আল নাসরের জার্সিতে রীতিমতো উড়ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পর এবার দুই গোল করলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। তবে তার জোড়া গোলের পরও এই ম্যাচে জিততে পারেনি আল নাসর।
ক্লাব ফ্রেন্ডলি ম্যাচে রোববার রাতে আলমেরিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে রোনালদোর আল নাসর। নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েই জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
রোনালদোর দুই গোল ছাড়া পুরো ম্যাচে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি আল নাসর। সারা ম্যাচে শুধু রোনালদোর গোলের দুটি শটই লক্ষ্য বরাবর ছিল তাদের।
আরও পড়ুন
মেসিকে ছাড়া ‘ফ্লোরিডা ডার্বি’ হারল মায়ামি |
![]() |
ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে আল নাসর। ৬ মিনিটে আলমেরিয়াকে লিড এনে দেন সার্জিও আরিবাস।
১৭ মিনিটে সতীর্থের পাস পেয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে নিখুঁত শটে জাল খুজে নেন রোনালদো।
পরে ৩৯ মিনিটের সময় ডি-বক্সের মধ্যে তাকে ফাউল করে বসেন আলমেরিয়া গোলরক্ষক। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সহজেই লক্ষ্যভেদ করে আল নাসরকে এগিয়ে দেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
তবে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আল নাসর। ৪৩ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরান আদ্রি এমবারবা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬১ মিনিটের সময় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করে আলমেরিয়ার জয় নিশ্চিত করেন এমবারবা।
আরও পড়ুন
৫ গোলের জয়ে গাম্পার ট্রফি পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার |
![]() |
ফ্রেন্ডলি ম্যাচের পর্ব শেষে সামনের সপ্তাহে প্রতিযোগিতামূলক লড়াইয়ে নামবে আল নাসর। আগামী ১৯ আগস্ট সৌদি সুপার কাপের সেমি-ফাইনালে আল ইত্তিহাদের মুখোমুখি হবে তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে
কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল গুঞ্জন। অবশেষে সত্যি হলো সেটিই। প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় এই কথা জানান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
গত কিছু দিন ধরেই পিএসজির প্রধান কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে দোন্নারুম্মার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে বলে জানিয়ে আসছিল ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমগুলো। দল ছাড়ার বার্তায়ও সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী গোলরক্ষক।
ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনের সত্যতা মেলে ইউয়েফা সুপার কাপের দল ঘোষণার সময়। বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে টটেনহ্যামের বিপক্ষে হতে যাওয়া ম্যাচটির জন্য ঘোষিত স্কোয়াডেই দোন্নারুম্মাকে রাখেননি এনরিকে।
আরও পড়ুন
‘সাকিবের সাথে বিসিবির সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি’ |
![]() |
এই স্কোয়াড ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই পিএসজি ছাড়ার বার্তা দেন দোন্নারুম্মা।
"প্রথম দিন থেকেই দলে জায়গা পেতে এবং প্যারিসের গোলপোস্ট রক্ষায় মাঠে, মাঠের বাইরে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি আর দলের অংশ হতে পারব না, দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পারব না। এতে আমি হতাশ ও বেদনাহত।"
বিদায়ের আগে ফরাসি ক্লাবটির নিজেদের মাঠে একটি ম্যাচ খেলতে চান দোন্নারুম্মা। কিন্তু এনরিকে যদি সেই ইচ্ছা পূরণের সুযোগ না দেন, তাহলে আগাম বিদায়ও জানিয়ে দিলেন তিনি।
“আশা করি, ঘরের মাঠে আর একটিবার খেলে সমর্থকদের দিকে তাকাতে পারব, বিদায় জানাতে পারব। এটিই হওয়া উচিত। তবে যদি তা না হয়, আমি সমর্থকদের জানাতে চাই যে, আপনাদের সমর্থন ও অনুরাগ আমার কাছে সবকিছু এবং কখনোই এসব ভুলব না আমি।”
আরও পড়ুন
সিরিয়ান ক্লাবকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্বে বসুন্ধরা কিংস |
![]() |
“এই ক্লাবে খেলা এবং এই শহরে থাকতে পারা ছিল দারুণ সম্মানের। ধন্যবাদ প্যারিস।”
২০২১ সালে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান ছেড়ে পাঁচ বছরের চুক্তিতে পিএসজিতে নাম লিখিয়ছিলেন দোন্নারুম্মা। কিন্তু হতাশা ও বেদনা নিয়ে চুক্তির এক বছর বাকি থাকতেই ক্লাব ছেড়ে দিলেন।
দোন্নারুম্মার ভবিষ্যত ঠিকানা কোথায় হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কিছু ক্লাবের তার ওপর আগ্রহ আছে বলে জানিয়েছে নানা সংবাদমাধ্যম।
এএফসি অনুর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচে প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে দক্ষিণ কোরিয়া সমতায় ফিরলেও, সমান তালে লড়াই করেছিল বাংলাদেশও। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় দৃশ্যপট। সময় যত গড়িয়েছে, বাংলাদেশ তত ছন্নছাড়া হয়েছে।
রক্ষণে আফঈদা খন্দকার, নবিরন খাতুন ও জয়নব বিবি থাকতেও একের পর এক গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। রক্ষণের দুর্বলতাই ফুটে উঠেছে বারবার।
দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ নিয়ে গত সোমবার কথা বলেন বাংলাদেশ দলের কোচ পিটার বাটলার,
‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভেঙে পড়েছিলাম। বিরতির সময়েই বুঝেছিলাম আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্ত, তাদের শক্তি ফুরিয়ে গেছে।’
ওই আসরে ৫ দিনের মধ্যে ৩ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। তার আগের সপ্তাহে ১১ দিনের ব্যবধানে টানা ৬ ম্যাচ খেলেন আফঈদা, সাগরিকা, স্বপ্নারা। দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের আগে তাই খেলোয়াড়রা ছিলেন ক্লান্ত, যেটি বলেছেন কোচ বাটলারও। টানা খেলার মধ্যে থাকায় দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের আগে দলে ছোটখাটো ইনজুরি প্রবণতাও ছিল।
২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত নারী ফুটবল দল (সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক মিলে) ম্যাচ খেলেছে মোট ১৬টি। শুরুটা মার্চে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দিয়ে। ওই ম্যাচ দিয়ে আফঈদার সিনিয়র দলে অধিনায়ক হিসেবে নতুন পথচলা।
এই শুরুর পথে আফঈদা পেয়েছিলেন এক ঝাক তরুণ মুখ। সেই সময় কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেন সিনিয়র দলের ১৮ ফুটবলার। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে বাদ দিয়েই তরুণ এক দল নিয়ে আমিরাত যান পিটার বাটলার। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ হারে সমান ৩-১ ব্যবধানে।
এরপর বাংলাদেশ খেলেছে আরও তিনটি টুর্নামেন্ট- এশিয়ান কাপ বাছাই, অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ ও অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাই।
আমিরাতে দুটি ম্যাচ ছাড়াও এ বছর জর্ডানে দুটি প্রীতি ম্যাচও খেলেছে লাল সবুজের মেয়েরা। যেখানে জর্ডানের সঙ্গে ২-২ এবং ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচে ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, শামসুন্নাহারদের মতো সিনিয়ররা ফিরলেও অধিনায়কের আর্মব্যান্ড থাকে আফঈদার হাতেই।
ব্যস্ত সূচির মধ্যে শুধু অনুর্ধ্ব-২০ নারী সাফে খেলোয়াড়দের অদলবদল করে খেলিয়েছেন বাটলার। প্রথম দুই ম্যাচে আফঈদা খেলেছেন, এরপর মাঠে নেমেছেন প্রতিযোগিতার শেষ ম্যাচে। ম্যাচে না নামতে হলেও, দলের সঙ্গেই থাকতে হয়েছে সব খেলোয়াড়দের।
গত ২১ জুলাইয়ের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে বটে, তবে ঠিক সেই ম্যাচ থেকেই যেন ক্লান্তি ভর করে আফঈদাদের ওপর। কারণ সাফ জিতেও বিশ্রাম নিতে পারেনি দল। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য দলের ক্যাম্পও ভাঙেননি কোচ।
সাফের প্রতিযোগিতা শেষ করে ১০ দিনের মাথায় বাংলাদেশ পাড়ি দেয় লাওসে। সেখানে ৫ দিনের মধ্যে দল খেলে ৩ ম্যাচ। যেটা মোটেও সহজ ছিল না বাংলাদেশের মতো দলের জন্য, যারা নিয়মিত সাফের আসরে সাফল্যে পেলেও এএফসিতে তেমনটা নয়।
কোচও বলেছিলেন,
‘সাফের গন্ডি পেরিয়ে এএফসি আসরে আসলে বোঝা যায় দলের শক্তিমত্তা।’
অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ও এএফসি বাছাইয়ের আগে মিয়ানমারে ৭ দিনের ব্যবধানে তিন ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এএফসি সিনিয়র দলের বাছাইয়ের সেই তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষ বাহরাইন, মিয়ানমার ও তুর্কমেনিস্তান।
কঠিন গ্রুপ পড়েও বাংলাদেশ প্রথমারের মতো নাম লেখায় এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। যে টুর্নামেন্টে বাহরাইনকে ৭-০ গোল হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে মিয়ানমারের বিপক্ষে জয় ২-১ ব্যবধানে। আর শেষ ম্যাচ তুর্কমেনিস্তান হেরেছে সেই ৭-০ গোলেই।
আফঈদা ছাড়াও দলের আরও কয়েকজন খেলোয়াড় এই ৬ মাসে খেলেছেন বা দলের সঙ্গে ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সাগরিকা, স্বপ্না রানী, উমেহলা মারমারা। নেপালে গত বছর সাফ জয়ের দলের সঙ্গেও ছিলেন তারা।
টানা খেলার ক্লান্তি থাকলেও, লাওসে দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে জয়ের জন্যই নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে দেখা গেছে নিজেদের চেনা ছন্দে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন খেই হারিয়ে ফেলেন স্বপ্না, নবিরন, সাগরিকারা। টানা টুর্নামেন্ট আর আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রভাব বোঝা যাচ্ছিল তাদের খেলায়।
ইউরোপ বা উন্নত দেশের যে কোনো পেশাদার ফুটবলাররা ৬ মাসে এর দ্বিগুণ ম্যাচও খেলে থাকেন কিন্তু প্রেক্ষাপট আর অভ্যস্ততা হিসেবে সেখানে এখনও পরিচিত নয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
তবে পারফরম্যান্সের যে ধারা মেয়েরা অব্যহত রেখেছেন তাতে সেই অভ্যস্ততা এবং পেশাদারত্বের সঙ্গে অচিরেই মানিয়ে নিতে হবে তাদের। কারণ সামনেও রয়েছে এমন ব্যস্ত সময়।
অস্ট্রেলিয়ায় আগামী বছর মার্চে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলবেন ঋতুপর্ণা চাকমারা। পরের মাসে থাইল্যান্ডে আছে অনুর্ধ্ব-২০ দলের এশিয়ান কাপ টুর্নামেন্ট।
এই দুই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিবিড় অনুশীলন তো আছেই, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলারও আয়োজন করতে চায় বাফুফে। আগামী সেপ্টেম্বর উইন্ডোতেই দেখা যেতে পারে বড় কোনো দলের বিপক্ষে খেলা।
তাই সব মিলিয়ে ক্লান্তি ঝেরে নতুন উদ্যমে নেমে পড়তে হবে ঋতুপর্ণা, আফঈদাদের।
১৩ আগস্ট ২০২৫, ২:০৬ এম
প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই। শুরুতেই গোলের দেখা পেলেন এমানুয়েল সানডে। এরপর প্রতিপক্ষের সামনে রক্ষণের দেয়াল; আর পোস্টে মেহেদি হাসান শ্রাবনের বীরত্ব। তাতে দুর্দান্ত জয় পেল বসুন্ধরা কিংস। দারুণ এই জয়ে ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্বে এখন কিংস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এএফসিতে প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল ফুটবল) টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার রাতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। জয়সূচক গোলটি আসে এ মৌসুমেই মোহামেডান থেকে কিংসে নিয়ে আসা সানডের পা থেকে। চ্যালেঞ্জ লিগে এ নিয়ে ১৮ ম্যাচ খেলে ৮ জয় তুলে নিল বসুন্ধরা কিংস।
কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়ামটিকে বলা হয় সিরিয়ান ক্লাবটির দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। তবে এদিন মাঠে বেশ কিছু দর্শক এসেছিলেন; যার মধ্যে বেশিরভাগেই ছিলেন কিংস সমর্থক। ম্যাচের শুরু থেকেই তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল সান্ডারল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা কিউবা মিচেলে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেও যার অভিষেক নিয়ে আছে আলোচনা। শেষ পর্যন্ত কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে কিউবার। তবে জয়সূচক গোল করে সব আলোই কেড়ে নিয়েছেন সানডে।
খেলার তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ আসে বুসন্ধরা কিংসের সামনে। তাজের পা থেকে রাইট উইংয়ে বল পান রাকিব হোসেন। এই উইঙ্গারের ক্রসে পোস্টের সামনে বাইসাইকেল কিকে ব্যর্থ হন ডরিয়েলটন।
ষষ্ঠ মিনিটে আর কোনো ভুল করেনি বসুন্ধরা কিংস। কর্নার থেকে এমানুয়েল সানডের গোলে লিড নেয় ঢাকার জায়ান্টরা। জটলার মধ্য থেকে বা পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তপু, নিচু হয়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই জালে বল ঠেলে দেন সানডে।
১৭ মিনিটে আল কামারাহর আবদুল রহমান আলারজাহকে কাটিয়ে সরাসরি শট নেন পোস্টে, তবে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন। পরের মিনিটে তাজের ব্লকে বিপদ ঘটেনি কিংস শিবিরে। ২১ মিনিটে আলাজানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবন। দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের বারুদে শট আটকে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
৩৫ মিনিটে রাকিবের দারুণ ক্রস ছুটে এসে ক্লিয়ার করেন খালিদ আল হাজ্জা। ৪২ মিনিটে আবদুল্লাহ জাকরিতের শট বেড়িয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে রাফায়েলের বা পায়ের শট ঝাপিয়ে আটকে দেন আল কারামাহর গোলরক্ষক আবদুল লতিফ নাসান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।
বিরতির পর ৫২ মিনিটে কিংসের লিড দ্বিগুণের সুযোগ হাতছাড়া হয় সানডের শট অন টার্গেটে রাখতে না পারায়।
৫৯ মিনিটে সোহেল রানাকে তুলে নেন কোচ মাহবুব। তার বদলি হিসেবে নেমে কিংসের জার্সিতে অভিষেক হয় মোহাম্মদ হৃদয়ের। এই মৌসুমেই ঢাকা আবাহনী থেকে কিংস শিবিরে নাম লেখান এই মিডফিল্ডার।
৬১ মিনিটে গোলমুখের সামনে পেপে লিয়ে বলে মাথা ছোয়াতে পারলে গোল পেতে পারত আল কারামাহ। দুই মিনিট পর শ্রাবনের বীরত্বে বেচে যায় কিংস। তবে গোলমুখের সামনে থাকা বলে ফিরতি শটে পেপেকে বাধা দেন ডিফেন্ডার তাজ।
৬৫ মিনিটে বাংলাদেশের ক্লাবের জার্সিতে অভিষেক হয় কিউবা মিচেলের। রাফায়ালকে তুলে সান্ডারল্যান্ডের সাবেক এই ফুটবলারকে মাঠে নামান কিংস কোচ।
৮০ মিনিটে আল কারামাহর বদলি খেলোয়াড় জাকারিয়ার হেড খুজে নিচ্ছিল জাল, শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে দেন শ্রাবন। বক্সে এদিন দারুণ ছিলেন কিংসের এই গোলরক্ষক।
৮৫ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে রাকিবের সেই দৌড়। শেষ পর্যন্ত কর্নারের কাছ থেকে ক্রস দেন, তবে ডরিয়েলটন শট নেওয়ার আগেই ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। এরপর কিউবার নেওয়া কর্নার থেকে রাকিবকে গোলবঞ্চিত করে আল কারামাহর গোলরক্ষক। তবে গোল না পেলেও আফসোস থাকার কথা নয় বসুন্ধরা কিংসের। কেননা শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের লিড ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে এক মৌসুম আগে ঘরোয়া ট্রেবলজয়ীরা।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে (প্রিমিলিনারি রাউন্ড) সিরিয়ান ক্লাব আল কারামাহর বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশের জায়ান্ট ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে মোহাম্মদ মাহবুবের দল। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে কিংসের হয়ে লিড নেওয়া গোলটি করেন এমানুয়েল সানডে। কাতারের দোহায় সুহেইম বিন হামাদ স্টেডিয়াম থেকে খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে টি-স্পোর্টস।
তৃতীয় মিনিটেই দারুণ সুযোগ আসে বুসন্ধরা কিংসের সামনে। তাজের পা থেকে রাইট উইংয়ে বল পান রাকিব হোসেন। এই উইঙ্গারের ক্রসে পোস্টের সামনে বাইসাইকেল কিকে ব্যর্থ হন ডরিয়েলটন।
তবে ষষ্ঠ মিনিটে আর কোনো ভুল করেনি কিংস। কর্নার থেকে এমানুয়েল সানডের গোলে লিড নেয় ঢাকার জায়ান্টরা। জটলার মধ্য থেকে বা পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন তপু, নিচু হয়ে আসা বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সহজেই জালে বল ঠেলে দেন মোহামেডান থেকে এই মৌসুমে কিংসে নাম খেলানো সানডে।
১৭ মিনিটে আল কামারাহর আবদুল রহমান আলারজাহকে কাটিয়ে সরাসরি শট নেন পোস্টে, তবে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন।
১৮ মিনিটে তাজের ব্লকে বিপদ ঘটেনি কিংস শিবিরে। ২১ মিনিটে আলাজানের দূরপাল্লার শট ফিস্ট করে ক্লিয়ার করেন কিংসের গোলরক্ষক শ্রাবন। দুই মিনিট পর প্রতিপক্ষের বারুদে শট আটকে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
৩৫ মিনিটে রাকিবের দারুণ ক্রস ছুটে এসে ক্লিয়ার করেন খালিদ আল হাজ্জা। ৪২ মিনিটে আবদুল্লাহ জাকরিতের শট বেড়িয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। পরের মিনিটে রাফায়েলের বা পায়ের শট ঝাপিয়ে আটকে দেন আল কারামাহর গোলরক্ষক আবদুল লতিফ নাসান। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।
১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
ডারউইনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল সফরকারীরা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সেঞ্চুরির পর কোরবিন বোশ-কাগিসো রাবাদাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেতে বেশ সহজই হয়েছে প্রোটিয়াদের।
নিজেদের মাঠে অজিরা দেখল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের হার। ২০২২ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে সর্বোচ্চ ৮২ রানে হেরেছে তারা।
মারারা স্টেডিয়ামে বাঁচানোর ম্যাচে ব্রেভিসের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২১৮ রান তোলে সফরকারীরা। ২১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৭.৪ ওভারে ১৬৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
আরও পড়ুন
ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড |
![]() |
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ বলে ৫০ রান করেন টিম ডেভিড। অ্যালেক্স কেরি ২৬ ও মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। বড় লক্ষ্য তাড়ার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে বোশ ও কেউনা মাফাকা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় ছিল না তাদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭ রানে হারায় তারা তৃতীয় উইকেট। চার নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ব্রেভিস। চতুর্থ উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে ৫৭ বলে ১২৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন তিনি।
২২ বলে ৩১ রানে ফেরেন স্টাবস। তবে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৪২ বলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেভিস। তাঁর চেয়ে কম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড মিলারের নামের পাশে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ব্রেভিসই।
আরও পড়ুন
প্রথমবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে সাদারল্যান্ড |
![]() |
৫৬ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেভিস। ইনংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১২টি চার। কুড়ি ওভারের সংস্করণে প্রোটিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এটি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাফ ডু প্লেসিস করেছিলেন ১১৯ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ২১৮ রান স্কোরে জমা করে প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে করেছিল ২০৪ রান। এবার সেটি ছাড়য়ে গেল তারা। ২টি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও বেন ডারশুইস।