তিন বছরের বেশি সময় আগে পৃথিবী ছেড়ে অনন্তলোকে পাড়ি জমিয়েছেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। প্রায় দেড় যুগের খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক অর্জন ও রেকর্ড গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। তার তেমনই রেকর্ডের ৩০ বছর পূর্ণ হলো শনিবার।
১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট শুরু হওয়া কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েছিলেন সাইমন্ডস। যা টিকে ছিল প্রায় ২০ বছর। পরে সেটি ভেঙে দেন কলিন মুনরো। সেই রেকর্ড পরে আরও কয়েক দফায় বদলেছে।
গ্লুস্টারশায়ারের হয়ে খেলতে নেমে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০টি ছক্কা মারেন সাইমন্ডস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তখন এটি ছিল ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড। সাইমন্ডস ভেঙেছিলেন প্রায় ৩৬ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
১৯৫৯ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৯টি ছক্কা মেরেছিলেন জিম স্টুয়ার্টার। ১৯৯৫ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পথে প্রথম ইনিংসে ১৬ ও দ্বিতীয়বারে ৪টি ছক্কা মারেন সাইমন্ডস।
আরও পড়ুন
২ গোল দিয়ে ৪ গোল হজম বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের |
![]() |
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে গ্লুস্টারশায়ারকে একাই টানেন সাইমন্ডস। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২২ চারের সঙ্গে ১৬টি ছক্কা মেরে মাত্র ২০৬ বলে ২৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ২০ বছর বয়সী তরুণ ক্রিকেটার। দলের আর কেউ ৫২ রানের বেশি করতে পারেনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও ছিল সাইমন্ডসের ওই ১৬ ছক্কা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ঝড় তোলেন এই অলরাউন্ডার। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় মাত্র ৬৫ বলে তিনি করেন ৭৬ রান। তার এমন ব্যাটিংয়েই ম্যাচটি ড্র করতে পারে গ্লুস্টারশায়ার।
প্রায় ২০ বছর পর ২০১৫ সালের মার্চে সাইমন্ডসের রেকর্ড ভেঙে দেন কলিন মুনরো। প্লাংকেট শিল্ডের ম্যাচে অকল্যান্ডের হয়ে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে মাত্র ১৬৭ বলে ২৮১ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৭টি চারের সঙ্গে ২৩টি ছক্কা মারেন মুনরো।
এখন অবশ্য মুনরোর দখলেও নেই এই রেকর্ড। বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ম্যাচে বা ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক তন্ময় আগারওয়াল। ২০২৪ সালে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে অরুণাচলের বিপক্ষে মাত্র ১৮১ বলে ৩৬৬ রানের ইনিংসে ৩৪টি চার ও ২৬টি ছক্কা মারেন হায়দরাবাদের ব্যাটার।
২৪ আগস্ট ২০২৫, ১:৫৯ পিএম
২৪ আগস্ট ২০২৫, ১:০১ পিএম
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ার সব ব্যাটার। ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের আড়াইশ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তাণ্ডব চালালেন ক্যামেরন গ্রিন। তিন জনের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া পেল ৪৩১ রানের সংগ্রহ।
ম্যাকাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সফরকারীদের ৪৩২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০৩ বলে ১৪২ রান করেছেন হেড, মার্শের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৬ বলে ১০০ রান। আর শেষ দিকে তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ৫৫ বলে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন গ্রিন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির সংগ্রহ ৩৭ বলে ৫০ রান।
আরও পড়ুন
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আড়াইশ রানের জুটি গড়ে হেড-মার্শের রেকর্ড |
![]() |
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করেছিল তারা। সেই ম্যাচটি অবশ্য অবিশ্বাস্যভাবে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জিতে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করতে মাত্র ৪৭ বল খেলেছেন গ্রিন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০২৩ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করে এই তালিকায় সবার ওপরে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৫০ রান যোগ করেন হেড ও মার্শ। ওয়ানডে ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো দলের উদ্বোধনী জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ। ২০০৩ সালের ইংল্যান্ডের বিক্রম সোলাংকি ও মার্কাস ট্রেসকোথিক মিলে গড়েছিলেন ঠিক ২০০ রানের জুটি। প্রায় ২২ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় এখন মার্শ ও হেড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চম আড়াইশ রানের জুটি। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে হেডের ২৮৪ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড। আগের চারটি আড়াইশ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই এক পাশে ছিলেন ওয়ার্নার।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কায় জেসি-মুকুলদের আম্পায়ারিং ওয়ার্কশপ |
![]() |
হেড ও মার্শের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৮২ বলে ১৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন ক্যারি ও গ্রিন। ৫৫ বলের ইনিংসে ৬ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা মেরেছেন গ্রিন। ক্যারির ইনিংসে আছে ৭টি চারের মার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৭ ওভারে ৯৩ রান খরচ করেছেন উইয়ান মুল্ডার। আর এক ওভার করতে দেওয়া হলে হয়তো সর্বোচ্চ রান খরচের বিব্রতকর রেকর্ডটিও গড়ে ফেলতেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
'Devastated'- শনিবার মাঝরাতে ঠিক এই শব্দটিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। যার অর্থ বিধ্বস্ত! আর বাংলাদেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখা সবারই জানার কথা, কী কারণে বিধ্বস্ত জাতীয় দলের এই অফ স্পিনার।
সামনের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাননি অস্ট্রেলিয়া ফেরত স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। তার জায়গায় অফ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ নিশিতা আক্তার নিশি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সব টুর্নামেন্টেই সবার ওপরে ছিলেন সুমনা।
তাই স্বাভাবিকভাবেই ২৫ বছর বয়সী স্পিনারের বাদ পড়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দল থেকে বাদ পড়ার পর কোথাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাননি সুমনা। তবে ফেইসবুকে তার এক শব্দের পোস্টেই পরিষ্কার, কতটা হতাশ তিনি।
অবশ্য হতাশার কারণও আছে যথেষ্টই। গত এপ্রিলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল আসরে টিকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার ছিলেন সুমনা। ৫ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন তিনি। ওভারপ্রতি খরচ করেন ৪.৪৫ রান।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে যাত্রা শুরুর ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ৭ রানে ৫ উইকেট নেন সুমনা। পরের তিন ম্যাচে তার শিকার আরও ৪ উইকেট। শুধুমাত্র পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে আসা এই অফস্পিনার।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এর আগে দেশের ঘরোয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমির ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন আসরের সেরা বোলার।
এমনকি গত বছরের ডিসেম্বর লাল বলে হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) সবশেষ আসরেও ৩ ইনিংসে ১৪ উইকেট নিয়ে সুমনা ছিলেন সবার ওপরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে সুযোগ পান সুমনা।
কিন্তু সেখানে পারফর্ম করেও, বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি তার। সুমনার জায়গায় নিশিতাকে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাবনা কী ছিল, টি স্পোর্টসের এমন প্রশ্নের জবাবে নারী দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেছেন, বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে দক্ষতা বেশি নিশিতার।
“ওর (সুমনা) চেয়ে নিশিতা (আক্তার নিশি) এখন ভালো বোলিং করতেছে। আর আমাদের যে জিনিসটা দেখতে হয়, আমরা সাধারণত অফ স্পিনার তখনই খেলাই, যেসব দলে বাঁহাতি ব্যাটার বেশি থাকে। ওই সময় অফ স্পিনার খেলানো হয়।”
“এই দিক থেকে বাঁহাতি ব্যাটারদের সামলানোর ক্ষেত্রে সুমনার চেয়ে নিশিতা ভালো হ্যান্ডেল করতে পারবে। তাই তার কাছ থেকে সেরাটার চাওয়া থাকবে এখন। বাঁহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে নিশিতার দক্ষতাটা বেশি। তাই সুমনার জায়গায় তাকে নেওয়া।”
অথচ বিশ্বকাপ সামনে রেখে সিলেটে নারী দলের অনুশীলন ক্যাম্পেও সুমনাকে দেওয়া হয় ইতিবাচক বার্তা। অফ স্পিনে দক্ষতা আরও বাড়াতে তাকে নিয়ে বাড়তি কাজও করেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা। দল থেকে বাদ পড়ে হতাশার পাশাপাশি তাই অনেকটা অবাকও হয়েছেন সুমন, এমনটাই জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠরা।
সুমনার জায়গায় বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া নিশিতার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা মাত্র দুই ম্যাচের। ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলে ২ উইকেট নেন সম্ভাবনাময় এই অফস্পিনার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৮ ম্যাচে নিশিতার ঝুলিতে ছিল ১৫ উইকেট।
এবার নিশিতার কাঁধে বড় দায়িত্ব। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই পেয়ে গেছেন বিশ্বকাপ খেলার ডাক। আর ওই আসরে অভিষেক হলে, বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড গড়বেন তরুণ এই অফ স্পিনার।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু বিশ্বকাপের নতুন আসর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ অক্টোবর, পাকিস্তানের বিপক্ষে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের সামনের সিরিজ দিয়ে ছেলেদের ক্রিকেটে আম্পায়ারিং শুরুর আগে নিজের জ্ঞান আরেকটু বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে গেলেন সাথিরা জাকির জেসি। আইসিসি ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ করতে শ্রীলঙ্কা গেলেন তিনিসহ আরও ৬ আম্পায়ার।
আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ করতে শ্রীলঙ্কায় গেছেন বাংলাদেশের প্যানেলভুক্ত আম্পায়াররা। রোববার দুপুরের ফ্লাইটে রাজধানী থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আইসিসি প্যানেলে থাকা বাংলাদেশের সাত আম্পায়ার।
গত বছর আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন চার নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির, ডলি রানি, চম্পা চাকমা ও রোকেয়া সুলতানা মিশু। আর পুরুষদের মধ্যে আন্তর্জাতিক প্যানেলে আছেন মাসুদুর রহমান মুকুল, গাজী সোহেল, তানভির আহমেদ ও মাহবুব আলি খান সুমন।
এই আট জনের মধ্যে সাতজন যোগ দেবেন আইসিসির ওয়ার্কশপে। জার্সিতে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যালেঞ্জ লিগের খেলা পরিচালনায় ব্যস্ত থাকায় এই ওয়ার্কশপ করা হবে না দেশের অভিজ্ঞ আম্পায়ার গাজী সোহেলের।
দুই দিনের এই ওয়ার্কশপে বাংলাদেশ ছাড়া ভারত ও শ্রীলঙ্কার আম্পায়াররাও যোগ দেবেন। ওয়ার্কশপের মূল আয়োজক আইসিসি। এবার এটি হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। সামনে বাংলাদেশেও আম্পায়ারদের এমন ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে পারে আইসিসি।
ওয়ার্কশপ শেষ করে বুধবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে জেসি-মুকুলদের। এরপর তারা চলে যাবেন সিলেটে, নেদারল্যান্ডস সিরিজের খেলা পরিচালনার জন্য।
কেশব মহারাজের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে উড়িয়ে মারলেন ট্রাভিস হেড। অল্পের জন্য সীমানা ছাড়া করতে পারলেন না। লং অফে সহজ ক্যাচ নিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। খুব কাছে গিয়েও দেড়শ ছুঁতে পারলেন না বাঁহাতি ওপেনার। তবে ফেরার আগে গড়লেন জুটির রেকর্ড।
ম্যাকাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ২৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন হেড ও মিচেল মার্শ। মহারাজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে হেডের বিদায়ে ভেঙেছে ২০৫ বলের এই রেকর্ডগড়া জুটি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের আফগানিস্তান সিরিজের সূচি চূড়ান্ত |
![]() |
ওয়ানডে ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো দলের উদ্বোধনী জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ। ২০০৩ সালের ইংল্যান্ডের বিক্রম সোলাংকি ও মার্কাস ট্রেসকোথিক মিলে গড়েছিলেন ঠিক ২০০ রানের জুটি। প্রায় ২২ বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় এখন মার্শ ও হেড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চম আড়াইশ রানের জুটি। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে হেডের ২৮৪ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড। আগের চারটি আড়াইশ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই এক পাশে ছিলেন ওয়ার্নার।
অথচ এই ম্যাচের আগে ২৪ ইনিংস ধরে ওপেনিংয়ে কোনো শতরানের জুটি পায়নি অস্ট্রেলিয়া। সেই খরা ঘুচিয়ে নতুন রেকর্ডই গড়লেন মার্শ ও হেড।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই প্রথম টস জেতার পর ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে ঝড় তোলেন মার্শ ও হেড। স্বাভাবিকভাবেই বেশি আগ্রাসী ছিলেন হেড। মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে সেঞ্চুরি ছুঁতে তার লাগে ৮০ বল। ওয়ানডেতে ২৪ ইনিংস পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন
এক বছরের জন্য ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা |
![]() |
ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিকে ১৪২ রান পর্যন্ত টেনে নেন হেড। ড্রেসিং রুমে ফেরার আগে ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান ১০৩ বলের ইনিংস।
হেডের বিদায়ের পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মার্শ। এরপর আর টিকতে পারেননি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৬ বলে ১০০ রান করে আউট হন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৬৯ রান।
এশিয়া কাপের ব্যস্ততা শেষ হতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
যৌথ বিবৃতিতে রোববার দুপুরে সামনের তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিনক্ষণ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
আমিরাতে আগামী ২ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৩ ও ৫ তারিখ।
আরও পড়ুন
এক বছরের জন্য ছিটকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার গতিতারকা |
![]() |
এরপর দুই দিন বিরতি দিয়ে ওয়ানডে সিরিজের খেলা শুরু ৮ অক্টোবর। বাকি দুই ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১১ ও ১৪ তারিখ।
গত বছর হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে এই দুই সিরিজ। কিন্তু নানান কারণে তখন পিছিয়ে যায় বাংলাদেশের এই সফর।
এবার এশিয়া কাপ শেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার খেলবে বাংলাদেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে 'বি' গ্রুপে আছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। তাদের সঙ্গে অন্য দুই দল শ্রীলঙ্কা ও হংকং।
প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে ১৬ সেপ্টেম্বর। আর সুপার ফোরে উঠতে পারলে খেলতে হবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
তাই সুপার ফোরে উঠতে পারলে এশিয়া কাপ থেকে আর দেশে ফিরবে না বাংলাদেশ। আর যদি প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে যায়, তাহলে দেশে পরে আবার আমিরাতে যাবে তারা।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে