
হৃদ্রোগজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার অস্কার। পাঁচ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া সাবেক চেলসি তারকা।
গত বুধবার ফিটনেস পরীক্ষা দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অস্কার। অসুস্থ হওয়ার পর অস্কারকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন ‘ভ্যাসোভেগাল সিনকোপ’ নামে এক ধরনের অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতায় ভুগছেন ৩৪ বছর বয়সী ফুটবলার, যা হঠাৎ হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ কমে গেলে হয়।
অস্করের ক্লাব সাও পাওলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘হাসপাতালে থাকার সময়টাতে ছিলেন স্থিতিশীল ছিলেন অস্কার। এখন তিনি আগামী কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলবেন।’
আরও পড়ুন
| অনুশীলনে লুটিয়ে পড়ে হাসপাতালে ব্রাজিলের অস্কার |
|
হাসপাতাল থেকে ছাড় পেলেও ফুটবলে ফেরার সম্ভাবনা কমই অস্কারের। তাকে আর পেশাদার ফুটবলে নাও দেখা যেতে পারে।
গত ডিসেম্বরে তিন বছরের চুক্তিতে সাও পাওলোতে যোগ দেন অস্কার। শাংহাই পোর্ট ও চেলসিতে সফল সময় কাটিয়ে নিজের শৈশবের ক্লাবে ফিরে যান তিনি। এরপর গত জুলাইয়ে চোটে পড়েন। কোমরের হাড়ে ফাটলসহ একাধিক চোটের কারণে এ বছর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ব্রাজিলের সাবেক এই আন্তর্জাতিক তারকা মাত্র ২১টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন।
২০১২ সালে চেলসিতে যোগ দিয়ে দারুণ সাফল্য পান তিনি। ইংলিশ ক্লাবটিতে পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে প্রিমিয়ার লিগ, ইউরোপা লিগ এবং লিগ কাপ জেতেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ২৫ বছর বয়সে প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে চীনের শাংহাই পোর্ট ক্লাবে পাড়ি দেন অস্কার। ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ৪৮ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন তিনি।
No posts available.

১৯৯৮ সালে ফিফার স্বীকৃতি পায় ফিলিস্তিন। ফিফার সদস্যপদ পাওয়ার পর ইউরোপের মাটিতে প্রথমবারের মতো ফুটবল ম্যাচ খেলল দেশটি।
শনিবার স্পেনের বিলবাও শহরের সান মামেস স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিন ফুটবল দল বাস্ক কান্ট্রি দলের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে। ম্যাচটিকে ফিলিস্তিনের ফুটবল সংশ্লিষ্টরা ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘শক্তিশালী সংহতির প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের মধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবে আয়োজন করা হয় ম্যাচটি।
সান মামেস স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচের আগে ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়রা ‘গণহত্যা বন্ধ কর’ লেখা ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। মাঠে দর্শকরা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে, ব্যানার প্রদর্শন করে ম্যাচ শুরুর আগে শহরের মধ্য দিয়ে একটি শোভাযাত্রায় অংশ নেন। স্টেডিয়ামে থাকা প্যালেস্টাইন সমর্থকরা ফিলিস্তিন ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সুলেইমান আল-ওবেইদ-এর ছবি উন্মোচন করেন। ইসরাইলি বর্বর বাহিনীর হাতে হত্যার শিকার হতে হন আল-ওবেইদ।
নিছক কোনো ফুটবল ম্যাচ নয়, বরং ফিলিস্তিনের নৃশংসতার শিকার নাগরিকদের স্মরণ ও রাজনৈতিক সংহতির মঞ্চ হিসাবেও আয়োজন করা হয় ম্যাচটি। ম্যাচটিতে ৩-০ গোলে জেতে বাস্ক দল। অ্যাথলেটিক বিলবাও, রিয়াল সোসিয়েদাদ এবং স্পেনের অন্যান্য আঞ্চলিক ক্লাবের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত এই দল।
আগামীকাল বার্সেলোনায় কাতালানুনিয়া একাদশের বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ফিলিস্তিন।
গত দুই বছরে স্পেনে জায়ানবাদী বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকটি বৃহৎ প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে বাস্ক কান্ট্রি এই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। সেপ্টেম্বরে ভুয়েল্টা সাইক্লিং ইভেন্টের সময় একটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন দলের বিরুদ্ধে বড় প্রতিবাদ দেখা যায়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সাল থেকে গাজায় প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।

২০২২ বিশ্বকাপের পর বিশ্বসেরার মঞ্চে আরো একবার দর্শক হয়ে থাকতে হবে নাইজেরিয়াকে। নাটকীয় টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হলো আফ্রিকার এই পরাশক্তির। আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে নাইজেরিয়াকে ৪-৩ গোলে গোলে হারায় কঙ্গো। আর এই জয় ১৯৭৪ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে ওঠার আরও কাছে নিয়ে গেল কঙ্গোকে।
মরক্কোতে প্লে-অফের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। ৩ মিনিটেই ফ্র্যাঙ্ক ওনিয়েকার গোলে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। এরপর ৩২ মিনিটে মেশাক এলিয়ার গোলে সমতায় ফেরে কঙ্গো। অতিরিক্ত সময়ে কঙ্গোর দুটি গোল বাতিল হয়, তারপরই ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। সেখানেই নায়ক হয়ে ওঠেন কঙ্গোর বদলি গোলকিপার টিমোথি ফায়ুলু, যিনি রুখে দেন নাইজেরিয়ার দুটি শট।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের শীর্ষ গোলদাতা ভিক্টর ওসিমেনর চোটেই বড় ধাক্কা খায় নাইজেরিয়া। প্রথমার্ধের শেষেই চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় গালাতাসারের ফরোয়ার্ডকে। তার অনুপস্থিতি স্পষ্টভাবেই ভুগিয়েছে নাইজেরিয়াকে।
আরও পড়ুন
| হাসপাতাল ছাড়লেন ব্রাজিলিয়ান তারকা, নিতে পারেন অবসর |
|
ওসিমেনর ছিটকে পড়ার সুযোগটাই কাজে লাগায় কঙ্গো। রোমাঞ্চে ভরপুর টাইব্রেকারে নাইজেরিয়ার ক্যালভিন বাসি প্রথম শট নষ্ট করেন। মুসেস সাইমনের পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন ফায়ুলু। সেমি আজায়ের শটও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়। এরপর শানসেল মবেনবা সফলভাবে শট নিয়ে ডিআর কঙ্গোর জয় নিশ্চিত করেন।
আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে ৯ গ্রুপের সেরা ৯ দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকো বিশ্বকাপে। এরপর চারটি সেরা রানার্স আপ দলকে প্লে অফের চ্যাম্পিয়ন হলো কঙ্গো। ফাইনাল জিতে কঙ্গো এখন পৌঁছে গেল আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে। বিভিন্ন অঞ্চলের মোট ৬টি দল নিয়ে এই প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে আগামী মার্চে। প্লে-অফের ড্র হবে বৃহস্পতিবার।
ইতিহাসে ছয়বার বিশ্বকাপে খেলেছে নাইজেরিয়া। আফ্রিকায় কেবল ক্যামেরুনই ‘সুপার ঈগলস’ থেকে এগিয়ে।

বিশ্ব ফুটবলের একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ইতালির এখন বড়ই দুর্দিন। বিশ্বকাপের মূল পর্বে কিছু করা দূরে থাক, চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এখন বাছাইপর্বই পেরোতে পারছে না। যে কারণে টানা তৃতীয়বার প্লে-অফে খেলতে হবে আজ্জুরিদের।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ের 'আই' গ্রুপে নিজেদের ৮ ম্যাচের মধ্যে ৬টি জিতেছে ইতালি। বাকি দুই ম্যাচে নরওয়ের কাছে হেরেছে তারা। তবু শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টিকে ছিল তাদের আশা। নরওয়েকে রোববার ৯ গোলের ব্যবধানে হারাতে পারলেই ১২ বছর পর বিশ্বকাপে চলে যেত তারা।
ঘরের মাঠে সেই মিশনে ১১ মিনিটে গোল করে লিডও নিয়েছিল জেনারো গাত্তুসোর দল। কিন্তু বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি তারা। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল হজম করে নিজ দেশের সমর্থকদের সামনে বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা।
আরও পড়ুন
| হাসপাতাল ছাড়লেন ব্রাজিলিয়ান তারকা, নিতে পারেন অবসর |
|
ফলে বাছাইপর্ব থেকে মূল আসরের টিকেট পাওয়া হয়নি ইতালির। তবে এখনও শেষ হয়ে যায়নি সব সম্ভাবনা। ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হওয়ায় এখন প্লে-অফ খেলতে হবে ১৯৩০, ১৯৩৪, ১৯৮২ ও ২০০৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
ইউয়েফা অঞ্চল থেকে এবারের বিশ্বকাপে খেলবে মোট ১৬টি দল। এর মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ১২টি গ্রুপ থেকে শীর্ষ ১২ দল সরাসরি পৌঁছে যাবে আগামী বছর মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপে।
বাকি চার দল চূড়ান্ত হবে প্লে-অফ থেকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ১২ গ্রুপ থেকে রানার্স-আপ ১২ দল ও ইউয়েফা নেশনস লিগ থেকে আসবে আরও ৪ দল। সব মিলিয়ে ১৬ দল নিয়ে আগামী মার্চে হবে ইউয়েফা অঞ্চলের প্লে-অফ।
যেখানে ১৬ দলকে ভাগ করা হবে চারটি পাথে। এই চার পাথের সেরা চার দল পাবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ।
এরই মধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে ইতালি, ইউক্রেইন, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড, আলবেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে বাকি ৭ দলের নাম। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে নেশনস লিগের ৪ দল।
প্লে-অফেও ইতালির সাম্প্রতিক ফল খুব একটা ভালো নয়। ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে স্পেনের গ্রুপে ছিল ইতালি। সেখানে রানার্স-আপ হওয়ায় প্লে-অফ খেলতে হয়। প্লে-অফে সুইডেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের।
আরও পড়ুন
| আবারও বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নভঙ্গ নাইজেরিয়ার |
|
পরে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আগে বাছাইপর্বে ইতালির গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয় সুইজারল্যান্ড। আর ওই গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ায় আবারও প্লে-অফে যায় ইতালি। সেখানে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নর্থ মেসেডোনিয়ার কাছে হেরে যায় আজ্জুরিরা।
অধঃপতনের ধারা অব্যাহত রেখে গত বছরের ইউরো কাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয় ইতালি। আর এবার যদি আরও একবার প্লে-অফ বাধা উৎরাতে ব্যর্থ হয় তারা, তাহলে টানা তৃতীয়বার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ছাড়াই হবে বিশ্বকাপ।

কিছু দিন আগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল করে 'রোবট' উদযাপন করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। যেন বোঝাতে চেয়েছিলেন, রোবটের মতোই টানা গোল করতে পারেন তিনি। সেটি যে একবারেই মিথ্যা নয়, তা প্রতিনিয়তই প্রমাণ করছেন নরওয়ের তরুণ স্ট্রাইকার।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন হলান্ড। আর নরওয়ে পেয়ে গেছে ৪-১ গোলের জয়। এই ম্যাচে করা দুই গোলে নতুন দুইটি রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী গোলমেশিন।
বাছাইয়ে নরওয়ের ৮ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছেন হলান্ড। সব মিলিয়ে তার গোল ১৬টি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এক টুর্নামেন্টে এটিই সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হলান্ডের সমান ১৬ গোল করেছিলেন পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডফস্কি।
সব মিলিয়ে নরওয়ের হয়ে এখন ৪৮ ম্যাচে হলান্ডের গোল ৫৫টি। জাতীয় দলের জার্সিতে সবশেষ ১১ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোলের রেকর্ডও এটি।
আরও পড়ুন
| ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে হলান্ডের নরওয়ে, ঝুলে রইল ইতালি |
|
এত দিন এই রেকর্ডে একাই ছিলেন মালয়েশিয়ার আব্দুল গণি। ১৯৬১ সালের মে থেকে ১৯৬২ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ ম্যাচে গোল করেছিলেন তিনি। প্রায় ৬৩ বছর পর সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন হলান্ড।
গত বছরের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত নরওয়ের হয়ে খেলা ১১ ম্যাচের প্রতিটিতেই গোল করেছেন ম্যান সিটি তারকা।
এই রেকর্ডের খুব কাছে ছিলেন লিওনেল মেসি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৮ ম্যাচে গোল করেন তিনি। এর আগে কাতার বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু গোল পাননি আর্জেন্টাইন জাদুকর।
ওই ম্যাচের আগে আবার টানা ৬ ম্যাচে গোল করেছিলেন মেসি। অর্থাৎ পোল্যান্ডের বিপক্ষে জালের দেখা পেলে টানা ১৫ ম্যাচে গোলের রেকর্ড হতে পারত তার।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখল ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। রোববার রাতে আলবেনিয়াকে ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। আর আজারবাইজানের বিপক্ষে শুরুতে গোল খেয়েও ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় ফ্রান্স।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে 'কে' গ্রুপে ৮ ম্যাচের সবকটি জিতে পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই গ্রুপ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকায় প্লে-অফ খেলতে হবে আলবেনিয়ার।
ম্যাচে ইংল্যান্ডের দুইটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৭৪ মিনিটে প্রথম জালের দেখা পান হ্যারি কেইন।
প্রতিপক্ষের মাঠে আট মিনিট পরে আরেকবার জাল কাঁপিয়ে আট ম্যাচে ইংল্যান্ডের অষ্টম জয় নিশ্চিত করেন তারকা ফরোয়ার্ড।
এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আট ম্যাচে কেইনের গোল হলো ৮টি। আর জাতীয় দলের হয়ে ১১২ ম্যাচে তার মোট গোল হলো ৭৮টি।
আরও পড়ুন
| ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে হলান্ডের নরওয়ে, ঝুলে রইল ইতালি |
|
আজারবাইজানের মাঠে খেলতে গিয়ে চতুর্থ মিনিটে গোল হজম করে বসে ফ্রান্স। পরে প্রথমার্ধের মধ্যেই তিন গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলে তারা।
প্রথম গোলটি করেন আজারবাইজানের রেনাত দাদাশোভ। জবাব দিতে বেশি সময় লাগেনি ফ্রান্সের। ১৭ মিনিটে সমতা ফেরান জন-ফিলিপ মাতেতা।
ম্যাচের বয়স আধঘণ্টা হতেই ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন ম্যাঘনেস অ্যাকলিউচে। আর প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলরক্ষক সাহারুদ্দিনের আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে যায় আজারবাইজান। দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি দুই দল।
'ডি' গ্রুপে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাই শেষ করল ফ্রান্স। সমান ম্যাচে আজারবাইজানের সংগ্রহ স্রেফ ১ পয়েন্ট। এই গ্রুপ থেকে প্লে-অফ খেলবে ইউক্রেইন।