
বেশ দাপটের সঙ্গে রাইজিং স্টারস টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। শেষ চারে বাঁচা-মরা ম্যাচে আজ ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে লড়ছে আকবর আলীর দল। যেখানে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রতিবেশী দেশের বোলারদের ওপর তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
কাতারের দোহায় বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন এই ওপেনার।
এদিন বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ছিল ৪৩ রানের। জিসান আলী ২৬ রানে ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর জাওয়াদ আবরারকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সোহান। তবে এ জুটি বড় হয়নি। জাওয়াদ ব্যক্তিগত ১৩ রানে ক্যাচ আউট হলে ৩৩ রানে ভাঙে পার্টনারশিপ।
বাংলাদেশ দলের তৃতীয় জুটিও ছিল একই মানের। বরং শেষ দিকে আসা-যাওয়ার মিছিল ছিল লক্ষ্যণীয়। যদিও একপ্রান্ত আগলে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বইয়ে দেন এসএম মেহেরব। ২৬৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে ১৮ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার যতটা না দৌড়ে রান তুলেছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা মেরেছেন। অপরাজিত ইনিংসে ১টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন তিনি।
শেষ সময়ে অবশ্য ইয়াসির আলীর সহযোগিতা পান মেহেরব। দুজন পাল্লা দিয়ে ভারতের বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন। এদিন ইয়াসির ৯ বলে ১৭ রান করেন। ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। তাতেই ১৯৫ রান পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৬৯ রান।
No posts available.
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬:৫১ পিএম

শেষ ওভারের নাটকীয়তা যেটাকে বলে, ঠিক সেটাই দেখা গেল এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসে বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচে। কাতারের রাজধানী দোহায় বাঁচা-মরার সেমিফাইনালে জয় পেতে শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। আর শেষ বলে ৪ রান। তিন রান নিয়ে ম্যাচ ড্র করায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারের প্রথম বলেই জিতেশকে বোল্ড করে ফেরান পেসার রিপন মণ্ডল। দ্বিতীয় বলে জোরে হাঁকানোর চেষ্টা করেন আশুতোষ, তবে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়ে ফেরেন তিনি। এতে ফাইনালের টিকিট কাটতে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে মাত্র এক রান।
আরও পড়ুন
| আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার |
|
জবাব দিতে নেমে প্রথম বলে সুইয়াশ শর্মার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ইয়াসির আলী। দ্বিতীয় বল করতে এসে হোয়াইট দেন সুইয়াশ। তাতেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের ফাইনালে পা রাখল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে লাল-সবুজের দল। জবাবে নেমে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে জয় পায় আকবর আলীরা।
দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন হাবিবুর রহমান সোহান। ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন এই ওপেনার।
আরও পড়ুন
| আল্লাহ্ ৭০০ উইকেট দিলে ৭০০ উইকেট নিতেই রাজি: তাইজুল |
|
এদিন ওপেনিং জুটি ছিল ৪৩ রানের। জিসান আলী ২৬ রানে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। এরপর জাওয়াদ আবরারকে নিয়ে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সোহান। তবে এ জুটিও বড় হয়নি। জাওয়াদ ব্যক্তিগত ১৩ রানে ক্যাচ আউট হলে ৩৩ রানে ভাঙে পার্টনারশিপ।
বাংলাদেশ দলের তৃতীয় জুটিও ছিল ছোট। বরং শেষ দিকে আসা-যাওয়ার মিছিল ছিল লক্ষ্যণীয়। যদিও একপ্রান্ত আগলে প্রতিপক্ষের ওপর ঝড় বইয়ে দেন এসএম মেহেরাব। ২৬৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে ১৮ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার দৌড়ে যতটা না রান তুলেছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা মেরেছেন। অপরাজিত ইনিংসে ১টি চার ও ৬টি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন
| এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রকৃত কারণ জানালেন তাইজুল |
|
শেষ সময়ে ইয়াসির আলীর সহযোগিতা পান মেহেরাব। দুজন পাল্লা দিয়ে ভারতের বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন। এদিন ইয়াসির ৯ বলে ১৭ রান করেন। ২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। তাতেই ১৯৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ভারত। ওপেনিংয়ে নামা বৈভব সূর্যবংশী ও প্রিয়াংশ আর্যর আক্রমনাত্নক ব্যাটিংয়ে চতুর্থ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় ভারত। এই জুটি ভাঙেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। ১৫ বলে ৩৮ রান করা সূর্যবংশীকে আউট করেন।
এরপর নামান ধিরকে দ্রুত ফেরান আবু হায়দার রনি। ভংকর হতে থাকা আর্যকে ফেরান রকিবুল হাসান, আউট হবার আগে ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন আর্য। ৯৮ রানে ৩ উইকেটের পতন হলেও এরপর ভারতকে ম্যাচে রাখেন জিতেশ শর্মা। ২৩ বলে ৩৩ রান করেন ভারতের অধিনায়ক। জিতেশ ফেরার পর নেহাল ওয়াদেরার ৩২, রামানদ্বীপ সিংয়ের ১৭, আশুতোষ শর্মা ১৩ রান করেন।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লিউপিএল) ২০২৬ আসরের নিলামে রয়েছেন বাংলাদেশের তিন নারী ক্রিকেটার—পেসার মারুফা আক্তার, অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তার ও লেগ স্পিনার রাবেয়া খান।
২৭ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য নিলামে নাম জমা দিয়েছিলেন মোট ২৭৭ ক্রিকেটার। যেখান থেকে দল পাবেন ৭৩ জন। বিদেশি কোটা মাত্র ২৩টি। অর্থাৎ প্রতিটি সিটের জন্য লড়াই প্রায় ৪ জনের।
আজ ডব্লিউপিএল ওয়েবসাইটে নিলামের খেলোয়াড় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ৩০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে নাম জমা দিয়েছেন মারুফা, স্বর্ণা ও রাবেয়া।
আরও পড়ুন
| আল্লাহ্ ৭০০ উইকেট দিলে ৭০০ উইকেট নিতেই রাজি: তাইজুল |
|
ক্যাপড ভারতীয়, অনক্যাপড ভারতীয় ও ক্যাপড বিদেশি—এই তিন ক্যাটাগরিতে খেলোয়াড়দের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় ১৯ জন, ৪০ লাখ ভিত্তিমূল্যের খেলোয়াড় ১১ জন। আর ৩০ লাখের ঘরে রয়েছে ৮৮ খেলোয়াড়ের নাম।
ডব্লিউপিএলের চতুর্থ আসর শুরু হবে ৭ জানুয়ারি। এবারও টুর্নামেন্টে অংশ নেবে পাঁচ দল। এ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ অংশ নেয়নি।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতম বোলার এখন তাইজুল ইসলাম। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের পাশে বসেছেন বাঁহাতি স্পিনার। দুজনের নামের পাশেই এখন ২৪৬টি উইকেট।
পরের ইনিংসেই হয়তো সাকিবকে টপকে এককভাবে শীর্ষে উঠে যাবেন তাইজুল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান তিনি। তবে এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি ৩৪ ছুঁইছুঁই বাঁহাতি স্পিনার। সব কিছু তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন সৃষ্টিকর্তার হাতে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে তাইজুল বলেন, এখনই সামনের কথা বলতে চান না তিনি।
আরও পড়ুন
| এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রকৃত কারণ জানালেন তাইজুল |
|
“দুই বছর পর কী হবে এটা বলা কঠিন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে যতদিন খেলবেন, পারফরম্যান্সই কথা বলবে কতদূর যেতে পারবেন। আমার মনে হয়, এখানে প্রক্রিয়াটা খুব জরুরি, সঙ্গে পারফরম্যান্স। আমার মনোযোগ থাকবে পারফরম্যান্সের দিকে। যতদিন আমি খেলব, পারফরম্যান্স করতে পারব, ততদিন আমি হয়তো একটা ভালো অবস্থায় যেতে পারব।”
তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করা হয়, নির্দিষ্ট করে কোনো সংখ্যা ভেবে রেখেছেন কিনা। উত্তরে আবারও বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিক করেননি।
“না (নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নয়)। আমাকে যদি আল্লাহ ৭০০ উইকেট দেযন আমি ৭০০টাই নিতেই রাজি আছি।”
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজের প্রথম দিনে ভাঙল শত বছরের রেকর্ড |
|
এসময় তাইজুল জানান, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কখনও লক্ষ্য ঠিক করে এগোননি তিনি।
“আসলে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই একটা লক্ষ্য থাকে যে, জাতীয় দলে খেলব। প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকে। জাতীয় দলে খেলার পরে কতদূর যাব... হয়তো অনেকের অনেক লক্ষ্য থাকে। তবে আমার এরকম কোনো লক্ষ্য ছিল না যে, এখানে শেষ করব বা এই পর্যন্ত যাব। আমি চেষ্টা করব ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত যত দূর যেতে পারি।”

দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ টি-টোয়েন্টির নিলামে তাইজুল ইসলামকে দলে ভিড়িয়েছিল ডারবান সুপার জায়ান্টস। পরবর্তীতে বাংলাদেশের এই স্পিনারের জায়গায় নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে অন্তর্ভুক্ত করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
তাইজুলের পরিবর্তে উইলিয়ামসনকে দলে নেওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। বাদ দেওয়ার কারণও স্পষ্ট করেনি ডারবান সুপার জায়ান্টস। আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তাইজুল। জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি এসএ টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন
| অ্যাশেজের প্রথম দিনে ভাঙল শত বছরের রেকর্ড |
|
সেপ্টেম্বরে মেগা নিলামে তাইজুলকে ৫ লাখ র্যান্ডে (প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৮ মার্কিন ডলার) দলে নিয়েছিল ডারবান। এসএ টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাওয়া এবং পরে রিপ্লেস করে দেওয়ায় তিনি কি অবাক হয়েছিলেন? এই বাঁহাতি স্পিনার বলেন,
‘না, এখানে আমি অবাক না। ওটা আমি ব্যক্তিগত ইস্যুর কারণে নিজ থেকেই ফিরিয়ে দিয়েছি।’
আরও পড়ুন
| মেহেরব-সোহান তাণ্ডবে কাঁপল ভারত |
|
দিনের প্রথম সেশনে দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ডের শেষ ব্যাটার ম্যাথিউ হামফ্রিজকে ফিরিয়ে সাকিব আল হাসানের পাশে বসেন তিনি। দুজনের টেস্ট ক্যারিয়ারেই এখন উইকেট ২৪৬টি। টেস্টে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তাইজুল-সাকিব। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সফল বোলারও ছিলেন তিনি। শিকার করেছেন ৪ উইকেট।
এসএ টি-টোয়েন্টির চতুর্থ সংস্করণ শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর। একই সময়ে চলবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।

অ্যাশেজ সিরিজে পার্থে প্রথম দিনেই পড়ল ১৯ উইকেট। মিচেল স্টার্ক নিলেন ৭, বেন স্টোকসের দখলে ৫ উইকেট। অ্যাশেজে গত একশ বছরে প্রথম দিনের সর্বোচ্চ উইকেটপতনের রেকর্ড এবারই হলো।
পার্থের ইতিহাসেও প্রথম দিনে এত উইকেট পড়েনি কখনো। ২০০৫ সালের লর্ডসের পর প্রথমবার দুই দলের দুই বোলার টেস্টের প্রথম দিনেই পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। তবে প্রথম ইনিংসে বেশি দূর যেতে পারেনি তারা; মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। জবাব দিতে নেমে দিনশেষে ৯ উইকেটে ১২৩ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে এখনো ৪৯ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন বেন ডগেট ও নাথান লায়ন; দুজনেই এখনো রানের খাতা খুলতে পারেননি।
আরও পড়ুন
| মেহেরব-সোহান তাণ্ডবে কাঁপল ভারত |
|
ইংল্যান্ডের পর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জোফরা আর্চারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে শূন্য রানে ফিরে যান অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জেক ওয়েদারাল্ড।
এই টেস্ট দিয়ে ফেরা লাবুশেন ৯ রান করে ফেরেন আর্চারের বলে বোল্ড হয়ে। এরপর টানা দুই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন পেসার ব্রাইডন কার্স। হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্টিভেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করেন ১৭ রান। তৃতীয় উইকেটে নামা উসমান খাজা–ও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। কার্সের বলে জেমি স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
বোলিংয়ে এসে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৬ ওভার বল করে ফাইফার তুলে নেন ইংলিশ তারকা। শুরু করেন ট্রাভিস হেডকে দিয়ে। হেড ও ক্যামেরন গ্রিনের জুটি ভয়ংকর হওয়ার আগেই আঘাত হানেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। স্টোকসের বলে কার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২১ রানে ফিরে যান হেড। ফলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।
আরও পড়ুন
| ভূমিকম্পের সময় মাঠে কী অবস্থা ছিল ক্রিকেটারদের |
|
একে একে আরও চারটি উইকেট তুলে নেন স্টোকস—গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোলান্ডকে আউট করে ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো পাঁচ উইকেটের দেখা পান তিনি। কার্স ও আর্চার নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি ইংল্যান্ড। মিচেল স্টার্কের আগুনঝরা বোলিংয়ে ১৭২ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। পার্থে স্টার্ক গুনে গুনে নিয়েছেন ৭ উইকেট—টেস্টে ১৭তম বার ফাইফারের স্বাদ পেলেন তিনি।
দিনের শুরুতে প্রথম ৬ ওভারের প্রথম স্পেলেই ‘অন্যরকম সেঞ্চুরি’ করে অ্যাশেজে নিজের নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার। ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটারকে তুলে নিয়ে পৌঁছান অ্যাশেজে ১০০ উইকেটের ক্লাবে। অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম বোলার হিসেবে গড়েন এই কীর্তি।
আরও পড়ুন
| ১০ বছরের স্মৃতি ফেরালেন জয়-সাদমান, বাংলাদেশের বড় লিড |
|
প্রথম সেশনেই আগুনঝরা স্পেলে একে একে জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট ও জো রুটকে ফেরান স্টার্ক। নিজের প্রথম ওভারেই ক্রলিকে আউট করে ইংলিশ ধসের শুরুটা করেন। এরপর দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে ফেরান ডাকেটকে।
তবে সবচেয়ে বড় শিকার ছিল জো রুট—সাত বল খেলে শূন্য রানে ফেরায় স্টার্ককে পৌঁছে দেয় বিশেষ মাইলফলকে। অ্যাশেজ ইতিহাসে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম বোলার, যাঁর উইকেট সংখ্যা তিন অঙ্কে পৌঁছাল।
ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার পর আরও চারটি উইকেট নেন স্টার্ক। অ্যাশেজে ৪৩ ইনিংসে মোট ১০৪ উইকেট নিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলারদের তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছেন।