বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের জন্য নতুন স্পন্সর পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের ক্রিকেটের হোম সিরিজের পাশাপাশি এবার বিপিএলের প্রধান স্পন্সর হয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। সাথে পাওয়ার্ড বাই ও কো-স্পন্সর হিসেবে থাকছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকেরই দুটি গ্রাহক প্রিয় সেবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস রকেট ও ই-ওয়ালেট নেক্সাসপে অ্যাপ।
বুধবার মিরপুরের শের-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলের আসছে আসরের লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিপিএলের ১১তম আসরের নাম রাখা হয়েছে ‘ডাচ-বাংলা ব্যাংক বিপিএল টি-টুয়েন্টি, পাওয়ার্ড বাই রকেট, কো-স্পন্সর নেক্সাসপে।’
আরও পড়ুন
ফ্র্যাঞ্চাইজির সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় বিপিএলের পলিসি তৈরি করবে বিসিবি |
সংবাদ উপস্থিত ছিলেন বিসিবির বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব জনাব নাজমুল আবেদিন ফাহিম। আরও ছিলেন টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবুল কাশেম মোঃ শিরিন ও বিপিএল-এর টাইটেল ও গ্রাউন্ড ব্র্যান্ডিং রাইটস হোল্ডার ইমপ্রেস-মাত্রার পক্ষ থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা জনাব আফজাল হোসেন।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিষেক টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল এই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতাতেই। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হোম সিরিজের টাইটেল স্পন্সরও রয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। এবারই প্রথম তারা বিপিএল আয়োজনে যুক্ত হল।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিনিধিবৃন্দ ডাচ-বাংলা ব্যাংককে বিপিএল-এ পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তারা তরুণ প্রজন্মের প্রিয় আসর বিপিএল টি২০ নতুনভাবে, অদম্য উদ্যমে জমকালো আয়োজনে নতুন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের আগ্রহ ও পরিকল্পনায় মাননীয় ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া-সহ সরকারের আরও ৯টি মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের নিবিড় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় কিভাবে সম্পন্ন হবে তা ব্যাখা করেন। বিপিএল যেহেতু তারুণ্যের আয়োজন তাই এই আসরে জুলাই বিপ্লবে তারুণ্যের বিজয়ের ছোঁয়ায় বর্ণিল হবে পুরো টুর্নামেন্ট।
আরও পড়ুন
বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল পাচ্ছে দুই কোটি টাকা |
উপস্থিত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রতিনিধি বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্ততা আরও জোরদারের পাশাপাশি মজবুত ব্যাংকিং ভিত্তি নিয়ে যেমন দেশ ও মানুষের অর্থনৈতিক নিশ্চয়তায় কাজ করছে তেমন দেশের ক্রিকেটের ভিত্তি মজবুত করতেও তাদের কাজ চলমান থাকবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
‘স্পন্সরই আয়োজনের প্রাণ’ একথা জানিয়ে ইমপ্রেস-মাত্রার পক্ষ থেকে এবারের বিপিএল-এ স্পন্সর প্রতিষ্ঠানকে আরও জমকালো উপস্থাপনে ব্র্যান্ডিংয়ে পেরিমিটার ও সাইড স্ক্রিণে স্ট্যাটিক বোর্ডের এলইডি বোর্ড স্থাপনের ঘোষণা দেন, যা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টুর্নামেন্টগুলোতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শুরু হওয়া টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের জমকালো টুর্নামেন্ট বিপিএল-এর এবার ১১তম আসর। চলবে ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে, খেলবে ৭টি দল।
খেলাগুলি সরাসরি দেখা যাবে টিস্পোর্টস, টিস্পোর্টস অ্যাপ, গাজী টিভি ও র্যাবিটহোলবিডি অ্যাপে।
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১২ ঘণ্টা আগে
১৫ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে