শেষবার কোনো প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল হেরেছিল কবে? উত্তর খুঁজতে কিছুটা বিপাকেই পড়ার কথা। গুগল বলছে শেষবার রিয়াল ফাইনালে হেরেছে ২০২৩ সালে। লস ব্লাঙ্কোদের হারার তেতো স্বাদটা দিয়েছিল এই বার্সেলোনাই। তাও সেই একই প্রতিযোগিতায়। ঠিক দুই বছর বাদে সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি করলো বার্সেলোনা। এবার অবশ্য জয়ের ব্যবধানে রয়েছে বড় ফারাক।
জেদ্দার কিংস আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে রিয়ালকে নিয়ে ছেলে খেলায় মেতেছিল বার্সেলোনা। মরুর বুকে তপ্ত গরমে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। তাতে কোচ হিসেবে বার্সেলোনার ডাগআউটে প্রথম শিরোপার দেখা পেয়েছেন এই জার্মান কোচ। স্প্যানিশ সুপার কাপে বার্সেলোনা ফিরে পেয়েছে তাদের হারানো মুকুট। রেকর্ড ১৫তম বারের মত শিরোপাটা ঘরে তুলেছে তারা।
ম্যাচটা রিয়ালের জন্য ছিল প্রতিশোধের মঞ্চ। শেষ এল ক্লাসিকোতে ঘরের মাঠে রিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনা। অবশ্য মাঠে দেখা মিলেছে উল্টো চিত্রের। প্রতিশোধের জায়গায় রিয়ালকে আরও এক দুঃস্বপ্নের রাতই উপহার দিয়েছে বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন
রিয়ালকে উড়িয়ে দেওয়া বার্সাকে নিয়ে গর্বিত ফ্লিক |
![]() |
যার দায়টা রিয়াল সমর্থকরা দিতে পারে জোড়া তালি দিয়ে চলা তাদের রক্ষণকে। লুকাস ভাসকেজ, চুয়েমেনি কিংবা রুডিগারদের একের পর এক ভুল রিয়ালকে বিপাকে ফেলেছে। বার্সেলোনার প্রেসিং আর হাই লাইন ডিফেন্সে আরও একবার খাবি খেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
তারকা নির্ভর রিয়ালকে প্রথমআর্ধেই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে তারুণ্য নির্ভর বার্সেলোনা। এমন চিত্র রিয়াল সমর্থকদের জন্য বেশ হৃদয়বিদারকই। বলের দখল কিংবা সুযোগ তৈরি সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল কাতালান ক্লাবটি।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। তবে চাপ সামলে ম্যাচের প্রথম গোলের দেখা পায় রিয়ালই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। গেল এল ক্লাসিকোতে দুইবার গোল করলেও অফ সাইডে বাতিল হয়েছিল এমবাপের গোল। তবে এদিন আর বার্সেলোনা ডিফেন্ডাররা আটকাতে পারেননি এমবাপেকে।
প্রতিআক্রমণ থেকে ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় রিয়ালকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। নিজেদের আর্ধ থেকে প্রায় একাই বার্সেলোনা ডিফেন্ডার খাবি খাইয়ে বল জালে জড়ান ফরাসি অধিনায়ক। এই একটা মুহূর্তই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা প্রথমআর্ধে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছিল। এরপরের গল্প পুরটাই বার্সেলোনার।
আরও পড়ুন
ফোরেন্তিনো পেরেজকে নকশীকাঁথা, জার্সি উপহার দিয়ে এলেন বাংলাদেশ সমর্থকেরা |
![]() |
যার শুরু ২২ মিনিটে লামিন ইয়ামালের হাত ধরে। এমবাপের করা চোখ ধাঁধানো গোলকে ভুলিয়ে দিতে ২০ মিনিটও সময় নেননি ১৭ বছর বয়সী এই তরুণ। রুডিগার, চুয়েমেনির মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দর্শক বানিয়ে কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে ডি বক্সের ভেতর থেকে আড়াআড়ি এক শটে বার্সাকে সমতায় ফেরান ইয়ামাল।
এই একটা গোল বদলে দেয় পুরো ম্যাচের চিত্র। এরপর রিয়ালকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মাতে বার্সেলোনা। ৩৬ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে গাভিকে ফাউল করে বসেন রিয়াল মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গা। ভিএআরের সাহয্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তিন মিনিটে বাদে বার্সেলোনা আবারও পায় গোলের দেখা। তিন নম্বর গোলটা আসে রাফিনিয়ার কাছ থেকে।
দুই রিয়াল ডিফেন্ডার লুকাস ভাস্কেজ ও চুয়েমেনির মাঝখানে বিরাট ফাঁকা জায়গা কাজে লাগাতে ভুল করেননি রাফিনিয়া। কুন্দের বাড়ানো বল থেকে জোরালো হেডে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ে আরও একবার গোলের দেখা মেলে বার্সেলোনার। এবার প্রতিআক্রমণে রাফিনিয়ার বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান বাড়ান বালদে। তাতে প্রথমআর্ধেই ম্যাচ হেলে পড়ে বার্সেলোনার দিকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও বার্সেলোনা শুরু করে একই তালে। বিরতি থেকে ফেরার তিন মিনিটের মাথায় মেলে গোলের দেখা। প্রতিআক্রমণ থেকে আরও একবার গোলের দেখা পান রাফিনিয়া। তবে ম্যাচ জমে উঠে ৫৭ মিনিটে সেজনির লাল কার্ডে। কিলিয়ান এমবাপেকে ডি বক্সের বাইরে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন বার্সা গোলকিপার। সেই ফাউল থেকে গোল করে রিয়ালের হয়ে ব্যবধান কমান রদ্রিগো।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস হয়ে বাঁচা সহজ নয় : আনচেলত্তি |
![]() |
দশ জনের বার্সেলোনা অবশ্য এরপর আক্রমণের ধারা কমায়। তাতে গতি কমে খেলারও। রিয়ালের সামনে ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকলেও বার্সেলোনার দারুণ ডিফেন্ডিংয়ে সেটা আর হয়ে উঠেনি। বদলি হিসেবে নামা ইনাকি পেনিয়ার দারুণ কিছু সেইভে রিয়ালও আর পারেনি গোলের ব্যবধান কমাতে। তাতে ৫-২ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
No posts available.
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ এম
লিভারপুলের ম্যাচের স্ক্রিপ্ট যেন সবার মুখস্ত। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত পিছিয়ে থাকা কিংবা সমতায় থাকবে অল রেডরা। এরপর শেষ বাঁশি বাজার আগে যোগ করা সময়ে গোল দিয়ে সমর্থকদের আনন্দে ভাসাবেন মোহাম্মদ সালাহরা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে এখন পর্যন্ত সবক’টি ম্যাচ ৮০ মিনিটের পরবর্তী গোলে জিতেছে লিভারপুল । এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই নাটকের পুনরাবৃত্তি করল তারা। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে আজ যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ভার্জিল ফল ডাইক হলেন নাটকের কেন্দ্রিয় চরিত্র। ডাচ এই ডিফেন্ডারের গোলেই ৩-২ ব্যবধানে দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছে লিভারপুল।
অবশ্য ঘরের মাঠ অ্যান ফিল্ডে লিভারপুলের জন্য ম্যাচটা অনেক সহজই হওয়ার কথা ছিল। অ্যান্ডি রবার্টসন ও সালাহর গোলে মাত্র ছয় মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৪ মিনিটে প্রথম গোলটি ভাগ্যক্রমে পেয়ে যায় লিভারপুল। সালারহ নেয়া নিচু ফ্রি কিক রবার্টসনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
লিভারপুলের দ্বিতীয় গোলটি ছিল নিখুঁত দক্ষতায়। ডান দিক থেকে গ্র্যাভেনবার্গ সঙ্গে পাস খেলে আতলেতিকোর বক্সে ঢুকে যান সালাহ। এরপর দারুণ ক্ষিপ্রতায় স্প্যানিশ ক্লাবটির রক্ষণ ভেদ করে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
৬ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সহজ এক জয়ই দেখছিল লিভারপুল। তবে হাল ছাড়েনি আক্রমনভাগের মধ্যমণি জুলিয়ান আলভারেজকে ছাড়া মাঠে নামা আতলেতিকো। বিরতির আগেই আর্নে স্লটের দলকে চাপে ফেলে দেয় সিমিওনের দল। প্রথামার্ধের যোগ করা সময়ের তিন মিনিটে ব্যবধান কমানো গোলও পেয়ে যায় সফরকারী দল। মার্কোস লরেন্তের নৈপণ্যে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। অ্যান ফিল্ডে এ নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে চারটি গোল করলেন এই স্প্যানিশ রাইট-ব্যাক।
লিভারপুলের জার্সিতে অভিষেক হওয়া আলেক্সান্ডার ইসাক এই ম্যাচে বলার মতো তেমন কিছুই করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে সুইডিশ এই ফরোয়ার্ডকে তুলে হুগো একিতিকেকে নামান স্লট।
নাটকীয় মূহূর্তের শুরুটা হয় ম্যাচের ৮১ মিনিটে। অ্যান ফিল্ডের গ্যালারি ভর্তি দর্শক সারিতে পিনপতন নিরবতা নেমে আসে যখন ২০ গজ দূর থেকে দারুণ ভলিতে ব্যবধান ২-০ করেন জোড়া গোল পূর্ণ করা লরেন্তে। তার শট আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
তবে ‘কামব্যাককে’ অভ্যাস বানিয়ে ফেলা লিভারপুল তো হার মানতে জানে না। শেষ মুহূর্তে দোমিনিক সোবোসলাই কর্নার নিলেন, আর হেড থেকে জয়সূচক গোল করে নায়ক বনে গেলেন ফন ডাইক।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা সবসময়ই চেলসির জন্য মধুর স্মৃতির এক জায়গা হয়ে থাকবে। এখানেই বায়ার্ন মিউনিখকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরার স্বীকৃতি পায় ইংলিশ ক্লাবটি।
তবে প্রায় এক যুগের বেশি সময় পর বায়ার্নের এই মাঠে ফেরাটা মোটেও সুখকর হলো না ইংলিশ ক্লাবটির। নতুন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচটি একের পর এক ভুলে হার দিয়েই শুরু করতে হলো ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ীদের। হ্যারি কেনের জোড়া গোলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চেলসি ৩-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন।
নিজেদের মাঠে ২৭ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। প্রথমে প্রতিপক্ষের ভুলে ২০ মিনিটেই ১-০ গোলের লিড নেয় স্বাগতিকরা। চেলসির ডিফেন্ডার ট্রেভোহ চালোবাহর আত্মঘাতী গোলে কপাল পোড়ে এনজো মারেস্কার দলের।
মিনিট সাতেক পরই ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে বায়ার্নের। চেলসির মইসেস কাইসেদো নিজেদের বক্সে কেইনকে ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে ব্যবধান ২-০ করেন কেন। এরপর ২৯ মিনিটে মালো গুস্তোর পাস থেকে গোল করে ব্যবধান কমান কোল পালমার।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা বজায় রেখে চেলসির রক্ষণভাগ চেলসির রক্ষণভাগকে তটস্থ রাখে বায়ার্ন। ৬৩ মিনিটে ফলও আসে। চেলসির মালো গুস্তো ভুলবশত পাস দেন কেইনকে। তাতে ব্যবধান ৩-১ করতে মোটেও ভুল করেননি কেন। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নে চেলসি।
জোড়া গোল করা কেন নতুন দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন । ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমারের পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি ক্লাবের হয়ে ২০টির বেশি গোল করেছেন কেইন।
ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা বলেন কেন, ‘আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা। গতকালই (পরশু) বলেছিলাম-আমাদের সামনে পর্বতসম পথ পাড়ি দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত পৌঁছানো অনেক দূরের ব্যাপার।’
এদিকে তিনটি গোলই নিজেদের ভুলে হজম করেচেলসি। বায়ার্নের বিপক্ষে এই ভুল-ত্রুটি থেকে শেখার কথা বলেন চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা। লন্ডনের ক্লাবটির কোচ বলেন, “সামগ্রিকভাবে আমাদের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। আমরা দারুণভাবে শুরু করেছিলাম এবং ম্যাচে ছিলাম। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তটা বেশ কঠিন ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সুযোগও তৈরি করেছি, কিন্তু তৃতীয় গোলের পর ম্যাচের চিত্রই পাল্টে যায়। তবুও এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব আমরা।’
শ্রীলঙ্কায় সোমবার শুরু হয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই দিন পর সেখানে বাংলাদেশের মিশন শুরু আজ (বৃহস্পতিবার)।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের প্রতিপক্ষ নেপাল। খেলাটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। সরাসরি সম্প্রচার করবে স্পোর্টজওয়ার্কজ ইউটিউব চ্যানেল।
'এ' গ্রুপে বাংলাদেশ, নেপাল ছাড়াও আছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এরই মধ্যে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলে ফেলেছে দুই দল। যেখানে মুখোমুখি লড়াইয়ে ২-০ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়েছে নেপাল।
'বি' গ্রুপে রয়েছে চার দল- ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপ। ভুটানকে ৪-০ ব্যবধানে পাকিস্তান আর মালদ্বীপকে ৬-০ গোলে ভারত হারিয়ে প্রতিযোগিতায় শুভ সূচনা করেছে।
এবার কলম্বোয় বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা দেখার অপেক্ষায় লাল সবুজের সমর্থকেরা। টুর্নামেন্ট অংশ নিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। বুধবার বিকেলে নাজমুল হুদা ফয়সালরা এক ঘন্টার অনুশীলন করেন ক্যালানিয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে।
অনুশীলন শেষে কোচ ছোটন জানান, টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত তার দল।
“ছেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলন করছে, তারা খেলার জন্য প্রস্তুত। ওরা যদি মাঠে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে পারে, তবে সহজেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।”
“প্রতিপক্ষের খেলা দেখেছি, তারা শক্তিশালী দল এবং বেশ কিছু দুর্দান্ত খেলো আছে তাদের; কিন্তু আমার বিশ্বাস ফয়সালরা যদি সাহস নিয়ে খেলে তবে জয় পাওয়াটা কঠিন হবে না।”
অধিনায়ক ফয়সালের চোখেমুখেও আত্মবিশ্বাস, কণ্ঠে দারুণ কিছু করার প্রত্যয়। জানালেন দেশে ৭ সপ্তাহের প্রস্তুতির পর শ্রীলঙ্কাতেও কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে দল। ইতোমধ্যে সেখানে চারটি অনুশীলন সেশনও করেছেন তারা।
“নেপাল ভাল দল। কিন্তু আমরা আমাদের খেলায় মনোযোগী; মাঠে সেরাটা দিয়ে চাই জয় ছিনিয়ে আনতে।” এরপর দেশবাসীর কাছে দোয়া চান এই মিডফিল্ডার।
অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ের সাফে এখন পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশের ছেলেরা। এমনকি মেয়েদের বিভিন্ন ক্যাটাগরির সাফে একাধিক ট্রফি থাকলেও, অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে তারাও পারেনি জিততে। এবার কলম্বোয় সেই আক্ষেপ ঘোচানোর মিশন ফয়সালদের।
আজ নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ২০২৫-২৬ মৌসুমে যাত্রা শুরু বার্সেলোনার। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে লামিন ইয়ামালকে পাচ্ছে না বার্সা। চোটের কারণে ২২ সদস্যের দল থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগ ছাড়াও লা লিগায় গেতাফে ও রিয়াল ওভিয়েদোর বিপক্ষেও দেখা যাবে না ইয়ামালকে।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, ইয়ামালের স্যাক্রোইলিয়াক (মেরুদণ্ডের নিচের অংশ) এলাকায় ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। পুরো সেপ্টেম্বর মাসে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে স্পেনের হয়ে খেলতে গিয়ে চোটে পড়েন ইয়ামাল। ফেরার পর নামা হয়নি ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। নতুন মৌসুমের শুরুতে তরুণ স্প্যানিয়ার্ডের অনুপস্থিতি ভীষণ রাগিয়ে দিয়েছে কোচ হানসি ফ্লিককে। ইয়ামালের চোটের জন্য স্পেন ফুটবল ফেডারেশনকে দায়ী করেন তিনি।
ইয়ামালের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ফিজিওথেরাপি, শক্তি বাড়ানোর অনুশীলন ও চিকিৎসা চালাচ্ছেন বার্সার মেডিকেল টিম। ক্লাব কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেছে, তরুণ উইঙ্গারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেওয়া হবে না।
নতুন মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। একপেশে ম্যাচে ইতালির ক্লাব আটালান্টাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি।
দাপুটে জয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধে দুটি গোল আসে অধিনায়ক মার্কিনিউস ও খাভিচা কাভারস্কেলিয়ার নৈপুণ্য। আর দ্বিতীয়ার্ধে বাকি দুই গোল করেন নুনো মেন্ডেস ও গঞ্জালো রামোস।
ঘরের মাঠ পার্ক দি প্রিন্সিসে পিএসজির আধিপত্য ছিল দেখার মতো। ৬৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ২২টি শট নেয় লুইস এনরিকের দল, লক্ষ্যে ছিল ১৩টি। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে ৭টি শট নিয়ে মাত্র দুটি গোলমুখে রাখতে পেরেছে আটালান্টা।
ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন মার্কিনিউস। বাঁ দিক থেকে পাঠানো ফাবিয়ান রুইজের ক্রসে পা লাগিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
এরপর আরও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। তবে সুযোগ হাতছাড়া করেন মেন্ডেস। সেনি মায়ুলুর শট আটকে দেন আটালান্টার গোলকিপার মার্কো কারনেসকি। ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ এসেছিল ব্র্যাডলি বারকোলা ও আশরাফ হাকিমিরও। তবে দারুণ সেভে আটালান্টাকে আপাতত বাঁচিয়ে দেন তাদের গোলরক্ষক।
অবশ্য প্রতিপক্ষকে নিয়ে যেভাবে ছেলেখেলা করছিল পিএসজি, তাতে দ্বিতীয় গোল আসা ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার । ৩৯ মিনিটে একক নৈপুণ্যে অসাধারণ এক গোল করেন কাভারেস্কেলিয়া। আটালান্তার রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে ১৮ মিটার দূর থেকে জোরালো শটে বল জাল কাঁপান জর্জিয়ার এই উইঙ্গার।
প্রথামার্ধে ব্যবধান ৩-০ করার আরেকটি সুযোগ পায় পিএসজি। আটালান্টার বক্সে ক্লাবটির মিডফিল্ডার ইউনুস মুসা ফাউল করেন মার্কিনিউসকে, ফলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ওসমান দেম্বেলে ও দেজিরে দুয়ে চোটের কারণে না থাকায় পেনাল্টি নেন বারকোলা। তবে তার দুর্বল শটটি ধরে ফেলতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি সফরকারী দলের গোলরক্ষককে।
দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমনে আটালান্টার রক্ষণভাগে ত্রাস ছড়ায় এনরিকের দল। বিরতির পর পাঁচ মিনিটের মাথায় তৃতীয় গোলটিও পেয়ে যায় পিএসজি। নুনো মেন্ডেস কাছাকাছি কোণ থেকে জোরালো শটে বল পাঠান জালে।
অন্যদিকে পিএসজির হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে নামা গোলকিপার লুকাস শেভালিয়েরেরতেমন পরীক্ষাই নিতে পারেনি আটালান্টা। নির্ধারিত সময়ের পর যেগ করা সময়ে হালি পূরণ করা গোলটি আসে গঞ্জালেজের পা থেকে। আটালান্টার রাউল বেল্লানোভার ভুল ব্যাকপাস কেড়ে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ব্যবধান ৪-০ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির পরের ম্যাচ বার্সেলোনার বিপক্ষে। আগামী ২ অক্টোবর কাতালান ক্লাবটির মাঠে আতিথেয়তা নেবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
অন্যদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই আটালান্টার।