প্রত্যাশিত জয়েই এশিয়া কাপের নতুন আসরে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ দল। তুলনামূলক দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতল লিটন কুমার দাসের দল।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় হংকং। জবাবে লিটন ও তাওহিদ হৃদয়ের বড় জুটিতে ১৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ।
জয়ের মঞ্চ অবশ্য গড়ে দেন বোলাররা। চমৎকার বোলিংয়ে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। এছাড়া রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদও নেন ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন
তাসকিন-সাকিব-রিশাদের চমৎকার বোলিং |
![]() |
রান তাড়ায় শুরুতে ঝড় তোলার আভাস দেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন তিনি। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১৪ রান করতে খেলেন ১৮ বল।
পাওয়ার প্লের ভেতরে ৪৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি বাধেন হৃদয় ও লিটন। শুরুতে রয়েসয়ে খেলে ৪৪ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন দুই ব্যাটার।
এরপর ডানা মেলে দেন লিটন। একপর্যায়ে ২৪ বলে ২৬ রানে থাকা লিটন, পরের ৯ বলে নেন ২৪ রান, করেন ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি। দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটারের এটি চার ম্যাচের মধ্যে তৃতীয় ফিফটি।
জয়ের জন্য মাত্র ২ রান বাকি থাকতে বোল্ড হয়ে যান লিটন। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার বিদায়ে ভাঙে ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি।
হৃদয় অবশ্য অপরাজিত থাকেন। তবে ঝড় তুলতে পারেননি। ওয়ানডে ঘরানার ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ১ চারের মারে ৩৬ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন
ক্ষমতা পেলে ‘ফ্রি হিট’ বাদ দিতেন তাসকিন |
![]() |
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লিটন। ২০১৪ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নামে হংকং। তবে ১১ বছর পর আবার বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়ে শুরুটা ভালো হয়নি হংকংয়ের।
দ্বিতীয় ওভারে হংকংয়ের ওপেনার আনশুমান রাঠকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। দারুণ এক ডেলিভারি আনশুমানের ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটকিপার লিটনের হাতে। প্রথমে আম্পায়র আউট না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লেতে আরেক উইকেট হারায় হংকং। তিন নম্বরে নামা বাবর হায়াতকে আউট করে ম্যাচের ওই মুহূর্তে এক প্রতিশোধই নেন তানজিম হাসান সাকিব। আগের ডেলিভারিতেই ছক্কা হজম করেছিলেন বাংলাদেশি পেসার। পরের ডেলিভারিতে বাবরের স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দেন তানজিম।
তৃতীয় উইকেটে জিসান আলি ও নিজাকাত জুটি ৪১ বলে ৪১ রান যোগ করেন। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন ৩৪ বলে ৩০ রান করা জিসান আলি। এরপর শেখ মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজ রহমানদের হতাশ করে দারুণ সব বাউন্ডারিতে ১৪.৫ ওভারে ১০০ স্পর্শ করে হংকংয়ের ইনিংস।
আরও পড়ুন
নাওয়াজকে বিশ্বের সেরা স্পিনার বললেন পাকিস্তান কোচ |
![]() |
নিজাকাত ও ইয়াসিম মুর্তজার ব্যাটে একটা সময় মনে হচ্ছিল সহজেই দেড়শ স্পর্শ করবে হংকংয়ের ইনিংস। তবে দলীয় ১১৭ রানে রান আউটে কাটা পড়েন ইয়াসিম। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে ২ চার ২ ছয়ে ১৯ বলে ২৮ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন হংকং অধিনায়ক।
অধিনায়কের বিদায়ে খেই হারিয়ে ফেলে হংকং। শেষ তিন ওভারে তারা তুলতে পারে ২৩ রান। হংকংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে নিজকাতের (৪০ বলে ৪২) ব্যাট থেকে। তাকে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রিশাদ হোসেন।
৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেওয়া সাকিব ম্যাচে বাংলাদেশের সফলতম বোলার। সমান ২টি করে উইকেট নেন রিশাদ ও তাসকিন। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন মুস্তাফিজ।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহকে টপকালেন লিটন, সামনে শুধু সাকিব |
![]() |
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
হংকং: ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (জিসান ৩০, আনশুমান ৪, বাবর ১৪, নিজাকাত ৪২, ইয়াসিম ২৮, আইজাজ ৫, কিঞ্চিত ০, কালহান ৪*, এহসান ২*; মেহেদি ৪-০-২৮-০, তাসকিন ৪-০-৩৮-২, সাকিব ৪-১-২১-২, মুস্তাফিজ ৪-০-২২-০, রিশাদ ৪-০-৩১-২)
বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ১৪৪/৩ (তামিম ১৪, ইমন ১৯, লিটন ৫৯, হৃদয় ৩৫*, জাকের ০*; আয়ুশ ৩-০-৩২-১, আতিক ৩.৪-০-১৪-২, এহসান ৩-০-২৮-১, ইয়াসিম ৪-০-৩৯-০, আইজাজ ৩-০-১৪-০, কিঞ্চিত ১-০-১১-০)
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
No posts available.
এশিয়া কাপে হংকংয়ের শুরুটা বাজে হলেও পরের দুই ম্যাচে লড়াকু পুঁজি পায় তারা। দুটি ম্যাচই ফসকে যায় বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। সেই রান তাড়া করতে নেমে খাদের কিনারায় পৌঁছে চারিথ আসালাঙ্কারা। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসারাঙ্গার বদৌলতে ফল নিজেদের পক্ষে নেয় শ্রীলঙ্কা।
হংকংয়ের ম্যাচ নাগাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার মূলে ক্যাচ মিস। আজ মোট ছয়টি ক্যাচ মিস করেছে তারা। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কুড়ি কুড়ি ক্রিকেটে এমন আরও চারটি ঘটনা আছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছেড়েছিল ভারত। ২০১৭ সালে একই দলের বিপক্ষে ৬টি ক্যাচ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। আর ২০২৪ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই সংখ্যক ক্যাচ মিস করে অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কার জয়ে কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ |
![]() |
টুর্নামেন্টে মোট ১২টি ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারে হংকং। ১১টি ক্যাচ মিস করে তারা। আর এই ক্যাচ মিস কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। বেজেছে বিদায়ঘণ্টাও। ক্যাচ মিস নিয়ে দলটির অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা বলেছেন,
"আমরা কয়েকটি ক্যাচ ফেলেছিলাম এবং তাতে খেলাটা হাতছাড়া হয়ে যায়। ইতিবাচক দিক হলো (আমরা) বড় মঞ্চে খেলছি, (এটা) স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই। আমরা (ফিরে যাওয়ার পর) অনেক কিছু ভাবব এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করব।"
শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠেছিল। যার কারণ, হংকংয়ের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এবং শেষ দিকে ৮ রানে ৪ উইকেট খুঁইয়ে বসা। তবে দলের পক্ষ থেকে বার্তা পরিষ্কার ছিল—জিততে হলে ঘাম ঝরাতে হবে। শেষ পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে চারিথ আসালাঙ্কারা। এ জয়ে সুপার ফোরে এক পা দিয়ে রেখেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হংকংয়ের।
এশিয়া কাপে এ গ্রুপে শীর্ষে উঠে এলো শ্রীলঙ্কা। দুই জয়ে লঙ্কানদের পয়েন্ট চার। রান রেট ১.৫৪৬। দ্বিতীয়স্থানে আফগানিস্তান। রশিদ খানের দলের পয়েন্ট দুই। আফগানরা মাত্র একটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে। তাদের রানরেট ৪.৭০০। আর তৃতীয়তে থাকা বাংলাদেশ দুই ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে। তাদের রান রেট -০.৬৫০। আগামীকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে লিটন দাসদের ম্যাচ। এই ম্যাচে হেরফের হলেই বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
পিসিবির চিঠির উত্তর দেয়নি আইসিসি! |
![]() |
এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে হংকংকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাটিং করে লঙ্কানদের ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় তারা। তবে ৭ বল হাতে রেখে সে রান টপকে যায় শ্রীলঙ্কা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে হংকংকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জিশান আলী ও আনশুমান রাঠ। পাওয়ার প্লের সুযোগ নিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে যথাক্রমে ১০ ও ১৩ রান তোলেন তারা। তবে দলীয় ৪১ রান জিশানকে চামিরা সাজঘরে ফেরালে ভাঙে হংকংয়ের ওপেনিং জুটি। ১৭ বলে ২৩ রান করেন জিশান। এরপর ক্রিজে এসে ধুঁকেছেন বাবর হায়াত। হাসারাঙ্গার শিকার হওয়ার আগে মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নিজাকাত খানকে সাথে এগিয়েছেন আনশুমান রাঠ। দুইজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে এগিয়েছে হংকং। ৪৩ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন তারা দুইজন। রাঠকে আউট করে জুটি ভাঙেন চামিরা। ৪৬ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
![]() |
এদিন হংকংয়ের অধিনায়ক ইয়াসিম মর্তুজা ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে৷ বাকি সময়টায় হংকংয়ের ইনিংসকে টেনেছেন নিজাকাত খান। ইনিংসের শেষ ওভারে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে হংকং। ৩৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন নিজাকাত খান।
জবাবে ২৬ রানে প্রথম উইকেট পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার। তবে কামিল মিশরাকে নিয়ে হাল ধরেন পাথুম। কামিল ফিরলে নিজের ইনিংস বড় করার পাশাপাশি দলকে এগিয়ে নেন। যদিও দলীয় ১১৯ রানের মাথায় লঙ্কান ওপেনার রান আউটে কাটা পড়লে বিপদে পড়ে দল। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে ফিরেন তিনি। এরপর ১১৯ থেকে ১২৭ রানের মধ্যে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় লঙ্কানরা। শেষ অমঙ্গলের হাত থেকে বাঁচান দাসুন শানাকা ও হাসারাঙ্গা। দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা।
