২৪ আগস্ট ২০২৫, ১০:৪৭ এম
বড় আশা নিয়ে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ 'এ' দল। ডারউইনে ১১ দলের টুর্নামেন্টে মাত্র ২ জয়ে নবম হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে অবশ্য আলো ছড়িয়েছেন জিসান আলম, রকিবুল হাসান। আর কেউ তেমন সামর্থ্যের ছাপ রাখতে পারেননি।
মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ 'এ' দলের টপ এন্ড সিরিজ। ছয় ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছে মাত্র দুটি- নেপাল ও নর্দার্ন টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন
চমক রেখে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল বাংলাদেশের |
![]() |
শেষ ম্যাচটি হারলেও ৩৮ বলে ৫০ রান করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন জিসান। ৫ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন ২০ বছর বয়সী ওপেনার। শেষ ম্যাচের মতো আসর জুড়েই তিনি ছিলেন সফল। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় তিনি করেন ৪৬ বলে ৭৩ রান।
আরও দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৬ ইনিংসে ৩৪.৬৬ গড়ে তার সংগ্রহ দলের সর্বোচ্চ ২০৮ রান। প্রতিকূল কন্ডিশনেরও স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৬৬ আর ১৯ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৮টি ছক্কা।
দলের আর কেউ ২০০ রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮৬ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬ ইনিংসের ৪টিতে অপরাজিত থাকায় তার গড় ৯৩.০০ আর স্ট্রাইক রেট ১২৯.১৬।
এর বাইরে একশর বেশি রান করতে পেরেছেন শুধু নুরুল হাসান সোহান (১১৫) ও সাইফ হাসান (১৩২)। দুজনই ডাক পেয়েছেন এশিয়া কাপের দলে। কিন্তু দুজনের কেউই সে অর্থে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে পারেননি এই টুর্নামেন্টে।
হতাশ করেছেন সবশেষ বিপিএলে আগ্রাসী ব্যাটিং করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৩ ইনিংসে ১৯ রান) ও ওই বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৬ ইনিংসে ৯৪ রান)। ইয়াসির আলি রাব্বি ৩ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৭৬ গড়ে করেছেন ৭৬ রান, স্ট্রাইক রেট ১৬৮.৮৮!
আরও পড়ুন
‘আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু নাঈম পারেননি’ |
![]() |
বল হাতে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল। আসরের ৬ ম্যাচে ঘূর্ণি জাদুতে তার শিকার ১০ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন মাত্র ৬.৭০ রান এবং একেকটি উইকেটের জন্য তার দিতে হয়েছে ১৬.১০ রান।
অভিজ্ঞ পেসার হাসান মাহমুদ ৫ ইনিংসে পেয়েছেন ৮ উইকেট। তার ওভারপ্রতি খরচ ৭.০৯ রান। এই দুজনের বাইরে আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি। তোফায়েল আহমেদ, রিপন মন্ডল, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি, মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
৫০০ উইকেট থেকে মাত্র ২ শিকার দূরে বসে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পর্যাপ্ত বোলিং না পাওয়ায় প্রথম পাঁচ ম্যাচে ক্লাবে ঢুকতে পারেননি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। ষষ্ঠ ম্যাচে চমৎকার বোলিংয়ে ইতিহাসগড়া মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। পরে জানালেন, কঠোর পরিশ্রমের পর এই অর্জনে খুব খুশি তিনি।
সেইন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে ২ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৫০০ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। পরে আরও ২ শিকার ধরে তার উইকেটসংখ্যা এখন ৫০২।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বিশ্বের প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব। আর বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাটে তিনি পূরণ করেছেন ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের অনন্য এক 'ডাবল'।
এত সব অর্জনের পর ইনিংস বিরতিতে ব্রডকাস্টারে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান সাকিব।
“(এই অর্জনের পেছনে) অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম। মাইলফলক ছুঁতে পেরে আমি খুব খুশি। অনেক লম্বা ক্যারিয়ার... যা অর্জন করতে পেরেছি, আমি খুশি।”
আসরের প্রথম পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে চার ইনিংসে মাত্র ৫ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান সাকিব। যেখানে নিতে পারেন শুধু ১ উইকেট। তাই ক্রমেই বাড়তে থাকে ৫০০ উইকেটের অপেক্ষা।
সেইন্ট কিটসের বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সাকিব বললেন, দলের জন্য অবদান রাখার জন্য সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন তিনি।
“(গত কয়েক ম্যাচে) আমি বেশি বোলিং করছিলাম না। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি খুব বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় কিছুটা নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। কারণ সাধারণত আমি আরও বেশি বোলিং করি।”
“তবে এটা পুরোটা দলের জন্য। যখনই আমার সুযোগ আসবে, অবদান রাখার চেষ্টা করব। এটাই আমার সবসময়ের লক্ষ্য ছিল। এখনও তা-ই আছে।”
সাকিবের সঙ্গে ক্যারিবিয়ানে আছে তার পরিবারের সদস্যরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতই স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার মতে, পরিবার কাছে থাকলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।
“পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তবে তিন সন্তান নিয়ে... তাদের স্কুলের কারণে কঠিন হয়ে গেছে। তাদের এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই এখানে এসে থাকতে পারছে। তো এটি ভালো ব্যাপার। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন পরিবার পাশে থাকলে অনেক স্বস্তি কাজ করে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এবার সিরিজ জিতেও সন্তুষ্ট নন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনি মনে করেন, দল এখনও কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছায়নি। এটি অবশ্য নিজেদের মাঠে ২০২৭ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রসঙ্গে বলেছেন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হতাশা প্রকাশ করে বাভুমা বলেন,
'সিরিজ জিতলেও, আমরা সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। যখন আমরা সত্যিকারের শতভাগ খেলতে পারব, তখন সেটা দেখতে কেমন হবে, এটা নিশ্চয়ই একটা রোমাঞ্চকর বিষয়।'
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলেও শেষ ওয়ানডেতে ২৭৬ রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হার তাদের।
রেকর্ড হারের ব্যাপারে বাভুমা জানিয়েছেন রানের চাপের কথা। প্রোটিয়া অধিনায়ক বললেন,
'আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এত বড় রান তাড়া করতে নেমে চাপেরমুখে আমরা কোনো সমাধান খুঁজে বের করতে পারিনি। এটা শেখার জায়গা, শুধু তারুণ্যের জন্য নয়, সিনিয়র ব্যাটারদের জন্যও। প্রতিদিন ৪৩২ রান তাড়া করার পরিস্থিতি আসে না। তাই কীভাবে সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়, সেটার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে।'
বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রত্যাশিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছায়নি বললেন বাভুমা,
'দলে নতুন মুখ দেখছেন, এটা আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ। আমরা খেলোয়াড়দের বোঝার চেষ্টা করছি দলে তারা কোন ভূমিকায় মানানসই। আমাদের হাতে সময় আছে। এখনো দুই বছর বাকি, আর আমরা অবশ্যই সেই জায়গায় পৌঁছাইনি যেখানে দল হিসেবে যেতে চাই।'
তবে অস্ট্রেলিয়া সফরে দারুণ ছন্দে ছিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। দল হারলেও শেষ ওয়ানডেতে ছোটখাটো তাণ্ডব চালান তিনি। ব্রেভিসের প্রশংসা তাই বাভুমার কণ্ঠে,
'ওকে খেলতে দেখা সত্যিই ভালো অনুভূতি দেয়। সে কিছুতেই বিচলিত হয় না। আউট হওয়ার পরও তার প্রতিক্রিয়া দেখাটা মজার,তার কাছে ব্যাপারটা কেবল বলটা আরও জোরে মারা উচিত ছিল। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা হয়তো ভেবে দেখবে, শটটা নেওয়া ঠিক ছিলো কি না। তবে তার ভেতরে আছে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। খেলতে খেলতে সে আরো পরিণত হবে, বিশেষ করে লম্বা সংস্করণে। আপাতত সে আমাদের এবং দর্শকদের জন্য বিনোদন।'
ওভারের তৃতীয় বলেই সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু লং অনে ঠিকঠাক ক্যাচ নিতে পারেননি জেডেন সিলস। তবে অপেক্ষা বেশি লম্বা করলেন না সাকিব। ওভারের শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৫০০ উইকেটের কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে গেলেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে রোববার রাতে সেইন্ট কিটস ও নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ আউট করেন সাকিব। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি সাকিবের ৫০০তম উইকেট।
বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম বাঁহাতি বোলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন সাকিব। তার আগে ৫০০ উইকেট পাওয়া সবাই ডানহাতি বোলার। তারা হলেন- রশিদ খান (৬৬০), ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১), সুনিল নারাইন (৫৯০), ইমরান তাহির (৫৫৪)।
এছাড়াও ব্যাট হাতে সাকিবের নামের পাশে আছে ৭ হাজার ৫৪৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের 'ডাবল' স্পর্শ করা বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটারও বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
নেপালকে উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ |
![]() |
৫০০ উইকেট নেওয়ার পথে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সমান ১৪৯টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এছাড়া আইপিএলে ৬৩, সিপিএলে ৪০ ও ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি ব্লাস্টে তার আছে ২৮টি উইকেট।
৪৫৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ম্যাচে ৫ বার ৫ উইকেট ও ১২ বার ৪ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। এই ফরম্যাটে তার চেয়ে বেশি ৫ উইকেট আছে শুধু সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা ও বর্তমান নামিবিয়ান পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসার (৭ বার)।
সিপিএলের ২০১৩ সালের আসরে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর বিপক্ষে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৬ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। সেটিই এখন পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
সেইন্ট কিটসের বিপক্ষে ম্যাচের ১৫তম ওভারে আক্রমণে আনা হয় সাকিবকে। তৃতীয় বল লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারেন রিজওয়ান। অনেকটা দৌড়ে ক্যাচ নিলেও, ভারসাম্য হারিয়ে সীমানায় পা দিয়ে বসেন সিলস। তাই অপেক্ষা বাড়ে সাকিবের।
ওই ওভারেই শেষ বলে চমৎকার ডেলিভারিতে ফিরতি ক্যাচ নেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পূর্ণ হয় তার ক্যারিয়ারের ৫০০ উইকেট।
নিজের পরের ওভারে সাকিব নেন আরও ২ উইকেট। এবার দ্বিতীয় বলে তার শিকার কাইল মায়ার্স আর পঞ্চম বলে আউট হন নাভিন বিদাইস। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে সাকিবের শিকার ২ উইকেট।
দেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় মাঠ-উইকেট, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা এক বড় বাধা। আজ ফতুল্লা স্টেডিয়াম ও নারায়ণগঞ্জের ক্রিকেটের হালচাল দেখতে গিয়ে বেশ কষ্টই যেন পেলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অকপটেই বললেন,
‘ফতুল্লা মাঠটা দেখে এলাম। আমার খুব... আমার খুব কান্না পাচ্ছিল।’
নারায়ণগঞ্জের উদীয়মান ক্রিকেটার জিসান আলমরে প্রসঙ্গ টেনে বুলবুল বললেন,
‘গতকালকে আপনাদের নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান আলম একটা ফিফটি করেছে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে। আর আজকে দেখলাম জিসান যেখানে অনুশীলন করে, এটা আমি মেলাতে পারছি না। সে ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ডে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিফটি করছে আর তার অনুশীলনের ব্যবস্থা এখানে কী!’
উইকেট নেই পর্যাপ্ত। তবু জিসান আলম-রনি তালুকদারদের মতো ক্রিকেট উঠে আসাকে ভাগ্যের ব্যাপার বললেন বুলবুল,
‘জাহাঙ্গীর (কোচ) খুব গর্ব করছিল, আমার এখানে ৩টা উইকেট আছে। যখন একজন জেলার কোচ ৩টা উইকেটে খুশি হয়ে যায় এবং সেখান থেকে জিসান আলম বা রনি তালুকদারের মতো ক্রিকেটার উঠে আসে, এটা বলব অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে ৩টা কেন, ৩০টা উইকেট থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন
ভারতকে মিনতি করার দিন শেষ, বলছেন পিসিবি প্রধান |
![]() |
ফতুল্লায় ১৫-২০টি উইকেট বানাতে চান বুলবুল। বিসিবি সভাপতি বলেন,
‘আমি কথা দিচ্ছি... আমার সঙ্গে বিসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (নাজমুল আবেদিন ফাহিম) আছেন, আমরা প্রথম অনুশীলন সুবিধা বাড়ানোর কাজ করব। এখানে ৩টা উইকেট কেন থাকবে। অন্তত ১৫-২০টা উইকেট থাকা উচিত। সেই চেষ্টা আমরা করব।’
সেখানে হাই পারফরম্যান্স সেন্টার খোলা সম্ভব বলেও উল্লেখ করলনে বুলবুল,
‘এখানে যদি আমরা ইনডোর করতে পারি...। জেলা প্রশাসক এখানে আছেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদ ভাই আছেন, ফাহিম ভাই আছেন। আমরা যদি একটা ছোটখাটো কম খরচের ইনডোর করতে পারি এবং আউটডোর সুবিধা বাড়াতে পারি, তাহলে খুব অনায়াসে এখানে একটা হাই পারফরম্যান্স সেন্টার করা সম্ভব। এই ৪টা প্রতিশ্রুতি- ফ্যাসিলিটি, গ্রাউন্ড, কোচ ডেভেলপমেন্ট ও হাই পারফরম্যান্স সেন্টার, এই ৪টা কাজ আমরা ইনশাআল্লাহ্ শুরু করব।’
সপ্তাহও হয়নি নির্দেশনা জারি করে পাকিস্তানের বিপক্ষে সব দ্বিপাক্ষিক ক্রীড়া সম্পর্ক স্থগিত করেছে ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সে নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দেখা হবে ভারত-পাকিস্তানের।
ভারতের এমন নীতির পর এবার নীরবতা ভাঙলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তোপ দাগলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য মিনতি করার দিন শেষ। তাদের সঙ্গে যেকোনো খেলাধুলার সম্পর্ক সংক্রান্ত আলোচনা হলে, তা শুধু সমতার ভিত্তিতেই হবে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে হবে উল্লেখ করে নাকভি বলেন,
'পাকিস্তান আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যখনই আলোচনা হবে, তা সমান অবস্থান থেকে হবে। যা হবে, তা সমতার ভিত্তিতেই হবে।'
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ম্যাচে দেখা হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ভারত-পাকিস্তানের। সমর্থকদের সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাকভি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলোয়াড়দের সমালোচনা করলে দলের মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এশিয়া কাপের দল নির্বাচনে নিজের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি নাকভির,
'দল নির্বাচনে আমার কোনো ভূমিকা নেই। নির্বাচক কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনা ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে দল চূড়ান্ত করা হয়েছে। দল নির্বাচন হবে শুধুমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতে। নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছি যাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায় এবং সেরা খেলোয়াড়েরা শীর্ষে ওঠে।'
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে