ সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড তাদের। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ সালে ২০টি, ২০১৩ সালে ভারত ও ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯টি করে ছক্কা মেরেছিল তারা।
ইনিংস শেষে হেড বলেছেন,
'মার্শের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা দুর্দান্ত ছিল। গ্রিন অসাধারণ খেলেছে। আমরা শুরুর দিকে কিছুটা ধীর শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ভালো করতে পেরেছি।’ শেষ দিকে ৫৫ বলে ১১৮ রান করা গ্রিন যোগ করেন, ‘আমি ইনিংস শুরুতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম না, কিন্তু ওপেনাররা চমৎকার ব্যাটিং করেছে, যা ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রায় ২০ বছর আগে আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে যাত্রা শুরু করা ফতুল্লা ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখন পড়ে আছে রুগ্ন অবস্থায়। মূল মাঠ বা বাইরের মাঠ- কোনটিই খেলার উপযুক্ত নয়। ওই মাঠ ঘুরে দেখে তাই কান্না পাচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের।
২০০৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয় ফতুল্লার শহীদ রিয়া গোপ স্টেডিয়ামে (আগের খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়াম)। ওই বছরই ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্মরণীয় একটি টেস্ট ম্যাচও খেলে বাংলাদেশ।
এছাড়া ২০১৪ সালের এশিয়া কাপ, ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালসহ অনেক স্মরণীয় ম্যাচের সাক্ষী ফতুল্লা স্টেডিয়াম। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে খেলা অনুপযোগী অবস্থায় পড়ে আছে এই মাঠ।
২০১৬ সালের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি ফতুল্লায়। প্রায় দুই বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলাও হচ্ছে না সেখানে। অবশ্য হওয়ার কোনো অবস্থাও নেই। বছরের বেশিরভাগ সময় পানির নিচে ডুবে থাকত দেখে, বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে ভেতরের ও বাইরের মাঠ।
আরও পড়ুন
এবার ৪৯ রানে অলআউট নিগার-ফাহিমারা |
![]() |
ফলে এখন গ্যালারিরও অনেকটা চলে গেছে বালুর নিচে। তাই মাঠের পাশাপাশি গ্যালারিও তৈরি করতে হবে নতুন করে। কিন্তু খুবই ধীরগতিতে চলছে এই সংস্কারকাজ। কবে নাগাদ শেষ হবে কাজ আর কবে আবার শুরু হবে ওই মাঠে খেলা, তা বলতে পারে না কেউই।
এর মধ্যেই রোববার ফতুল্লা স্টেডিয়াম ও নারায়ণগঞ্জের ক্রিকেটের হালচাল দেখতে যান বুলবুল। সেখানে ফতুল্লা স্টেডিয়াম ঘুরে কষ্ট পাওয়ার কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।
“ফতুল্লা মাঠটা দেখে এলাম। আমার খুব... আমার খুব কান্না পাচ্ছিল। এই মাঠে শাহরিয়ার নাফীস সেঞ্চুরি করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল হয়েছিল। এশিয়া কাপের খেলা হয়েছিল। সেই মাঠটার অবস্থা অত্যন্ত করুণ।”
এসময় ফতুল্লার মাঠের সংস্কার কাজে গতি আনার আশ্বাসও দেন বিসিবি সভাপতি।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে