
অ্যাশেজ সিরিজে পার্থে প্রথম দিনেই পড়ল ১৯ উইকেট। মিচেল স্টার্ক নিলেন ৭, বেন স্টোকসের দখলে ৫ উইকেট। অ্যাশেজে গত একশ বছরে প্রথম দিনের সর্বোচ্চ উইকেটপতনের রেকর্ড এবারই হলো।
পার্থের ইতিহাসেও প্রথম দিনে এত উইকেট পড়েনি কখনো। ২০০৫ সালের লর্ডসের পর প্রথমবার দুই দলের দুই বোলার টেস্টের প্রথম দিনেই পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। তবে প্রথম ইনিংসে বেশি দূর যেতে পারেনি তারা; মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। জবাব দিতে নেমে দিনশেষে ৯ উইকেটে ১২৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে এখনো ৪৯ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন বেন ডগেট ও নাথান লায়ন; দুজনেই এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| মেহেরব-সোহান তাণ্ডবে কাঁপল ভারত |
|
ইংল্যান্ডের পর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জোফরা আর্চারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শূন্য রানে ফিরে যান অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জেক ওয়েদারাল্ড।
এই টেস্ট দিয়ে ফেরা লাবুশেন ৯ রান করে ফেরেন আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর টানা দুই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন পেসার ব্রাইডন কার্স। হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করেন ১৭ রান। তৃতীয় উইকেটে নামা উসমান খাজা–ও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। কার্সের বলে জেমি স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
বোলিংয়ে এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৬ ওভার বল করে ফাইফার তুলে নেন ইংলিশ তারকা। শুরু করেন ট্রাভিস হেডকে দিয়ে। হেড ও ক্যামেরন গ্রিনের জুটি ভয়ংকর হওয়ার আগেই আঘাত হানেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। স্টোকসের বলে কার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২১ রানে ফিরে যান হেড। ফলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।
আরও পড়ুন
| ভূমিকম্পের সময় মাঠে কী অবস্থা ছিল ক্রিকেটারদের |
|
একে একে আরও চারটি উইকেট তুলে নেন স্টোকস—গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোলান্ডকে আউট করে ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো পাঁচ উইকেটের দেখা পান তিনি। কার্স ও আর্চার নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের আগুনঝরা বোলিংয়ে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। পার্থে স্টার্ক গুনে গুনে নিয়েছেন ৭ উইকেট—টেস্টে ১৭তম বার ফাইফারের স্বাদ পেলেন তিনি।
দিনের শুরুতে প্রথম ৬ ওভারের প্রথম স্পেলেই ‘অন্যরকম সেঞ্চুরি’ করে অ্যাশেজে নিজের নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার। ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটারকে তুলে নিয়ে পৌঁছান অ্যাশেজে ১০০ উইকেটের ক্লাবে। অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম বোলার হিসেবে গড়েন এই কীর্তি।
আরও পড়ুন
| ১০ বছরের স্মৃতি ফেরালেন জয়-সাদমান, বাংলাদেশের বড় লিড |
|
প্রথম সেশনেই আগুনঝরা স্পেলে একে একে জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট ও জো রুটকে ফেরান স্টার্ক। নিজের প্রথম ওভারেই ক্রলিকে আউট করে ইংলিশ ধসের শুরুটা করেন। এরপর দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে ফেরান ডাকেটকে।
তবে সবচেয়ে বড় শিকার ছিল জো রুট—সাত বল খেলে শূন্য রানে ফেরায় স্টার্ককে পৌঁছে দেয় বিশেষ মাইলফলকে। অ্যাশেজ ইতিহাসে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম বোলার, যাঁর উইকেট সংখ্যা তিন অঙ্কে পৌঁছাল।
ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার পর আরও চারটি উইকেট নেন স্টার্ক। অ্যাশেজে ৪৩ ইনিংসে মোট ১০৪ উইকেট নিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলারদের তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন।
No posts available.

ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো দুলছিল। একবার মনে হচ্ছিল হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে জয়, ক্ষণে ক্ষণে জেগে উঠছিল আশা। উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়টা বাংলাদেশেরই হলো। ভারত ‘এ’ দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল আকবর আলীর দল।
কাতারের রাজধানী দোহায় আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৪ রান করে লাল–সবুজের দল। জবাবে নেমে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচটি ড্র করে ভারত। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এদিন আকবর আলীর ভুলেই ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়। ইনিংসের শেষ বলে দুই রান নেওয়ার সময় রান–আউটের উদ্দেশ্যে স্টাম্পে থ্রো করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ঘটনাটি ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্ষমা চেয়েছেন আকবর।
তিনি বলেন,
“আমাদের যারা সমর্থন দিয়ে আসছেন, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। কিন্তু তখন আমার মনে কী চলছিল বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু বোঝার আগেই বল ছুড়ে দিয়েছিলাম।”
রাইজিং স্টারসের আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান শাহীনস। এই ম্যাচের বিজয়ীর বিপক্ষে ২৩ নভেম্বর ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।

দীর্ঘদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন পেসার আনরিখ নরকিয়া। ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দিয়েই প্রত্যাবর্তন ঘটছে তাঁর। সবশেষ ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন ৩১ বছর বয়সি এই পেসার।
স্ট্রেস রিঅ্যাকশন চোটের কারণে জুনে মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলতে পারেননি নরকিয়া। একই কারণে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ছিলেন না দলের সঙ্গে।
টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেবেন এইডেন মার্করাম। দলে ফিরেছেন ওটনিল বার্টম্যান। টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারিয়েছেন রায়ান রিকেলটন।
সবশেষ পাকিস্তান সফরে ছিলেন না টেম্বা বাভুমা; ওয়ানডে সিরিজের নেতৃত্বে ফিরেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক অবসান ভেঙে ফেরা কুইন্টন ডি কক রয়েছেন দুই ফরম্যাটেই। তবে ওয়ানডে দলে নেই নরকিয়া।
পাঁজরের পেশির টানের (রিব বোন স্ট্রেস) চোটে টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজ থেকেও ছিটকে গেছেন কাগিসো রাবাদা।
৩০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা টি–টোয়েন্টি দল:
এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ওটনিল বার্টম্যান, করবিন বোশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, কুইন্টন ডি কক, টনি ডি জরজি, ডোনোভ্যান ফেরেইরা, রিজা হেনড্রিক্স, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ, জর্জ লিন্ডে, কুয়েনা মাফাকা, ডেভিড মিলার, লুঙ্গি এনগিডি, আনরিখ নরকিয়া ও ট্রিস্টান স্টাবস।
দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে দল:
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), অটনিয়েল বার্টম্যান, করবিন বশ, ম্যাথিউ ব্রিটজকে, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, কুইন্টন ডি কক, টোনি ডি জর্জি, রুবিন হারম্যান, কেশব মহারাজ, মার্কো জানসেন, এইডেন মার্করাম, লুঙ্গি এনগিডি, রায়ান রিকেলটন, প্রেনেলান সুব্রায়েন।
ভারতীয় ক্রীড়ায় দুর্দিন চলছে। জাতীয় ক্রিকেট দল হোক বা ‘এ’ দল, ফুটবলেও যাচ্ছেতাই ম্যান ইন ব্লুরা। চলতি মাসের ৬ দিনে ৪টি ম্যাচে হেরেছে ভারত।
১৬ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে হার দেখে শুভমান গিলের দল। পছন্দ মতো উইকেট বানিয়েও সাড়ে তিনদিনে ‘প্যাকেট’ হয় ভারত। শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে জিতে প্রোটিয়ারা।
একই দিনে দুবাইয়ের রাজধানী কাতারে চলমান রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় ভারত ‘এ’ দল। দাপট দেখিয়ে জিতেশ শর্মাদের কাছ থেকে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় ইরফান খানের দল। যদিও গ্রুপ ‘বি’ থেকে ভারত ও পাকিস্তান—দুই দলই সেমিফাইনালের টিকিট কাটে। শেষ চারে স্বপ্নভঙ্গ হয় ম্যান ইন ব্লুদের।
রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে শেষ চারের ম্যাচে আজ বাঁকবদল লক্ষ্য করা যায়। প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৯৪ রান তোলে। জবাব দিতে নেমে শেষ ওভারে প্রতিবেশিদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। আর শেষ বলে এসেছে ৪ রান। তবে তিন রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে চলে যায়।
সুপার ওভারে দাপট ছিল বাংলাদেশেরই। দুই বলে দুই ব্যাটারকে ফেরান বাংলাদেশের পেসার রিপন মণ্ডল। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ইয়াসির আলী রাব্বি। পরে ক্রিজে নেমে ম্যাচের ইতি টেনে দেন আকবর আলী।
এর তিনদিন আগে ফুটবলে জামাল ভূঁইয়াদের কাছে ১-০ ব্যবধানে হারে ভারত। সফরকারী সন্দেশ ঝিঙ্গানরা আশা নিয়ে বাংলাদেশে এলেও হতাশা হয়ে দেশে ফেরেন। ফলে ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় খরা কাটায় লাল-সবুজের দল।
ফুটবল ও ক্রিকেটের পাশাপাশি এই মুহূর্তে ভারতের নারী কাবাডি দল বাংলাদেশে অবস্থান করছে। নারী কাবাডি বিশ্বকাপে ভালো অবস্থানে দেশটির নারীরা থাকলেও ক্রিকেট ও ফুটবলে হতাশা ভারতকে অনেক ক্ষতি করছে।

শেষ ওভারের নাটকীয়তা যেটাকে বলে, ঠিক সেটাই দেখা গেল এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচে। কাতারের রাজধানী দোহায় বাঁচা-মরার সেমিফাইনালে জয় পেতে শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। আর শেষ বলে ৪ রান। তিন রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারের প্রথম বলেই জিতেশকে বোল্ড করে ফেরান পেসার রিপন মণ্ডল। দ্বিতীয় বলে জোরে হাঁকানোর চেষ্টা করেন আশুতোষ, তবে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়ে ফেরেন তিনি। এতে ফাইনালের টিকিট কাটতে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে মাত্র এক রান।
আরও পড়ুন
| আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার |
|
জবাব দিতে নেমে প্রথম বলে সুইয়াশ শর্মার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ইয়াসির আলী। দ্বিতীয় বল করতে এসে হোয়াইট দেন সুইয়াশ। তাতেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। জবাবে নেমে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয় পায় আকবর আলীরা।
দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন এই ওপেনার।
আরও পড়ুন
| আল্লাহ্ ৭০০ উইকেট দিলে ৭০০ উইকেট নিতেই রাজি: তাইজুল |
|
এদিন ওপেনিং জুটি ছিল ৪৩ রানের। জিসান আলী ২৬ রানে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর জাওয়াদ আবরারকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সোহান। তবে এ জুটিও বড় হয়নি। জাওয়াদ ব্যক্তিগত ১৩ রানে ক্যাচ আউট হলে ৩৩ রানে ভাঙে পার্টনারশিপ।
বাংলাদেশ দলের তৃতীয় জুটিও ছিল ছোট। বরং শেষ দিকে আসা-যাওয়ার মিছিল ছিল লক্ষ্যণীয়। যদিও একপ্রান্ত আগলে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বইয়ে দেন এসএম মেহেরাব। ২৬৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে ১৮ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার দৌড়ে যতটা না রান তুলেছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা মেরেছেন। অপরাজিত ইনিংসে ১টি চার ও ৬টি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন
| এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রকৃত কারণ জানালেন তাইজুল |
|
শেষ সময়ে ইয়াসির আলীর সহযোগিতা পান মেহেরাব। দুজন পাল্লা দিয়ে ভারতের বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন। এদিন ইয়াসির ৯ বলে ১৭ রান করেন। ২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। তাতেই ১৯৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ভারত। ওপেনিংয়ে নামা বৈভব সূর্যবংশী ও প্রিয়াংশ আর্যর আক্রমনাত্নক ব্যাটিংয়ে চতুর্থ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় ভারত। এই জুটি ভাঙেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। ১৫ বলে ৩৮ রান করা সূর্যবংশীকে আউট করেন।
এরপর নামান ধিরকে দ্রুত ফেরান আবু হায়দার রনি। ভংকর হতে থাকা আর্যকে ফেরান রকিবুল হাসান, আউট হবার আগে ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন আর্য। ৯৮ রানে ৩ উইকেটের পতন হলেও এরপর ভারতকে ম্যাচে রাখেন জিতেশ শর্মা। ২৩ বলে ৩৩ রান করেন ভারতের অধিনায়ক। জিতেশ ফেরার পর নেহাল ওয়াদেরার ৩২, রামানদ্বীপ সিংয়ের ১৭, আশুতোষ শর্মা ১৩ রান করেন।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লিউপিএল) ২০২৬ আসরের নিলামে রয়েছেন বাংলাদেশের তিন নারী ক্রিকেটার—পেসার মারুফা আক্তার, অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তার ও লেগ স্পিনার রাবেয়া খান।
২৭ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য নিলামে নাম জমা দিয়েছিলেন মোট ২৭৭ ক্রিকেটার। যেখান থেকে দল পাবেন ৭৩ জন। বিদেশি কোটা মাত্র ২৩টি। অর্থাৎ প্রতিটি সিটের জন্য লড়াই প্রায় ৪ জনের।
আজ ডব্লিউপিএল ওয়েবসাইটে নিলামের খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ৩০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে নাম জমা দিয়েছেন মারুফা, স্বর্ণা ও রাবেয়া।
আরও পড়ুন
| আল্লাহ্ ৭০০ উইকেট দিলে ৭০০ উইকেট নিতেই রাজি: তাইজুল |
|
ক্যাপড ভারতীয়, অনক্যাপড ভারতীয় ও ক্যাপড বিদেশি—এই তিন ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় ১৯ জন, ৪০ লাখ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় ১১ জন। আর ৩০ লাখের ঘরে রয়েছে ৮৮ খেলোয়াড়ের নাম।
ডব্লিউপিএলের চতুর্থ আসর শুরু হবে ৭ জানুয়ারি। এবারও টুর্নামেন্টে অংশ নেবে পাঁচ দল। এ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ অংশ নেয়নি।