
ফের্নান্দো দিনিসকে সরিয়ে ব্রাজিলের স্থায়ী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দরিভাল জুনিয়র। নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ব মিডিয়া জুড়েই ঘুরে ফিরে তোলা হচ্ছে নেইমারের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়টি, কারণ অতীতে দুজনের মধ্যে যে আছে তেতো এক অধ্যায়। তবে ব্রাজিল কোচ বললেন ভিন্ন কথা। তাদের দুজনের সম্পর্কটাও নাকি ঠিকঠাকই আছে।
বড় খেলোয়াড়দের সামলানোর ক্ষেত্রে বেশ সুনাম আছে দরিভালের। তবে এক্ষত্রে কিছুটা বেগও পেতে হয়েছে তাকে একবার। যেমনটা হয়েছিল ২০১০ সালে। তরুণ নেইমার তখন বিশ্ব ফুটবলে নজর কাড়ছেন সান্তোসের হয়ে। সে সময়টায় দলটার কোচের দায়িত্বে ছিলেন দরিভাল। পেনাল্টি নেয়া নিয়ে তার নির্দেশনা না শোনায় নেইমারকে নিষিদ্ধও করেছিলেন তিনি। অবশ্য এই ঘটনায় শেষে কপালটা পুড়েছিল দরিভালেরই। সান্তোস তাদের ক্লাবের মূল তারকাকে নিষিদ্ধ করায় এতটাই নাখোশ হয়েছিল যে, অভিজ্ঞ এই কোচকে দায়িত্ব থেকেই সরিয়ে দিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: কক্ষপথে ফিরবেই ব্রাজিল, বিশ্বাস নতুন কোচ দরিভালের
এই ঘটনার এক যুগেরই বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। নেইমার এখন শুধু ব্রাজিলেরই নয়, সময়ের অন্যতম সেরা একজন ফুটবলার। অন্যদিকে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি ক্লাবের দায়িত্ব সামলে সম্প্রতি পেয়েছেন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচিংয়ের চাকরি।

আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে নেইমারের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইতিবাচক কথাই বলেছেন দরিভাল। “নেইমারের সাথে আমার কোনো সমস্যা নেই। সেই সময়টাতে পরিস্থিতি বেশি খারাপ দিকে চলে গিয়েছিল। ওর সাথে আমার সম্পর্কটা খারাপ ছিল না, বরং এর উল্টোটাই ছিল। আমদের যখনই দেখা হয়েছিল, সব ঠিকঠাকই ছিল।”
এসিএল ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচারের পর নেইমার বর্তমানে আছেন মাঠের বাইরে। মিস করবেন কোপা আমেরিকাও।
মার্চে ইংল্যান্ড ও স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সেলেসাওদের ডাগআউটে দরিভাল অধ্যায়।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
No posts available.
২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৮ এম

প্রায় এক যুগ পরের দেখাতেও জয় অধরা। ৯-০ গোলে হারের ব্যবধানই কেবল কমাতে পেরেছে বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় দেখায় আফিদা খন্দকারদের পরাজয় ছিল ৩-০ গোলে।
পরপর দুটি সাফ শিরোপা জেতা এবং প্রথমবারের মতো এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করা ঋতুপর্ণা চাকমাদের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা বেড়েছে কয়েকগুণ। হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার অভ্যাসটাও তো এই মেয়েরাই শিখিয়েছে; সেখানে লাল-সবুজের সমর্থকেরা আর পরাজয় মেনে নেবেনই বা কেন? তবে আফিদাদের কোচ পিটার বাটলার বুঝিয়ে দিয়েছেন, থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের মেয়েদের ফারাকটা কোথায়।
শক্তিশালী থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচে আজ মাঠে নামছেন আফিদা খন্দকাররা। ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের দিন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল ব্রিটিশ কোচের কাছে— থাই মেয়েদের হারানো সম্ভব কি না। বাটলারের পাল্টা প্রশ্ন— থাইল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ কবে জিতেছিল বাংলাদেশ?
প্রথম ম্যাচে শুক্রবার বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিয়েছে থাইল্যান্ড। সেদিনের প্রতিপক্ষের একাদশ দেখে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কোচ। তাঁর কাছে মনে হয়েছে স্বাগতিকদের বেঞ্চ আরও শক্তিশালী। যে কারণে আজকের ম্যাচে আরও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন দলকে, ‘আমরা থাইল্যান্ডের লেভেলে নেই। তাঁরা খুবই ভালো দল এবং সেটা তাঁরা দেখাবেও। ওরা সম্ভবত পুরো ভিন্ন এক দল মাঠে নামাবে (আজ)। অনেক সময় বেঞ্চ দেখে দলের শক্তি বোঝা যায়। তাঁদের বেঞ্চ দেখে মনে হলো এখানে আরেকটা দল বসে আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
মাঠের লড়াইয়ে নেমে যে কোনো দলের বিপক্ষেই এখন জয় ছিনিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। আজও সেই আশা আছে, কিন্তু বাস্তবতাও যে কঠিন—তাও মাথায় আছে বাংলাদেশ কোচের,
‘শেষবার যখন বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে খেলেছিল, তখন ৬ কিংবা ৭-০ (আসলে ৯-০) গোলে হেরেছিল মনে হয়। তবে হ্যাঁ, আমরা জিততে চাই।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাইল্যান্ড। দু’বার বিশ্বকাপ খেলেছে দলটি। তাঁদের বিপক্ষে উচ্চাশা না করলেও আগের ম্যাচের ভুল শুধরে চ্যালেঞ্জে ফেলার সাহস অবশ্য করছেন এই ব্রিটিশ কোচ, ‘আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, সেটা পূরণ করতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা মৌলিক কিছু ভুল করেছি— যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা; আর তা সবসময় পাহাড়সম চাপ বয়ে আনে।’

প্রায় ৭৮ হাজার দর্শকে গমগমে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। একে তো তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই, তার ওপর ‘রিট্র্যাক্টেবল রুফ’ ব্যাপারটি করে তোলে আরও মোহনীয়। আজ রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার ঐতিহ্যের লড়াই-এল ক্লাসিকো’র পরতে পরতে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। শুরু-শেষের এই উপখ্যানের বিজেতা অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদ।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতে নিল জাবি আলোনসোর দল। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে গোল দুটি করেন কিলিয়ান এমবাপে ও জুড বেলিংহাম। কাতালানদের গোলটি ছিল ফারমিন লোপেজের পা থেকে।
বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচে বল পজিশনে ঢের এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। প্রায় ৬৮ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তারা। তবে যে কাজটি অতিপ্রয়োজন-গোলমুখে শট এবং গোল আদায়, সেটিতে মুনশিয়ানা দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। দু’দল গোলের জন্য একে অন্যের দিকে শট নিয়েছে ৩৮টি।
২৩টির মতো শট নিয়ে ১০টি গোলমুখে রেখে দুটি গোল আদায় করে রিয়াল। ন্যু ক্যাম্প যোদ্ধারা ১৫টি শট নিয়ে গোলমুখে রাখে ১৫টি। যেখানে ২৩টি ছিল কিলিয়ান এমবাপে-ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের। বড় সুযোগ পেয়েও মিস করে দু’দল। বিশেষ করে বার্সার হাইলাইন ডিফেন্সের খপ্পরে পড়ে অন্তত তিনটি গোল মিস করে স্বাগতিক দল।
এদিন মাত্র আড়াই মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয় রিয়াল মাদ্রিদের। মিডফিল্ড থেকে ছুটে আসা বল নিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। শট নেওয়া মুহূর্তে লামিন ইয়ামালের পায়ের সঙ্গে জড়িয়ে যায় ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের পা। পেনাল্টি চেকের পর সিদ্ধান্ত যায় বার্সেলোনার পক্ষে। বড় বাঁচা বেঁচে যায় হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
১২মিনিটে আবারও বিপদে পড়ে অতিথি দল। দূর থেকে কিলিয়ান এমবাপের চিপ শট গোলকিপার ভয়েচেখ সেজনির মাথার ওপর দিয়ে গিয়ে জড়ায় জালে। যদিও পরোক্ষণে অফসাইটে বাতিল হয় গোল।
কিলিয়ান এমবাপে করেছিলেন শুরুটা। লা লিগার ফরাসি স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা এখন ১১সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজও তুলনামূলক হাইলাইন ডিফেন্স ধরে রেখে খেলে দু’দল। বিশেষ করে ১২তম মিনিটে এমবাপের গোলটি বাতিল হয় অফসাইটে কারণে। গত মৌসুমের সবশেষ এল ক্লাসিকোতে সর্বমোট আটবার অফসাইটের শিকার হয়েছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ২২ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করেন এমবাপে। অবদানটা অবশ্য ছিল সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে রিয়ালের ত্রাণকর্তা জুড় বেলিংহামের। ইনজুরি থেকে ফেরা এই ফরোয়ার্ড মধ্যমাঠ থেকে বল পাঠান ফরাসি সেন্টার ফরোয়ার্ড বরাবর। সেখান থেকে জাল কাঁপান এমবাপে। লা লিগার এটি তার ১১তম গোল।
৩৪ মিনিটে আরও একবার বিপদে পড়ে বার্সেলোনা, বিশেষ করে সেজনি। পোলান্ডের এই তারকাকে আবারও ভ্রমে ফেলার চেষ্টা করেন এমবাপে ও ভিনি। তবে বুদ্ধিদৃপ্ত উপায়ে সামাল দেন তিনি।
প্রায় ৭৮ হাজার দশর্কদের উদ্দেশ্য করে বেলিংহাম হয়তো বলেছেন, আরও জোরে। আজ আমাদেরই দিন, বৃত্ত ভাঙার দিন৩৮ মিনিটে চাপে থাকা বার্সেলোনাকে দু’দণ্ড শান্তি এনে দেন ফেরমিন লোপেজ। ডান প্রান্ত হয়ে অ্যাটাকের পসরা সাজায় অতিথিরা। প্রেদির বাড়ানো বল পৌঁছে রাশপোর্ডের কাছে। ডি বক্সে থাকা লোপেজ আলতো শটে সেটাকে গোলে পরিণত করেন। ২২ বর্ষী স্পেনিয়ার্ড আগের ম্যাচে (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ম্যাচে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিক। অলিম্পিকোসের পর এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষেও দলের ডেডলক ভাঙেন।
প্রথমার্ধ তিন মিনিট আগে পুনরায় লিড নেয় লস ব্লাঙ্কোসরা। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে সোজা বার্সার বক্সের কাছে ঢুকে পড়েন মিলিতাও। এরপর সেখান থেকে লং পাসে বল পাঠান জালের সামনে। আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা ইংলিশ ফরোয়ার্ড বেলিংহাম সুযোগ সদ্ব্য ব্যবহার করেন।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আবারও অফসাইটের ফাঁদে পড়েন এমবাপে। দ্বিতীয়বারে মতো তার গোল বাদ পড়ে। ছোট পাস ধরে বল জালে জড়িয়েও আগের মতো নিজে হতাশ হন, দলকেও হতাশ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিগুণ চাপে পড়ে যায় বার্সা। স্পট কিক থেকে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করা ছাড়াও ৫৮ মিনিটে এদের মিলিতাও একাই গোলবারে ঢুকে পড়েন অতিথি বক্সে। তবে ডি ইয়ংয়ের বাঁধার মুখে পড়ে যান তিনি। তাতে শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি বল।

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমে ওঠা ম্যাচের ৭২ মিনিটে লেফট উইঙ্গার ভিনিকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। তার বদলি হিসেবে রদ্রিকে নামানো হয়। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ব্রাজিল প্লে-মেকার। বেঞ্চে বসতে গিয়েও কোচ জাবি আলোনসোর ওপর রাগ ঝাড়েন তিনি। একই সময় অবশ্য ভালভার্দেকে তুলে কারভাহাল নামানো হয় মাঠে।
চোট কাটিয়ে ফেরা জুড বেলিংহাম আরও অপ্রতিরোধ্য। বার্সা কফিনে শেষ পেরেকটি ছিল তাঁরইদুই মিনিট পর জোড়া সাবস্টিটিউ করে বার্সেলোনা। এরিক গার্সিয়াকে ফেরেন তোরেসের বদলে নামানো হয় মার্ক রোনাল্ড রোনাল্ড আরাউহো ও মার্ক কাসাদোকে। বদলির এই খেলায় পড়ে যান কিলিয়ান এমবাপে ও জুড বেলিংহাম।
শেষ দিকে গোলের মোহে আচ্ছন্ন থাকা কাতালানরা বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে। তবে দ্বিগুণ আক্রমণ যেন ফিরিয়ে দিচ্ছিল স্বাগতিকরা। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে বক্সের সামনে ফাউল করলে বরং বিপত্তি বাড়ে। স্পট কিক থেকে রদ্রিগোর গোল থেকে আরও একটি গোল পেতে পারতো রিয়াল। যদিও ব্রাজিল লেফট উইঙ্গারের ডানপাশের তীব্রগতির শট রুখে দেন কোর্তোয়া।
ম্যাচের শেষ মুর্হূতে পেদ্রির দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের পর তর্কে জড়িয়ে পড়েন রিয়াল-বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। এল ক্লাসিকোতে একটু আধটু উত্তেজনা ছড়াবে না, তা কি করে হয়!
শেষদিকে পেদ্রির দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে মাঠ ছাড়া নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সব চুকিয়ে এল ক্লাসিকোতে হারের বৃত্ত ভাঙল রিয়াল মাদ্রিদ। একই সঙ্গে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও পাকা করলো রিয়াল। ১০ ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোদের পয়েন্ট ২৭। দ্বিতীয়তে থাকা বার্সার ২২।

রুবেন দিয়াস ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কারণ, ম্যাটি ক্যাশ আগে থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন লক্ষ্য। ম্যানসিটি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা বারের ডান দিকে ঝুঁকে থাকার সুযোগটি কাজে লাগান অ্যাস্টন ভিলা ডিফেন্ডার। তাঁর বুলেটগতির শট দিয়াসের দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যবেধ করে ম্যানসিটি জালে।
তাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ভিলা পার্কে আগত সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থক। নিজ দলের সমর্থকদের আনন্দ দিতে পেরে বেজায় খুশি ক্যাশ নিজেও। ব্যাটিং স্টাইল কিংবা গলফে বলে হিটিংয়ের মতো করে উদ্যাপন করেন তিনি। তার একমাত্র গোলে প্রিমিয়ার লিগে টানা চতুর্থ জয়ের দেখা পেল উনাই এমেরির দল। পয়েন্ট টেবিলে নয়ে উঠে এলো ভিলা।
ভিলা পার্কে এদিন এগিয়ে ছিল বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল সিটিজেনরা। ৫৩ শতাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা। আর ১৮টি শট স্বাগতিকমুখে রেখে লক্ষ্যে রাখতে পারেন ৪টি। দুটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছিল। অগত্যা কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো ম্যানসিটি মুখে ৯টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রেখে একটি থেকে গোল আদায় করে এমেরির শিষ্যরা।
প্রিমিয়ার লিগে আজ বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। এমিরাটস স্টেডিয়ামে দলের হয়ে গোল করেন এবেরেচি এজে।
এদিন ম্যাচ ঘড়ির ১৯তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন ক্যাশ। কর্নার থেকে বল ওয়ান টু শটে এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে দেওয়া হয়। ঝোপ বুঝে বলটি বক্সের খানিক বাইরে থাকা ক্যাশের কাছে পাঠান তিনি। সেখান থেকে গোল আদায় করেন পোলান্ড রাইট-ব্যাক। এটাই ম্যাচের একমাত্র গোল।
এদিন বেশ নজরে ছিলেন হলান্ড। নতুন একটা লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিলেন নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড। এর আগে ২০১৮ সালের রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা গোলের রেকর্ড (টানা ১২ ম্যাচে গোল ২৪ গোল) করেছিলেন আল নাসরের ফরোয়ার্ড রোনালদো। এই ১২ ম্যাচে হলান্ড মোট গোল করেছেন ২৪টি। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে পর্তুগিজ তারকাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল তার। সেটি হলো না।
আজ খুব একটা নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি হলান্ড। ৯০ মিনিট মাঠে থেকে মোট গোলমুখে তিনটি শট নিতে পেরেছেন। ক্লিয়ান্সে ও হেড ক্লিয়ান্স করেছেন তিনটি। এরিয়াল ডুয়েল ও গ্রাউন্ড ডুয়েলে এগিয়ে থেকেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেননি।

ফিফা প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে কয়েকজন খেলোয়াড়ের অ্যাপ্রোচ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে কোচ পিটার জেমস বাটলার বলেছিলেন -'গাফিলতি সহ্য করব না।' । সফরের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের আগে সুর বদলেছেন ব্রিটিশ কোচ।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আজ বাটলার বলেন, 'কয়েকজনের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে কথা বলেছি। তাদের অ্যাপ্রোচ ও মাইন্ডসেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে, এক-দুজন আছে, যাদের আমি সত্যিকারের ম্যাচ উইনার মনে করি এবং আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্যটা মেলে ধরতে পারেনি।'
মিয়ানমারে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পর ভুটানের নারী লিগে খেলতে যান ঋতুপর্ণা চাকমাসহ এই দলের ৯ জন ফুটবলার। বাকিদের নিয়ে চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে ক্যাম্প করেন বাটলার। থাইল্যান্ড যাওয়ার দু-দিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দেন ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও তহুরা খাতুনরা।
থাইল্যান্ডে প্রথম ম্যাচে তিন গোলের হারের পর আজ সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন বাটলার, '৯ ফুটবলার আমাদের সঙ্গে কেবল দু-দিন অনুশীলন করেছে, যারা দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।'
সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় থাইল্যান্ডকে মোকাবিলা করবেন আফঈদা খন্দকাররা।

মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) গোল্ডেন বুট ক্যাবিনেটে সাজিয়েছেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদও বাড়িয়েছেন ২০২৮ সাল পর্যন্ত। নতুন চুক্তি ঘোষণার পরের ম্যাচেই আর্জেন্টাইন মহাতারকা করেছেন জোড়া গোল।
মেসির সতীর্থ রদ্রিগো দি পল মনে করেন, মেসির নতুন চুক্তি দলের পারফরম্যান্সে আরও বেশি ছন্দ এনেছে। মেসির ঔজ্জ্বল্যে ইন্টার মায়ামিও প্লে–অফ পর্বে দারুণ শুরু পেয়েছে। ন্যাশভিলকে হারায় ৩–১ গোলে। মেসির দীর্ঘদিনের আর্জেন্টাইন সতীর্থ দি পল জানালেন, অধিনায়কের প্রভাব ও সাম্প্রতিক ফর্ম পুরো দলকে উজ্জীবিত করছে।
দি পলের ভাষায়, ‘আমরা জানি, মেসি আমাদের সঙ্গে আরও কিছু বছর থাকবেন— এই জিনিসটা পুরো দলকে অতিরিক্ত প্রেরণা দিয়েছে। আমরা শুধু ওর খেলা উপভোগ করতে চাই।’
দি পলের মতে, মেসির মতো কেউ আর ফুটবলে আসবে না। এই মহাতারকার খেলা উপভোগ আনন্দের বললেন তিনি, ‘মেসি যা করছে, তা দেখে আমার সত্যিই আনন্দ হয়... তার মতো আর কেউ হবে না। দলে তাকে নিয়মিত পাশে পাওয়া মানে এক বিরাট সুবিধা।’
ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোও ম্যাচ শেষে প্রশংসা করলেন মেসির পারফরম্যান্সের। কয়েক দিন আগে অনুশীলনে না থাকায় পিঠের ব্যথা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছিল, কিন্তু মাসচেরানো বললেন এ ব্যাপারে অতিরিক্ত চিন্তার কিছু ছিল না, ‘লিওকে ঘিরে যা ঘটে, সবসময়ই অনেক বড় করে দেখা হয়। আমরা শুধু তাকে একটু রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। মৌসুমের এই সময়ে কম খেলানোই কখনো বেশি লাভজনক হতে পারে—অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি না নিয়ে নিশ্চিত করা দরকার, যেন সামান্য অস্বস্তিও না বাড়ে।’
মেসির ভবিষ্যৎ এখন নিশ্চিত। ফলে এমএলএসের প্লে–অফে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে ইন্টার মায়ামি। দি পলের মতে, সতীর্থদের চোখে এটি শুধু এক চুক্তি নয়, বরং পুরো দলের জন্য নতুন করে অনুপ্রেরণার উৎস।