অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান ও স্টাইলিশ ব্যাটার হিসেবেই বিবেচনা করা হয় তাকে। অবসর নেওয়ার এক দশক পর সেই মাইকেল ক্লার্ক পেয়েছেন দারুনে এক সম্মান। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার এই সম্মান গ্রহণ করেন ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে তিনি ৬৪তম খেলোয়াড়। এই মৌসুমে তালিকায় যুক্ত হবেন আরও দুজন।
ক্লার্কের ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়, যেখানে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। তবে ডানহাতি এই ব্যাটার বেশি আলো ছড়িয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটেই। ১১৫ ম্যাচে করেছেন ৮ হাজার ৬৪৩ রান, যা যা তাকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানস্কোরারদের তালিকায় রেখেছে ছয় নম্বর স্থানে।
আরও পড়ুন
হল অব ফেমে জায়গা করে নিলেন মাইকেল ক্লার্ক |
মাত্র ১৭ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার ক্লার্ল ওয়ানডেতেও একেবারেই মন্দ ছিলেন না। ৭ হাজার ৯৮১ রানের মাধ্যমে তিনি অজিদের এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রানস্কোরারদের তালিকায় আছেন চতুর্থ স্থানে।
২০০৪ সালে ভারত সফরে টেস্ট অভিষেকেই হইচই ফেলে দেন ক্লার্ক। ১৫১ রান করে হন ম্যাচ সেরা। এই ভারতের বিপক্ষে ২০১১-১২ মৌসুমে তার ব্যাট থেকে আসে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩২৯ রান। ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার হিসেবে সেবার টেস্ট ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন ক্লার্ক।
টেস্ট অধিনায়ক্ত্ব পান ২০১১ সালে, স্থলাভিষিক্ত হন আরেক অস্ট্রেলিয়া গ্রেট রিকি পন্টিংয়ের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩-১৪ মৌসুমে অ্যাশেজে হোয়াইটওয়াশের নেতৃত্বে দেন ক্লার্ক। অবসরও নেন ইংলিশদের কাছে হেরেই, ২০১৫ সালে।
আরও পড়ুন
বায়ার্ন সেরা ক্লাবের কাতারে নেই, মানছেন কিমিখও |
অধিনায়ক তো বটেই, ব্যাটার হিসেবেই ক্লার্ককে বিবেচনা করা হত সময়ের অন্যতম সেরা হিসেবে। নিজের দিনে প্রতিপক্ষের সেরা সব বোলারদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার বেশ কিছু কীর্তি আছে তার। এমনকি কাঁধে চোট নিয়েও সেঞ্চুরি করে নিজের ব্যাটসম্যানশিপের ছাপ রেখেছেন।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০১ পিএম
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২১ পিএম
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:০৮ পিএম
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫:৫০ পিএম
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আগেই জেমস নিশাম জানান দিয়েছিলেন, আসছেন বাংলাদেশে। তবে সেটা কোন দলে, তা জানা গেল ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের প্রথম কোয়ালিফায়ারের পর। ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া বরিশালে হয়ে শিরোপার লড়াইয়ে অংশ নেবেন এই কিউই অলরাউন্ডার।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার বিপিএল খেলতে আসছেন নিশাম। গতবার ছিলেন রংপুর রাইডার্স দলে। ব্যাটে ও বলে উপহার দিয়েছিলেন স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স। ৭ ম্যাচে প্রায় ১৬৮ স্ট্রাইক রেটে করেন ২৯১ রান। আর উইকেট নেন চারটি। এবার তিনি মাতাবেন বরিশালের জার্সি।
মঙ্গলবার বরিশাল স্কোয়াডে যোগ দেবেন নিশাম। তার আগমনে আগে থেকেই শক্তিশালী বরিশালের শক্তিমত্তা বেড়ে গেল আরও। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চার বিদেশী হিসেবে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে কাইল মায়ার্স ও মোহাম্মদ আলি বল হাতে উজ্জ্বল। দাভিদ মালান আছেন দারুণ ছন্দে। জেমস ফুলারকে বেঞ্চে রেখে এই ম্যাচ খেলানো হয় আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিকে।
ফলে ফাইনালে বরিশালের চার বিদেশী কে কে হবেন, তা নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দলটিকে। তবে ফাইনালের জন্যই আসায় নিশামের খেলাটা একরকম নিশ্চিতই বলা যায়।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে বরিশালের প্রতিপক্ষ হবে চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল।
দুই দলের শেষ দেখায় শেষ হাসিটা ছিল চিটাগং কিংসের। তবে এবার আগে ব্যাটিং করলেও দলটি পারল না দেড়শ করতেও। মোহাম্মাদ আলির ফাইফার সামলে একাই লড়লেন শামিম হোসেন। তাতে একটা ফাইটিং স্কোর তার দল পেল বটে, তবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালকে তা পারল না সামান্য চ্যালেঞ্জ জানাতে। ম্যাচ জেতানো ফিফটিতে তাওহীদ হৃদয় দলকে এনে দিলেন দাপুটে জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশাল জিতেছে ৯ উইকেটে। কুড়ি ওভারে চিটাগংয়ের স্কোর ছিল ৯ উইকেটে ১৪৯। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশাল এই রান পাড়ি দিয়েছে ১৬ বল হাতে রেখেই।
ফাইনালে যাওয়ার জন্য আরেকটা সুযোগ পাবে চিটাগং। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগামী বুধবার তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। সোমবার প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে দলটি ৯ উইকেটে হারায় রংপুর রাইডার্সকে।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা চিটাগংয়ের ইনিংসকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতেই পারে। যেখানে এক অংশে থাকবেন শামিম হোসেন, আর অন্য অংশে দলটির বাকি ব্যাটাররা। ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করে খাওয়াজা নাফায়কে পরের বলে রীতিমতো স্তব্ধ করে দেন কাইল মায়ার্স। অফস্ট্যাম্পের বেশ বাইরে পিচ করা ডেলিভারিটি ইনসুইং করে শেষ পর্যন্ত বোল্ড করে দেয় নাফায়কে। ব্যাটারের বিস্ময় বলে দিচ্ছিল, কতোটা ‘আনপ্লেয়বল’ ছিল ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের সেই ডেলিভারিটি।
গ্রাহাম ক্লার্কও রানের খাতা খোলেন চার মেরে। তবে তাকেও ফেরান সেই মায়ার্সই। দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে যায় চিটাগং। একপ্রান্ত আগলে পারভেজ হোসেন ইমন ব্যাট করলেও ব্যাটে ছিল না আগ্রাসনের সুর। ক্রিজে গিয়ে ঠিক সেই কাজটাই করেন শামিম, ইবাদত হোসেনকে মারেন দুটি চার।
তিনি ছন্দময় ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও সেভাবে তাল মেলাতে সংগ্রাম করতে হচ্ছিল ইমনকে। ২৬ বলে ২০ রানে থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ নবিকে দুই ছক্কা মেরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কিছুটা। অতি আগ্রাসী হয়ে রিশাদ হোসেনের বলে তাকে ক্যাচ দিয়ে ইমনের ১০০ স্ট্রাইক রেটে করা ৩৬ রানেদ ইনিংসের।
তবে আপন ছন্দে ব্যাট করা শামিম মাত্র ২৯ বলে পা রাখেন পঞ্চাশে। রিশাদের পর ইবাদতের ওভারেও তার ব্যাট থেকে আসে একটি করে চার ও ছয়ের মার। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে দলের প্রায় অর্ধেক রানই করেন শামিম। ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংস সাজান ৯ চার ও ৪ ছক্কায়।
ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট সহ ওভারে চার উইকেট নেন আলি। উপহার দেন ২৪ রানে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত এক বোলি ফিগার।
রান তাড়ায় বরিশাল শুরু থেকেই ছিল লক্ষ্যের পথে স্থির। পাওয়ার প্লেতে কেবল বাজে বল পেলেই আগ্রাসী শটের চেষ্টা করেছেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়। আলিস আল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামের করা দুটি ওভারে আসে দুটি করে বাউন্ডারি। তাতে ছয় ওভারে হয়ে যায় ৪০ রান।
৫৫ রানের ওপেনিং জুটির অবসান ঘটান খালেদ আহমেদ। আসরে বেশ ভালো বোলিং করা এই ডানহাতি এই পেসার তামিমকে থামান ২৯ রানে। তবে বল ও রানের ব্যবধান চেপে বসার আগেই ক্রিজে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন দাভিদ মালান।
মালান তার স্বভাবসুলভ আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও অন্যপ্রান্তে তাওহীদকে অনেকটা সময় স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে ৩৫ বলে মাত্র ৩৫ একই সময়ে মাত্র ১১ বলেই ২২ রান করে ফেলেন মালান, ফলে তাওহীদের ওপর চাপটা সেভাবে বাড়েনি।
আর সেটাই তিনি কাজে লাগান বাকি ইনিংস জুড়ে। ৪৫ বলে পঞ্চাশ করার পর তাওহীদ ম্যাচ দ্রুত শেষ করার দিকেই মনোযোগী হন। মালানকে দর্শক বানিয়ে একাই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। শামিমকে চার মেরে জয়সূচক রানটা আসে জাতীয় দলেই এই ব্যাটারের কাছ থেকেই।
তাওহীদ অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে। ৫৬ বলের ইনিংস সাজান ৯টি চার ও দুই ছক্কায়। আর আগের ম্যাচে ফিফটি করা মালানের অবদান ২২ বলে ৩৪।
জাতীয় দলের বাইরে থাকায় রংপুর রাইডার্সের সাথে চুক্তি ছিল পুরো বিপিএলের জন্যই। সেই মঞ্চে ব্যাটে বা বলে খুশদিল শাহ এতোটাই দ্যুতি ছড়ান যে, তাতে পাকিস্তান জাতীয় দলে পেয়ে যান ডাক। তাতে রংপুরকে বিপাকে ফেলে দেশে ফিরে যান টুর্নামেন্টের মাজপথে। এত গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়ের শূন্যস্থান কেউই আর পূরণ করতে পারেননি। পাঁচ ম্যাচ হেরে আসর থেকে বিদায়ের পর রংপুরের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুলের আক্ষেপ, খুশদিলের জায়গাটা কেউই নিতে পারেননি আর।
খুশদিল রংপুর দলের সাথে ছিলেন গ্লোবাল সুপার লিগ থেকেই। সেখানে দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তার ছিল বড় অবদান। এরপর বিপিএলেও বজায় রাখেন সেই ধারা ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে ২৯৮ রানের পাশাপাশি ওভার প্রতি মাত্র ৬.০৩ রান দিয়ে নেন ১৭ উইকেট। তবে প্লে-অফের আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় রংপুর ছেড়ে যেতে হয় তাকে। এলিমিনেটর ম্যাচে তিন নতুন বিদেশী তারকা এনেও হেরে যাওয়ায় রংপুর আরও বেশি অনুভব করছে খুশদিলের অভাব।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলও স্বীকার করলেন, খুশদিলের চলে যাওয়াটা তাদের ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছে। “আমার কাছে মনে হয় খুশদিল শাহর চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য বড় একটা ধাক্কা হয়ে এসেছে। গায়ানা (জিএসএল) থেকে ও এখানেও যেভাবে খেলেছে, সে চলে যাওয়ার পর ওই জায়গাটা কেউই নিতে পারেনি। আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়রা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে খেলতে পারেননি। শুরুর দিকে তারা যেভাবে পারফর্ম করেছেন, শেষ পাঁচটা ম্যাচে আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের কেউই কিন্তু সেভাবে ভালো করতে পারেননি।”
জিএসএল সহ টানা ১১ ম্যাচ জিতেছিল রংপুর। এরপর মাঝে ছয়দিনের একটা বিরতির সময় দলটি প্রথম ম্যাচে হেরে বসে দুর্বার রাজশাহীর কাছে। সেই থেকে ক্রমেই নিম্নমুখী হতে থাকে দলটির পারফরম্যান্স। এক পর্যায়ে অপরাজেয় হয়ে যাওয়া দলটি কোনোভাবেই আর নিজেদের ফিরে পায়নি। এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনার কাছে মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে হারতে হয়েছে ৯ উইকেটে।
এভাবে বিদায় নেওয়াটা আশরাফুলের কাছেও একরাশ হতাশার। “অবশ্যই এটা হতাশার। আমরা যেভাবে খেলছিলাম, গ্লোবাল সুপার লিগে টানা তিন ম্যাচে জিতে চ্যাম্পিয়ন হলাম, এরপর এখানে মিলিয়ে টানা ১১ ম্যাচ জিতলাম আমরা। ২৩ তারিখের পর রাজশাহীর সাথে যেভাবে হারলাম, এরপর টানা পাঁচ (চার) ম্যাচ হেরে গেলাম। এটা আসলে সবার জন্যই হতাশাজনক, আমাদের, রংপুর সমর্থক সবার জন্যই। এটা কেউ আশা করেনি। কিন্তু এটাই আসলে ক্রিকেট। একবার যখন মোমেন্টাম হারাবেন, এরপর সেটা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন। ১২০ বলের খেলায় একবার মোমেন্টাম হারালে ফেরাটা কঠিন। যদি দেখেন, ২৩ তারিখের পর থেকে আমরা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে পারিনি। ওই ম্যাচেও আমরা পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারিনি, শেষে আজকেও আমরা পাওয়ার প্লেতে ভালো করিনি। এটা সবার জন্যই তাই হতাশার।”
খুলনার বিপক্ষে ম্যাচের দিন সকালে রংপুর দলে যোগ দেন তিন তারকা ক্রিকেটার টিম ডেভিড, আন্দ্রে রাসেল ও জেমস ভিন্স। সময় স্বল্পতার কারণে দলের সাথে টিম হোটেল থেকে মাঠেও আসতে পারেননি তারা। আগের দিন রাতে দুবাইয়ে আইএলটি২০ এর ম্যাচ খেলার ক্লান্তি ঝেরে মাঠে নামলেও, কেউই পারেননি আলো ছড়াতে। করতে পারেন মাত্র ১২ রান।
আশরাফুল অবশ্য মনে করেন, ভ্রমণ ক্লান্তির জন্য তাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি,ম এমনটা নয়। “দেখেন, রংপুর রাইডার্স ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেছেন বড় নাম আনার জন্য। আমার মনে হয় না, যেহেতু আমিও খেলেছি, তাই তাদের জন্য এটা সমস্যা হওয়ার কথা না। তাছাড়া আবহাওয়ায় প্রায় একই, দুবাই আর এখানে। হয়ত তাড়া গতকাল রাতে খেলে এসেছেন এখানে, এটা একটা সমস্যা হতে পারে। তবে যেহেতু তারা পেশাদার ক্রিকেটার, তাই আমার মনে হয় না এই জায়গায় একটা সমস্যা হতে পারে। আমাদের আসলে শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে ওই রান আউটের পর যেভাবে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল, আমরা সেই শুরুটা আর পাইনি।”
এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম আট ম্যাচে যখন উড়ছিল রংপুর রাইডার্স, সেখানে বিদেশীদের সাথে স্থানীয় ক্রিকেটাররাও রাখছিলেন সমান অবদান। তবে টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে এসে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেড় কেউই সেভাবে পারেননি ছন্দ বজায় রাখতে। এলিমিনেটর সহ টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে তাই আসর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দলটিকে। অমন একটা শুরুর পর এভাবে দল ভেঙে পড়ায় হতাশ ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি মনে করেন, দেশী ক্রিকেটাররা বড় হৃদয় নিয়ে খেলতে পারেননি।
প্লে-অফের এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত রংপুরের বিদেশীরা ভালোই করেছেন। এর মধ্যে খুশদিল শাহ ছিলেন ব্যাটে-বলে অনন্য। তবে টানা ৮ ম্যাচ জয় সম্ভব হয়েছিল সাইফ হাসানের দারুণ ফর্ম, নুরুল হাসান সোহানের দারুণ কিছু ইনিংস বা মাহেদি হাসানের বল হাতে কার্যকর অবদানে। তবে দলটির শেষ পাঁচ ম্যাচে এই তিনজন সহ অন্যরাও ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে চাপের মুখে কেউও পারেননি ত্রাতা হতে।
সংবাদ সম্মেলনে এসে আশরাফুলের কণ্ঠে তাই আক্ষেপ ঝড়ল দেশী খেলোয়াড়দের কাছে থেকে যথেষ্ট পারফরম্যান্স না পাওয়ায়। “আমার কাছে যেটা মনে হয় শেষ পাঁচ ম্যাচে, আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের আরও বড় হৃদয় নিয়ে খেলতে হবে। এই ধরণের টুর্নামেন্ট বা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট যদি আপনাকে জিততে হয়, তাহলে এর বিকল্প নেই। দেখেন, আমরা জিএসএল যে জিতেছি, এর কারণ কিন্তু খুশদিল শাহয়ের ওই আগ্রাসী ব্যাটিংটা। আমরা ১১৩ রানের মত করেছিলাম, তার মধ্যে ও একাই পঞ্চাশ করেছিল ৩০ বলে। আমরা ভেবেছিলাম এমন একজনকে আমরা পেয়ে যাব, উচিত ছিল। আমরা ভেবেছিলাম সাইফ হাসান বা শেখ মাহেদিরা সেই জায়গাটা নেবে, একটা ইনিংস খেলবে ১০ বলে ২০ রান বা ২০ বলে ৪০ রানের। ওই জিনিসটাই আমাদের মিসিং ছিল।”
খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে অবশ্য শুধু স্থানীয়রাই নন, এক আকিফ জাভেদ বাদে জ্বলে উঠতে পারেননি রংপুরের তিন নতুন বিদেশী ক্রিকেটাররাও। সোমবার সকালেই ঢাকায় পা রেখে দুপুরে মাঠে নামেন আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড ও জেমস ভিন্সের মত টি-টোয়েন্টির পরীক্ষিত খেলোয়াড়রা। ৮৫ রানে অলআউট হয় রংপুর, যেখানে এই তিনজনের সম্মিলিত অবদান স্রেফ ১২ রান। নুরুল হাসান সোহান কিছুটা লড়লেও সেটা মোটেও যথেষ্ট হয়নি।
খুলনার তিন স্পিনার মিলে ৭ উইকেট নিয়েছেন বলেই যেন এই ব্যাটিং ধস নিয়ে আক্ষেপটা একটু বেশি আশরাফুলের। “আমার কাছে মনে হয় একজন সাবেক খেলোয়াড় বা কোচ হিসেবে, আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বিগ হার্ট নিয়ে খেলা উচিত ছিল। প্রথম ওভারেই একটা রান আউট হয়েছে, সেটা হতেই পারে। তবে এরপর আমরা যেভাবে ভেঙে পরলাম, সেটা দেখে আমার আসলে খারাপ লেগেছে। আরেকটি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। ওরা টানা স্পিন করিয়েছে, তাই আমরা আরেকটি ইতিবাচক হতে পারতাম। আমরা আক্রমণ করিনি বলেই কিন্তু প্রতিপক্ষ চেপে বসেছে।”
রংপুরের জন্য এদিন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনেই নেন তিনটি করে উইকেট। আর বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ শিকার করেন রাসেলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম আট ম্যাচে যখন উড়ছিল রংপুর রাইডার্স, সেখানে বিদেশীদের সাথে স্থানীয় ক্রিকেটাররাও রাখছিলেন সমান অবদান। তবে টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে এসে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেড় কেউই সেভাবে পারেননি ছন্দ বজায় রাখতে। এলিমিনেটর সহ টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে তাই আসর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দলটিকে। অমন একটা শুরুর পর এভাবে দল ভেঙে পড়ায় হতাশ ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। তিনি মনে করেন, দেশী ক্রিকেটাররা বড় হৃদয় নিয়ে খেলতে পারেননি।
প্লে-অফের এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত রংপুরের বিদেশীরা ভালোই করেছেন। এর মধ্যে খুশদিল শাহ ছিলেন ব্যাটে-বলে অনন্য। তবে টানা ৮ ম্যাচ জয় সম্ভব হয়েছিল সাইফ হাসানের দারুণ ফর্ম, নুরুল হাসান সোহানের দারুণ কিছু ইনিংস বা মাহেদি হাসানের বল হাতে কার্যকর অবদানে। তবে দলটির শেষ পাঁচ ম্যাচে এই তিনজন সহ অন্যরাও ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে চাপের মুখে কেউও পারেননি ত্রাতা হতে।
সংবাদ সম্মেলনে এসে আশরাফুলের কণ্ঠে তাই আক্ষেপ ঝড়ল দেশী খেলোয়াড়দের কাছে থেকে যথেষ্ট পারফরম্যান্স না পাওয়ায়।
“আমার কাছে যেতা মনে হয় শেষ পাঁচ ম্যাচে, আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের আরও বড় হৃদয় নিয়ে খেলতে হবে। এই ধরণের টুর্নামেন্ট বা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট যদি আপনাকে জিততে হয়, তাহলে এর বিকল্প নেই। দেখেন, আমরা জিএসএল যে জিতেছি, এর কারণ কিন্তু খুশদিল শাহয়ের ওই আগ্রাসী ব্যাটিংটা। আমরা ১১৩ রানের মত করেছিলাম, তার মধ্যে ও একাই পঞ্চাশ করেছিল ৩০ বলে। আমরা ভেবেছিলাম এমন একজনকে আমরা পেয়ে যাব, উচিত ছিল। আমরা ভেবেছিলাম সাইফ হাসান বা শেখ মাহেদিরা সেই জায়গাটা নেবে, একটা ইনিংস খেলবে ১০ বলে ২০ রান বা ২০ বলে ৪০ রানের। ওই জিনিসটাই আমাদের মিসিং ছিল।”
খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে অবশ্য শুধু স্থানীয়রাই নন, এক আকিফ জাভেদ বাদে জ্বলে উঠতে পারেননি রংপুরের তিন নতুন বিদেশী ক্রিকেটাররাও। সোমবার সকালেই ঢাকায় পা রেখে দুপুরে মাঠে নামেন আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড ও জেমস ভিন্সের মত টি-টোয়েন্টির পরীক্ষিত খেলোয়াড়রা। ৮৫ রানে অলআউট হয় রংপুর, যেখানে এই তিনজনের সম্মিলিত অবদান স্রেফ ১২ রান। নুরুল হাসান সোহান কিছুটা লড়লেও সেটা মোটেও যথেষ্ট হয়নি।
খুলনার তিন স্পিনার মিলে ৭ উইকেট নিয়েছেন বলেই যেন এই ব্যাটিং ধস নিয়ে আক্ষেপটা একটু বেশি আশরাফুলের।
“আমার কাছে মনে হয় একজন সাবেক খেলোয়াড় বা কোচ হিসেবে, আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বিগ হার্ট নিয়ে খেলা উচিত ছিল। প্রথম ওভারেই একটা রান আউট হয়েছে, সেটা হতেই পারে। তবে এরপর আমরা যেভাবে ভেঙে পরলাম, সেটা দেখে আমার আসলে খারাপ লেগেছে। আরেকটি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। ওরা টানা স্পিন করিয়েছে, তাই আমরা আরেকটি ইতিবাচক হতে পারতাম। আমরা আক্রমণ করিনি বলেই কিন্তু প্রতিপক্ষ চেপে বসেছে।”
রংপুরের জন্য এদিন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও ডানহাতি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনেই নেন তিনটি করে উইকেট। আর বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ শিকার করেন রাসেলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।