হতাশ হয়ে একবার মাথায় হাত দিচ্ছেন, তো আরেকবার মুখ ঢাকছেন—জেমস পার্কে আজ নিউক্যাসেলের বিপক্ষে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ডাগআউটে ঠাঁই দাঁড়িয়ে হাপিত্যশে ডুবে ছিরেন দিকহারা মিকেল আরতেতা। তবে শেষের দুই গোলে পাশার দান উল্টিয়ে গুরুর মুখে হাসিন ফোটান মেরিনো ও গ্যাব্রিয়েল।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া আর্সেনালকে ৮৪ মিনিটে সমতায় ফেরান মেরিনো। আর যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ব্রাজিল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল ম্যাগপাইদের কফিনে শেষ পেরেক ঢুকিয়ে দেন।
আরও পড়ুন
শেষের থ্রিলারে আর্সেনালের জয় |
![]() |
নিঃসন্দেহে এই জয় কষ্টার্জিত আর্সেনালের। তবে আরতেতার দাবি, তারাই এই জয়ের যোগ্য প্রাপ্য। গার্নাস বসের কথায় যুক্তিও আছে। বল দখল ও অন টার্গেট শটে ঢের এগিয়ে ছিল অতিথিরা। সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি।
৪৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ কোচ ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন,
‘‘ছেলেদের জন্য গর্ব হচ্ছে। আমি মনে করি এই জয় আমরা রিজার্ভ করি। যেভাবে আমরা খেলেছি, পারফর্ম করেছি, সুযোগ তৈরি করেছি এবং শেষ করেছি—আমি মনে করি জয়ের ভাগিদার আমরাই। আমরা এটি নাটকীয়ভাবে শেষ করেছি।’’
আরও পড়ুন
বার্সার একাদশে অভিষেক হলো ১৭ বছর বয়সী প্রতিভার |
![]() |
আর্সেনালের জন্য জয়টা সহজ ছিল না। ঘরের মাঠে আরতেতার দলের বিপক্ষে সবশেষ পাঁচ মুখোমুখিতে জয়ের পাল্লা ভারি ছিল নিউক্যাসেলের। অর্থাৎ ঘরের মাঠে এডি হাউদের মোকাবিলা কঠিনই। সেটি স্বীকারও করেছেন আরতেতা। তিনি বলেছেন,
‘‘তারা দুর্দান্ত দল। তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। আজ আমরা সর্বোচ্চ মানের ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করেছি।’’
আরও পড়ুন
জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু কাল, এখনই খেলোয়াড় ছাড়ছে না মোহামেডান |
![]() |
১৭তম মিনিটে ভিক্টর ইয়োকেরেসের নিউক্যাসেল বক্সে পড়ে যাওয়া ও রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আরতেতা বলেন,
‘‘স্পষ্ট ও সুস্পষ্ট কোনো ভুল না হলে ভিএআরের হস্তক্ষেপ করার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে ভিএআরের হস্তক্ষেপ করারও প্রয়োজন ছিল না, কারণ এটি স্পষ্টভাবে পেনাল্টি।’’
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে অবস্থান করছে আর্সেনাল। আপাতত এটাই স্বস্তির জায়গা আরতেতার। তার কথার সঙ্গে তাল মিলিয়েই বলতে হয়—তারা আজ জয়ের সত্যিকার দাবিদার, একই সঙ্গে ট্রফিরও।
No posts available.
ম্যানচেস্টার ইউনাইডের ভাগ্য বুঝি বদল আর হলো না! এরিক টেন হাগের বিদায়ের পর অনেকেই বলেছিলেন, কিছু একটা হবে এবার। নতুন মৌসুমে সেই কিছু একটা হতো হলোই না উলটো কাঠগড়ায় রুবেন আমোরিম। ২০২৫-২৬ মৌসুমে যাচ্ছে তাই পারফর্ম ম্যানইউর। লিগে ৬ ম্যাচে মাত্র দুটি জয়। সবশেষ ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে হারে রেড ডেভিলসরা।
ম্যানইউর সাবেক কিংবদন্তি ওয়েন রুনি মনে করেন, ম্যানইউ থেকে তার আত্মটা চলে গেছে। এমনকী তিনি বিশ্বাস রাখতে পারছেন না কোচ রুবেন আমোরিমের ওপর। সে সঙ্গে দলটাকে ভেঙে নতুন করে সাজানোর পরামর্শ সাবেক ইংলিশ অধিনায়কের।
আরও পড়ুন
গোলের অভ্যাসে অপ্রতিরোধ্য বার্সার রেকর্ড |
![]() |
বিবিসির দ্য ওয়েন রুনি পডকাস্টে ম্যানইউর সাবেক ফরোয়ার্ড দলটির বর্তমান অবস্থা নিয়ে বলেছেন, কারো কারো ম্যানইউর জার্সি পরা উচিত নয়। তারা ওল্ড ট্রাফোর্ডের জার্সি ডির্জাভ করে না।
রুনি বলেছেন,
"আমি কোনো কিছুতেই আস্থা পাচ্ছি না, আমার মতে বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার।"
রুনি ম্যানইউতে ১৩ বছর কাটিয়েছেন। জিতেছেন ৫টি লিগ ট্রফি। তিনি তার ক্যারিয়ারে এমন অধঃপতন দেখেননি। দেখেননি অতীতেও। এ নিয়ে পরিবর্তনের কথা বলেছেন রুনি,
"ম্যানেজার, খেলোয়াড়—যাই হোক না কেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আবার ফিরিয়ে আনতে যা কিছু প্রয়োজন, তাই করতে হবে।"
আরও পড়ুন
ইয়ামাল গোল করালেন, বার্সাকে জেতালেন |
![]() |
২০২৪-২৫ মৌসুমে ১৫তম স্থানে থেকে লিগ রেস শেষ করেছে ম্যানইউ। যা তাদের রেলিগেশনের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থান। খারাপ অবস্থান থেকে উত্তরণের জন্য আমোরিমকে উড়িয়ে আনা হয় ম্যানইউ শিবিরে। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্তিংয়ের হয়ে দুর্দান্ত সেশন পার করলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্তিত্ব বিলীনের পথে আমোরিম। সবশেষ ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরেছে তারা।
রুনি মনে করেন, দলের এই অবস্থার জন্য ক্লাবের পক্ষ থেকে একটা পরিষ্কার বার্তা থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন,
‘সেটা গ্লেজাররা হোক বা স্যার জিম র্যাটক্লিফই হোন, একটা পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে— এই ক্লাব কোথায় যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা সবাই বসে আছি, কবে ভেঙে পড়বে সেটারই অপেক্ষায়।"
ইংলিশ ফরোয়ার্ড আরও বলেছেন,
"ওই ফুটবল ক্লাবের একাডেমিতে আমার দুই সন্তান আছে, আর আমি সত্যিই আশা করি এটা তাদের কাজে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ওই ক্লাবে যা দেখছি, সেটা মোটেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নয়।"
আরও পড়ুন
শিষ্যদের জন্য গর্ব হয় আরতেতার |
![]() |
রুনি বিরক্ত কোচ আমোরিমের কথাতেও। কারণ ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে হারের পর ম্যানইউ কোচ বলেছিলেন,
‘‘আমি আমার জব নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। আমি সে ধরনের মানুষ নই।’’
একই সঙ্গে নিজের ফরমেশন নিয়েও পর্তুগিজ কোচের ব্যাখ্যা ছিল ঠিক এরকম,
‘‘স্বয়ং পোপ বললেও আমি আমার ফরমেশন পরিবর্তন করবো না।’’
অথচ তার ৩-৪-২-১ ফরমেশন প্রায়ই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
গোলের খেলা ফুটবল। আর এই গোল করার নেশাই যেন পেয়ে বসেছে বার্সেলোনার। হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে কাতালান ক্লাবটির গোলক্ষুধা যে কতটা বেড়েছে সেটা পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট। কোনো ম্যাচে প্রতিপক্ষ যদি বার্সার জালে তিন-চারবার বলও পাঠায়, লামিনে ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা পাঁচ-ছয়টি গোল করে সেই ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাসও রাখে এখন। সবশেষ মৌসুমে সেটা ভালো করেই টের পেয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির প্রতিপক্ষরা।
নতুন মৌসুমে শুরুটা তেমন বার্সা সুলভ হয়নি। তবে ক্রমেই আগের মৌসুমের চেনারূপে ফিরছে নু ক্যাম্পের ক্লাবটি। পিছিয়ে পড়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্পও নিয়মিত লিখছে তারা। গতকাল রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তার সবশেষ সংযোজন।
ঘরের মাঠে রিয়াল সোসিয়দাদের বিপক্ষে ৩১ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পর জুলস কুন্দের গোলে সমতায় ফিরে বার্সা। আর তাতেই টানা ৪৪ ম্যাচে গোল করে নিজেদের পুরোনো এক রেকর্ড স্পর্শ করে ক্লাবটি। সবশেষ ৪৪ ম্যাচে ফ্লিকের দল জাল কাঁপিয়েছে ১২৫বার। টানা ম্যাচে গোল করার ৮১ বছর আগের রেকর্ড ছুঁয়েছে বার্সা। ১৯৪২ সালের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ পর্যন্ত তারা ৪৪টি ম্যাচে মোট ১৩৯টি গোল করেছিল।
আরও পড়ুন
ইয়ামাল গোল করালেন, বার্সাকে জেতালেন |
![]() |
চলতি মৌসুমে লা লিগাতে সর্বোচ্চ গোলদাতা ক্লাবও বার্সা। ২০২৫-২৬ মৌসুমে স্প্যানিশ লিগটিতে ৭ ম্যাচে ২১ গোল করেছে ইয়ামালরা। গোল করা দুইয়ে আছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদ। জাবি আলোনসোর দল লক্ষ্যভেদ করেছে ১৬বার। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে গোল করায় দুইয়ে আছে বার্সা। ৫ ম্যাচে ২২ গোল করে এ তালিকায় এখন পর্যন্ত সবার ওপরে বায়ার্ন মিউনিখ।
গোলের রেকর্ড করা ম্যাচে পয়েন্ট তালিকাতেও এক নম্বরে ওঠে এসেছে বার্সেলোনা। ৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রিয়াল।
রিয়াল সোসিয়েদের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ফেরার কথা লামিন ইয়ামালের। ফিরলেন দ্রো ফার্নান্দেজ। লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা তরুণ এই ডিফেন্ডারের অভিষেকের দিনটা জয়ে রাঙিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। অতিথিদের বিপক্ষে ২-১ জয়ে লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলে আরও শক্ত অবস্থানে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
ঘরের মাঠে স্তাদি অলিম্পিক লুইস কম্প্যানিসে আর রাত সাড়ে দশটায় শুরু হওয়া ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জুলস কুন্দে ও রবের্ত লেভানদোভস্কি গোলে স্বস্তির জয় তোলে বার্সা। লিগে ৬ জয়ের বিপরীতে এক ড্রয়ে বার্সার পয়েন্ট ১৯। দ্বিতীয়তে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১৮। ভিয়ারিয়ালের ১৬।
আরও পড়ুন
শিষ্যদের জন্য গর্ব হয় আরতেতার |
![]() |
এদিন আলভারো ওদ্রিওসোলার গোলে এগিয়ে যায় সোসিয়েদাদ। ম্যাচ ঘড়ির ৩১ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে দৌড়ে এসে আন্দের বারেনেচিয়া বল বাড়ান ফাঁকায় থাকা আলভারো ওদ্রিওসোলার উদ্দেশে। স্লাইড করে সহজেই স্বাগতিকদের জালে বল পাঠান ওদ্রিওসোলা।
শোধ করতে সময় নেয়নি বার্সা। প্রধামার্ধের যোগ করা সময়ের অতিরিক্তি সময় কাজে লাগান জুলস কুন্দে। মার্কাস রাশফোর্ডের কর্নার থেকে শুট নেওয়া বল লাফিয়ে হেডে বল জালে জড়ান কুন্দে। বিরতির বাঁশির ঠিক আগমুহূর্তে আরও একটি সুযোগ পান রাশফোর্ড। ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া শট চলে যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে।
আরও পড়ুন
শেষের থ্রিলারে আর্সেনালের জয় |
![]() |
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। এবারের নায়ক রবের্ত লেভানদোভস্কি। বদলি হিসেবে নামা লামিন ইয়ামালের পাস থেকে দলকে এগিয়ে নেন লেভা। বল পেয়েই বক্সের মধ্যে ঢুকেন ইয়ামাল। একজন ডিফেন্ডারকে ছাড়িয়ে যান, তারপর বল ক্রস করে উড়িয়ে মারেন, যা লেভা হেড দিয়ে সোসিয়েদাদের জালে পাঠান।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে খেলতে গিয়ে ইয়ামালের ইনজুরি নিয়ে কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের দুনিয়া এক করার কারণ বদলি হিসেবে নেমে দিয়েছেন ইয়ামাল। তিনি যে অল্প সময়েও দলে বড় ধরণের সুযোগ তৈরি করতে পারেন তা আরও একবার প্রমাণ করলেন।
নিউক্যাসেল-আর্সেনাল ম্যাচ ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছিল। তবে নাটকীয়তা দেখা দেয় যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে। ওডেগার্ডের কর্ণার থেকে বুলেট গতির বল দারুণ এক হেডে ম্যাগপাইদের জালে পাঠান।গ্যাব্রিয়েল। এতে ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত করে আর্সেনাল।
জেমস পার্কে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় নিউক্যাসেলের বিপক্ষে এই ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলে বড় লাফ দিয়েছে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগে ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে দ্বিতীয় স্থানে গানার্সরা। অন্যদিকে, পিছিয়ে পড়েছে নিউক্যাসেল, অবনমন হয়েছে তাদের। আগে দুটি হারের সঙ্গে আরও একটি ব্যর্থতা যুক্ত হয়েছে এডি হাউদের।
আরও পড়ুন
বার্সার একাদশে অভিষেক হলো ১৭ বছর বয়সী প্রতিভার |
![]() |
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে বল পেয়ে নিউক্যাসেলের বক্সে ঢুকে পড়েন ভিক্টর ইয়োকেরেস। ওয়ান-টু-ওয়ান পরিস্থিতিতে তার সামনে ম্যাগপাই গোলরক্ষক নিক পোপ। ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক বল বাঁচাতে সামান্য এগিয়ে ঝুঁকে পড়েন। তার হাতের সঙ্গে লেগে মাটিতে পড়ে যান আর্সেনালের সুইডিশ তারকা।
রেফারি তড়িঘড়ি করে পেনাল্টি চেক দেন। তবে লাভ হয়নি; মিকেল আরতেতা যে আগ্রহ নিয়ে জায়ান্ট স্কিনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, আদতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রিমিয়ার লিগে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে একটু হতাশ হলেন তিনি।
আরও পড়ুন
জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু কাল, এখনই খেলোয়াড় ছাড়ছে না মোহামেডান |
![]() |
২৫তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে আর্সেনালের। লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ডের আগুনে শট বারে লেগে ফিরে আসে। ঠিক পাঁচ মিনিট পর শক্তিশালী ভলিতে গোলমুখে শট নেন এবেরেচি এজে, কিন্তু সেটিও নিক পোপের গ্লাভসে আটকে যায়। একইভাবে সাকার শটও রুখে দেন নিউক্যাসেল গোলরক্ষক।
মুহূর্তের আক্রমণে চাপের মুখে নিউক্যাসেল ঘুরে দাঁড়ায় নিক ওল্টেমেডের গোলে। ৩৫তম মিনিটে দারুণ এক হেডে দলকে ১-০ লিড এনে দেন জার্মান স্ট্রাইকার। আর্সেনালের জার্সিতে এটি তার দ্বিতীয় গোল। প্রথামার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে।
আরও পড়ুন
২৪ মিনিটে শেষ বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের টিকিট |
![]() |
প্রথমার্ধে বল দখলের দিক থেকে এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। ৫৪ শতাংশ বল দখলে রাখলেও গোলের জন্য নেওয়া চারটি শট কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নিউক্যাসেল অন টার্গেটে তিনটি শট নিয়ে লিড আদায় করে।
দ্বিতীয়ার্ধে হন্যি হয়ে গোল খুঁজতে নামে আর্সেনাল। সুযোগ আসে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। ডিক্লেন রিসের হাওয়ায় ভাসানো বাঁকানো বল হেডে জালে ঢোকান মাইকেল মেরিনো। অপ্রস্তুত নিক পোপ পরাজয় স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন
মরার ওপর খাঁড়ার ঘা, ডার্বি হারের পর চোটের ধাক্কা রিয়ালে |
![]() |
সব নাটক জমা ছিল অতিরিক্ত সময়ের জন্য। ড্রয়ের পথে হাঁটতে থাকা ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন ব্রাজিল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল। কর্ণার থেকে ছুটে আসা হেড শট এক মুহূর্তও দেরি না করে জালে জড়ান।
জয়টা আর্সেনালেরই প্রাপ্য ছিল। অন্তত ম্যাচের গতি-প্রকৃতি ও স্ট্যাটিস্টিক্স সেটি স্পষ্ট করে। প্রায় ৬৪ শতাংশ বল দখলে রাখে গুনার্সরা। নিউক্যাসেলের দিকে ২০টি শট নেয় তারা, যার মধ্যে ৭টি গোলমুখী, এবং ২টি কাজে লাগাতে সক্ষম হয়।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়াল মাদ্রিদ ‘ডার্বি’ হেরে পয়েন্ট হারানোয় বার্সেলোনার সুযোগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠা। লা লিগায় আজ রিয়াল সোসিয়েদাদে বিপক্ষে জিতলেই এক নম্বরে চলে আসবে কাতালান ক্লাবটি।
ঘরের মাঠে স্তাদি অলিম্পিক লুইস কম্প্যানিসের এই ম্যাচে অভিষেক হয় বার্সার লা মাসিয়ান প্রতিভা দ্রো ফার্নান্দেজের। ১৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার প্রথম স্প্যানিশ ক্লাবটির শুরুর একাদশে সুযোগ পেলেন। ফার্মিন লোপেজের চোটে একাদশে জায়গা পেলেন বার্সার একাডেমির দারুণ এই প্রতিভা।
আরও পড়ুন
জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু কাল, এখনই খেলোয়াড় ছাড়ছে না মোহামেডান |
![]() |
রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে শুরুর একাদশে মাঝমাঠে দ্রো এর সঙ্গে আছেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও পেদ্রি। চোট থেকে স্কোয়াডে ফিরলেও শুরুর একাদশে লামিনে ইয়ামালকে রাখেননি কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। আক্রমণভাগে একপাশে মার্কাস রাশফোর্ডের আর বাঁ দিকে একাডেমির আরেক ফুটবলার রুনি বারগজি। ফরোয়ার্ড পজিশনে রবার্ট লেভানদোভস্কি।
নিয়মিত গোলকিপার জোয়ান গার্সিয়ার চোটে গোলপোস্ট সামলানোর দায়িত্ব ভয়েচেনক সেজনির কাঁধে। আর রক্ষণভাগে আছেন জেরার্ড মার্টিন, আন্দ্রেস ক্রিস্টিয়ানসন, রোনাল্ড আরাউহো ও জুলস কুন্দে।