১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:০৮ পিএম
৫ চারের সঙ্গে ১১ ছক্কায় মাত্র ৫১ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরি দলকেও তুললেন ফাইনালে। তবু আক্ষেপ রয়ে গেল ক্রিস লিনের। কারণ ওভারে ছয় ছক্কার সুযোগ তৈরি করেও যে মারতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ভাইটালিটি ব্লাস্টে সেমি-ফাইনালে এই ইনিংসটি খেলেন লিন। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে শনিবার রাতে নর্দাম্পটনশায়ারকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকেট পায় লিনের হ্যাম্পশায়ার।
ভাইটালিটি ব্লাস্টে একই দিনে খেলা হয় দুই সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ। এটিকে ‘ফাইনালস ডে’ নাম দিয়েছে তারা। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চলা এই টুর্নামেন্টে এর আগে কখনও ‘ফাইনালস ডে’তে সেঞ্চুরি করতে পারেননি কোনো ব্যাটার।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিহাস গড়ে ১০৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটি খেলেন লিন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে লয়েড পোপের ওপর ঝড় বইয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার। টানা পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে নেন ৩০ রান।
লিনের আশা ছিল, শেষ বলেও মারবেন ছক্কা। কিন্তু লেগ স্পিনারের বলে সুইপ করলেও ব্যাটে লাগাতে পারেননি। ফলে হাতছাড়া হয় যুবরাজ সিং, কাইরন পোলার্ডদের মতো ওভারে ছয় ছক্কা মারা ব্যাটারদের তালিকায় ঢোকার সুযোগ।
ম্যাচ শেষে তাই ইতিহাস গড়ার আনন্দের চেয়েও লিনের আক্ষেপ বেশি ছিল ছয় ছক্কা নিয়েই। ম্যাচ সেরা হয়ে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সেই কথাই বলেন লিন।
“(ফাইনালস ডেতে প্রথম সেঞ্চুরি করা) খারাপ নয় (হাসি)! তবে আমি সম্ভবত আরও বেশি করে ওভারে ছয় ছক্কা মারতে চাইছিলাম। এলবিডব্লিউ নিয়ে ভাবনা ছিল না। চেষ্টা ছিল যুবরাজ ও পলির (পোলার্ড) সঙ্গে যোগ দেওয়ার।”
লিনের আগে ভাইটালিটি ব্লাস্টের ‘ফাইনালস ডে’তে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল লুক রাইটের। ২০১৮ সালের সেমি-ফাইনালে সমারসেটের বিপক্ষে ৯২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাসেক্সের তারকা ব্যাটার। সেটি টপকে এখন লিন খেলেছেন ১০৮ রানের ইনিংস।
হ্যাম্পশায়ারের ১৫৫ রানের লক্ষ্য মূলত একাই তাড়া করেছেন লিন। সফল রান তাড়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান এসেছে জেমস ভিন্সের ব্যাট থেকে। সংখ্যার বিচারে খুব সহজ মনে হলেও, সেঞ্চুরি করার ইনিংসটি বেশ কঠিনই ছিল বললেন লিন।
“এখন এখানে বসে খুব সহজেই বলে দেওয়া যায়, নিষ্প্রাণ উইকেট। কিন্তু আমরা প্রতিটি বল বুঝে খেলেছি, জানতাম উইকেটে কিছু (প্রাণ) আছে শুরুর সময়টায়।”
“প্রতিপক্ষ দলে কিছু মানসম্পন্ন সিম বোলারও আছে। কাজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারায় ভালো লাগছে। প্রথম লক্ষ্য পূরণ হলো। তবে আরেকটি কাজ বাকি এখনও।”
লিনের ঝড়ে সেমি-ফাইনাল জিতলেও, ফাইনালে শেষ পর্যন্ত আর পারেনি হ্যাম্পশায়ার। আগে ব্যাট করে তারা ১৯৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। তবে উইল স্মিডের ৫৮ বলে ৯৪ রানের সৌজন্যে রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে যায় সমারসেট।
No posts available.
শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা, উত্তেজনার পারদ চরমে স্নায়ুচাপ সামলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস এক ছক্কাতেই ম্যাচের নায়ক হয়ে গেলেন। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে নিয়ে গেলেন ক্যারিবিয়ান সুপার লিগের (সিপিএল) প্লে-অফে। ডেভিড ভিসের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল চার রান, লং–অন দিয়ে ছক্কা মেরে জয়োল্লাসে ভাসান দলকে। সেন্ট লুসিয়া কিংসকে ২ উইকেটে হারায় গায়ানা।
সেন্ট লুসিয়ার দেওয়া ১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে গায়ানার দরকার ছিল ১২ রান। নো বল, ওয়াইড, রান আউট—সব ধরনের নাটকীয়তা। শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৪ রানের। চাপের মুহূর্তে ভিসার ফুল টসকে গ্যালারিতে পাঠান প্রিটোরিয়াস।
জয়ের পর ভিসার সামনে গিয়ে উদযাপন করেন প্রিটোরিয়াস, যা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডাও হয়। তবে সেই উত্তাপ বেশি দূর এগোয়নি। প্রিটোরিয়াস ৭ বলে ১২ রান করেন। গায়ানার জয়ের পথে বড় অবদান কুয়েন্টিন স্যাম্পসনের। ৫ ছক্কা ও ৭ চার মেরে মাত্র ৩৯ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচসেরা পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। শাই হোপ খেলেন ৩৪ বলে ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস।
প্রোভিন্সে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট লুসিয়া। দলের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন রোস্টন চেজ। ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ বলে ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ৩০ বলে ৫০ রান করেন অ্যাকিম অগাস্টি। তবে তাঁদের ইনিংসও শেষ হাসি হাসতে দেয়নি দলকে।
গায়ানার সামনে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ। কাল প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে তারা খেলবে বারবাডোস রয়্যালসের বিপক্ষে। ম্যাচটি জিততে পারলে লিগ পর্ব শেষ করবে দারা সবার ওপরে থেকে।
টানা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেল এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রোববার দুপুরে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল সিলেট ও রংপুরের।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। ফলে ঘরের মাঠে নামা হয়নি সিলেটের জার্সিতে খেলার অপেক্ষায় থাকা মুশফিকুর রহিমের।
খেলা না হওয়ায় রংপুরের নাসির হোসেন, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধদের সঙ্গে হাসি-মজায় সময় কাটাতে দেখা যায় মুশফিককে। মাঠ ছাড়ার আগে গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের ছবি তোলার আবদারও মেটান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
বগুড়ার মাঠে আগামী দুই দিনও কোনো খেলা হবে না। সোমবারের বরিশাল-ঢাকা ও মঙ্গলবারের ঢাকা-রংপুর ম্যাচ দুইটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান মাঠে নামছে রাতে। সাবেকদের কথার লাড়ইও চলছে বেশ। পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক অনুজদের বাতলে দিলেন সেরা সম্ভাবনার কথা।
মালিক মনে করেন, ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে টসে ভাগ্য সহায় না হলেও শুরুতেই ভারতীয় টপ অর্ডারকে ধাক্কা দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই পাকিস্তানের। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘টস তো কারও হাতে নেই। কিন্তু পাকিস্তানের সেরা সম্ভাবনা তখনই, যদি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিন-চারজনকে দ্রুত ফিরিয়ে আনা যায়। তখন তাদের ১৫০–১৬০ রানের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব।’
আরও পড়ুন
সাব্বিরের ঝড় ম্লান করে রবিনের তাণ্ডব |
![]() |
শুধু শুরুতেই নয়, মাঝের ওভারগুলোয়ও পাকিস্তানি স্পিনারদের ভূমিকা দেখছেন মালিক। তাঁর মতে, সুফিয়ান মুকিম ও আবরার আহমেদ যদি তিনটি করে উইকেট নিতে পারেন, তাহলে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙে পড়তে পারে।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘স্পিনাররা যদি ছয় উইকেট ভাগাভাগি করতে পারে, তবে পাকিস্তানের সামনে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ভারত ব্যাটিংয়ে টিকে গেলে কখনোই সহজ হয় না।’
ভারত ও পাকিস্তান দুদলই এশিয়া কাপে একট করে ম্যাচে জয় পেয়েছে। আজ যারা জিতবে, সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখবে তারা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির শুরুতেই বৃষ্টির বাগড়া। ওভার কমিয়ে হয়েছে উদ্বোধনী ম্যাচ। আর একই কারণে বদলে ফেলা হয়েছে দুইটি ম্যাচের ভেন্যু।
টানা বৃষ্টিতে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম আপাতত খেলার উপযোগী নেই। তাই ওই মাঠের আগামী দুই দিনের ম্যাচগুলো হবে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিন অর্থাৎ রোববারের দ্বিতীয় ম্যাচে বগুড়ার মাঠে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর ও সিলেটের। সেটি এখন পরিত্যক্ত হওয়ার পথে।
আরও পড়ুন
‘শুধু খেলতে নয়, চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি’ |
![]() |
আর বৃষ্টির বাগড়া এড়াতে রাজশাহীতে আনা হয়েছে পরের দুই দিনের ম্যাচ। সোমবার সকাল ১০টায় বগুড়ায় ছিল বরিশাল ও ঢাকা ম্যাচ। আর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় ওই মাঠে হওয়ার কথা ছিল ঢাকা ও রংপুর ম্যাচ।
বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচগুলো এখন একই সময়ে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে হবে।
রোববার রাজশাহীর মাঠেও অবশ্য পড়েছে বৃষ্টির বাধা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ৫ ওভারে হয়েছে স্বাগতিক রাজশাহী ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচ। যেখানে ৭ উইকেটে জিতে যাত্রা শুরু করেছে নাঈম শেখের নেতৃত্বাধীন ঢাকা মেট্রো।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শুরুতে ঝড় তুললেন সাব্বির রহমান। চমৎকার ইনিংস খেলে তিনি রাজশাহীকে এনে দিলেন বেশ ভালো সংগ্রহ। কিন্তু পরের ইনিংসে সাব্বিরকে ছাড়িয়ে গেলেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। দারুণ জয়ে আসর শুরু করল ঢাকা মেট্রো।
রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রোববার জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারায় মেট্রো। পাঁচ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬০ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী। জবাবে ৪.৩ ওভারে জিতে যায় নাঈম শেখের মেট্রো।
আরও পড়ুন
‘শুধু খেলতে নয়, চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি’ |
![]() |
আগে ব্যাট করা রাজশাহীকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর মূলত সাব্বির। ১ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় মাত্র ১৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু পরে রবিন মাত্র ১২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে মেট্রোকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। প্রথম ওভারে শূন্য রানে আউট হন শান্ত। পরের ওভারে ২ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার আরিফ আহমেদ। অল্পেই আউট হন হাবিবুর রহমান সোহান (২) ও সাব্বির হোসেন (৪)।
এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি সাব্বির ও মেহরব হোসেন। দুজন মিলে ২০ বলে গড়েন ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ২২ রান করা রাজশাহী, শেষ ২ ওভারে করে ৩৮ রান। এর মধ্যে শেষ ওভারেই ৩টি ছক্কা মারেন সাব্বির।
এক ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আরিফ।
রান তাড়ায় শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না মেট্রোর। তৃতীয় ওভারে নাঈম শেখ (৮ বলে ৭) যখন আউট হন, স্কোর বোর্ডে তখন মাত্র ১৮ রান। তিন নম্বরে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
আবু হায়দার রনি ৪ বলে ৮ রান করে আউট হন। তবে অন্য প্রান্তে রবিন ছিলেন দুর্দান্ত। তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে সমীকরণ নামা ২ ওভারে ২৬ রানে। পরে শফিকুল ইসলামের ওভারে ১৬ রান নেয় মেট্রো।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়েও লিনের আক্ষেপ, ‘ওভারে ছয় ছক্কা চেয়েছিলাম’ |
![]() |
শেষ ওভারে বাকি থাকে ১০ রান। নাহিদ রানার প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন রবিন। তৃতীয় বলে ২ রান নিয়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়।