১১ মে ২০২৫, ৬:২৮ পিএম
বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে আরও আগেই। বরুশিয়ার মনচেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা হল কানায় কানায় পূর্ণ। হাতে পোস্টার, গলায় স্কার্ফ – সবকিছুই ছিল টমাস মুলারময়। ‘ডানকে টমাস’ লেখা বিশাল ব্যানারও দৃশ্যমান হল। ৭৫ হাজার দর্শক যে এদিন হাজির হয়েছিলেন ক্লাবের এক মহীরুহকে বিদায় জানাতে, যিনি বায়ার্নের প্রতিশব্দ হয়ে গিয়েছিলেন৷ খেলোয়াড় হিসেবে তাকে বিদায় জানাতে তাই আবেগ ধরে রাখাটা কঠিনই ছিল সমর্থকদের জন্য।
ম্যাচ শুরু হতেই গ্যালারি থেকে ভেসে আসে ধ্বনি – চলো মুলার, একটা গোল দাও! ৫৬তম মিনিটে গোলের একটি বড় সুযোগ মিস করেন মুলার। সবাই চেয়েছিল একটা স্বপ্নময় বিদায়ী গোল, তবে এদিনের গল্পটা যেন অন্যভাবেই হওয়ার ছিল। যেখানে ওই গোল, অ্যাসিস্ট, শিরোপা এসব ছাপিয়ে একজন খেলোয়াড়কে কেবল দর্শকরা উদযাপন করেছেন। স্মরণ করেছেন ক্লাবের জন্য ‘রেইউমডেটর’ মুলারের ঘামে-নিবেদনের দীর্ঘ এক অধ্যায়।
আরও পড়ুন
ড্র করে সুযোগ মিসের হতাশায় গার্দিওলা |
![]() |
৮৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়ার জন্য বোর্ডে জ্বলে ওঠে ২৫ নম্বর, যা মানে মুলারের বিদায়ের ক্ষণ হয়ে গেছে। মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান সাবেক জার্মানি ফরোয়ার্ডকে৷ সমবেত কণ্ঠে তারা গান গেয়ে ওঠেন, ‘সারা জীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে মুলার।’
এর মধ্য দিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে মুলারের ২৫ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটে যায়। মনচেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ক্লাবটির জার্সিতে তার ৭৫০তম।
মাঠ ছাড়ার পর মুলার দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে স্টেডিয়ামের চারদিকে তাকাচ্ছিলেন, ঠিক যেভাবে প্রিয় ঠিকানা ছেড়ে যাওয়ার সময় সবাই স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। ম্যাচটি দেখতে মুলারের স্ত্রী লিসা ও বাবা-মা একসাথে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন।
মুলার তার বিদায়ী বক্তব্যে সতীর্থদের, বিশেষ করে আরিয়েন রোবেন, ফ্রাঙ্ক রিবেরি, রবার্ট লেভানদভস্কি, হ্যারি কেইনের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। তিনি ক্লাবের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন
মদ্রিচের সান্নিধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করছেন গুলের |
![]() |
“আপনাদের জন্য গোল করার অনুভূতিটা আমার জন্য অমূল্য ছিল। এই ক্লাবে অনেকের সঙ্গেই আমার অসাধারণ সব মুহূর্ত কেটেছে। আমি এই ক্লাবের ভবিষ্যতের দিকে যখন তাকাই, তখন আমি দেখি একদল তরুণ, ক্ষুধার্ত খেলোয়াড়দের, যারা হৃদয় দিয়ে বায়ার্নের জন্য খেলছে। আমরা ভালো অবস্থানে আছি।”
কথাগুলো বলার সময় যদিও মুলারের চোখে জল ছিল না, তবুও ভেতরের হাহাকারটা ছিল স্পষ্ট। সেটা সামলেই বললেন মনের কথা। “আমার জন্য যদি কারও চোখে পানি আসে, তা যেন শুধুই আনন্দের হয়। আমি আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি।”
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
৩০ দিন আগে
৩০ দিন আগে
৩০ জুন ২০২৫, ৭:০১ পিএম
অনুমিতভাবেই ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর এই জয় তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজির সামনে। তবে এতে মোটেও দমে যাওয়ার পাত্র নন হ্যারি কেইন। বায়ার্ন স্ট্রাইকার বরং হুশিয়ারি দিলেন, সব দলকেই হারানোর ক্ষমতা আছে তাদের।
রোববারের ম্যাচে বায়ার্ন মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে অনায়াস জয়ের ভিত রচনা করে। তবে দুই গোল শোধ দিয়ে কিছুটা লড়াই করে ফ্লামেঙ্গো, যা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। ৪-২ গোলে জিতে শেষ আটে চলে যায় বায়ার্ন, যেখানে তাদের লড়তে হবে লুইস এনরিকের পিএসজির সাথে। ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া আর গত মৌসুমে ট্রেবল জেতা দলটির সাথে লড়াই মোটেও সহজ কাজ হবে না বায়ার্নের জন্য।
আরও পড়ুন
‘ইউরোপিয়ান ফুটবলই অভিজাত শ্রেণি’, বায়ার্নের কাছে হেরে স্বীকারোক্তি ফ্লামেঙ্গো কোচের |
![]() |
তবে ম্যাচে জোড়া গোল করা কেইন মনে করেন, পিএসজিকে বিদায় করার সামর্থ্য তাদের আছে।
“পিএসজি এখন অসাধারণ ফর্মে আছে। আমরা গত মৌসুমে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও হারিয়েছি। আমরা সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামব। আমরা জানি, সেরা খেলাটা খেলতে পারলে বিশ্বের যেকোনো দলকে হারাতে পারি।”
কেইন নিজেদের সক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও ফ্লামেঙ্গো সাথে শুরুটা ভালোর পর কিছুটা খেই হারায় বায়ার্ন। বিশেষ করে ৫৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-২ হওয়ার সময় কিছুটা চাপেই ছিল জার্মান ক্লাবটি। তবে কেইনের দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত করে তাদের জয়, যা ছিল চলতি মৌসুমে ইংলিশ তারকার ৪১তম গোল।
বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির মতে, ম্যাচটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।
“খেলার শুরুটা বেশ জমজমাট ছিল। আমরা ভেবেছিলাম যে এই গরমে এমন তীব্র গতি ধরে রাখা কঠিন হবে। তবে ধীরে ধীরে আমরা ম্যাচে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছি। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হল পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া আর প্রাণশক্তি পুনরুদ্ধার করা। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচটি শীর্ষ পর্যায়ের লড়াই হবে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।”
৩০ জুন ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে চমকের জন্ম দিয়ে অপরাজিত থেকে গ্রুপ পর্ব পার করেছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো। সমানে সমান লড়ছিল ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের সাথে। তবে শেষ ১৬-তে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে এর আগে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা ফ্লামেঙ্গো। ম্যাচের পর ব্রাজিলের ক্লাবটির কোচ ফিলিপে লুইস অকপটে স্বীকার করলেন, এখনও ফুটবলের অভিজাত শ্রেণি ইউরোপই।
রোববারের ম্যাচে বায়ার্ন মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে চাপে ফেলে দেয় ফ্লামেঙ্গোকে। এরপর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি দুইবার ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন জেতে ৪-২ গোলে।
আরও পড়ুন
পিএসজিকে কেইনের হুঁশিয়ারি, ‘যেকোনো দলকেই হারাতে পারে বায়ার্ন’ |
![]() |
ম্যাচের পর সাবেক ব্রাজিল লেফট-ব্যাক লুইস।
“তারা (ইউরোপিয়ান ক্লাব) আপনার ওপর যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করে, সেটা অসাধারণ। তারা ৮-১০ জন নিয়ে একযোগে আক্রমণে আসে। যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে তারা। আমাদের পরিকল্পনা ভালোই ছিল, আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা খেলছি ফুটবলের অভিজাতদের বিপক্ষে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যদি (ফ্লামেঙ্গো থেকে) রিয়াল মাদ্রিদে না যেত, তাহলে হয়ত বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এখন আমাদের দলেই থাকত।"
প্রথমবারের মতো ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর আধিপত্য প্রত্যাশিতই ছিল। তবে গ্রুপ পর্বে কিছুটা হোঁচট খায় তারা। অন্যদিকে সবগুলো ব্রাজিলিয়ান ক্লাবই নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় অপরাজিত থেকে, উপহার দেয় উপভোগ্য ফুটবল। তবে ফ্লামেঙ্গোকে বিদায় করে বায়ার্ন আবারও ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের বাস্তবতা ফিরিয়ে এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
।
আর এই ধারণার সাথে অমত করছেন না ফ্লামেঙ্গো কোচও।
“দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড়রা চায় ফুটবলের অভিজাত অংশ হতে, এবং তারা সেটাই করে। তবে বাস্তবতা হলো, ইউরোপেই এখন সেরা খেলোয়াড়েরা খেলে। আমাদের দলেও ব্রাজিলিয়ান তারকা আছে, কিন্তু তাদের দলে সেরা সব ব্রাজিলিয়ানরাই খেলছে। এটাই বাস্তবতা।”
আরও পড়ুন
‘রিইউনিয়ন’ ম্যাচে মেসির জার্সি-বুট পেয়ে উচ্ছ্বসিত দেম্বেলে |
![]() |
তবে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
“আমার মনে হয় না এটা এত সরল একটা বিষয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকেই কিন্তু অনেক ভালো ফিনিশার এসেছে। ওদের রক্তেই ফুটবল মিশে আছে। আর ওখান থেকে এসেছে বিশ্বের দারুণ সব কৌশলী কোচ, যেমন মার্সেলো বিয়েলসা…এমনকি ফিলিপে লুইস নিজেও একজন দুর্দান্ত কোচ।”
৩০ জুন ২০২৫, ৪:৫৬ পিএম
বাস্তবিকভাবেই পিএসজির সামনে ইন্টার মায়ামির সুযোগ ছিল না বললেই চলে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই৷ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে নিজ দলের মত মলিন ছিলেন লিওনেল মেসিও। তবে মাঠের লড়াই শেষে সাবেক সতীর্থদের সাথে আর্জেন্টাইন তারকার আবেগঘন পুনর্মিলনও হয়ে উঠেছিল এই ম্যাচের আলোচিত দিক। আর তাতে মেসির জার্সি-বুট সব বিনিময় করে আনন্দের সীমা নেই উসমান দেম্বেলের।
শেষ ১৬-এর ম্যাচে রোববার পিএসজি জেতে ৪-০ গোলে। কিছু ঝলক দেখালেও মেসি তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে দুই মৌসুম খেলার সুবাদে ফরাসি ক্লাবটির অনেকের সাথেই রয়েছে তার সখ্যতা। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো সম্পর্ক দেম্বেলের সাথে, যার সাথে তিনি বার্সেলোনায় খেলেন চারটি বছর।
আরও পড়ুন
‘ইউরোপিয়ান ফুটবলই অভিজাত শ্রেণি’, বায়ার্নের কাছে হেরে স্বীকারোক্তি ফ্লামেঙ্গো কোচের |
![]() |
ম্যাচ শেষে মেসি প্রথমে জার্সি বদল করেন সাবেক পিএসজি সতীর্থ হাকিমির সাথে। আর দেম্বেলের জন্য বরাদ্দ রাখেন তার পরিহিত জার্সি, শর্টস ও বুট, যা পরে তুলে দেন সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থের হাতে।
সামাজিক মাধ্যমে মেসির সাথে ছবি পোস্ট করে উচ্ছ্বসিত দেম্বেলে লিখেন,
“আবারও আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগল, মেসি – সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। আশা করি আপনি ইন্টার মায়ামির হয়ে এই ক্লাব বিশ্বকাপের মতোই ইতিহাস গড়ে যাবেন।”
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। মেসিকে আলিঙ্গন করার একটি আবেগময় ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “পুরনো বন্ধুদের দেখা পেলে সবসময় ভালোই লাগে।”
আর লুকাস হার্নান্দেজ ইনস্টাগ্রামে মেসির সাথে একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, “কিংবদন্তি”
৩০ জুন ২০২৫, ২:১৫ পিএম
ব্যস্ত একটি মৌসুম শেষের পর আন্তর্জাতিক বিরতি, ঠিক এরপরই ইউরোপের ক্লাবগুলোকে নেমে পড়তে হয়েছে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে। ফলে খেলোয়াড়দের থাকতে হচ্ছে বিশ্রামহীন, যা বাড়িয়ে দিতে পারে চোটের সম্ভাবনা। এসব নিয়ে সমালোচনায় আপত্তি নেই পেপ গার্দিওলার। তবে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ এটাও মনে করেন, যারা এই টুর্নামেন্টে নেই, তারা অন্যদের নিয়ে ঈর্ষান্বিত।
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ এবারই হচ্ছে প্রথমবার। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সাবেক লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, যিনি এখন বর্তমানে রেড বুলের গ্লোবাল সকার প্রধানের দায়িত্বে আছেন। তিনি এই টুর্নামেন্টকে ‘অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা’ বলে উল্লেখ করেন, এবং এটির আয়োজনকে বলেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়েও মায়ামির পারফরম্যান্সে গর্বিত মেসি |
![]() |
রোববার এক সংবাদ সম্মেলন ক্লপের সাথে সুর মেলান গার্দিওলা। এরপর অবশ্য দেন ভিন্নমতও।
“আমি জানি উনি (ক্লপ) কোন চিন্তা থেকে কথাটা বলছেন। আমি তাকে সম্মান করি। তবে সত্যি বলতে, অনেক ক্লাবই এই প্রতিযোগিতা নিয়ে অভিযোগ করছে, কারণ তারা এখানে খেলতে পারছে না। কিন্তু তারা যদি এখানে থাকত, তাহলে তারা হয়তো খুব খুশিই হতো। কারণ এখানে তাদের মিডিয়া থাকত, সমর্থক থাকত, টাকা-পয়সাও পেত।”
গত মৌসুমে শিরোপাহীন সিটি বেশ ভুগেছে চোটের সাথে। ক্লাব বিশ্বকাপে গার্দিওলার দল সোমবার আল হিলালের বিপক্ষে খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাওয়ার জন্য। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সিটি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যায়, তাহলে তাদের পথচলা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত৷ অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের আগামী মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট। প্রস্তুতির জন্য সময় বলতে গেলে পাওয়াই যাবে না।
আরও পড়ুন
অবসর নিয়ে অনিশ্চয়তায় জোকোভিচ |
![]() |
গার্দিওলার আশঙ্কা, ক্লাব বিশ্বকাপের ধকল ভোগাতে পারে মৌসুমের যেকোনো সময়েই।
“এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোচ হিসেবে এটা মোটেও আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমি যদি পরের মৌসুমের জন্য দুই মাস প্রস্তুতির সময় পেতাম, সেটা তো দারুণ হতো। আমি ঠিক জানি না খেলোয়াড়দের ওপর এর কেমন প্রভাব পড়বে। এমন হতে পারে যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা শেষ হয়ে যাব। হতে পারে এই বিশ্বকাপই আমাদের ধ্বংস করে দেবে। আমরা সবাই প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাই এখনই কিছু বলা কঠিন।”
৩০ জুন ২০২৫, ১:৪২ পিএম
খুব একটা প্রত্যাশা ছিল না দলটির কাছে। সেটা মেনেই গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার পর পিএসজির কাছে বড় পরাজয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রা আগেভাগেই থেমেছে ইন্টার মায়ামির। এভাবে বিদায় নিলেও খুব একটা আক্ষেপ নেই দলটির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির। বরং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।
আল আহলির সাথে গোলশূন্য ড্র দিয়ে মায়ামি শুরু করেছিল ক্লাব বিশ্বকাপ মিশন। প্রথম ম্যাচে খুব একটা আশানুরূপ পারফরম্যান্স না দেখাতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে মেসির জাদুতে পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় তারা। নিজেদের শেষ ম্যাচেও জয়ের পথে ছিল মায়ামি। তবে শেষ ১০ মিনিটে দুই গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিরা। তাতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই জায়গা করে নেয় শেষ ষোলোতে, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পায় ইউরোপ সেরা পিএসজিকে। হেসেখেলেই রোববারের ম্যাচে তারা জেতে ৪-০ গোলে।
নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে বর্তমান ক্লাবের এমন পারম্যান্সে আক্ষেপ নেই মেসির, বরং বাস্তবতা মেনে দলের পারফরম্যান্সকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
“বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে হেরে আজকে আমাদের ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রা থেমেছে। এই দলে অনেক ফুটবলার আছে, যাদের খেলা আমি উপভোগ করি, যাদেরকে দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমরা গর্ব নিয়েই মাঠ ছেড়েছি, শেষ ষোলোতে খেলার যে লক্ষ্য ছিল, আমরা সেটা পূরণ করতে পেরেছি।”
ক্লাব বিশ্বকাপের হতাশা কাটিয়ে মেসির নজর এখন নতুন মৌসুমের দিকে। “এখন আমাদের সব নজর থাকবে এমএলএস ও অন্য প্রতিযোগিতায়।”
এমএলএসে গেল বার ইস্টার্ন কনফারেন্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মায়ামি। এবার অবশ্য বেশ পিছিয়ে আছে তারা, ১৬ ম্যাচে ৮ জয় আর ৫ ড্র তে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে তারা।