
তৃতীয় দিনে ভারতের ইনিংস ঘোষণার সময়ই বলা যায় লিখা হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের চিত্রনাট্য। শেষবেলায় তিন উইকেট হারানোর অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচের বাকিটা ছিল অবিশ্বাস্য কিছুর আশা করাই কেবল। তবে রুপকথা তো প্রতিদিন হয় না। ট্রাভিস হেড তাই কিছুটা লড়লেও প্রথম টেস্টে বড় পরাজয়ই বরণ করতে হল অস্ট্রেলিয়া। আর ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার হতাশা কাটিয়ে দুর্দান্ত এক জয়ে সিরিজ শুরু করল জাসপ্রিত বুমরাহর দল।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন ২৩৮ রানে গুটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ হেরে গেছে ২৯৫ রানে। স্বাগতিকদের ইনিংসের হাইলাইট কেবল যথাক্রমে ছয়, সাত ও আটে নামা হেড, মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটিং। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন হেড। বাকি দুজনের অবদান ৪৭ ও ৩৬। সমান তিনটি করে উইকেট নিয়েছে দুই পেসার বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
আরও পড়ুন
| যার ছিল না খেলারই কথা, সেই ইয়ংই হলেন ভারতের হন্তারক |
|
২০০০ সালের পর ঘরের মাটিতে পঞ্চমবারের মত দুই ইনিংস মিলিয়ে চারশ রান করতে ব্যর্থ হওয়ার রেকর্ড গড়েছে। এই টেস্টে দুই ইনিংসে তাদের রান মোটে ৩৪২।
এই শতকে মাত্র চতুর্থবার ঘরের মাটিতে পরাজয় দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। সবশেষটিও ছিল ভারতের বিপক্ষেই, ২০১৮ সালে। আর এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পেল ভারত।
লাল বলের ক্রিকেটে দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে হারের ক্ষেত্রেও হয়েছে নতুন রেকর্ড। অজিদের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে এটা এখন ভারতের রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় বড় জয়। প্রথমটিও ২০০৮ সালে এসেছিল, সেবার জয় ছিল ৩২০ রানের।
আর এশিয়ার বাইরে রানের ব্যবধানে টেস্টে জয়ের ক্ষেত্রেও এটা ভারতের জন্য তালিকায় উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। এর চেয়ে বড় জয়টি ধরা দিয়েছিল ২০১৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১৮ রানে।
আরও পড়ুন
| ভারতের বিপক্ষে ৬৯ বছরে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ‘জয়ের’ উল্লাস |
|
রোহিত শর্মা এই টেস্ট মিস করায় অধিনায়কত্ব করেন বুমরাহ। দুই ইনিংস মিলিয়ে এই তারকা পেসার ৭২ রানে নিয়েছেন ৮ উইকেটে। টেস্টে ভারতের পেসার অধিনায়কদের মধ্যে এটা চতুর্থ সেরা বোলিং ফিগার।
দুই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়া ব্যাটারদেড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো বুমরাহ এই দলটির বিপক্ষে যেন একটু বেশিই জ্বলে ওঠেন। পার্থ টেস্টের পর অজিদের বিপক্ষে ৮ টেস্টে মাত্র ১৮.৮০ গড়ে তার নামের পাশে রয়েছে ৪০ উইকেট। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুইবার।
No posts available.

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় বিসিবি। বরং অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাবে দেশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
বিসিবি আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সালাহউদ্দীনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে এক বছর পূর্তির আগেই জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন এই সিনিয়র সহকারী কোচ।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন,
“তিনি (সালাহউদ্দীন) আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করব। এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করব না।”
এর আগে আজ সকালে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে সালাহউদ্দীনের পদত্যাগের খবর জানা যায়। যদিও এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ক্রিকবাজকে তিনি নিশ্চিত করেছেন চাকরি ছাড়ার বিষয়টি—“হ্যাঁ! আমি পদত্যাগ করছি।”
গত বছরের নভেম্বরে দেশের বরেণ্য কোচ সালাহউদ্দীনকে জাতীয় দলে যুক্ত করেছিল বিসিবি। সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে তার অনেক আগেই শেষ হতে চলেছে সেই অধ্যায়।
ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সালাহউদ্দীন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে আয়ারল্যান্ড। সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১১ নভেম্বর। এরপর ঢাকায় ১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চট্টগ্রাম যাবে দুই দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় যুব ওয়ানডেতে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিয়ে মাত্র ১৭৩ রানে থেমে গেল যুবাদের ইনিংস। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করেছিল আফগানিস্তান।
টানা বৃষ্টির কারণে পরিবর্তিত সূচিতে বগুড়ার বদলে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বুধবার তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল স্বাগতিক যুবারা। পরে ভেসে যায় দ্বিতীয় ওয়ানডে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে তাই এখন ১-১ সমতা। একই মাঠে শুক্রবার হবে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে।
বুধবারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন তিন নম্বরে নামা ফয়সাল খান শিনোজাদা। ১০৫ বলের ইনিংসে ১৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
এছাড়া পাঁচ নম্বরে নেমে ৫ চারে ৭৮ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহবুব খান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আজিজুল হাকিম তামিম ও আল ফাহাদ।
রান তাড়ায় হতাশ করেন জাওয়াদ আবরার (২৪ বলে ২৫), রিফাত বেগ (২ বলে ০) ও আজিজুল হাকিম তামিম (৩২ বলে ৯)।
চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন কালাম সিদ্দিকি এলিন ও রিজান হোসেন। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৯৩ রানের জুটি। ৩ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে ৫০ বলে ৫২ রান করে আউট হন রিজান। কালামের ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭৯ বলে ৭১ রান।
শেষ দিকে আর কেউ দায়িত্ব নিতে না পারায় ৭৬ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

‘হংকং সিক্সেসে’ সাত সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। এই টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান দলকে নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব। দলে রয়েছে অভিজ্ঞ ও তরুণ্যের দারুণ মিশ্রণ।
নাইবের নেতৃত্বে দলে আছেন নূর রহমান (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ পাচা, ইজাজ আহমদজাই, ফরমানউল্লাহ সফি, শরফউদ্দিন আশরাফ ও করিম জানাত। করিম ও নাইম দুজনই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান পড়েছে ‘পুল–এ’-তে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী পরশু হংকংয়ের টিন কুং রোড রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে হবে ২০২৫ হংকং সিক্সেস। আফগানিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণ খেলোয়াড়দের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি রোমাঞ্চকরও। আফগানিস্তানের জন্য এটি এক মূল্যবান সুযোগ—যেখানে নবীনরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর পাশাপাশি অভিজ্ঞরা টি–টোয়েন্টির দক্ষতা শানিয়ে নিতে পারবেন।
হংকং সিক্সেসে আফগানিস্তান দল:
গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), নূর রহমান (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ পাচা, ইজাজ আহমদজাই, ফরমানউল্লাহ সফি, শরফউদ্দিন আশরাফ ও করিম জানাত।

ওয়েস্ট
ইন্ডিজের সহজ জয়ের পথে হঠাৎ দেয়াল হয়ে গেলেন মিচেল স্যান্টনার। একের পর এক চার-ছক্কায়
উল্টো নিউ জিল্যান্ডের জয়ের আশা জাগালেন অধিনায়ক। তবে শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি।
দারুণ জয়ে ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল ক্যারিবিয়ানরা।
অকল্যান্ডে
বুধবার নিউ জিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১০৭
রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। পরে স্যান্টনারের ঝড়ো ফিফটিতে জয়ের আশা জাগালেও
১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
টি-টোয়েন্টি
ফরম্যাটে এই প্রথম নিউ জিল্যান্ডের মাঠে মূল ম্যাচে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অকল্যান্ডে
২০০৮ সালে কিউইদের বিপক্ষে সুপার ওভারে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। প্রায় দেড় যুগ পর আবার
টি-টোয়েন্টি জিতে মাঠ ছাড়ল তারা।
টস
হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। হতাশ করেন দুই ওপেনার
আলিক আথানেজ ও ব্রেন্ডন কিং। তিন নম্বরে নেমে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস
খেলেন অধিনায়ক শাই হোপ।
পরে
রস্টোন চেজ ২৭ বলে ২৮ ও রভম্যান পাওয়েল ২৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেললে কোনোমতে দেড়শ পার
করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউ
জিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি ও জ্যাক ফোকস।
রান
তাড়ায় এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ৮৩ রান করে ফেলেছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু এরপর হঠাৎ ধসে
মাত্র ২৪ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
সেখান
থেকে দশম উইকেটে একাই লড়াই করেন স্যান্টনার। ডাফির সঙ্গে মাত্র ২০ বলে গড়েন ৫০ রানের
জুটি। ৮ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।
কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
ক্যারিবিয়ানদের
পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন চেজ ও জেডেন সিলস।
একই
মাঠে আগামীকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর:
ওয়েস্ট
ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৪/৬
(কিং ৩, আথানেজ ১৬, হোপ ৫৩, ওগিস ২, চেইস ২৮, পাওয়েল ৩৩, হোল্ডার ৫, শেফার্ড ৯; ডাফি
৪-০-১৯-২, জেমিসন ৪-০-৩০-১, ফোকস ৪-০-৩৫-২, নিশাম ৩-০-২৩-১, স্যান্টনার ৪-০-৪০-০, রাভিন্দ্রা
১-০-১১-০)
নিউ
জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৭/৯ (রবিনসন
২৭, কনওয়ে ১৩, রাভিন্দ্রা ২১, চ্যাপম্যান ৭, মিচেল ১৩, ব্রেসওয়েল ১, নিশাম ১১, স্যান্টনার
৫৫*, ফোকস ১, জেমিসন ২, ডাফি ১*; সিলস ৪-০-৩২-৩, ফোর্ড ৪-০-৩২-১, হোল্ডার ৪-০-৩৫-০,
শেফার্ড ৩-০-২৬-১, চেইস ৪-০-২৬-৩, আকিল ১-০-৪-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ রানে জয়ী

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলগত ফলে হোয়াইটওয়াশ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। এর পুরস্কার তিনি পেলেন আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটারদের তালিকায় ২০ ধাপ এগোলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার।
ছেলেদের ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ যথারীতি বুধবার প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। তামিম ছাড়াও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে শেখ মেহেদি হাসান, তানজিম হাসান সাকিবদের। বাকিদের হয়েছে অবনতি।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ বলে ৬১ ও শেষটিতে ৬২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। এর সৌজন্যে ৬৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠেছেন ২৫ ছুঁইছুঁই ওপেনার।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা রেটিং ও র্যাঙ্কিং।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের আরও কারও অবশ্য সুখবর নেই। ৯ ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বরে নেমে গেছেন সাইফ হাসান। ৪৪ নম্বরে অনড় লিটন কুমার দাস। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ৪ ধাপ, জাকের আলি অনিক ২ ধাপ পিছিয়েছেন।
ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের অভিষেক শর্মা। সেরা দশে নেই কোনো পরিবর্তন।
বোলারদের তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১৭ নম্বরে উঠেছেন শেখ মেহেদি হাসান। ৩ ধাপ এগিয়ে ৩৪ নম্বরে উঠেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ১ ধাপ পিছিয়ে ১২ নম্বরে, রিশাদ হোসেন ২ ধাপ পিছিয়ে ২৬ নম্বরে, নাসুম আহমেদ ১ ধাপ পিছিয়ে ৩০ নম্বরে, তাসকিন আহমেদ ৫ ধাপ পিছিয়ে ৪৫ নম্বরে ও শরিফুল ইসলাম ৫ ধাপ পিছিয়ে ৫০ নম্বরে নেমে গেছেন।
বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে যথারীতি বরুণ চক্রর্বতী।