
দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়ে এবার নতুন মৌসুমের জন্য গা ঝালাইয়ে নেমে পড়ছে ইন্টার মায়ামি। ২০২৬ এমএলএস (মেজর লিগ সকার) মৌসুমের আগে দক্ষিণ আমেরিকা সফরের ঘোষণা দিল লিওনেল মেসির দল।
এমএলএসের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মায়ামি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ক্লাবটি পেরু, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতি হিসেবে তিনটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রাক-মৌসুমে পেরু সফর করবে ইন্টার মায়ামি।
মায়ামির ২০২৬ প্রাক-মৌসুম শুরু হবে পেরুর লিমা থেকে। আগামী ২৪ জানুয়ারি লিমার আলেহান্দ্রো ভিলানুয়েভা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক আলিয়াঞ্জা লিমার মুখোমুখি হবে ‘হাভিয়ার মাচেরানোর দল। আলিয়াঞ্জা লিমা পেরুর ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল ক্লাব, তাদের ঝুলিতে রয়েছে ২৫টি প্রথম বিভাগ লিগ শিরোপা।
এরপর মেসি-সুয়ারেজরা পাড়ি জমাবে কলম্বিয়ায়। ৩১ জানুয়ারি দুইবারের কোপা লিবার্তাদোরেস চ্যাম্পিয়ন আতলেতিকো নাসিওনালের বিপক্ষে খেলবে তারা। কলম্বিয়ান ক্লাবটির ১৮টি ঘরোয়া লিগ শিরোপা জিতেছে। নাসিওনালের স্কোয়াডে আছেন সাবেক এমএলএস তারকা দাইরন আসপ্রিলা এবং দীর্ঘদিনের কলম্বিয়া জাতীয় দলের গোলকিপার ডেভিড ওপিনা।
আরও পড়ুন
| আবার মধ্যপ্রাচ্যের সেরা রোনালদো বললেন, ‘ইনশাল্লাহ, সেই সংখ্যায় পৌঁছাব’ |
|
ইন্টার মায়ামির তাদের সফরের শেষ ম্যাচটি খেলবে ইকুয়েডরে। সেখানে বার্সেলোনার সাবেক দুই মহাতারকা মেসি ও সুয়ারেজ মুখোমুখি হবেন ‘বার্সেলোনা’ নামধারী আরেক ক্লাবের বিপক্ষে। ইকুয়েডরের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বার্সেলোনা দে গুয়ায়াকিলের বিপক্ষে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে গুয়ায়াকিলের এসতাদিও মনুমেন্টাল বানকো পিচিনচায়।
এই সফরের স্কোয়াড এখনও ঘোষণা করেনি ইন্টার মায়ামি। তবে প্রতিটি ম্যাচেই বড় দর্শকসমাগমের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া এমএলএস চ্যাম্পিয়নরা আরও কিছু প্রাক-মৌসুম ম্যাচ খেলতে পারে।
২০২৬ প্রাক-মৌসুম পর্ব শেষ করে ইন্টার মায়ামি তাদের প্রতিযোগিতামূলক এমএলএস মৌসুম শুরু করবে ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন লস অ্যাঞ্জেলেস কলিসিয়ামে সন হিউং-মিনের এলএএফসির বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসিরা।
এদিকে আগামী বছরের ৪ এপ্রিল মায়ামির জন্য বিশেষ একটি দিন হতে যাচ্ছে। ১৮ মার্চ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ন্যাশভিল এসসি অথবা আতলেতিকো অটোয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে মায়ামি। ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে এটি হতে পারে ক্লাবটির শেষ ম্যাচ। এরপর ৪ এপ্রিল অস্টিন এফসির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে তাদের নতুন ঘর—মায়ামি ফ্রিডম পার্ক।
No posts available.
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:২১ এম
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:১৬ এম

রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না অনেক দিন ধরেই। গুঞ্জন আছে বেতন-বোনাস নিয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গে ঠিক মিলছে না স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির। পাশপাশি ছন্দহীনতা আর কোচ জাবি আলোনসোর সঙ্গে রেষারেষি তো আছেই। সবকিছু মিলিয়ে একসময় যার রিয়াল ছাড়া রীতিমতো অসম্ভব মনে হতো, এখন সেটাই বড় সম্ভাবনায় রূপ নিয়েছে।
আর ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের এই দোলচলে থাকা সময়টাকে কাজে লাগাতে পাখির চোখ করেছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। ঝোপ বুঝে কোপ মারতে প্রস্তুত আল ইত্তিহাস-আল হিলালের মতো ক্লাব। চোখ কপালে তোলা অঙ্কের প্রস্তাব আগেই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে দিয়েছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবগুলো। তবে প্রতিবারই নাকি সেই লোভনীয় সব প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন ভিনি। সাম্বা তারকার সঙ্গে রিয়ালের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে।
রিয়ালের সবশেষ একাধিক ম্যাচে তো নিজের ক্লাবের সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে ভিনিসিয়ুসকে। তাতে ভিনিসিয়ুসের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন ক্রমশই প্রবল হচ্ছে। আর একইসঙ্গে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে সৌদি ক্লাবগুলো। এ যেমন লা লিগায় কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আল-ইত্তিহাদের স্পোর্টিং ডিরেক্টর রামোন প্লানেস মনে করেন, ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে থাকা ভিনিসিয়াসের মতো খেলোয়াড়দের সৌদি প্রো লিগে যাওয়া এখন সম্পূর্ণ সম্ভাব্য।
আরও পড়ুন
| প্রাক মৌসুমে ‘বার্সেলোনার’ মুখোমুখি হচ্ছেন মেসি |
|
‘রেডিও স্তেডিও নশে’ কে ইত্তিহাদের স্পোটিং ডিরেক্টর বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটা সম্ভব মনে করি যে ভিনিসিয়াসের মতো খেলোয়াড়রা একদিন সৌদি আরবে আসতে পারে। লিগের উন্নয়ন আমি দেখি, এবং এটি পুরোপুরি সম্ভব যে এখনও সেরা অবস্থায় থাকা খেলোয়াড়দের এ লিগে আকর্ষণ করা যায়।’
সৌদি প্রো লিগ ইতিমধ্যেই অনেক তারকাকে আনতে সক্ষম হয়েছে। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে দিয়ে শুরু হওয়ার পর করিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানের মতো বড় তারকরা খেলেছে এবং খেলছেন মরুর দেশের লিগে। সৌদির কাড়িকাড়ি অর্থই মূলত টেনে আনছে তাদের।
অবশ্য ইউরোপে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানোর পর সৌদির লিগে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতাই বেশি খেলোয়াড়দের। তবে এবার তরুণ তারকা ফুটবলারদের দিকে নজর দিচ্ছে সৌদি। ইত্তিহাদের ডিরেক্টর বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সেরা অবস্থায় থাকা খেলোয়াড়দের সই করা। আমরা আর শুধু ক্যারিয়ারের শেষ দিকে থাকা খেলোয়াড়দের আনি না।’ উদাহরণ হিসেবে জোয়াও ফেলিক্স ও মুসা দিয়াবাইয়ে নাম উল্লেখ করেছেন তিনি।

আবারও মধ্যপ্রাচ্যের সেরা ফুটবলারের পুরষ্কার জিতলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। গতকাল গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের জমকালো অনুষ্ঠানে আল নাসরের পর্তুগিজ মহাতারকার হাতে তুলে দেওয়া হয় এই স্বীকৃতি। আল হিলালের সালেম আল দাওসারি, আল ইত্তিহাদের করিম বেনজেমা এবং আল আহলির রিয়াদ মাহরেজকে পেছনে ফেলে মধ্যপ্রাচ্যের সেরার ট্রফি জিতলেন রোনালদো।
২০২৩ ও ২০২৪ সালের পর বুড়ো হাড়ের ভেলকে দেখিয়ে ২০২৫ সালেও মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন রোনালদো। গত মৌসুমে আল নাসরের হয়ে ৪১ ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল, জিতেছেন সৌদি প্রো লিগের গোল্ডেন বুট। চলতি মৌসুমেও শুরুটা দারুণ—প্রথম ১০ ম্যাচেই ১২ গোল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তার প্রভাব স্পষ্ট; তার নেতৃত্বেই পর্তুগাল নিশ্চিত করেছে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট। জুনে জিতেছে উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপা।
