
চমৎকার সেঞ্চুরি করে প্রথম ওয়ানডে নিউ জিল্যান্ডকে জিতিয়েছেন ড্যারেল মিচেল। কিন্তু তাকে পরের ম্যাচে পাওয়া যাবে কিনা, সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কুচকির চোটে সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা অভিজ্ঞ ব্যাটার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে সোমবার ক্রাইস্টচার্চ থেকে নেপিয়ারে যাওয়ার কথা নিউ জিল্যান্ড দলের। তবে বাকিদের সঙ্গে যাবেন না মিচেল। ক্রাইস্টচার্চে থেকেই কুচকির স্ক্যান করাবেন ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটার।
এরই মধ্যে মিচেলের কাভার হিসেবে হেনরি নিকোলসকে দলে ডেকেছে নিউ জিল্যান্ড। গত এপ্রিলের পর আর ওয়ানডে খেলেননি নিকোলস। এছাড়া স্কোয়াডে আগে থেকেই আছেন আরেক ব্যাটার মার্ক চ্যাপম্যান।
শেষ পর্যন্ত মিচেল যদি ছিটকে যান, তাহলে আরও দীর্ঘ হবে নিউ জিল্যান্ডের চোটের তালিকা। এর মধ্যে পাঁজরের চোটে মোহাম্মদ আব্বাস, পায়ের চোটে ফিন অ্যালেন, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে লকি ফার্গুসন ও বেন সিয়ার্স, গোড়ালির চোটে অ্যাডাম মিলনে, পিঠের চোটে উইল ও'রোক, কুচকির চোটে গ্লেন ফিলিপস মাঠের বাইরে আছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হালকা চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসনকেও রাখা হয়নি ওয়ানডে দলে। আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতির দিকে নজর দিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
No posts available.
১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২:৩৮ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে হারের পর ভারতীয় দল নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। কেউ বলছে স্পিনস্বর্গের পিচ বানিয়ে নিজেদের পাতা ফাঁদেই পড়েছে শুবমান গিলের দল। কারও মতে ব্যাটিং ব্যর্থতাই হারের আসল কারণ। এরমধ্যেই একাদশ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ১২৪ রানও তাড়া করতে পারেনি ভারত। ইডেন গার্ডেনে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৩ রানে। ব্যাটারদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে যাওয়া পিচের সমালোচনা করেন গাঙ্গুলী। ভালো উইকেটে খেলার পাশাপাশি একাদশে পেসার মোহাম্মদ শামিকেও ফেরানোর পক্ষে জোরাল বার্তা দিলেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টস টেককে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামিকে দলে ফেরানোর পক্ষে যুক্তি দেন গাঙ্গুলী, `আমি গৌতমকে (গৌতম গম্ভির) খুব পছন্দ করি। সে ২০১১ বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ করেছে। তবে তাকে ভারতের ভালো পিচে খেলা উচিত। তাকে বুমরাহ, সিরাজ এবং শামির প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন
| আইপিএলে পুরোনো দায়িত্বে ফিরলেন সাঙ্গাকারা |
|
গাঙ্গুলী আরও যোগ করলেন, ‘আমি মনে করি শামী এই টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য। শামী এবং স্পিনাররা মিলে টেস্ট জিততে সাহায্য করবে।’
ঘরের মাঠে ভারতীয় দলের ভালো পিচে খেলা উচিত বলছেন গাঙ্গুলী। টেস্টগুলো দ্রুত শেষ করার দিকে নজর না রেখে পাঁচ দিনে জেতার চেষ্টা করার কথা বলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক, ‘ভালো উইকেটে খেলো। আশা করি গৌতম গম্ভীর শুনছেন। পিচকে ম্যাচের বাইরে রাখুন। কারণ যদি ব্যাটাররা ৩৫০–৪০০ রান না করে, তাহলে টেস্ট জেতা সম্ভব নয়।’
এর আগে ইংল্যান্ডের টেস্টের প্রসঙ্গ টেনে এনে গাঙ্গুলী বলেন, ‘এই কারণেই তারা ইংল্যান্ডে জিতেছিল, কারণ ব্যাটাররা ভালো রান করেছে। তাকে ভালো উইকেটে খেলতে হবে। তার খেলোয়াড়দের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। এবং টেস্টগুলো ৫ দিনে জিততে হবে, ৩ দিনে নয়।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২২ নভেম্বর গুয়াহাটি দ্বিতীয়টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত।

শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই করে র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করেছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে রোববার শেষ ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয়ে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করেন বাবর আজমরা।
ওযানডে র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য শীর্ষে ভারতই। সবশেষ হালনাগাদে ভারতের রেটিং ১২২। দুই নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ডের রেটিং ১১২ এবং তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার রেটিং ১০৯। পাকিস্তান রয়েছে চার নম্বরে। তাদের রেটিং ১০৫ পাঁচে শ্রীলঙ্কা, রেটিং ১০০।
ছয় নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা, সাত নম্বরে আফগানিস্তান ও আট নম্বরে আছে আফগানিস্তান। নয় নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১০ নম্বরে আছে বাংলাদেশ (রেটিং ৭৬)। পূর্ণ সদস্যদের মধ্যে সবার নিচে আয়ারল্যান্ড—১২তম নম্বরে তারা, রেটিং ৫২।
আরও পড়ুন
| সেঞ্চুরির পর ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় মিচেল |
|
দক্ষিণ আফ্রিকার পর শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে পাকিস্তান। এখন অস্ট্রেলিয়ার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তারা। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অধিনায়ক সালমান আরী আগা খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস—৮৭ বলে অপরাজিত ১০৫। তাঁর ব্যাটেই পাকিস্তান লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ৩০০। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির খরা কাটান বাবর আজম। তাঁর অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ২৮৯ রানের লক্ষ্য সহজে তারা করে পাকিস্তান।
হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করার ম্যাচে শ্রীলঙ্কা থামে ২১১ রানে। ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। জবাবে ফখর জামান (৫৫) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানদের (অপরাজিত ৬১) দায়িত্বশীল ইনিংসের কল্যাণে ৪৪.৪ ওভারেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
পুরুষদের ওয়ানডে র্যাঙ্কিং
১. ভারত – রেটিং ১২২
২. নিউজিল্যান্ড – ১১২
৩. অস্ট্রেলিয়া – ১০৯
৪. পাকিস্তান – ১০৫
৫. শ্রীলঙ্কা – ১০০
৬. দক্ষিণ আফ্রিকা – ৯৮
৭. আফগানিস্তান – ৯৫
৮. ইংল্যান্ড – ৮৬
৯. ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৭৮
১০. বাংলাদেশ – ৭৬
১১. জিম্বাবুয়ে – ৫৪
১২. আয়ারল্যান্ড – ৫২

ভারতের জাকজমকপূর্ণ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলে বেড়ে গেল কুমার সাঙ্গাকারার দায়িত্ব। আবার রাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ শুরু করবেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি এই ব্যাটার।
আগে থেকেই রাজস্থানের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন সাঙ্গাকারা। এর সঙ্গে ২০২৬ আইপিএলের জন্য প্রধান কোচ হিসেবেও তার নাম ঘোষণা করেছে রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি।
রাজস্থানের কোচ হিসেবে এর আগেও কাজ করেছেন সাঙ্গাকারা। ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সাঙ্গাকারার কোচিংয়ে ২০২২ সালে ফাইনাল খেলে রাজস্থান। ২০২৪ সালে তারা পৌঁছায় প্লে-পফে।
পরে ২০২৫ সালের আইপিএলে সাঙ্গাকারার জায়গায় রাজস্থানের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন রাহুল দ্রাবিড়। ওই টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরই রাজস্থানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন আসরে আর থাকবেন না দ্রাবিড়।
এবার আইপিএলের মিনি নিলামের মাসখানেক বাকি থাকতে সাঙ্গাকারাকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার খবর জানাল তারা। এছাড়া বিক্রম রাঠোরকে দেওয়া হয়েছে প্রধান সহকারী কোচের দায়িত্ব। বোলিং কোচ হিসেবে আছেন শেন বন্ড।

ঘাড়ের সমস্যা কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল। তবে অনিশ্চয়তা পুরোপুরি কাটেনি। এখনই মাঠে ফিরতে প্রস্তুত নন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ঘাড়ে অস্বস্তি বোধ করেন গিল। পরে মাঠেই প্রাথমিক শুশ্রুষার পর তাকে ভর্তি করা হয় কলকাতার এক হাসপাতালে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, হাসপাতালে কিছু সময়ের জন্য আইসিইউতে (ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট) ছিলেন গিল। তবে গুরুতর কিছুর শঙ্কা এড়িয়ে এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
| শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে ৯ বছর আগের স্মৃতি ফেরাল পাকিস্তান |
|
ইডেনে মঙ্গলবার অনুশীলন করবে ভারতীয় দল। সেটিতে গিলের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমনকি বুধবার দলের সঙ্গে গুয়াহাটিতেও যেতে পারবেন না তিনি। কারণ ঘাড়ের সমস্যা থাকলে বাণিজ্যিক বিমান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
কলকাতা টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে গিলের অভাব অনুভূত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ভারত কোচ গৌতম গম্ভীর। গুয়াহাটিতে আগামী শনিবার শুরু হতে যাওয়া টেস্টে গিলকে পাওয়া যাবে কিনা, সেটিও নিশ্চিত করতে পারেননি গম্ভীর।
দ্বিতীয় টেস্টে গিল যদি না থাকেন, বিকল্প ব্যাটার আছেন দুই বাঁহাতি সাই সুদর্শন ও দেবদূত পাডিক্কাল। তাদের কেউ সুযোগ পেলে ভারতের একাদশে বাঁহাতি ব্যাটার হয়ে যাবে মোট সাত জন। যা কিনা সাইমন হার্মার বা এইডেন মার্করামকে দিতে পারে বাড়তি সুবিধা।

এশিয়া কাপ রাইজিং স্টার টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে রান–পাহাড়ে চড়েছিল ভারত ‘এ’ দল। বৈভব সূর্যবংশীর ১৪৪ রানের (৪২ বল) ওপর ভর করে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে ম্যান ইন ব্লুজরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ‘এ’ দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি ভারত ‘এ’ দল। উল্টো দেখেছে বড় হার।
কাতারের রাজধানী দোহার ওয়েস্ট ইন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান ‘এ’ দলের অধিনায়ক ইরফান খান। ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বেশিরভাগ ভারতীয় ব্যাটার। সাইদ আজিজ ও সাদ মাসুদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় তারা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারে এটি পাকিস্তানের দ্বিতীয় জয়। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানের বিপক্ষেও বড় জয় পেয়েছিল তারা।
আজ পাকিস্তান পেয়েছে দুই জয়। শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে শাহীন শাহ আফ্রিদিরা। রাওয়ালপিন্ডির পর দোহাতেও আরেক উৎসবের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন সাইদ আজিজরা।
মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছে ভারত। একই দিনে দুটি বড় হার দেখেছে দেশটির ক্রিকেট। টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে শুভমান গিলের দল। আর তাদের ‘এ’ দলও হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে।
এদিন ভারতের সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ঝড় তোলেন মাজ সাদাকাত। ৪৭ বলে ৭৯ রান করেন তিনি; যাতে ছিল ৭টি চার ও ৪টি ছয়। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সাদাকাত। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম ও ইয়াসির খানকে। দুজন ফিরে গেলে মোহাম্মদ ফাইককে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের সামনে হিমশিম খেতে হয় সূর্যবংশীকে। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ভারতীয় তরুণ ব্যাটার এদিন সাইদ আজিজ ও সুফিয়ানদের সামনে ছিলেন অসহায়। যদিও দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তিনি। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় বড় হার দেখে ভারত।