ফের্নান্দো দিনিসকে সরিয়ে ব্রাজিলের স্থায়ী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দরিভাল জুনিয়র। নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই বিশ্ব মিডিয়া জুড়েই ঘুরে ফিরে তোলা হচ্ছে নেইমারের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়টি, কারণ অতীতে দুজনের মধ্যে যে আছে তেতো এক অধ্যায়। তবে ব্রাজিল কোচ বললেন ভিন্ন কথা। তাদের দুজনের সম্পর্কটাও নাকি ঠিকঠাকই আছে।
বড় খেলোয়াড়দের সামলানোর ক্ষেত্রে বেশ সুনাম আছে দরিভালের। তবে এক্ষত্রে কিছুটা বেগও পেতে হয়েছে তাকে একবার। যেমনটা হয়েছিল ২০১০ সালে। তরুণ নেইমার তখন বিশ্ব ফুটবলে নজর কাড়ছেন সান্তোসের হয়ে। সে সময়টায় দলটার কোচের দায়িত্বে ছিলেন দরিভাল। পেনাল্টি নেয়া নিয়ে তার নির্দেশনা না শোনায় নেইমারকে নিষিদ্ধও করেছিলেন তিনি। অবশ্য এই ঘটনায় শেষে কপালটা পুড়েছিল দরিভালেরই। সান্তোস তাদের ক্লাবের মূল তারকাকে নিষিদ্ধ করায় এতটাই নাখোশ হয়েছিল যে, অভিজ্ঞ এই কোচকে দায়িত্ব থেকেই সরিয়ে দিয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: কক্ষপথে ফিরবেই ব্রাজিল, বিশ্বাস নতুন কোচ দরিভালের
এই ঘটনার এক যুগেরই বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। নেইমার এখন শুধু ব্রাজিলেরই নয়, সময়ের অন্যতম সেরা একজন ফুটবলার। অন্যদিকে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি ক্লাবের দায়িত্ব সামলে সম্প্রতি পেয়েছেন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচিংয়ের চাকরি।
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে নেইমারের সম্পর্ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইতিবাচক কথাই বলেছেন দরিভাল। “নেইমারের সাথে আমার কোনো সমস্যা নেই। সেই সময়টাতে পরিস্থিতি বেশি খারাপ দিকে চলে গিয়েছিল। ওর সাথে আমার সম্পর্কটা খারাপ ছিল না, বরং এর উল্টোটাই ছিল। আমদের যখনই দেখা হয়েছিল, সব ঠিকঠাকই ছিল।”
এসিএল ইনজুরির কারণে অস্ত্রোপচারের পর নেইমার বর্তমানে আছেন মাঠের বাইরে। মিস করবেন কোপা আমেরিকাও।
মার্চে ইংল্যান্ড ও স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সেলেসাওদের ডাগআউটে দরিভাল অধ্যায়।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৪ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:৪৬ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১৮ পিএম
শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে নয় ম্যাচেই হার দেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। পড়তি ফর্মে তৈরি হয়েছে সিটিজেনদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন খোদ পেপ গার্দিওলা। বলছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে টানা জয়ের বিকল্প নেই।
গেল ১৪ মৌসুম টানা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে গেছে সিটি। শেষ সাত মৌসুমের মধ্যে ছয়বারই তারা জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। তবে গার্দিওলার দল এবার নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানটা সাতে হলেও পেছনে থাকা ক্লাবগুলোর সাথে পয়েন্টের ব্যবধানটা খুব একটা বেশি না। তাতে এক হারে পয়েন্ট টেবিলে আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
আরও পড়ুন
কঠিন সময়েও গার্দিওলার উপর আস্থা হারাচ্ছেন না হলান্ড |
সিটিকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো গার্দিওলাও মানছেন তা। এভারটনের সাথে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা,
“আমি যখন বলেছিলাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়াটা বড় অর্জন, তখন লোকজন হেসেছিল। এখন তারা বুঝতে পারছে। কিন্তু আমি জানি এই লিগে এমনটা হয়। লম্বা সময় আধিপত্য ধরে রাখলেও পরে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাতেই কষ্ট করতে হয়। অনেক বছর আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দাপট দেখিয়েছি, এখন আমাদের জায়গা পাওয়া নিয়েই শঙ্কা।”
অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাকা করতে হলে টানা জয়ের বিকল্প নেই বলেই মানছেন গার্দিওলা,
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে এখানে প্রতিযোগী অনেক। প্রতিটা দলের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ম্যাচ না জিতি, তাহলে এই দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে যাবো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারলে, মানতে হবে আমরা সেটার প্রাপ্য না। বুঝতে হবে নিজেদের সমস্যার সমাধান আমরা খুঁজে পাইনি।”
সিটিতে চুক্তি নবায়ন নিয়ে আক্ষেপ নেই গার্দিওলার |
অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে নিজ নিজ দলের হয়ে ছন্দে আছেন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের তারকা ফরোয়ার্ডরা। লিভারপুলের হয়ে অদম্য গতিতে ছুটছেন মোহামেদ সালাহ, বার্সেলোনার হয়ে ফর্মে আছেন রাফিনিয়া-রবার্ট লেভানদফস্কিরা। বুন্দেসলিগায় রাজত্ব চলছে হ্যারি কেইনের। সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপেও। সব মিলিয়ে এবারে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইটা তাই বেশ জমে উঠেছে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, বক্সিং ডে-এর আগে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন, তাদের তালিকা।
রবার্ট লেভানদফস্কি - ১৬
চলতি মৌসুমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছেন লেভানদফস্কি। বার্সেলোনার মত শুরুটা ভালো করলেও শেষ চার ম্যাচে পাননি কোনো গোলের দেখা। বরং সহজ সব সুযোগ হাতপছাড়া করে হচ্ছেন সমালোচিত।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুট জিতলেন ফাইনালের নায়ক লাউতারো, সেরা খেলোয়াড় হামেস |
সমালোচনা ঝেঁকে ধরলেও অর্ধেক মৌসুম শেষে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পোলিশ এই স্ট্রাইকার। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬ গোল। নামের পাশে আছে দুই অ্যাসিস্ট। তাতে অর্ধেক মৌসুম শেষে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
মোহাম্মেদ সালাহ - ১৫
লিভারপুলের সাথে এই মৌসুমে চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা মোহামেদ সালাহর। চুক্তির মেয়াদ কয়েক মাস বাকি থাকলেও এখনো নতুন চুক্তির প্রস্তাব মেলেনি। তবে প্রতিটা ম্যাচেই মিশরীয় তারকা মনে করিয়ে দিচ্ছেন নতুন চুক্তিটা তার প্রাপ্য।
সালাহ ৩২ বছর বয়সে ছুটছেন দুর্বার গতিতে। এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে করে ফেলেছেন ১৫ গোল। নামের সাথে আছে ১১ অ্যাসিস্ট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সালাহ গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে আছেন বেশ ভালোভাবেই।
হ্যারি কেইন - ১৪
গেল মৌসুমের মত এই মৌসুমেও হ্যারি কেইন ছুটছেন একই ছন্দে। ইংলিশ অধিনায়ক এরই মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখে হয়ে করে ফেলেছেন ১৪ গোল। বুন্দেস লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরের নামটা ইংল্যান্ড অধিনায়কেরই। আর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলের হিসেবে কেইন আছেন তিন নম্বরে।
আর্লিং হলান্ড - ১৩
মৌসুমের শুরুটা দারুণ করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। তবে সময় যত গড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি যেমন হোঁচট খেয়েছেন, তেমনি হোঁচট খেয়েছেন হলান্ডও। যদিও গোলের দিক থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই নরওয়ে তারকা। ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোল। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই ছিল ১০ গোল। মৌসুমের বাকি সময়ে হলান্ডের সামনে সুযোগ আছে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গোল না পেলে এককভাবে গোল্ডেন বুট পাবেন না কেইন-ওলমো |
মার্কস থুরাম - ১২
