১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম
এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছানোই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বড় সাফল্য। এ নিয়ে তিনবার শিরোপার মঞ্চে উঠে হোঁচট খেয়েছে লাল-সবুজ দল। দীর্ঘশ্বাস আর আঙুলের কড়ায় লাভ-ক্ষতির হিসাব কষতে কষতে আরেকটি উপমহাদেশীয় টুর্নামেন্ট হাজির। আট জাতির অংশগ্রহণে ক্রিকেট মেলা বসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যার শুরুটা হয়েছে গত মঙ্গলবার। দিন দুয়েক বাদে টিম টাইগার্স নামছে ব্যাট-বলের যুদ্ধে। তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ হংকং।
আবুধাবিতে আজ রাত সাড়ে আটটার মিশনে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন কুমার দাস। যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বগুণে সবশেষ টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজ দল। শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে হারানোর পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, সবশেষ ডাচদের নাকানিচুবানি খাইয়েছেন লিটনরা। সমর্থকদের আনন্দে ভাসানোতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন পারভেজ হোসেন ও তাসকিন আহমেদের মতো খেলোয়াড়রা।
অভিজ্ঞ-তরুণ্যের মিশেল, সে সঙ্গে ‘আধুনিক ক্রিকেট’ মঞ্চস্থ ও ‘পাওয়ার হিটিং’ কাজে লাগিয়ে বেশ ধারাবাহিক বাংলাদেশ দল। এখন অপেক্ষা টিম টাইগার্স তাদের নতুন অ্যাসাইনমেন্টে (এশিয়া কাপ) কতটা সাফল্যের সাক্ষর রাখেন। এশিয়া কাপে ১৭তম আসরে লিটন দাসরা পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। হংকং ছাড়াও যেখানে টাইগারদের মোকাবিলা করতে হবে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে। গ্রুপ পর্বে ন্যূনতম দুটি ম্যাচ জিতলেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে স্বপ্ন সারথীরা।
বাংলাদেশ দলের ইচ্ছা-উচ্চাশার গল্প না হয় ‘দুই-এক ম্যাচ’ পর ভাবা বা বলা যাবে। আপাতত অপেক্ষাকৃত দুর্বল হংকংয়ের দিকে নজর লিটনদের। আবুধাবিতে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে কেমন একাদশ হতে পারে বা কেমন কম্বিনেশনে দল গঠন করলে তা দেশের জন্য আর্দশ, তা নিয়েই আলোচনা করা যাক।
উদ্বোধনী জুটি: তামিম ইকবালের অবসরের পর বা তারও আগে কিংবা সে সময়কালীন ওপেনিংয়ে থিতু হতে পারেননি তেমন কেউ। সৌম্য সরকার-নাঈম শেখসহ ওপেনিংয়ে চেষ্টা করানো হয়েছে অনেককে। আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি কেউই। সম্প্রতি যে দুইজন তরুণ সক্ষমতা দেখাচ্ছেন, নামের সুবিচার করছেন তাদের অন্যতম তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন। এই দুই ব্যাটার প্রায় প্রতি ম্যাচে প্রতিযোগীতা করে ছক্কা-চার মারছেন। ওপেনিংয়ে তাদের ওপরই আস্থা বাংলাদেশের। এই দু’জনকে আজ ফ্রন্টলাইনার সোলজার হিসেবে দেখা যাবে।
ওয়ান ডাউন: লিটন দাস বেশ চাপে ছিলেন। হতাশায় ভুগেছেন। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজে কথা বলেনি তার ব্যাট। তবে হাত খুলে খেলেছেন সবশেষ নেদারল্যান্ডস সিরিজে। ফিফটির দেখা পাওয়া ছাড়াও সিরিজসেরা হয়েছেন। চলতি বছর আন্তর্জাতিক কুড়ি কুড়ির ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রান দেশসেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। ১৫ ম্যাচে ৩২.০৭ গড়ে ৪১৭ রান করেছেন লিটন।
মিডল ও লোয়ার অর্ডার: মিডলে জায়গা অনেকটা পোক্ত তাওহিদ হৃদয়ের। যদিও মারকুটে এই ব্যাটারের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। ছন্দহীন থেকেছে সম্প্রতি ম্যাচগুলোতে। তবে নিজের দিনে ও সুযোগ পেলে কি করে দেখাতে পারেন তিনি, তা নিশ্চই টিম ম্যানেজমেন্টের নখদর্পণে।
চার ও পাঁচে বা একটু উপর-নিচু করে খেলানো হতে পারে শামীম পাটোয়ারি ও জাকের আলীকে। ইমপ্যাক্ট ধরে রাখা ও পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য জুড়ি মেলা ভার চাঁদপুরের স্পিন অলরাউন্ডারের। আর উইকেটরক্ষক জাকের ক্যামিও ইনিংস খেলে বেশ কয়েকবার ডুবতে বসা বাংলাদেশের তরী বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। তার জায়গাটা অনেকটা নিশ্চিত। বোলিং নৈপুণ্যের কারণে দলে ডাক পড়তে পারে মেহেদী হাসানের। যদিও ব্যাট খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না তিনি।
বোলিং বিভাগ:
দুই স্পিনার আর তিন পেসার নিয়েই আজ খেলার সম্ভাবনা বাংলাদেশের। মেহেদীর পাশাপাশি হাত ঘুরাতে দেখা যাবে রিশাদ হোসেনকে। কাজে লাগানো হতে পারে শামীমকেও। যদিও পয়েন্ট তোলার ম্যাচে তাকে ব্যবহার নাও করতে পারেন লিটন। আর পেস ইউনিটে অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের পাশাপাশি খেলতে পারেন তানজিম হাসান। স্কোয়াডে আছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। যদিও তানজিদ তোপ দাগানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতেও নিজেকে প্রমাণ করে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়তে পারে সাইফের।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান ও তাসকিন আহমেদ।
No posts available.
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৩৯ পিএম
এশিয়া কাপের হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ের আগে ‘প্রি শো’তে র্যাপিড ফায়ারের মতো করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মজার মজার সব প্রশ্নে মন খুলে উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার।
অনুষ্ঠানে তাসকিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অতীতের কোনো ঘটনা বাদ দিতে চান তিনি? তাসকিনের উত্তর ছিল, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা লিটনের রানআউট!
আরও পড়ুন
সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দেশ ছাড়া জোকোভিচ |
![]() |
ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ২৭ বলে ৬০ রান করা লিটনের আউটের আগে ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। তবে এই ওপেনার রান আউট হওয়ার পরপরই পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ।
তাই সুযোগ পেলে তাসকিন সেই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে দিতেন।
“অবশ্যই অ্যাডিলেইডে ভারতের বিপক্ষে ২০২২ বিশ্বকাপের ম্যাচ। যদি আমার সেই ক্ষমতা থাকত, তাহলে আমি চাইতাম লোকেশ রাহুলকে একটু ধীর গতি করে দিতে আর লিটনকে একটু বেশি গতিতে চালাতে। তাহলে রানআউট আর হতো না। হয়তো আমরা ম্যাচটাও জিততাম।”
আরও পড়ুন
টানা দুই হ্যাটট্রিকে ভুটান লিগে উজ্জ্বল শামসুন্নাহার |
![]() |
এরপর তাসকিনকে জিজ্ঞেস করা হয় অতীতের কোনো ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে এনে তার সঙ্গে বা বিপক্ষে খেলতে পারলে, কাকে বেছে নিতেন তিনি?
৩০ বছর বয়সী এই পেসার বেছে নেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারকে,
‘নিঃসন্দেহে আমি শচীন টেন্ডুলকারকে বেছে নিতাম। আমি তাকে বল করতে চাই, আর আউটও করতে চাই। কারণ তার বিপক্ষে খেলার সুযোগ কখনোই হয়নি। আর এটা একটা অপূর্ণতাও।’
আরও পড়ুন
বিসিসিআই প্রধান ‘হচ্ছেন না’ শচীন |
![]() |
যদি একদিনের জন্য ক্রিকেট কমিশনারের দায়িত্ব পেতেন তাসকিন, তবে কোন নিয়মটা বদলাতে বা তৈরি করতেন তিনি। তাসকিনের ভাষায়,
‘আমি ক্রিকেট থেকে বোলারদের জন্য ফ্রি হিট নামক নিয়মটা তুলে দিতাম (হাসি)।’
এরপর তাসকিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোন ক্রিকেটার সবসময় ট্রেন্ড বা সমসাময়িক ধারার চেয়ে এক কদম এগিয়ে থাকে বলে মনে হয় তার কাছে। বাংলাদেশি পেসার বেছে নেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াকে।
সংক্ষিপ্ত এই প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষ দিকে সঞ্চালকের অনুরোধে বলিউড অভিনেতা ঋত্বিক রওশনের মতো করে নেচেও দেখান তাসকিন।
গত ক’দিন ধরেই ভারতীয় গনমাধ্যমে শচীন টেন্ডুলকারকে নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে, দেশটির কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরে বিসিসিআইয়ের নির্বাচনে বোর্ড প্রধান দেখা যেতে পারে শচীনকে, এমন গুঞ্জনে নড়েচড়ে বসে দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা।
বাতাসের গতিতে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনে শেষ পর্যন্ত পানি ঢেলে দিলেন শচীনের প্রতিনিধি দল। ভারতের এই মহাতারকার বিসিসিআই সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে তারা।
এ বিবৃতিতে শচীনের প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদন ও গুঞ্জন ছড়িয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, শচীন টেন্ডুলকারকে বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে বিবেচনা করা হচ্ছে বা তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
অবশ্য এখন পর্যন্ত শচীন টেন্ডুলকার নিজে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমকে এমন ভিত্তিহীন জল্পনা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বিবৃতিতে তারা আরো লিখেছে, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি, দয়া করে এ ধরনের অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন গুজবে বিশ্বাস করবেন না।’
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় বিসিসিআই নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, যুগ্ম সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ—এই পদগুলোর জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে।
বোর্ডের অভ্যন্তরীণ ধারণা অনুযায়ী, বর্তমান সচিব দেবজিত সাইকিয়া, যুগ্ম সচিব রোহান গাঁওস দেসাই, এবং কোষাধ্যক্ষ প্রভতেজ সিং ভাটি তাদের নিজ নিজ পদে বহাল থাকতে পারেন। তবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে কে বসবেন এ নিয়েই যত জল্পনা-কল্পনা। এছাড়া আইপিএল চেয়ারম্যান পদেও আসতে পারে পরিবর্তন।
টুর্নামেন্টের তৃতীয় দিনে এসে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ দল। হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করছে তারা।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে খেলা।
ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষকে যথাযথ সম্মান দিয়ে লিটন কুমার দাস বলেছেন, জিততে হলে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে তাদের।
আর হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তাজা আগেই বলেছিলেন, যে কোনো দলকে হারানোর বিশ্বাস আছে তার দলের।
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে সবাইকে সংযত থাকার অনুরোধ করলেন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ও কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেব। ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, এটি বড় ইস্যু না বানিয়ে শুধু খেলায়ই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে নতুন করে আরও খারাপ হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক। যে কারণে এরই মধ্যে সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ বয়কট করেছে ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা।
এমনকি চলতি এশিয়া কাপেও দাবি উঠেছে ভারতীয় দল যেন পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলে। এরই মধ্যে চার জন আইনের শিক্ষার্থী এই ম্যাচটি বাতিলের জন্য আদালতেও আবেদন করে বসে। যদিও সেটি নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
তবে সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে এসব আলোচনা একদমই ভালো লাগছে না কপিল দেবের। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সবাইকে তাই সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
“স্রেফ মাঠে যাও এবং জিতে আসো। যাদের কাজ খেলা তাদের কেবল খেলার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত-অন্য কিছু বলার কোনো দরকার নেই। এটাকে বড় ইস্যু বানাবেন না। সরকার তার কাজ করবে এবং খেলোয়াড়দের তাদের কাজ করা উচিত।”
প্রায় এক যুগ ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। এখন শুধু আইসিসি বা এসিসির এসব টুর্নামেন্টেই দেখা হয় দুই দেশের।
এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে ৯ উইকেটের রেকর্ড গড়া জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে ভারত। শুক্রবার ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে পাকিস্তান। পরে রোববার মুখোমুখি হবে এই দুই দেশ।
অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং বিভাগে চোটের সারি আরও লম্বা হচ্ছে। সবশেষ কাঁধের চোটে ভারত সফর থেকে ছিটকে গেলেন অলরাউন্ডার অ্যারন হার্ডি। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিপক্ষে দুটি চার দিনের ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার 'এ' দল। হার্ডির পরিবর্তে টেস্টে দলে যুক্ত হয়েছেন ভিক্টোরিয়ার অলরাউন্ডার উইল সাদারল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার পেস বিভাগে চোটের তালিকায় আরও রয়েছেন প্যাট কামিন্স, ল্যান্স মরিস ও ক্যালাম ভিডলার। পিঠের চোটে থাকা অ্যাশেজের আগে ফেরার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয় কামিন্সের। মরিস পিঠের অস্ত্রোপচারের পর ১২ মাসের জন্য ছিটকে গেছেন। তরুণ পেসার ভিডলার ভুগছেন স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে। এ ছাড়া মরিসের বদলি ব্রোডি কাউচও চোটে পড়ায় শেষ মুহূর্তে হেনরি থর্নটনকে যুক্ত করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলে।
হার্ডি শেফিল্ড শিল্ড মৌসুমের শুরুর দিকে ফিরতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছন্দ হারিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে সুযোগ পাননি। পরে তাঁকে রাখা হয় অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলে। চোট কাটিয়ে দ্রুত ফিরতে পারলে ওয়ানডে সিরিজে তাঁর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত 'এ' দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ১৬ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় ম্যাচ ২৩ সেপ্টেম্বর। দুটি ম্যাচিই হবে লখনৌতে। কানপুরে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো হবে ৩০ সেপ্টেম্বর, ৩ ও ৫ অক্টোবর।