
নতুন করে যেন সেই পুরোনো রুপে ফিরেছেন নেইমার জুনিয়র। পরপর দুই ম্যাচে নিজের সেরা সময়ের ঝলক দেখিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। একইসঙ্গে ঘুচিয়েছেন নিজের দীর্ঘ ৩১ মাসের এক অপেক্ষা। সেটিও মাত্র ১৭ মিনিটে।
ব্রাজিলের সিরি 'আঁ'র ম্যাচে বুধবার রাতে জুভেনতুদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে সান্তোস। মাত্র ১৭ মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচের তিনটি গোলই করেছেন নেইমার। যার সৌজন্যে অবনমন এড়ানোর পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে সান্তোস।
দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের সৌজন্যে দীর্ঘ ৩১ মাস পর হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেলেন নেইমার। ২০২২ সালের এপ্রিলে সবশেষ প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) হয়ে ক্লারমন্তের বিপক্ষে তিন গোল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
আরও পড়ুন
| চোট নিয়েই এবার হ্যাটট্রিক, সান্তোসকে বাঁচালেন মহানায়ক নেইমার |
|
প্রায় ৩১ মাসের অপেক্ষা ঘোচানোর ম্যাচে নেইমার খেলেছেন হাঁটুর চোট নিয়ে। মৌসুম শেষে তার বাম হাঁটুর মেনিসকাসে আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি হওয়ার কথা। কিন্তু শৈশবের ক্লাব সান্তোস বিপদে থাকায় চোট 'ম্যানেজ' করেই খেলছেন নেইমার।
আগের ম্যাচে এক গোল ও এক অ্যাসিস্ট করে সান্তোসের টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখেন নেইমার। আর এবার হ্যাটট্রিক করে সান্তোসকে অনেকটাই নিরাপদ করে দিয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে দ্রুতগতির এক কাউন্টার অ্যাটাকে প্রথম গোল করেন নেইমার। দশ মিনিট পর ইগোর ভিনিসিয়ুসের ক্রসে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান বাড়ান তিনি। আর ৭৩ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার পেনাল্টিতে পূর্ণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক।
No posts available.

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিম জানিয়েছেন, পরিবার ও নিজের সুরক্ষার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মেসেজ এড়িয়ে চলেন তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রিমিয়ার লিগ ও উইমেনস সুপার লিগের ফুটবলারদের উদ্দেশ্য করে গত মাসে দুই হাজারেরও বেশি অপমানজনক বার্তা, ধর্ষণের হুমকি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, হুমকিদাতাদের অন্যতম টার্গেট আমোরিম, লিভারপুলের ম্যানেজার আর্নে স্লট ও নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের কোচ এডি হাও। আমোরিম মনে করেন, নিজেকে এসব থেকে দূরে রাখাই শ্রেয়।
তিনি বলেন,
‘যখন এসব খবর চাউর হবে, তখন এটি এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। আমি কখনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর পড়ি না—এটি আমাকে ভালো রাখে। এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিয়ে যখন টিভিতে কোনো কথা হয়, সেটিও এড়িয়ে চলি। তাদের মতের সঙ্গে মিল হয় না আমার। আর এটা আমাকে ভালো রাখে।’
পর্তুগিজ কোচ আরও বলেন,
‘কোচ হিসেবে আমার নিজের অনুভূতিই যথেষ্ট। আমার অন্য কোনো অনুভূতির প্রয়োজন নেই। একটাই পথ আছে—আর কোনো পথ নেই—তা হলো নিজেকে রক্ষা করা।’
বিবিসির সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপমানজনক মেসেজ কিংবা হুমকির ৬১ শতাংশ আসে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড থেকে। বাকি ৩৯ শতাংশ আফ্রিকা মহাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে।
অনুসন্ধানে উল্লেখ আছে, হুমকির মাধ্যমগুলো হচ্ছে এক্স হ্যান্ডেল, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। খেলোয়াড়দের চেয়েও কোচদের বেশি হুমকি দেওয়া হয়।
আমোরিম জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে কম সক্রিয়তা বা দূরে থাকার কারণে তিনি অনেক অর্থের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন,
‘ইনস্টাগ্রামে আমি স্পন্সর বাবদ অনেক টাকা আয় করতে পারতাম। তবে পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং সাধারণ জীবনযাপনের জন্য সবকিছু এড়িয়ে গেছি।’

নিজেদের ডিজিটাল কার্যক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে জার্মান ফুটবল ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে যখন ক্লাবগুলো আরও উন্মুক্ত হচ্ছে, তখন জার্মান জায়ান্টরা বেছে নিয়েছে ভিন্ন পথ।
কর্মীদের জন্য চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তারা চালু করেছে নিজেদের অভ্যন্তরীণ এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্ল্যাটফর্ম। ক্লাবটির লক্ষ্য একটাই- ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সব বিভাগে কাজের গতি বাড়ানো।
বায়ার্নের হেড অব ডিজিটাল ফ্যান এক্সপেরিয়েন্স থমাস এহেমান জানান, বহিরাগত এআই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের ঝুঁকি এড়াতেই এই উদ্যোগ।
“আমরা কর্মীদের জন্য বিভিন্ন এআই প্ল্যাটফর্ম- যেমন চ্যাটজিপিটি ব্লক করে দিয়েছি। আমরা চাই সবাই আমাদের নিজস্ব সিস্টেম ব্যবহার করুক। তাছাড়া পুরো ব্যবস্থাই রয়েছে প্রাইভেট ক্লাউডে, যা নিরাপত্তার দিক থেকে বড় সুবিধা।”
ক্লাবের ভেতরে এই পরিবর্তন যে খুব বেশি বাধার মুখে পড়তে হয়নি, সেটিও জানালেন এহেমান।
“আমরা ভেবেছিলাম কিছুটা প্রতিরোধ আসবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং কর্মীরা খুশি যে তারা আরও সহজ, নমনীয় একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে।”
ফ্যান সার্ভিস থেকে শুরু করে আইনি বিভাগ- সব জায়গাতেই এখন বায়ার্নের নিজস্ব এআই টুল ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি ক্লাবের বৃহত্তর ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে গত বছর তারা সেলোনিসের সঙ্গে পার্টনারশিপ করে।
এই প্রক্রিয়া-ইনটেলিজেন্স সফটওয়্যার এখন এইচআর, মার্চেন্ডাইজিং, টিকিটিংসহ নানা শাখায় কাজের ধাপ বিশ্লেষণ করে উন্নত করছে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার—অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম গতি বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাপী সমর্থকদের জন্য আরও কার্যকর সেবা নিশ্চিত করা।
নতুন এই এআই যুগে বায়ার্ন মিউনিখের পদক্ষেপ ইউরোপীয় ফুটবলে নজর কাড়বে বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। ক্লাবটি বলছে, এটাই তাদের ভবিষ্যৎ পরিচালনার নতুন পথ।

সপ্তাহদুয়েক পর নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে আর্জেন্টিনা। এর আগে ওই বিশ্বকাপ নিয়ে মুখ খুললেন লিওলেন মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকার মতে, টুর্নামেন্টে ভাগ্যকেও পাশে পেয়েছিলেন তারা।
কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হেরে গিয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছায় তারা। সেখানে পড়তে হয় নেদারল্যান্ডসের কঠিন পরীক্ষায়।
ম্যাচে দুই গোল করে এগিয়ে গেলেও পরে দুটি হজম করে বসে আর্জেন্টিনা। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখান থেকে এমিলিয়ানো মার্তিনেসের বীরত্বে আলবিসেলেস্তেরা পায় সেমি-ফাইনালের টিকেট। যা দেখে ভাগ্যের কথাই মনে পড়ছে মেসির।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রায় তিন বছর আগের সেই টুর্নামেন্টে ফিরে গেছেন মেসি। সেখানে তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপ জেতা মোটেও সহজ কিছু নয়।
“বিশ্বকাপ জেতা খুবই কঠিন। যে কোনো দল আপনার জন্য কঠিন হতে পারে এবং বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে পারে। বল হয়তো পোস্টে লেগে বাইরে চলে যেতে পারে অথবা ভেতরে ঢুকতে পারে। অথবা আপনি পেনাল্টিতেও হেরে যেতে পারেন।”
ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচেও প্রথমার্ধে জোড়া গোল করে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কাইলিয়ান এমবাপের দুই গোলে সমতা ফেরায় ফ্রান্স। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে আবার লিড নেয় আর্জেন্টিনা। কিন্তু এমবাপে হ্যাটট্রিক করলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।
কোয়ার্টার-ফাইনালের মতো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও পেনাল্টি শুটআউটে পার্থক্য গড়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। মেসির মতে, ওই ভাগ্যের খেলায় বাজিমাত করেই বিশ্বকাপ জেতার কঠিন কাজটি করে দেখিয়েছেন তারা।
“গত বিশ্বকাপে ভাগ্য আমাদের পাশে ছিল। যদিও নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে আমরাই ভালো খেলেছিলাম, তবু ম্যাচ পেনাল্টিতে চলে যায়।”
“পেনাল্টিতে গিয়ে আমাদের কাছে (এমিলিয়ানো) দিবু মার্তিনেস ছিল, যে আমাদের জিতিয়েছে। তবে এমনও হতে পারে যে পেনাল্টিতে আপনি ঠিকঠাক করতে পারলেন না এবং হেরে গেলেন। তো বিশ্বকাপ জেতা খুবই কঠিন।”

আর্সেনালের দীর্ঘ চোটের তালিকায় সবশেষ সংযোজন মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস ও সেন্টার ব্যাক ক্রিস্থিয়ান মস্কেরা। একের পর এক ফুটবলারদের এই চোটের পেছনে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ব্যস্ত সূচিকে দায় দিচ্ছেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা।
ঘরের মাঠে বুধবার রাতে ব্রেন্টফোর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। মিকেল মেরিনো ও বুকায়ো সাকার গোলে পাওয়া জয়ে পাঁচ পয়েন্টের লিড নিয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা। তবে জয় ছাপিয়ে মাথাব্যথার কারণ হয়েছে রাইস ও মস্কেরার চোট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হাঁটু বা গোড়ালির চোটে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মস্কেরা। আর ৮৩ মিনিটে পেশির সমস্যায় মাঠ ছাড়েন রাইস। ম্যাচ শেষে আর্তেতা জানিয়েছেন, তাদের দুজনের কারও অবস্থাই তেমন ভালো নয়।
“অবশ্যই এটা ভালো খবর নয়। ডেকলানকে (রাইস) উঠে আসতে হয়েছে। কাল দেখে বুঝতে হবে কী হয়েছে। মস্কেরাও ছিটকে গেছে। আমাদের গাবি (গ্যাব্রিয়েল), উইলি (সালিবা)-ও বাইরে। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। এই পুরো মৌসুমেই এটা একটা থিম হয়ে আছে।”
“(রাইস) খেলা চালিয়ে যেতে পারেনি। কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কী হয় দেখার জন্য। সে হাঁটতে পারে, কিন্তু খেলার অবস্থায় নেই।”
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের পরের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে খেলবে আর্সেনাল। আগামী শনিবার রাতে ম্যাচটি হবে ভিলার মাঠে। এরপর ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে বেলজিয়ামে যেতে হবে গানারদের।
খেলোয়াড়দের চোটের পেছনে এমন ঠাঁসা সূচিতে তাই ক্ষোভই প্রকাশ করলেন আর্তেতা।
আরও পড়ুন
| নেইমারের ৩১ মাসের অপেক্ষা ঘুচল ১৭ মিনিটে |
|
“এখন আমরা বুধবার রাতে খেলি, আবার শনিবার সকালে খেলতেও হবে। তাই আমরা মিনিট অনুযায়ী খেলতে পারি। কিন্তু যদি আমাদের একটু বেশি সময় দেওয়া যায় বিশ্রামের জন্য, যাতে খেলোয়াড়দের সুস্থতার বিষয়টা একটু সহজ হয়- তা হলে দারুণ হয়।”
“আমাদের বাড়তি আরও একটা দিন সময় দিন, বিশেষ করে যেসব দল ইউরোপে এত বেশি খেলে। সবার জন্যই বলছি, আমি মনে করি এটা করা সম্ভব, আর এতে আমরা উপকৃত হব।”
তবে সূচিতে পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত মেনে নেওয়া ছাড়া কিছুই করার নেউ, সেটিও জানেন আর্সেনাল কোচ।
“আমরা কখনও এমন সূচি পাইনি। শুধু প্রিমিয়ার লিগে নয়, আন্তর্জাতিক প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেও একই অবস্থা। তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে এটা সামলানোর।”
“এটা কোনো তর্কের বিষয় নয়, এটা কমন সেন্সের ব্যাপার। কোনো এক পর্যায়ে এটা খুব বেশি হয়ে যায়, জানেনই তো, খেলোয়াড়রা মেশিন নয়। কিন্তু যতটা পারি আমাদের চেষ্টা করতে হবে বিষয়টা সামলানোর।”
৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১:৫৩ পিএম

কদিন আগেই জুয়া কেলেঙ্কারিতে ঝড় উঠে তুরস্কের ফুটবলে। ওই ঘটনায় বহু ফুটবলার ও রেফারিকে আজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাইটনের মালিকের বিরুদ্ধে উঠেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ক্লাবটির প্রধান মালিক ও চেয়ারম্যান টনি ব্লুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি গোপনে ৬০ কোটি পাউন্ড বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার জুয়া সিন্ডিকেট সঙ্গে জড়িত।
অভিযোগ অনুযায়ী,বাজির কিছু হিসাব ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দল ‘রিফোর্ম ইউকে’ এর এমপি নাইজেল ফারাজের প্রাক্তন চিফ অফ স্টাফের নামে। উচ্চ আদালতের নথি অনুযায়ী, রিফোর্ম ইউকে’ এর নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জর্জ কট্রেলকে বলা হয়েছে যে তিনি একটি বড় জুয়া সিন্ডিকেট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কট্রেল এই সিন্ডিকেটের জন্য একটি ঢাল হিসেবে কাজ করেছিলেন, যা টনি ব্লুমের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উচ্চ আদালতে দাখিল করা ১৯ পাতার নথি অনুযায়ী, এটি ব্লুম এবং তার প্রাক্তন সহযোগী রায়ান ডাডফিল্ডের মধ্যে চলমান বিরোধের অংশ। তাদের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে বাজি থেকে প্রাপ্ত লাভ হিসেবে প্রায় ১৯ কোটি পাউন্ড পাওনার জন্যই এই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে তারা।
জুয়ার এই সংস্থাটি ‘স্টারলিজার্ড বেটিং সিন্ডিকেট’ নামে পরিবিত। তাদের বার্ষিক আয় ৬০ কোটি পাউন্ড। নথি অনুযায়ী, বাজি খেলানো হয় ফুটবলার, খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে।
বাজিতে নাকি খুব একটা সফল ছিলেন না কট্রেল। নথিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কট্রেল বিশেষভাবে সফল জুয়ো খেলোয়াড় ছিলেন না এবং প্রায়ই বড় অঙ্কের টাকা হারাতেন।” পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কট্রেল তার বাজি হিসাবগুলো ব্লুম এবং সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে বাজি খেলার জন্য সরাসরি তাকে পাঠানোর প্রয়োজন না হয়।’
কে এই ব্রাইটনের মালিক টনি ব্লুম?
ব্রাইটনের চেয়ারম্যান টনি ব্লুম বিশ্বের সবচেয়ে সফল জুয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। তার আয়ের বড় অংশ আসে এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে। ব্লুম ২০০৯ সালে ব্রাইটনের চেয়ারম্যান হন এবং দ্রুত ৭৫ শতাংশ শেয়ারহ অধিগ্রহণ করে ক্লাবে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন, যা ব্রাইটনের এমেক্স স্টেডিয়ামের উন্নয়নে কাজে খরচ করা হয়।