সেরি আ-তে মার্কাস থুরাম আছেন দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে ১৬ ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ১২ গোল সেই সাথে আছে ৬ অ্যাসিস্টও। তার সমান সংখ্যক গোল আছে আতালান্তা স্ট্রাইকার মাতেও রেতেগির। আতালান্তার চলন্ত মৌসুমের সাফল্যের অন্যতম কারিগর ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার।
রাফিনিয়া - ১১
চলতি মৌসুমে নিজেকে যেন নতুন করে চিনিয়েছেন রাফিনিয়া। প্রতিটা ম্যাচেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১ গোল, সাথে আছে ৮ অ্যাসিস্ট। তাতে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
জনাথন ডেভিড - ১১
লিগ আ এবার কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে। পিএসজির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার কিলিয়ান এমবাপের বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এখন নেই শীর্ষ মাপের তারকা। ১৫ ম্যাচে ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন লসের স্ট্রাইকার জনাথন ডেভিড।
কিলিয়ান এমবাপে - ১০
পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে লা লিগায় এমবাপের শুরুটা হয়েছিল ভুলে যাওয়ার মতই। চোট আর সহজ সব সুযোগ মিসে ফরাসি অধিনায়ক নিয়মিতই ছিলেন শিরোনামে। তবে গেল কয়েক ম্যাচে এমবাপের খেলায় দেখা মিলছে চেনা ছন্দ। সব মিলিয়ে লা লিগায় এমবাপে ১৬ ম্যাচ খেলে ১০ গোলের পাশাপাশি করেছেন ২ অ্যাসিস্টও।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে চার লিগেই চলছে শীতকালীন ছুটি। ব্যতিক্রম কেবল প্রিমিয়ার লিগে। বড় দিনের ছুটিতেও প্রিমিয়ার লিগে আছে ব্যস্ত সূচি। অবশ্য এমনটা নতুন। বক্সিং ডে ম্যাচ নিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের উন্মাদনা বেশ আগে থেকেই।
দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রিমিয়ার লিগ কতৃপক্ষ রাখে বড় দলগুলোর ম্যাচ। ২৬ ডিসেম্বর যার শুরুটা হবে এভারটন ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ দিয়ে। নিজেদের হারিয়ে খোঁজা সিটিজেনদের সুযোগ মিলছে বক্সিং ডে তে নিজেদের খুঁজে পাবার।
ম্যাচ আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুলেরও।
বক্সিং ডি তে মাঠে নামছেন যারা
মানচেস্টার সিটি- এভারটন
বার্নমাউথ- ক্রিস্টাল প্যালেস
চেলসি- ফুলহাম
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড- অ্যাস্টন ভিলা
নটিংহাম ফরেস্ট- টটেনহাম হটস্পার
সাউদাম্পটন- ওয়েস্ট হাম
উলভস- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
বছরের এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর থাকে বাড়তি ব্যস্ততা। বক্সিং ডে ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের পাশাপাশি নিজেরাও ক্রিসমাস উদযাপনের দারুণ এক উপলক্ষ্য পান খেলোয়াড়রা। স্বাভাবিকভাবেই একটা আনন্দময় আবহ বিরাজ করে ক্লাবগুলোর মধ্যে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কঠিন সময় পার করা রুবেন আমোরিমের মনে নেই সেই আনন্দ। পর্তুগিজ কোচ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিসমাস নিয়ে ভাবার সময় নেই তার।
আমোরিম গত মাসে যখন ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন, তখন প্রিমিয়ার লিগের দলটি ছিল ১৪তম স্থানে। তার কোচিংয়ে ছয় ম্যাচে দুটিতে জয়, তিনটিতে হার এবং একটি ড্র করেছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটি। ফলে ক্রিসমাস ডে-তে ইউনাইটেড থাকবে ১৩তম স্থানে, যা ১৯৮৬ সালের পর মৌসুমের এই সময়ে দলটির সবচেয়ে বাজে অবস্থান। সবশেষ দুই ম্যাচে টানা হেরে যাওয়ায় বক্সিং ডে-তে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ম্যাচে চাপেই থাকবে ইউনাইটেড।
ফলে ক্রিসমাস নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করার সুযোগ পাচ্ছেন না আমোরিম।
“আমি শুধু জিততে চাই। আমি ক্রিসমাসকে আসলেই পাত্তা দিই না। পরের ম্যাচটা জিততে হবে, আমি শুধু সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। এটাই এখন আমার একমাত্র চিন্তা।”
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেই কেবল বক্সিং ডে ম্যাচ হয়। নিজের মনে খুশির আবহ না থাকলেও এই ম্যাচ জিতে ভক্তদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চান আমোরিম।
“আমরা বক্সিং ডে-তে ভক্তদের কিছু আনন্দ উপহার দিতে আমরা (ইংল্যান্ডে) বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান। আমরা যেভাবেই হোক, ম্যাচটা জিততে চাই।”
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে টানা দুই হারের অভিজ্ঞতা হয়েছে ইউনাইটেডের। এরিক টেন হাগের স্থলাভিষিক্ত হওয়া আমোরিমের জন্য তাই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা হয়ে গেছে বেশ কঠিন। রক্ষণ থেকে আক্রমণ, সব জায়গাতেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে দলটিকে। তারকা স্ট্রাইকার মার্কাশ রাশফোর্ডও নেই ছন্দে, ফলে তাকে শেষ তিন ম্যাচে স্কোয়াডের বাইরে রেখেছেন আমোরিম।
কী করলে দলের সমস্যার সমাধান হবে, সেটা যেন ধরতে পারছেন না ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ নিজেও।
“এটা আমাদের ক্লাবের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে একটি। আমাদের এটা মোকাবেলা করতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে। আমার যদি জানা থাকত, তাহলে আমি এই ক্লাবের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতাম।”
ম্যানচেস্টার সিটিকে নাম লেখানোর পর থেকেই ছিলেন স্বপ্নের ফর্মে। গোলের পর গোল করে গড়েছেন রেকর্ড, অবদান রেখেছেন শিরোপা জয়ে। তবে চলতি মৌসুমে শেষ দুই মাসে আর্লিং হলান্ডকে দেখা যাচ্ছে না চেনা ছন্দে। আর একই সময়ে তার দলও পার করছে নিজেদের ইতিহাসেরও অন্যতম কঠিন একটা সময়। নরওয়ে তারকার ওপর অতি নির্ভয়তা আর তার ভালো না খেলার কারণেই কি তাহলে সিটি উল্টো পথে হাঁটছে? গার্দিওলার অবশ্য এতে আপত্তি রয়েছে। সিটি কোচ মন করেন, দল হিসেবেই তারা খারাপ করছেন।
হলান্ড এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ১০ গোল করার পর ভুগতে হচ্ছে তাকে। শেষ ৮ ম্যাচে জালের দেখা পান মাত্র তিন বার। দলের মূল স্ট্রাইকারের এমন পড়তি ফর্ম চাপে ফেলে দিয়েছে সিটিকে। লিগে নিজেদের শেষ আট ম্যাচে গত চারবারের চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে মাত্র এক বার। পয়েন্ট টেবিলে এই মুহূর্তে অবস্থান সপ্তম।
আরও পড়ুন
ক্ষিপ্ত গার্দিওলা বললেন, ‘হ্যাঁ, আসলেই আমি ডে ব্রুইনাকে খেলাতে চাই না’ |
তবে এভারটনের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, হলান্ডের ফর্মই তাদের বাজে পারফর্যান্সের একক কারণ নয়।
“এটা পুরো দলের ব্যাপার, স্রেফ একজন খেলোয়াড়ের নয়। অতীতে আমরা যখন অনেক গোল করেছিলাম এবং আর্লিং আমাদের অনেক সাহায্য করতে পেরেছিল, সেটা সম্ভব হয়েছিল দলের কারণেই। যখন আপনার রক্ষণে, মাঝমাঠে, সব জায়গাতেই সমস্যা নয়, সেটা পুরো দলের কারণেই হয়।”
সমালোচকরা তো বটেই, হলান্ড নিজেও সম্প্রতি বলেছেন যে, সিটির বর্তমান দুরবস্থার জন্য তার ফর্মও অনেকটা দায়ী। কারণ তিনি আগের মত গোল করে দলের জন্য অবদান রাখতে পারছেন না। তবে হলান্ড নিজে এটা বললেও চোটের কারণে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের কয়েকজনকে না পাওয়ার প্রভাব ভালোভাবেই দৃশ্যমান হচ্ছে দলটির খেলায়।
আরও পড়ুন
সিটির আরেকটি হার, নিজের সামর্থ্য নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে গার্দিওলার |
আর এই কারণেই হলান্ডের ওপর দায় চাপাতে অপারগ গার্দিওলা।
“এটা যদি শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়ের কারণেই হত, তাহলেতো ভালোই হত। তবে ব্যাপারটা তেমন নয়। আর্লিং আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সামনেও সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণই থাকবে। আমরা নিজেদের কাজগুলো আরও ভালভাবে করার চেষ্টা করব, আর তাকে সেরা উপায়ে কাজে লাগানোরও।”
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে