গোটা ইনিংস জুড়েই চিটাগং কিংস ব্যাটারদের ভোগালেন ফরচুন বরিশাল বোলাররা। মোহাম্মদ মিঠুন ও আরাফাত সানির দুটি লড়িয়ে ইনিংসে মিলল টেনেটুনে একটা সম্মানজনক স্কোর। এরপর বল হাতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে জাগল জয়ের আশাও। তবে দাভিদ মালানের ফিফটি ও মোহাম্মদ নবির দায়িত্বশীল ব্যাটিংতে তামিম ইকবালের দল পেল অনায়াস জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৫তম ম্যাচে বরিশাল পেয়েছে ৬ উইকেটের সহজ জয়। প্রতিপক্ষের ৮ উইকেটে ১২১ রান দলটি পাড়ি দিয়েছে ১৯ বল হাতে রেখেই। ৭ ম্যাচে এটি বরিশালের পঞ্চম জয়। পয়েন্ট টেবিলে দলটি আছে দুইয়ে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ মালান |
![]() |
রান তাড়ায় বরিশালের শুরুটা আদর্শ হয়নি। দুই বাউন্ডারিতে ১৪ বলে ৮ করে রান আউট হয়ে যান তামিম। অল্পেও ফেরেন তাওহীদ হৃদয়ও। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কমে যায় রানের গতি। চাপ বাড়িয়ে আরাফাত সানিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিদায় নেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
সানিকে দুই চার মেরে পাল্টা আক্রমণের সুর ছিল মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনিও। ৫৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে যায় বরিশাল।
তবে সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ মালান ও নবি মিলে। আলিস আল ইসলামকে চার ও ছক্কা মেরে শুরুটা ভালো করেন নবি। এরপর অতি আগ্রাসী না হয়ে, স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাট করেই প্রতি ওভারে চার-ছক্কা আদায় করেন দুই ব্যাটার।
৬৯ রানের অপরাজিত জুটিতে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মালান (৪১ বলে ৫৬) ও নবি (২১ বলে ২৬)।
আরও পড়ুন
মালান-নবির ব্যাটে চড়ে বরিশালের পঞ্চম জয় |
![]() |
ব্যাট হাতে শেষটা খারাপ হলেও শুরুটা ভালোই ছিল চিটাগংয়ের। তবে ১৯ রানে উসমান খানের বিদায়ের পর ক্রমেই পথ হারায় দলটি। রিপন মন্ডল ও ফাহিম আশরাফের সাড়াশি আক্রমণে খেই হারান ব্যাটাররা। ধীরলয়ে এগিয়ে যায় রানের চাকা।
৫৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও দলটির ১২০ পাফ করা কৃতিত্ব মিঠুন ও সানির। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩৫ ও অপরাজিত ২৭ রান। সমান তিনটি করে উইকেট নেন রিপন ও ফাহিম।
৯ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ছিলেন সাদা বলের দলের নিয়মিত সদস্য। তবে বিস্ময়করভাবে গত সোমবার নিকোলাস পুরান ২৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সময়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটা না জানালেও বলেছেন, কোনো আক্ষেপ নেই তার।
পুরান সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে দল বাদ পড়ার পর থেকে আর ওয়ানডে খেলেননি। তবে আচমকাই তার জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। কারণ গত বছরের নভেম্বরে নিজের ১০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, আরও ১০০ ম্যাচ খেলতে চান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে পুরান তুলে ধরেন তার অবসরের পেছনের ভাবনা।
“অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই খেলা আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। সেই মেরুন জার্সিতে খেলা, জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাঁড়িয়ে থাকা, মাঠে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়া - এসব অনুভূতি বর্ণনা করা কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কত্ব করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা এক গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় পুরানের। আর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন প্রথম ওয়ানডে। ২০২২ সালে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাদা বলের অধিনায়ক করা হয়। তবে সেই বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতার পর তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করলেন ওয়ানডেতে ৬১ ম্যাচে ১ হাজার ৯৮৩ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ ম্যাচে ২ হাজার ২৭৫ রান করে।
নিজে সরে গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকবেন পুরান।
“ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, আপনারা কঠিন সময়ে আমাকে সাহস যুগিয়েছেন, আর ভালো সময়ে প্রাণ খুলে উল্লাস করেছেন। আমার আন্তর্জাতিক অধ্যায় শেষ হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি আমার ভালোবাসা কখনই শেষ হয়ে যাবে না। আমি আগামীতেও দলের এবং গোটা অঞ্চলের ক্রিকেটের সাফল্য প্রার্থনা করি।”
পুরান শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে কিংস্টাউনে হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ব্যক্তিগতভাবে ২০২৪ সালটি ছিল তার ক্যারিয়ারের সেরা বছর। গেল বছর তিনি এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছক্কা (১৭০টি) মারার রেকর্ড গড়েন। চলতি বছরের আইপিএলেও ছিলেন ছন্দে। পাঁচটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৯৬.২৫ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫২৪ রান।
ইংল্যান্ড তো বটেই, টেস্ট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা বোলারদের একজন তিনি। সেই জেমস অ্যান্ডারসনকে সম্মানিত করে তাই ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক টেস্ট দ্বৈরথের নতুন নামকরণ করা হয়েছে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি। এই সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত ইংলিশ কিংবদন্তি পেসার। বললেন, বিষয়টি বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে তার।
এতদিন ইংল্যান্ড-ভারতের টেস্ট সিরিজটি পাতৌদি ট্রফি নামে পরিচিত ছিল। তবে সম্প্রতি ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি অ্যান্ডারসন এবং ভারতীয় ব্যাটিং আইকন শচীন টেন্ডুলকারের নামে এই ট্রফির নামকরণ করার ঘোষণা আসে। আগামী ২০ জুন হেডিংলিতে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ দিয়ে এর সূচনা হবে। ১১ জুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল চলাকালীন লর্ডসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নতুন ট্রফি উন্মোচন করা হবে, যেখানে অ্যান্ডারসন ও টেন্ডুলকর দুজনেই উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
বিশাল এই সম্মান ছুয়ে গেছে অ্যান্ডারসনকে। “এটা আমার জন্য অনেক বড় এক সম্মান। আমি এখনও বিশ্বাসই করতে পারছি না। শচীন এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে আমি ছোটবেলায় আইডল হিসেবে দেখতাম। তার সঙ্গে একাধিকবার খেলেছি এবং তার নামে হওয়া ট্রফির অংশ হওয়া আমার জন্য গর্বের ব্যাপার।”
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা দুজন হলেন টেন্ডুলকার (২০০ ম্যাচ) ও অ্যান্ডারসন (১৮৮ ম্যাচ)। ভারত কিংবদন্তি ১৫ হাজার ৯২১ রান করে এখনও লাল বলের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। অন্যদিকে অ্যান্ডারসন ৭০৪টি উইকেট নিয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী পেসার।
১৯৮৯ সালে টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক অভিষেক থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে অ্যান্ডারসনের অবসর পর্যন্ত দুজন ক্যারিয়ার জুড়ে গড়েছেন অজস্র রেকর্ড। ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই দুজন ১৪ বার টেস্টে মুখোমুখি হন, যেখানে টেন্ডুলকরকে ৯ বার আউট করেন অ্যান্ডারসন।
ভারতের বিপক্ষে অ্যান্ডারসনের রেকর্ডও নজরকাড়া। ৩৯ টেস্টে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট, গড় ২৫.৪৭। তবে ভারতের মাটিতে পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয় ডানহাতি এই পেসারের। ভারতে খেলেছেন পাঁচটি সিরিজ, যার মধ্যে চারটিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড।
আভাসটা আগেই ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চলতি মাসের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার সাথে নিশ্চিত করল নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের মেয়াদও। আরও এক বছর তিনিই থাকছেন লাল বলের অধিনায়ক।
বুধবার শ্রীলঙ্কা সফরের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিব। দলে ফিরেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। স্কোয়াডে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।
আরও পড়ুন
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে শেষ হলো গ্যারি স্টিড অধ্যায় |
![]() |
২০২৪ সালে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হন শান্ত। এই বছর ছেড়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। আরও এক বছরের জন্য তাকে টেস্টের অধিনায়ক হিসেবে বহাল রেখেছে বিসিবি।
আর শান্তর ডেপুটি হিসেবে থাকছেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ, যিনি সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় পালন করছেন গত বছর থেকেই।
দুই ম্যাচের এই সিরিজের প্রথমটি ১৭ জুন গল-এ শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৫ জুন, যা হবে কলম্বোতে। বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৩ জুন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে।
এই সিরিজটি দিয়ে ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ দল তাদের যাত্রা শুরু করবে।
শ্রীলঙ্কা সফরের বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), শাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহিদুল ইসলাম, জাকের আলি অনিক, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ, *হাসান মুরাদ, ইবাদত হোসেন।
লম্বা সময় ধরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে কাজ করেছেন, এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত সব
সাফল্য। তবে কিউইদের কোচ হিসেবে গ্যারি স্টিড ইতি টানতে যাচ্ছেন তার অধ্যায়ের।
চলতি মাসের শেষেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ
হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ছেলেদের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তার সাত বছরের কোচিংয়ের
মেয়াদ।
২০১৮ সালে মাইক হেসনের জায়গায় দায়িত্ব নেন স্টিড। তার কোচিংয়ে নতুন উচ্চতায়
যায় নিউজিল্যান্ড। তার কোচিংয়ে ‘ব্ল্যাকক্যাপস’-রা ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল,
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালে খেলেছে।
একাধিক ফাইনালে হারের হতাশার মধ্যে স্টিড সবচেয়ে বড় সাফল্য পান ২০২১ সালে। ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবারের মত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে নিউজিল্যান্ড। উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালে ভারতের মাটিতে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়।
স্টিড অবশ্য আগেই সাদা বলের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার সরে দাঁড়াচ্ছেন
টেস্ট দলের কোচিং থেকেও। ধারণা করা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এবার ভিন্ন
ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দিতে পারে।
সেই ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসর থেকে খেলছেন একটা দলের হয়েই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি বিরাট কোহলির নিবেদন তাই সবার চেয়ে একটু আলাদাই। তবে অধিনায়ক ও ক্রিকেটার হিসেবে তার একটাই ছিল আক্ষেপ, দলটিকে যে জেতাতে পারেননি একটা শিরোপা। কয়েকবার হৃদয়ভঙ্গের যন্ত্রণায় পুড়েছেন, তবে হাল ছাড়েননি। অবশেষে ভাগ্য বিধাতা সহায় হয়েছেন ভারত তারকার। ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হওয়ার পর কোহলি তাই বলেই বসলেন, এমন একটা দিন আসবে, সেই আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ফাইনালের শেষ বলে ছক্কা হজম করেও ৬ রানে জয় পায় ব্যাঙ্গালুরু। পুরো দলের উল্লাসের মাঝেও ক্যামেরা সবার আগে খুঁজে নেয় কোহলিকে, যিনি চোখের জল আর সামলে রাখতে পারেননি। আর পারবেনই বা কীভাবে, তার প্রানের সাথে মিশে যাওয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজির কোটি ভক্তদের একটা শিরোপা দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টাই যে বছরের পর বছর চালিয়ে গেছেন তিনি। অধিনায়কত্ব করেছেন, আবার ছেড়েছেন দলের জন্যই। বেশি বেতনের হাতছানি থাকলেও থেকে গেছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই।
সেই ব্যাঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষণে আবেগঘন কোহলি জানালেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া। “এই জয়টা যতটা দলের জন্য, ঠিক ততটাই আমাদের সমর্থকদের জন্য। এই দিনটা দেখার জন্য আমাদের ১৮টা বছর লেগে গেল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দিয়েছি আমি আমার তারুণ্য, আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়…সব কিছু উজাড় করে দিয়েছি। সত্যি বলতে, কখনো ভাবিনি এই দিনটা আসবে। শেষ বলটা হওয়ার সাথে সাথে তাই আবেগ ছুঁয়ে যায় আমাকে।”
এমন দিকে আবেগ কেবল কোহলিরই নয়, দলটির খেলোয়াড়, সমর্থক ছাড়া আরেকজনকেও প্রবলভাবে ছুঁয়ে যাওয়ারই কথা। তিনি এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০২১ সালে অবসর নেওয়ার আগে একটা লম্বা সময়ে ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে খেলেছেন অতিমানবীয় সব ইনিংস, হয়েছেন ক্লাব কিংবদন্তি। ভক্তদের মাঝেও তার রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে তিনিও পারেননি দলকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিতে। ফাইনালে হাজির ছিলেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটারও। ফাইনালের পর তাকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি, নিয়ে যান মঞ্চেও।
দীর্ঘদিনের সতীর্থ ডি ভিলিয়ার্সের প্রতিও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন কোহলি। “এবি এই দলের জন্য যা যা করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। ম্যাচের আগেও ওকে বলেছিলাম, জয় পেলে সেটা আমাদের মত হবে তোমারও। এখন পর্যন্ত সেই আমাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছে, অথচ অবসর নিয়েছে চার বছর আগে। তার আজ মঞ্চে আমাদের সাথেই থাকা উচিত ছিল।”
ব্যাঙ্গালুরুতে ২০০৮ সালে কোহলি যখন যোগ দেন, তখন তিনি ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার, যিনি ছিলেন সম্ভাবনাময়। এরপর দুটি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন ভারতের হয়ে, পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে খ্যাতি। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির নজর তার দিকে থাকলেও ১৮টি বছরে একবারও দল পরিবর্তন করেননি তিনি।
নিজেদের ইতিহাস গড়ার দিনে ব্যাঙ্গালুরুর প্রতি চিরন্তন ভালোবাসা আরও একবার প্রকাশ করলেন কোহলির। “আমি সবসময় এই দলের প্রতি অনুগত থেকেছি। তবে হ্যাঁ, অনেক সময়ই মনে হয়েছে যে দল ছেড়ে দেই, কিন্তু সেটা আর করিনি। আমার হৃদয়ে স্থান ব্যাঙ্গালুরুর, আত্মায় মিশে আছে ব্যাঙ্গালুরু। যতদিন আইপিএল খেলব, ততদিন এই দলের হয়েই খেলব। আজ রাতে আমি শিশুদের মত ঘুমাব।”
আইপিএল জয়কে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদাকে সবার ওপরেই রাখলেন সদ্য লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানো কোহলি। “এই মুহূর্তটা আমার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি। এরপরও এটি আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে পাঁচ ধাপ নিচে থাকবে। যদি কেউ চূড়ান্ত সম্মান পেতে চায়, তাহলে বলব টেস্ট ক্রিকেট বেছে নাও।”
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২২ দিন আগে