ফুটবল বিশ্ব বারবারই ভেবেছে—এবার বুঝি শেষ। কিন্তু রোনালদো প্রতিবারই উত্তর দিয়েছেন মাঠে, গোল দিয়ে, ট্রফি দিয়ে, আর অদম্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা দিয়ে। ‘সিআর সেভেনের লক্ষ্য এখন জাদুকরী এক সংখ্যায় পৌঁছানো। গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডেও আসল ১ হাজার গোলের অসাধারণ মাইলফলকের আলোচনা।
ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পর এখন সবার মরে একটাই প্রশ্ন—ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো কি ছুঁতে পারবেন ঐতিহাসিক ১ হাজার গোলের মাইলফলক? বয়সকে অনেকেই সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন। দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৪১ বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন রোনলদো। শনিবার আল নাসরের হয়ে জোড়া গোল করার পর তাঁর ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫৬।
আরও পড়ুন
| ম্যান ইউনাইটেডের পর চেলসিকে হারিয়ে শিরোপা রেসে ভিলা |
|
তবে এই বয়সেও রোনালদো দারুণ ফিটনেস নিয়ে খেলে যাওয়ার অনুপ্রেরণা খুঁজে পান গোল আর ট্রফি ক্ষুধার জন্যে। পাঁচবারের ব্যালন ডি’র জয়ীর মুখ থেকেই শোনা যাক অনুপ্রেরণার উৎস, ‘খেলা চালিয়ে যাওয়া সহজ নয়, কিন্তু আমার ভেতরের আবেগ এখনও আগের মতোই তীব্র। আমি এখনও খেলতে চাই, এখনও ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত। আমি কোথায় খেলছি—মধ্যপ্রাচ্যে হোক বা ইউরোপে—তা বড় কথা নয়। আমি ফুটবল খেলতে, ট্রফি জিততে আর গোল করতে ভালোবাসি।’
পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পর ১ হাজার গোলের লক্ষ্য নিয়ে স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্ত দিয়ে রোনালদো বলেন, ‘আমি থামতে চাই না। আপনারা জানেন আমার লক্ষ্য কী। আমি আরও ট্রফি জিততে চাই এবং সেই সংখ্যাটায় পৌঁছাতে চাই, যেটা সবাই জানে। ইনশাআল্লাহ, যদি কোনো চোট না আসে, আমি নিশ্চিতভাবেই সেই সংখ্যায় পৌঁছাব।’
রোনালদোর মধ্যপ্রাচ্যের সেরা হওয়ার দিন ব্যালন ডি’অর ও ফিফা বর্ষসেরা হওয়ার পর এবার গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসের পুরষ্কার উঠল ওসমান দেম্বেলের হাতে। এছাড়া মেয়েদের ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছেন বার্সেলোনার ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা আইতানা বোনমাতি। সেরা ক্লাব পিএসজি, সেরা কোচ লুইস এনরিকে। ফরাসি ক্লাবটির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়াকে দেওয়া হয় সেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কার, আর সেরা উদীয়মান ফুটবলার দেসিরে দুয়ে।
দু’টি পুরষ্কার উঠে বার্সার স্প্যানিশ তারকা উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাললের হাতেও। ইয়ামালকে ‘বেস্ট ফরোয়ার্ড’ নির্বাচিত করা হয় এবং তাকে দেওয়া হয় ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোন অ্যাওয়ার্ড। বল পায়ে সর্বোচ্চ নৈপুণ্য ও প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে, প্রয়াত কিংবদন্তি মারাদোনার নামে এই পুরষ্কারের প্রচলন শুরু হয়।

কাল থেকে শুরু হচ্ছে নারী ফুটবল লিগ। প্রতিযোগিতায় এবার অংশ নিচ্ছে ১১টি দল; গতবারের চেয়ে দুটি বেশি। তবে হাতে গোনা কয়েকটি মানসম্পন্ন দল আছে লিগে, বাকিগুলো অনেকটাই গড়পড়তা। আগের বছরগুলোয় দেখা গেছে অনেক ম্যাচে ছিল গোলবন্যা। এবারও তেমন ইঙ্গিতই মিলছে। আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া এশিয়ান কাপ সামনে রেখে এই লিগ খেলে কতটা ফায়দা তুলে নিতে পারবেন ঋতুপর্ণা চাকমা-আফঈদা খন্দকাররা, উঠছে সেই প্রশ্ন।
গত ৫ ডিসেম্বর সাফ নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়। টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশের নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাব। তারা জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে খেলতে চেয়েছিল সেখানে। তবে কোচ পিটার বাটলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ফুটবলারদের সে সময় ছাড়েনি। কারণ হিসেবে দেখিয়েছিল এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি ও টুর্নামেন্টের মান। তিন সপ্তাহ পরই ঘরোয়া লিগের জন্য ঋতুপর্ণাদের উন্মুক্ত করেছে ফেডারেশন। এই বৈপরীত্য কেন জানতে চাইলে বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এই প্রশ্ন বাটলারকেই করা উচিত।’
সাফ ক্লাব কাপে অন্য কোচের অধীনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের দিতে রাজি হননি বাটলার। এখন ঘরোয়া ফুটবল লিগে অন্য কোচের অধীনে খেলবেন আফঈদারা। এ নিয়ে কিরণের মন্তব্য, ‘এখন আসলে পিটারকে জিজ্ঞেস করব। অন্য কোচের অধীনে এখন গেল, আগে দেওয়া হয়নি কেন?’
পিটার বাটলার ২০ ডিসেম্বর বড় দিনের ছুটিতে ইংল্যান্ড গেছেন। ৪ জানুয়ারি ফেরার কথা। পিটার বাটলার কোচ হিসেবে পরিকল্পনা দিলেও সেই পরিকল্পনার ব্যাখ্যা, যৌক্তিকতা ও প্রাসঙ্গিকতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাফুফের। সাম্প্রতিক দুই ঘটনায় দুই রকম অবস্থানে বাটলারকে সঠিক জবাবদিহি ও তদারকি কতটুকু করছে ফেডারেশন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ফুটবলাঙ্গনে।

দেড় বছরেরও বেশি সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে সেই ক্ষণ ফুরিয়ে এসেছে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল লিগ। এক মাসের টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৫৫টি। সূচিতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৫টি ম্যাচও রাখা হয়েছে। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো।
সর্বশেষ ২০২৩-২৪ মৌসুমে দল ছিল ৯টি। এবার দুটি বেড়ে হয়েছে ১১টি। তবে বড় কোনো দল এবারও আসেনি। আগের মৌসুমের মতো এবারও দল গড়েনি বসুন্ধরা কিংস। নেই ঢাকার জায়ান্ট ক্লাব আবাহনী, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মতো দল। তারপরও লিগ জমজমাট হওয়ার প্রত্যাশা দলগুলোর।
আরও পড়ুন
| বাফুফের সঙ্গে এবার টিকটক |
|
একই সঙ্গে লিগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করেন নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। গতকাল তিনি বলেন, ‘জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক দলের মেয়েরা যেহেতু ছয়টি দলের মধ্যে আছে, আমি মনে করি জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লিগ হবে।’
প্রথম দিন আজ মাঠে গড়াবে দুটি ম্যাচ। পরের দিন তিনটি। সূচি অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারি হবে একই দিনে ৫টি ম্যাচ। দিনের প্রথম ম্যাচ সকাল ১০টায়। আর শেষ ম্যাচটি হওয়ার কথা রয়েছে সন্ধ্যা ৭টায়। কোনো দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লিগে এক দিনে এতগুলো ম্যাচ আয়োজন কখনও হয়েছে কি না জানা নেই। এক দিনে এতগুলো ম্যাচ নিয়ে কিরণের ভাষ্য, ‘‘সময় কম, তাই এক দিনে পাঁচ ম্যাচ রাখা হয়েছে।’
রোববার ঘটা করে টুর্নামেন্ট পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন, জার্সি উন্মোচন এবং দলের লক্ষ্য জানাতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। দলটির কোচ ওয়ালী ফয়সাল বলছেন, ‘আমাদের দলটা খারাপ হয়নি। সবাই কাল (আজ) থেকে মাঠে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবে।’
সিঙ্গেল লিগ ভিত্তিতে প্রতিটি দল ম্যাচ খেলবে ১০টি করে। পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষে থাকা দলটি জিতবে শিরোপা।

আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিনোদন পার্টনার হিসেবে যুক্ত হলো সংক্ষিপ্ত ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক (Tiktok)।
রোববার বাফুফে ভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিকটকের সঙ্গে এক বছরের চুক্তির বিষয়টি জানায় বাফুফে।
বাফুফের ডিজিটাল বিবর্তনের ক্ষেত্রে টিকটকের সঙ্গে চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ফুটবলের প্রচার বৃদ্ধি, ভক্তদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারেও কাজ করবে।