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের অপসারণ দাবি করেছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রধান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। যদিও তার অনুরোধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি যেভাবে এশিয়া কাপে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন, সেটি মানার সম্ভাবনা খুবই কম—এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নাকভির মেইলের উত্তর দেয়নি আইসিসি। ধারণা করা হচ্ছে, পিসিবির ম্যাচ রেফারি পরিবর্তনের অনুরোধ মানার মতো পর্যাপ্ত কারণ আইসিসির কাছে নেই। যদি এখনো কোনো অফিসিয়াল উত্তর দেয়নি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই আইসিসি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আরও পড়ুন
সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
![]() |
পাকিস্তানের অভিযোগ, টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন। যা কিনা খেলাধুলার স্পিরিটের সরাসরি বিরোধী। তাই পাইক্রফটকে দায়ী করে এক টুইট বার্তায় তার অপসারণ দাবি করেন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ম্যাচ রেফারি আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এবং এমসিসি'র স্পিরিট অব ক্রিকেটসংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছেন। এই কারণে এশিয়া কাপ থেকে ওই ম্যাচ রেফারিকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে পিসিবি।”
খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। জিতল স্বাগতিক দল। আর আখের লাভ ভারতের। অর্থাৎ আজ আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের দিনের প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ ওয়াসিমদের জয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ওমান।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক |
![]() |
১৭তম আসরে এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে ভারত। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের রানরেট ৪.৭৯৩। দ্বিতীয় পাকিস্তান। সমান ম্যাচে এক জয় ও এক হার তাদের। দলটির রান রেট ১.৬৪৯। রানরেটে আরব আমিরাতের (–২.০৩০) চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। ২ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ওমান আগামী শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে। সে ম্যাচের ফল যা–ই হোক, এই গ্রুপ থেকে ভারতের সুপার ফোরে ওঠা নিশ্চিত।
আমিরাত আজ প্রথম জয় পেয়েছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত হবে ওয়াসিমদের। অর্থাৎ শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পর আরেকটি কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারেন সালমান আগারা। হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের মাঠে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটলে খেরোখাতায় লেখা হবে ইতিহাস।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ কুড়ি কুড়ি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পায় আফগানিস্তান। সার্বিক দিক থেকেও লিটন দাসদের চেয়ে এগিয়ে রশিদ খানরা। ক্রিকেটের স্বল্প ওভারের খেলায় ১২ বারের দেখায় ৭বার জয় আনন্দ উপভোগ করেছে আফগানরা। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় জয় কঠিন হলে আত্মবিশ্বাস মুশতাক।
তিনি বলেন,
‘‘আফগানদের বিপক্ষে জয় তোলা কঠিন। রশিদদের মতো স্পিনাররা ১৫–২০ বছর ধরে খেলছে, অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে। তার মানে এই নয় আমরা পিছিয়ে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের স্পিনাররাই মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে এবং আমাদের ইকোনমি রেটে সেরা এক বা দুইয়ের মধ্যে। আমাদের শক্তি মাঝের ওভারের স্পিন আক্রমণ, সেটিই কাজে লাগাতে হবে।’’
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
এসময় আফগানদের বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার ব্যাপারটিও সামনে আনলেন মুশতাক। ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ আফগানরা। মুশতাক বলেন,
‘‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি চাইলে বিছানা কিনতে পারবেন কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। ঠিক সেভাবে আপনি চাইলেও অভিজ্ঞতা কিনতে পারবেন না। অভিজ্ঞতা আসে খেলার মাধ্যমে। তারা অনেক লিগ খেলে বলে এগিয়ে। তবে বাংলাদেশও কম ভালো করছে না। কিন্তু আইসিসি বা এসিসি টুর্নামেন্টে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’