১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৭ পিএম
জার্মান শব্দ ‘দের কায়সার’ অর্থাৎ সম্রাট নামে পরিচিত তিনি। গত বছরের ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দেনি এই জার্মান কিংবদন্তি। ক’দিন আগেই তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকি পালন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ের কথা।
জার্মান ও বায়ার্ন মিউনিখের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার ও কোচের সম্মানে একটি ভাষ্কার্য নির্মাণ করা হয়েছে। বায়ার্নের স্টেডিয়াম অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনার বাইরে এই ‘সম্রাটের’ ভাষ্কার্য্ উন্মোচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সাত সপ্তাহের প্রস্তুতি, এবার প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের |
![]() |
বেকেনবাওয়ের ব্রোঞ্জের এই প্রতিকৃতি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন তার দীর্ঘদিনের জীবন সঙ্গী হেইডি বেকেনবাওয়ার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভক্তদের ডোনেশনের মাধ্যমে এই প্রকল্প অর্থায়ন করা কুর্ট লান্ডাউয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি।
এসময় বায়ার্ন কিংবদন্তিকে স্বরণ করে ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হেইনার বলেন,
‘এটি বেকেনবাওয়ার এবং তিনি যা যা ধারণ করতেন তার মূর্ত প্রতীক। তাঁর স্টাইল, চিন্তাভাবনা, আর বায়ার্নের জন্য। মিউনিখ এখানে কেবল একটি স্মৃতিস্তম্ভ পাচ্ছে না – এটি পুরো শহরেরই গর্বিত, আত্মবিশ্বাসী, মার্জিত এবং সরলতার প্রতিফলন।’
খেলোয়াড়ি জীবনে জার্মানির হয়ে বেকেনবাওয়ার অনন্য ইতিহাসই রচনা করেছেন। জাতীয় দলের জার্সিতে ১০৩ ম্যাচ খেলে ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ জেতেন এই ডিফেন্ডার। এর আগে ১৯৭২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (বর্তমানে ইউরো) জিতেছেন তিনি। কোচিং ক্যারিয়ারেও জার্মানির হয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন বেকেনবাওয়ার। ১৯৯০ সালে ডাগ-আউটে থেকে ওয়েস্ট জার্মানিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকার: মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য প্রেরণার |
![]() |
ক্লাব ক্যারিয়ারে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে অমর গল্প লিখেছেন বেকেনবাওয়ার। বাভারিয়ানদের হয়ে টানা তিনবার (১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬) ইউরোপিয়ান কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) জিতেছেন। এ ছাড়া ঘরোয়া লিগের শিরোপা সহ বহু অর্জন আছে তার নামের পাশে।
১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে ফুটবলে সবচেয়ে সম্মানিয় স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অর জেতা ফুটবলার বেকেনবাওয়ের। ফুটবল ইতিহাসে ডিফেন্ডারদের মধ্যে এই পুরষ্কার জেতার ঘটনা যেখানে বিরল, জার্মান লিজেন্ড সেই কীর্তি গড়েছেন।
No posts available.
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪২ পিএম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৭ পিএম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৪ পিএম
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:০২ পিএম
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। এক বিবৃতিতে বার্সা জানিয়েছে ,চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে অনিশ্চিত ইয়ামাল। পাশাপাশি সোমবার লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে থাকছেন না ১৮ বর্ষী স্পেনিয়ার্ড।
দলের গুরুত্বপূর্ণ উইঙ্গারের ইনজুরিতে বেজায় চটেছেন বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। রীতিমত স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের ওপর ক্ষোভ জেড়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, পরবর্তী ম্যাচের জন্য ইয়ামাল ফিট নয়। সে ইনজুরি নিয়েই স্পেনের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির ভাস্কর্য উন্মোচন বায়ার্নের |
![]() |
হ্যান্সি ফ্লিকের অভিযোগ, পেইন কিলার খেয়েই স্পেনের হয়ে খেলেছেন ইয়ামান। তিনি বলেন,
'তারা (স্পেন) প্রতিটি ম্যাচে তারা কমপক্ষে তিন গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ইয়ামাল দুটি ম্যাচেই ৭৩ ও ৭৯ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন। ম্যাচগুলোর মাঝেই সে ট্রেনিংও করতে পারেননি। এটা কি আসলেই খেলোয়াড়ের যত্ন নেওয়া? এ নিয়ে আমি খুবই হতাশ।’
জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের সময় তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে আরো সতর্ক হওয়া উচিত বলেন ফ্লিক। তিনি বলেন,
‘আমি জাতীয় দলের হয়ে কাজ করেছি, জানি কাজটা কত কঠিন। আমি কখনো তার (দে লা ফুয়েন্তে) সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। বার্তা ছিল একটা, কিন্তু সরাসরি কথা হয়নি। আমার স্প্যানিশ ভালো না, আর তাঁর ইংরেজি ভালো না, হয়তো এটাই একটা সমস্যা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যোগাযোগটা ভালো হওয়া উচিত। শুধু ইয়ামালই নয়, আমাদের আরও অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা একই অবস্থা ভোগ করছে।’
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ মাঠে গড়াবে আগামীকাল সোমবার। কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে নেপাল। ‘বি’ গ্রুপের অন্য দল বাংলাদেশ। তবে লাল সবুজেরা প্রথম ম্যাচটি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। তবে টুর্নামেন্ট পূর্ববর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হয়ে গেল আজ রবিবার। সেখানেই কথা বলেছেন সাত দলের অধিনায়ক ও কোচ।
বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজের বক্তব্যে বলেছেন,
‘আমরা ৭ সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি। ছেলেরা প্রস্তুত। আমরা সব প্রতিপক্ষকে সম্মান করছি। দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশ উন্নতি করছে। টেননিক্যাল, টেকটিক্যাল দিক থেকে আমাদের খেলোয়াড়েরা প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন
সাক্ষাৎকার: মোহামেডানের অধিনায়কত্ব করা আমার জন্য প্রেরণার |
![]() |
এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যশোরের শামসুল হুদা একাডেমিকে দীর্ঘ সাত সপ্তাহের নিবিড় অনুশীলন করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কায় এবার সেটির ফল পাওয়ার আশা করছে দল। মাঠেই তার প্রমাণ দেবেন নাজমুল হুদা ফয়সালরা। আজকের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল বলেছেন,
‘আমরা মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে প্রস্তুত আছি। নেপালের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচ। তাদের বিপক্ষে জিতেই আমরা টুর্নামেন্ট শুরু করব। ৭ সপ্তাহের ট্রেনিং নিয়েছি, এখন মাঠে প্রমাণের পালা।’
আরও পড়ুন
২৫ বছরের জন্য বাফুফে পেল আরও আটটি স্টেডিয়াম |
![]() |
টুর্নামেন্ট আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম ম্যাচ খেলার আগে বাংলাদেশ দল সময় পাচ্ছে আরও তিনদিন। বাংলাদেশের পরিকল্পনায় আপাতত নেপাল, কিন্তু চোখ সেমিফাইনালে। বলেছেন ছোটন,
‘নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ নিয়ে আমাদের চিন্তা। নেপাল শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উপভোগ্য হবে আশা করি। আমাদের খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চটা দেবে। আপাতত আমরা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।’
প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর, স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে তিন দল, তবে ‘বি’ গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপ।
বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের ২০২৫-২৬ মৌসুম। ওই দিন কুমিল্লায় মুখোমুখি হবে ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবং সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শিরোপা ধরে রাখতে দলবদলে সেভাবে ঘর গোছাতে পারেনি সাদা-কালোরা। চ্যাম্পিয়ন দলের বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার, বিশেষকরে সুলেমান দিয়াবাতে ও ইমানুয়েল সানডের মতো ফুটবলারদের ধরে রাখতে পারেনি তারা। তারপরও যারা আছেন তাদের নিয়েই শিরোপা ধরে রাখতে মরিয়া মতিঝিল পাড়ার ক্লাবটি। গতকাল শনিবার মেহেদি হাসান মিঠুকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মোহামেডানে অধিনায়কত্ব পাওয়া এবং নতুন মৌসুমে দলের ও নিজের প্রত্যাশা নিয়ে এই ডিফেন্ডার কথা বলেছেন টি-স্পোর্টসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুবেল রেহান।
টি-স্পোর্টস: মোহামেডানে তিন বছর কাটানোর পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেলেন
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে গত বছর সহ-অধিনায়ক ছিলাম, এই বছর অধিনায়ক হলাম। অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাব... আসলে এখানে তো খেলাটাই অনেক বড়; আর অধিনায়কত্ব করা তো আরও বড় ব্যাপার।
টি-স্পোর্টস: অধিনায়ক হওয়টাকে কিভাবে নিচ্ছেন, চাপ নাকি প্রেরণা?
মেহেদি হাসান মিঠু: চাপ মনে করছি না। একটা দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করব দায়িত্ব পালন করতে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। দলের জন্য ভালো কিছু করতে এটা আমার জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
টি-স্পোর্টস: আপনার অধিনায়ক হওয়াকে সতীর্থরা কিভাবে নিয়েছেন?
মেহেদি হাসান মিঠু: আমি যখন নতুন করে আবার চুক্তি করি, তখন থেকেই সবাই বলছে যে আমিই অধিনায়ক হবো। তাঁরা সবাই খুশি হয়েছেন। সবাই এখানে অনেক সাপোর্টিভ।
টি-স্পোর্টস: লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান, কি মনে হয় শিরোপা ধরে রাখা কতটা কঠিন হবে
মেহেদি হাসান মিঠু: ইচ্ছা তো আছে শিরোপা ধরে রাখার, বাকিটা দেখা যাক কি হয়। আমরা জেতার জন্য খেলি, শিরোপা জিততে খেলি।
টি-স্পোর্টস: সবশেষ দলবদলে মোহামেডান ছেড়ে অনেকেই চলে গেছেন
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে সবাই তো থাকবে না। কেউ থাকবে, কেউ থাকবে না। যারা আছে তাদের নিয়েই এগোতো হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এই দল নিয়েই।
টি-স্পোর্টস: মোহামেডানের শক্তির দিক কোনটি
মেহেদি হাসান মিঠু: ওইভাবে তো বলা যায় না। গত বছরের তুলনায় ফরোয়ার্ড লাইন কিছুটা দুর্বল; যেহেতু সুলেমান দিয়াবাতে নাই, সানডে নাই, আসলে এই দুজন আমাদেরকে ওপরে অনেক সাপোর্ট করছে। তাদের না থাকা একটু ভোগাবে।
টি-স্পোর্টস: নতুন মৌসুমের জন্য প্রস্তুতি কেমন?
মেহেদি হাসান মিঠু: আসলে মোহামেডানের নিজস্ব মাঠ না থাকায় আমাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা একটু কঠিনই। তারপরও সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাতে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি না থাকে।
টি-স্পোর্টস: তারপরও আপনারা মাঠে সেরাটা কীভাবে দেন
মেহেদি হাসান মিঠু: মোহামেডানের মাঠ, অফিসিয়াল, ম্যানেজমেন্ট... এসব নিয়ে আমরা চিন্তা করি না। আমরা চিন্তা করি মাঠেই শতভাগ দেওয়া। প্রমাণ করতে দেওয়া মাঠ না থাকলেও আমরা খেলতে পারি। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে খেলা, মাঠে সর্বোচ্চটা নিংড়ে নেওয়া।
টি-স্পোর্টস: সাদা-কালো সমর্থকদের জন্য কী বলবেন
মেহেদি হাসান মিঠু: সমর্থকদের কাছে চাওয়া- নতুন মৌসুমে আমাদের সাপোর্ট করা। আমরা চাই তারা মাঠে আসুক, আমাদের পূর্ণ সমর্থক দিক।
টি-স্পোর্টস: আগেরবার চ্যালেঞ্জ কাপে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছিলেন। এবারও মৌসুম শুরু হবে চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে। এবার কি আশা করছেন?
মেহেদি হাসান মিঠু: গত বছর আমরা বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরেছি। এ বছর আমাদের প্রত্যাশা চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করা।
নতুন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) দেশের আরও আটটি স্টেডিয়াম বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আগামী ২৫ বছরের জন্য স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহার করতে পারবে বাফুফে। এনএসসি বাফুফেকে এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
নীলফামারী স্টেডিয়াম বাফুফেকে বরাদ্দ দিতে আরও আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গত ৪ সেপ্টেম্বর বাফুফেকে স্টেডিয়ামটির বরাদ্দ দেয় এনএসসি।
৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুর শহীদ বরকত স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম, নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম ও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে বাফুফেকে লিজ প্রদান করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
বরাদ্দ পাওয়া ৮টি স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ বিল, ভূমি কর ফুটবল ফেডারেশনকে পরিশোধ করতে হবে। আয়-ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে এনএসসিকে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শর্ত অনুসরণ করেই বাফুফের লিজ বজায় রাখতে হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৩ মাসের বিজ্ঞপ্তিতে লিজ বাতিলের অধিকার রাখে এমনটা চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
গত মৌসুমে একধিকবার রেফারি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রিয়াল মাদ্রিদ। গুঞ্জন ওঠে রেফারির প্রতি আস্থাহীনতার কারণে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ম্যাচ বর্জনের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভেবেছিল।
অবশ্য পরে বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল’রের ফাইনাল ম্যাচে ঠিকই মাঠে নামে রিয়াল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতের বিপক্ষে ফাইনাল হারের পর ফের রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়ে ক্লাবটি। এবার নতুন মৌসুমে লা লিগার রেফারির বিরুদ্ধে ফিফার কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াল। এক বিবৃতিতে ক্লাবটির অফিশিয়াল টিভি চ্যানেল ‘রিয়াল মাদ্রিদ টিভি’ বিষয়টি জানিয়েছে।
মূলত গতকাল লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ডিন হিউসেনের লাল কার্ড নিয়েই ক্ষুদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদ। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে এই ম্যাচে ১০ জনের দল নিয়েই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় পায় লা লিগার সফলতম ক্লাবটি।
আরও পড়ুন
অভিষেকেই গোল, নাপোলির জয়ে উজ্জ্বল হয়লুন্দ |
![]() |
প্রতিপক্ষের মাঠে ৩২ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লস ব্লাঙ্কোসদের ডিফেন্ডার ডিন হিউসেন। আক্রমণে ওঠা সোসিয়েদাদের মিকেল ওইয়ারসাবলকে আটকাতে পিছন থেকে তার কাঁধ ধরে টান দেন হিউসেন। বলের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সোসিয়েদাদ অধিনায়কের ছিল না। তবে হুইসেনের ট্যাকলের পর মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাতে রেফারি জেসুস গিল মানজানো সরাসরি লাল কার্ড দেখান হুইসেনকে। রেফারির ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মাঠেই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো।
ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনেও এ প্রসঙ্গে কথা বলেন আলোনসো। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে হিউসনের লাল কার্ডের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। স্প্যানিশ এই কোচ বলেন, ‘আমার কাছে এটা হলুদ কার্ডের মতো মনে হয়েছে। এদের মিলিতাও কাছাকাছি ছিল, বল পুরোপুরি তার (ওইয়ারসাবল) নিয়ন্ত্রণে ছিল না, আর গোলপোস্ট থেকে তখনও প্রায় ৪০ মিটারের মতো দূরে ছিল। এটাই আমার ব্যাখ্যা। ’
রিয়াল কোচ আরো বলেন, ‘রেফারির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন, আর ভিএআরেরও আলাদা ব্যাখ্যা হওয়া উচিত ছিল। তবে সেই মূহূর্তটি পুনরায় দেখে আমি আমার মতামত বদলাইনি। রেফারিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, উনি নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কিন্তু পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা আপাতত সেখানেই থামছি।’
ম্যাচের পর রিয়াল মাদ্রিদ টিভি জানায় ক্লাবটি এবার রেফারিদের ‘ভুল সিদ্ধান্তগুলো’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। এই প্রতিবেদনে চলতি মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচের পাশাপাশি গত মৌসুমের ঘটনাগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন
মেসির পেনাল্টি মিসের পর হারল ইন্টার মায়ামি |
![]() |
‘রিয়াল মাদ্রিদ একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে, যেখানে এই মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচে যা ঘটেছে এবং গত মৌসুমে যা হয়েছিল সবকিছু থাকবে। এই প্রতিবেদনটি ফিফার কাছে জমা দেওয়া হবে, যাতে তারা স্প্যানিশ ফুটবলে রেফারিং সংক্রান্ত ঘটনাগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায়।’
রেফারির নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযানে নামবে রিয়াল। আগামী মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে ফরাসি ক্লাব মার্শেইকে আতিথেয়তা দেবে প্রতিযোগিতার ১৫বারের চ্যাম্পিয়নরা।