২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৪ এম
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ফলাফলকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিল হ্যান্ডশেক-বিতর্ক। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাত না মেলানোর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। ফাইনালের আগে বিষয়টি আবারও আলোচনায়। মুখ খুললেন পাকিস্তান অধিনায়ক সলমান আলি আগা।
ফাইনালের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সালমান জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা তিনি আগে কখনো দেখেননি। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন,
'আমি পেশাদার ক্রিকেট খেলছিল ২০০৭ থেকে। কখনও দেখিনি যে ম্যাচের মধ্যে দুটো দল হাত মেলাচ্ছে না। আমার বাবাও ক্রিকেটের বড় ভক্ত। ক্রিকেটের অনেক গল্প ওর থেকে শুনেছি। উনিও কখনো বলেননি যে অতীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে। দুটো দল ক্রিকেট ম্যাচ খেললেও হাত মেলায়নি, এমন কখনো শুনিনি।'
পাকিস্তান অধিনায়কের দাবি, ক্রিকেটে হাত না মেলানোর ঘটনা কখনো নেই। তিনি বলেন,
'বরাবর শুনে এসেছি ক্রিকেট মাঠে ভদ্রতা বজায় রাখা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন এর থেকেও খারাপ সম্পর্ক ছিল, তখনও দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে। তখনও হাত মিলিয়ে দু’দলের ক্রিকেটারেরা। আমার মতে, ক্রিকেটের জন্য হাত না মেলানোর ঘটনা ভালো উদাহরণ নয়।'
শুধু হ্যান্ডশেক-বিতর্ক নিয়েই নয়, সুপার ফোরে দুই সতীর্থ হারিস রউফ ও সাহিবজাদা ফারহানের আগ্রাসী উচ্ছ্বাস নিয়েও কথা বলেছেন সালমান। তাঁদের পাশে থেকে বললেন,
'আবেগ দেখানোর অধিকার সকলের রয়েছে। যদি কোনো জোরে বোলারকে বলি আবেগ না দেখাতে, তা হলে আর কী পড়ে থাকবে? যতক্ষণ না কারো অসম্মান হচ্ছে, ততক্ষণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে কাউকে আমি আটকাব না।'
No posts available.
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৩৪ পিএম
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৩০ পিএম
অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধ্বসের পর বোলারদের নৈপুণ্যে জয়ের আশা জাগাল পাকিস্তান। কিন্তু তিলক ভার্মার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মিলিয়ে গেল তাদের সব সম্ভাবনা। আরেকটি চমৎকার জয়ে এশিয়া কাপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববারের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ভারত। ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ১৯.৪ খেলে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল।
এশিয়া কাপে ভারতের এটি নবম শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা শ্রীলঙ্কার। আর বাকি দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারাল ভারত। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৬ ম্যাচে ভারতের এটি ১৩তম জয়।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে নাচিয়ে কুলদিপের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
ভারতকে শিরোপা জেতানো ম্যাচে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন তিলক। চাপের মুখে চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার।
রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা হয় যাচ্ছেতাই। দ্বিতীয় ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আগের ছয় ম্যাচেই ৩০+ রান করা অভিষেক শর্মা। সব মিলিয়ে আসরের সর্বোচ্চ ৩১৪ রানে শেষ হয় বাঁহাতি ওপেনারের এশিয়া কাপ।
পরের দুই ওভারে বাজেভাবে আউট হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব (৫ বলে ১) ও শুবমান গিল (১০ বলে ১২)। পুরো আসরেই রানের দেখা পাননি ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার। মূলত বছরজুড়েই একদম বাজে খেলছেন তিনি।
আরও পড়ুন
৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বেশি দূর যেতে পারল না পাকিস্তান |
![]() |
মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর বিপদের মুখে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসন। দুজন মিলে গড়েন ৫০ বলে ৫৭ রানের জুটি।
১৩তম ওভারে আবরার আহমেদের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন স্যামসন। তার ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে ২৪ রান। ফলে আবারও চাপে পড়ে যায় ভারত। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৬৩ রান।
সেখান থেকে হারিস রউফের করা ১৫তম ওভারে দুই চারের পর ছক্কা মেরে ১৭ রান নিয়ে নেয় ভারত। পরে রউফের করা ১৮তম ওভারে ১৩ রান নিয়ে সমীকরণ ১২ বলে ১৭ রানে নামিয়ে আনেন তিলক ও দুবে।
আরও পড়ুন
রাজ্জাকসহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৪ প্রার্থী |
![]() |
৩২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি ছুঁতে ৪১ বল খেলেন তিলক। চাপের মুখে দুবেকে নিয়ে মাত্র ৩৪ বলে পূর্ণ করেন জুটির পঞ্চাশ রান।
১৯তম ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে বাউন্ডারি মারেন দুবে। তবে শেষ বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। তাই শেষ ওভারে বাকি থাকে ১০ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে দায়িত্ব পড়ে রউফের কাঁধে। তবে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দেন তিলক। আর চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করেন রিঙ্কু সিং।
এর আগে সাহিবজাদা ফারহান ও ফাখার জামানের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পাওয়ার পর মনে হচ্ছিল, দুইশ রান করে ফেলবে পাকিস্তান। কিন্তু অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধ্বসে দেড়শও করতে পারেনি তারা। ভারতের স্পিনারদের চমৎকার বোলিংয়ে মাত্র ৩৩ রানে শেষের ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
টেইলরের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের |
![]() |
অথচ এক পর্যায়ে ১১৩ রানে ১ উইকেট ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের পেছন পানে দৌড়। যা শেষ হয় ২০তম ওভারের প্রথম বলে।
উইকেটের মন্থরতা ধরতে পেরে এই ম্যাচে স্পিনার বাড়িয়ে খেলতে নামে ভারত। স্পিনাররাই করে দেন আসল কাজ। ৪ ওভারে ৩০ রানে ৪ উইকেট দেন কুলদিপ যাদব। এই আসরে তার শিকার সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট।
এছাড়া বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেলও নেন ২টি করে উইকেট। একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ নেন শেষ ২ উইকেট।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ফারহান। ফাখারের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। দুজনের উদ্বোধনী জুটির সংগ্রহ ছিল ৮৪ রান।
আরও পড়ুন
টসে আগার সঙ্গে শাস্ত্রী, সূর্যকুমারের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াকার |
![]() |
এরপর তিন নম্বরে নেমে সাইম আইয়ুব করেন ১৫ রান। আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। তবে দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনীতে ১৪৬ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১৪৬ (ফারহান ৫৭, ফাখার ৪৬, সাইম ১৪, হারিস ০, সালমান ৮, তালাত ১, নাওয়াজ ৬, আফ্রিদি ০, ফাহিম ০, রউফ ৬, আবরার ১*; দুবে ৩-০-২৩-০, বুমরাহ ৩.১-০-২৫-২, বরুণ ৪-০-৩০-২, অক্ষর ৪-০-২৬-২, কুলদিপ ৪-০-৩০-৪, তিলক ১-০-৯-০)
ভারত: ১৯.৪ ওভারে ১৫০/৫ (অভিষেক ৫, গিল ১২, সূর্যকুমার ১, তিলক ৬৯*, স্যামসন ২৪, দুবে ৩৩, রিঙ্কু ৪*; আফ্রিদি ৪-০-২০-১, ফাহিম ৪-০-২৯-৩, নাওয়াজ ১-০-৬-০, রউফ ৩.৪-০-৫০-০, আবরার ৪-০-২৯-১, সাইম ৩-০-১৬-০)
ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী
প্রথম ২ ওভারে ২৩ রান খরচ করা কুলদিপ যাদব ঘুরে দাঁড়ালেন দারুণভাবে। বৈচিত্র আর নিয়ন্ত্রণের জাদু দেখিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে ছাড়লেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার। একইসঙ্গে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন বিশ্ব রেকর্ড।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন কুলদিপ। সব মিলিয়ে চলতি আসরে তার উইকেটসংখ্যা দাঁড়াল ১৭টি।
আরও পড়ুন
৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বেশি দূর যেতে পারল না পাকিস্তান |
![]() |
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটের বিশ্ব রেকর্ড এটি।
এই রেকর্ডে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপের সঙ্গী তার সতীর্থ বাঁহাতি পেসার আর্শদিপ সিং ও আফগান বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি।
গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৭টি করে উইকেট নিয়েছিলেন দুই বাঁহাতি পেসার। এর আগে ২০২১ সালের বিশ্বকাপে ১৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি নিজের কাছে রেখেছিলেন শ্রীলঙ্কার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন
রাজ্জাকসহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৪ প্রার্থী |
![]() |
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন কুলদিপ। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার শিকার ১৮ রানে ৩ উইকেট।
এরপর আবার সুপার ফোরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন ৩০ বছর বয়সী স্পিনার। আর ফাইনালে আবার পাকিস্তানকে পেয়ে নিলেন ৩০ রানে ৪ উইকেট।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ১২ ওভারে মাত্র ৭৯ রান খরচ করে কুলদিপের শিকার ৮ উইকেট।
কি দারুণ শুরুটাই না এনে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। সাহেবজাদা ফারহান-ফখর জামানের ব্যাটে ১০ ওভারেই ৮৭ রান তোলে তারা। তবে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে ওপেনারদের এনে দেওয়া শুরু কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয় সালমান আলি আগার দল। ৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
চোটের কারণে হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে দলে একাদশে জায়গা পান পেস বোলিং অলরাউন্ডার শিভাম দুবে। ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসের শুরুতে বল হাতে নেন শিভাম। ভারতের আঁটসাঁট বোলিংয়ে প্রথম তিন ওভারে রান তোলে পাকিস্তান ১৯ রান।
আরও পড়ুন
রাজ্জাকসহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৪ প্রার্থী |
![]() |
উইকেটে থিতু হতেই ভারতের বোলারদের ওপর চড়াও হন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান তোলে পাকিস্তান। এবারের এশিয়া কাপে এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি।
পাওয়ার প্লের পর রানের গতি বাড়ায় পাকিস্তান। ৩৫ বলে বলে ফিফটি করেন ফারহান। টি-টোয়েন্টিতে ডান হাতি এই ব্যাটারের এটি পঞ্চম পঞ্চাশ আর ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়। দলকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া ফারহান-ফখর জুটি ভাঙেন বরুণ চক্রবর্তী। ৩৮ বলে ৫৮ করা ফারহান ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিলক বর্মার হাতে।
আরও পড়ুন
টেইলরের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের |
![]() |
১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে পাকিস্তানের রান ১০০ পার করেন ফখর। এবারের এশিয়া কাপে চারবার গোল্ডেন ডাক মারা সাইম আইয়ুব এবার রানের খাতা খোলেন। তবে ইনিংসকে বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। কুলদীপ যাদবের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বুমরার হাতে ধরা পড়ার আগে ১১ বলে ১৪ রান করেন সাইম।
দ্বিতীয় উইকেট পতনের পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। প্রথম দিন ব্যাটার ছাড়া আর কারও ইনিংস দুই অঙ্কও স্পর্শ করেনি। ১৭তম ওভারে এসে পাকিস্তানের ইনিংসের মেরুদন্ড ভেঙে দেন কুলদীপ। ওই ওভারে তাদের তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে ফখরের (৩৫ বলে ৪৬) ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন
টসে আগার সঙ্গে শাস্ত্রী, সূর্যকুমারের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াকার |
![]() |
চার ওভারে ৩০ রানে চার উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার কুলদীপ। এ ছাড়া জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও আক্সার প্যাটেল নেন দুটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে উত্তাপ ক্রমেই স্তিমিত হচ্ছে। শনিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে বরিশাল বিভাগীয় কোটা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পরিচালক পদে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর শাখাওয়াত হোসেন। বিসিবির বর্তমান সভাপতির এই উপদেষ্টা রোববার নির্বাচন কমিশনকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সবার আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছেন। সোমবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না তাকে। ২৯ সেপ্টেম্বরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচিত হবেন তিনি।
সিলেট বিভাগের ১টি পরিচালক কোটায় মাত্র ১ জন কাউন্সিলর রাহাত সামস মনোনয়নপত্র কিনে তা জমা দেয়ায় তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন
টেইলরের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের |
![]() |
এদিকে শনিবার জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহত দিয়ে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর আবদুর রাজ্জাক রাজ মনোনয়নপত্র কিনে নির্বাচনী যুদ্ধে লিখিয়েছিলেন নাম। শনিবার খুলনা বিভাগীয় কোটা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার আসজাদুর রহমান মিঠু রোববার মনোনয়নপত্র জমা না দেয়ায় আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার জুলফিকার আলী খানও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি শুধু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষনার।
১৯২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে তিন ক্যাটাগরিতে আগের দিন মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ৬০জন। রোববার মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫১টি। জেলা ও বিভাগীয় সংস্থার ক্যাটাগরি ১-এ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল ২৮টি, জমা পড়েছে ১৮টি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩টি, চট্টগ্রামে ৪, খুলনায় ২, রাজশাহীতে ৪, রংপুরে ৩, সিলেটে ১, বরিশালে ১টি।
আরও পড়ুন
টসে আগার সঙ্গে শাস্ত্রী, সূর্যকুমারের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াকার |
![]() |
ক্যাটাগরি-১ এ ২৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রির মধ্যে যে ৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি, তার প্রধান কারণ প্রস্তাবকও সমর্থকের ঘরে স্ব স্ব বিভাগের কাউন্সিলদের কারো স্বাক্ষর না পাওয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তা।
রাজশাহী বিভাগের ১টি পরিচালক পদের লড়াইয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হাসিবুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার মো. মুখলেসুর রহমান, জয়পুরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এস এম শামস মতিন ও পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার তৌহিদ তারিক খান। রংপুর বিভাগে জমা দিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার হাসানুজ্জামান, দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেহাতুল ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার নূর-এ শাহাদাৎ।
ঢাকা বিভাগীয় কোটা থেকে ২টি পরিচালক পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতিও ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আমিনুল ইসলাম বুলবুল , বিসিবির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নাজমূল আবেদীন ফাহিম এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক ও জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান।
আরও পড়ুন
ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ সূচি |
![]() |
চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহসান ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আসিফ আকবর ও চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার শওকত হোসেন জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র।
ক্যাটাগরি ২–এ ৩২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল। মনোনয়নপত্র পূরণ করে জমা দিয়েছেন ৩০জন। মনোনয়নপত্র জমা দেননি ব্রাদার্স ইউনিয়নের ইশরাক হোসেন এবং বিসিবির বর্তমান পরিচালকও কাকরাইল বয়েজ ক্লাবের সালাহউদ্দিন চৌধুরী।
সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক ক্রিকেটারের ক্যাটাগরি ৩-এ বিক্রি হওয়া তিনটি মনোনয়নপত্রই জমা পড়েছে। ১টি পরিচালক পদের বিপরীতে শেষ পর্যন্ত ৩ জন নির্বাচন যুদ্ধে আছেন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর এবং বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলর দেবব্রত পাল রোববার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার জমাকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের আপত্তি ও শুনানি হবে।
আরও পড়ুন
পাওয়ার হিটিংয়েই নাকাল বাংলাদেশ |
![]() |
ক্যাটাগরি-২ তে নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে একক প্যানেলে নির্বাচনের উদ্যোগে এক হতে পারেননি প্রার্থীরা। এই ক্যাটাগরিতে ২টি পক্ষ পরিস্কার হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে ১২টি পরিচালক পদের ২টি ভিন্ন প্লাটফর্মে নির্বাচনী যুদ্ধের আভাস পাওয়া গেছে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সমমনাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সে আভাসই দিয়েছেন বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবু-
‘সমঝোতা বলে কিছু নেই। নির্বাচনে যদি প্রতিপক্ষই না থাকে, সেটাকে নির্বাচন বলা যায় না। আমরা চাই যোগ্যরা নির্বাচনে আসুক। তাহলে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন হবে। ক্লাব ক্যাটাগরিতে আমরা সমমনা ১২ জনের প্যানেল দেব। সেভাবেই আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে দুই প্যানেলের দড়ি টানাটানি থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন মোহামেডানের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান।
আইসিসির আরেকটি সহযোগী সদস্য দলকে রানবন্যায় ভাসিয়ে দিল জিম্বাবুয়ে। আফ্রিকা অঞ্চলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বতসোয়ানার বিপক্ষে ২৫৯ রান করেছে তারা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এটি তাদের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
২০২৪ সালে গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৩৪৪ রান এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে সর্বোচ্চ। আইসিসির পূর্ণ ও সহযোগী সদস্য মিলিয়ে এটি সর্বোচ্চ। একই বছরেই সিশেলেস বিপক্ষে তারা করে ২৮৬ রান। এবার গাম্বিয়ার বিপক্ষে ২৫৯ রান নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে জায়গা পেল।
বতসোয়ানার বিপক্ষে বড় সংগ্রহে বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি করেন ব্রেন্ডন টেইলর। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ৫৪ বলে ১২৩ রানের ইনিংস খেলেন। ২২৭ স্ট্রাইকরেটে ১৬ চার ও ৪ ছয়ে এই ইনিংস সাজিয়েছেন টেইলর। এ ছাড়া ৩৩ বলে ৬৫ রানের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ব্রায়ান ব্রেনেট।
আরও পড়ুন
টসে আগার সঙ্গে শাস্ত্রী, সূর্যকুমারের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াকার |
![]() |
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্রেনেট-টেইলর মিলে বতসোয়ানার বোলারদের ওপর তান্ডব চালান। ১০.৪ ওভারে দলীয় ১৪১ রানে ভাঙে তাদের জুটি। এরপর সিকান্দার রাজা ( ১০ বলে ২১), রায়ান বার্ল (৯ বলে ১২) ও তাসিঙ্গা মুসেকিয়ার (৪ বলে ১১) ছোটো ছোটো ক্যামিও ইনিংসে আড়াইশো ছাড়ায় জিম্বাবুয়ের রান।
দীর্ঘ বিরতির পর জাতীয় দলে ফেরা টেইলরের সুযোগ ছিল টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংসের মালিক হওয়ার। তবে চোটে পড়ে ১২৩ রানেই থামেন তিনি।গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৪৩ বলে ১৩৩ রান করা সিকান্দার রাজার ইনিংস দলটির সর্বোচ্চ।