কোচ-ক্রিকেটাররাই বলেন, টি-টোয়েন্টিতে ছোট-বড় দল বলে কিছু নেই। উপেক্ষা করার জো তো নেই-ই। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা অহরহ। তীরে এসে তরি ডোবানো, অখ্যাত কোনো ক্রিকেটার ম্যাচের গতিপথ বদলে দেওয়ার ঘটনা এখানে একটু বেশিই দৃশ্যমান। যে কারণে কুড়ি ওভারের সংস্করণে খেলার ফল নিয়ে অগ্রীম বাজি ধরাও বেশ জটিল। তারপরও সম্প্রতি সময়ের পারফরম্যান্স ও দুই দলের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করে হয়তো মন্তব্য করা যায়।
এশিয়া কাপে কাল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এটি এখন আর সাধারণ লড়াইয়ের তালিকায় ফেলা যায় না। দুই দলের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের ইতিহাস রোমাঞ্চে ভরা। গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। তবে কাল দুবাইয়ে মনস্তাত্বিক শক্তি ছাড়াও আরও তিন কারণে লঙ্কানদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দুই দলের মুখোমুখি লড়াই, এশিয়া কাপে টাইগারদের উড়ন্ত শুরু এবং আসরে শ্রীলঙ্কার প্রথম মাঠে নামার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন
খোঁচা দেওয়া অশ্বিনকে ইয়র্কার ছুড়লেন সাকিব |
![]() |
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি চরিত আসালাঙ্কাদের। বিপরীতে প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে অভিযান দারুণ শুরু করেছেন লিটন দাসরা। গতকাল প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে না পারলেও লিটন-হৃদয়দের কার্যক ইনিংসের সৌজন্যে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে চাপমুক্ত থেকেই আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে লড়বে তারা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখার আরও একটি কারণ আছে ! সম্প্রকি দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান। সব মিলিয়েটি-টোয়েন্টিতে ২০ বারের দেখায় জয়ের পাল্লা শ্রীলঙ্কার ভারী। তারা জিতেছে ১২ ম্যাচে, বাংলাদেশ ৮ ম্যাচে। তবে শেষটা আসালাঙ্কাদের বিপক্ষে। গত জুলাইয়ে লঙ্কানদের তাদের মাঠে হারিয়ে ফেরেন লিটনরা। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে নিজেদের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপেও সেই ছন্দ ধরে রেখেছে তারা।
আরও পড়ুন
‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার জন্যই মাঠে নামব’ |
![]() |
টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ দুই জয় ছিল বেশ চোখজুড়ানো। পাল্লেকেলেতে সাত উইকেটে হারের পর ডাম্বুলা ও প্রেমাদাসায় ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমবার স্বাগতিকদের মাঠে এই সংস্করণে সিরিজ জয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর- যা তাদের সুপথে ফেরাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে লিটন-হৃদয় লঙ্কা-স্মৃতি জাগিয়ে তোলার মোক্ষম সুযোগ পাচ্ছেন কাল আবারও।
সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেছেন লিটন। সিরিজের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর ৭৬ ও ৩২ রানের ইনিংস খেলেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। সেই ছন্দ ধরে রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজের শেষ চার টি-টোয়েন্টিতে করেছেন তিনটি ফিফটি। হংকংয়ের বিপক্ষে তাওহীদ হৃদয়ের কচ্ছপ গতির ব্যাটিং নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। দলে নিজের অবস্থান থিতু করার হয়তো আরেকটি সুযোগ পাবেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
আরও পড়ুন
র্যাঙ্কিংয়ের ৩০ নম্বর বোলারকে বিশ্বসেরা বলছেন পাকিস্তান কোচ |
![]() |
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ধারাবাহিক ছিলেন লঙ্কা সিরিজে। বিশেষ করে ইমন ৬৭, ২৮ ও ৩৮ রান করেছেন তিন ইনিংসে। তানজিদের অপেক্ষায় রানে ফেরার। আস্থার জায়গা বোলিংয়েও আছে উন্নতির সুযোগ।
তবে মাঠে নামার আগে এসব অতীত পরিসংখ্যান বা দ্বৈরথ নিয়ে ভাবতে চান না তানজিম হাসান সাকিব। প্রতিপক্ষ যারাই হোক জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবেন বললেন এই তরুণ পেসার,
‘আমাদের অ্যাপ্রোচ একবারে সোজাসাপ্টা, আমরা জেতার জন্যই মাঠে যাব। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। দ্বৈরথ আসলে থাকবেই। একটা টুর্নামেন্টে আপনি যে দলের বিপক্ষেই খেলেন না কেন জেতাটা মূখ্য বিষয়। এটা হোক শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, হোক ভারত-পাকিস্তান। সুতরাং আমরা মাঠে জেতার জন্যই মাঠে নামব। । দ্বৈরথ—আমার কাছে এগুলো কোনো কিছু মুখ্য বিষয় না। ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ।'
No posts available.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৫৭ পিএম
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দুটিই ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি ভেসে গেল বৃষ্টিতে। তাতে ১-১ সমতায় থাকা আগামী রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচটি রূপ নিল অঘোষিত ফাইনালে।
বেকেনহামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ২৭৯ রান করে ইংলিশ যুবারা। ৪৫ ওভারের খেলা শেষ হতেই বৃষ্টি বাধায় থেমে যায় খেলা। এরপর আর বল মাঠে গড়ালে, পরিত্যক্ত ঘোষাণা করা হয় ম্যাচটি। ৮৬ বলে ৯৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক থমাস রিউ। এছাড়া ফিফটি করেন রালফি আলবার্ট।
আরও পড়ুন
বোলিং শক্তি প্রদর্শন করেছে পাকিস্তান |
![]() |
ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুই পায় ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ দল। উদ্ভোধনী জুটিতে ৬৪ রান তোলে স্বাগতিকরা। আইজেক মোহাম্মদকে ফেরান আজিজুল হাকিম। কিছুক্ষণ পরই ৪২ বলে ৩৩ করা হোপ বেলকে ফেরান স্বাধীন ইসলাম। এরপর তৃতীয় উইকেটে উইল বেনিসন-থমাস রিউয়ের ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন সামিউন বাশির।
১১১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর জে নেলসনকে নিয়ে পঞ্চাশোর্ধো জুটি গড়েন অধিনায়ক রিউ। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৭১ রানের জুটিতেত ছেদ ঘটান রিজান হোসেন। ৩৩ বলে ২৮ করে সাজঘরে ফেরেন জে নেলসন। এরপর বৃষ্টি খানিকটা আগে ফিফটি করা রালফি (৫২) উইকেটি নেন আল ফাহাদ।
মেগা ইভেন্টে বানিজ্যিক স্বার্থটাই বড় আইসিসি-এসিসির। পাক-ভারতের বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতি, কুটনৈতিক টানাপোড়েন পর্যন্ত হচ্ছে না বিবেচ্য। ক্রিকেট বানিজ্যিকীকরণে আইসিসির মতো এসিসিও মেগা ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তাকে একই গ্রুপে রেখেছে। ৮ দেশের এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে এই দুই চিরশত্রুকে একই গ্রুপে রেখে এই দল দুটিকে সুপার ফোর এর নিশ্চয়তা দিতে উপহার হিসেবে গ্রুপে দুটি দুর্বল প্রতিপক্ষ দিয়েছে এসিসি। দুই দিন আগে বাগে পেয়ে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৫৭ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ৯৫ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে ভারত। ভারতের দেখাদেখি নেট রান রেটে পাল্লা দিতে ওমানকে ৬৭ রানে অল আউট করে ৯৩ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
ওমানকে উড়িয়ে শুরু পাকিস্তানের |
![]() |
দুবাইয়ে ওমানের বিপক্ষে পাকিস্তান তাদের ব্যাটিং শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। টসে জিতে যাদের ব্যাটিংয়ে দুইশ প্লাস স্কোরের টার্গেট ছিল, সেই পাকিস্তান টেনে টুনে ওভারপ্রতি ৮ করেছে। ১৬০/৭ স্কোরে থেমেছে পাকিস্তান। পুরো ইনিংসে ১৫টি চারের পাশে ছক্কা মাত্র ৩টি।
বাঁ হাতি স্পিনার শাকিল আহমেদের বলে (৪-০-১৭-০) ধঁকেছে পাকিস্তান। পেসার শাহ ফয়সাল ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/৩৪)। বাঁ হাতি স্পিনার আমির কালিমও পেয়েছে ৩ উইকেট (৩/৩১)। ওমানের মতো পুঁচকে প্রতিপক্ষের বোলারদের কতোটা সমীহ করে ব্যাট করেছে পাকিস্তান, এই চিত্রটা বলে দিচ্ছে তা।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে স্কোর ৪৭/১, শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯, কোনটাই প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে, বলছেন লঙ্কান অধিনায়ক |
![]() |
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শাহিবজাদা ফারহান-মোহাম্মদ হারিসের ৬৪ বলে ৮৫ রানে সম্মানজনক টোটাল পেয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটিংটা অবশ্য ছিল উপভোগ্য। কালিমকে রিভার্স স্কুপ করতে যেয়ে বোল্ড আউটে থামার আগে হারিস করেছেন ৪৩ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৬৬ রান।
পাকিস্তান অবশ্য বোলিং শক্তি প্রদর্শন করেছে এই ম্যাচে। অফ স্পিনার সাইম আইয়ুব (২-০-৮-২), লেগ স্পিনার আবরার (২-০-১-২), বাঁ হাতি স্পিনার সুফিয়ান (৩-০-৭-২) এবং পেসার ফাহিম আশরাফ (২-০-৬-২) টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। তারপরও ওমানের শেষ উইকেট জুটির ১৬ রান পাকিস্তান বোলারদের আত্মতুষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
আইসিসির সহযোগী সদস্য দলের বিপক্ষে প্রত্যাশিত বড় জয়ই পেয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওমানকে ৬৭ রানেই গুড়িয়ে দিয়েছে সালমান আলি আগার দল। তাতে এশিয়া কাপের যাত্রা ৯৩ রানের বিশাল জয় দিয়ে হলো পাকিস্তানের।
দুবাই ইন্টারনেশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি। ওমানের দারুণ বোলিংয় স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে ব্যর্থ হয় তারা। মোহাম্মদ হারিসের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ওমান। দলীয় ২ রানে জাতিন্দার সিংকে বোল্ড করে শুরুটা করেন সায়েম আইয়ুব। এরপর আমির কালিম (১৩) ও হামাদ মির্জার (২৭) ২২ রানের জুটিই ছিল ওমানের ইনিংসের সর্বোচ্চ। এই দু’জনের সঙ্গে দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল শাকিল আহমেদ (১০)। আর বাকিরা ছিলেন শুধুই আসা-যাওয়ার মাঝে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে, বলছেন লঙ্কান অধিনায়ক |
![]() |
পাকিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ, সুফিয়ান মুকিম ও সায়েম আইয়ুব।
এর আগে আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ খুব একটা বড় করতে দেননি ওমানের বোলাররা। ওমানের মতো দলের বিপক্ষে পাকিস্তানের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংই ছিল প্রত্যাশিত। তবে শিরোপার দাবীদার দলটি গড়পড়তা মানের ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখিয়েছে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ হতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শাহ ফয়সালের বোলে এলবির ফাঁদে পড়ে ওপেনার সাইম আইয়ুব ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে।
অবশ্য শুরুর সেই উইকেট পতনের পর সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের দারুণ জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান । ৪৩ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন হারিস। অন্য প্রান্তে ফারহানও ছিলেন কার্যকর। তবে তিনি দলীয় ৮৯ রানে ২৯ বলে ২৯ রান করে বিদায় নিলে ভেঙে যায় সেই জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের এই জুটি ভাঙার পর হঠাৎ পথ হারায় পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতেই হারিসকে ফেরান আমির কলিম । তারপর পরের ডেলিভারিতেই অধিনায়ক সালমান আগাকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠিয়ে ওমানকে ম্যাচে ফেরান ৪৩ বছর বয়সী এই স্পিনার।
আরও পড়ুন
শেষ পর্যন্ত বরিশালের অধিনায়ক সালমান ইমন |
![]() |
এক প্রান্ত আগলে রেখে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ফখর জামান। তাকে সঙ্গ দেন হাসান নেওয়াজ। তবে ১৫ বলে ৯ রান করে থেমে যান হাসান নাওয়াজ। পরের ওভারেই শাহ ফয়সালের শিকার হন মোহাম্মদ নেওয়াজ। শেষদিকে ১০ বলে ১৯ রানের ছোট্ট কেমিও ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। ১৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফখর জামান।
ওমানের হয়ে সমান তিনটি করে উইকেট নেন শাহ ফয়সাল ও আমির কলিম। তবে কোনো উইকেট না নিলেও দারুণ ইকোনোমিতে বল করেন শাকিল আহমেদ। ৪ ওভারে ১৭ রান দেন তিনি।
আগামী রোববার পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রথম ম্যাচ খেলে, জয়ও পেয়েছে। টুর্নামেন্টে পরের ম্যাচে লিটস দাসের দল মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপে লঙ্কাদের এটি প্রথম ম্যাচ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিজেদের কৌশল, পরিকল্পনা প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কা অধিনায়কের কাছে দুই দেশের ক্রিকেটিয় প্রতিদ্বন্দিতা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন
শেষ পর্যন্ত বরিশালের অধিনায়ক সালমান ইমন |
![]() |
গত কয়েক বছরই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বেশ উত্তাপ-উত্তেজনা টের পাওয়া যায়। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেট এই দুই দলের লড়াইটা দারুণ জমেই উঠে। তবে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক আসালাঙ্কার দাবি এই রাইভালরি শুধুই সমর্থকদের সীমাবদ্ধ, খেলোয়াড়দের জন্য নয়।
‘এটা আসলে সমর্থকদের জন্য একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমাদের কাছে খেলোয়াড় হিসেবে এটা চ্যালেঞ্জিং একটা প্রতিযোগিতা মাত্র। আমরা চাই বাংলাদেশ এবং অন্য দলগুলোর বিরুদ্ধেও ভালো ম্যাচ খেলতে।’
আরও পড়ুন
তিন কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এগিয়ে বাংলাদেশ |
![]() |
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের বিশেষ উত্তেজনা নিয়ে আসালাঙ্কা তেমন গা না করলেও দুই দলের মাঠের লড়াই কিংবা শরীরি ভাসা কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। উইকেট উদযানে আগ্রাসী আচারণ কিংবা কথার লড়াইও পরিচিত দৃশ্য দেখা যায় সম্প্রতি ম্যাচগুলোয়। আর সেই উত্তাপ তো স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ার কথা।
সমর্থকদের এই উত্তাপ খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি প্রেরণা হতে পারে কি না—এমন প্রশ্নে আসালাঙ্কা স্বীকার করলেন কিছুটা প্রভাব থাকতে পারে, তবে দল বরাবরের মতোই নিজেদের মৌলিক পরিকল্পনাতেই অটল থাকবে।
আরও পড়ুন
খোঁচা দেওয়া অশ্বিনকে ইয়র্কার ছুড়লেন সাকিব |
![]() |
‘আমার মনে হয় কিছুটা হ্যাঁ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা আমাদের কাছে একটা খেলা মাত্র। আমরা শুধু আমাদের বেসিক আর পরিকল্পনা মেনে চলি।’
মাঠে দুই দলের সম্পর্ক যেমনই হোক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন আসালাঙ্কা। তবে সেসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের কথা বলেন তিনি।
‘তারা অনেক দিন ধরেই ভালো খেলছে। তবে আমরা ওসব নিয়ে ভাবি না। আমরা শুধু মনোযোগ দিই তাদের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে কীভাবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়। আমরা শুধু পরিকল্পনা করি এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করি। অতীতের ম্যাচ বা ফলাফলের দিকে আমরা খুব একটা তাকাই না।’
টুর্নামেন্ট শুরুর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় বাকি থাকতে অবশেষে জানা গেল বরিশালের অধিনায়কের নাম। জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দলটির নেতৃত্ব দেবেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার সালমান হোসেন ইমন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির সব দলের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেখানেই জানা গেছে বরিশালের নেতৃত্ব দেবেন কে। অথচ আরও প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল বাকি ৭ দলের অধিনায়কের নাম।
আরও পড়ুন
রাজশাহীর অধিনায়ক শান্ত, খুলনায় মিঠুন |
![]() |
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এনসিএল টি-টোয়েন্টির অফিসিয়াল পেইজে বৃহস্পতিবার সব দলের স্কোয়াড প্রকাশ করা হয়। সেখানেও ছিল না বরিশালের অধিনায়কের নাম। অবশেষে শুক্রবার রাতে জানা গেল সেটি।
অথচ টুর্নামেন্ট শুরু হতে ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই। রাজশাহী ও বগুড়ায় রোববার শুরু হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। প্রথম দিনে অবশ্য বরিশালের খেলা নেই। সোমবার টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার মুখোমুখি হবে তারা।
বরিশালের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের নামও ছিল আলোচনায়। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ মইন খানের নামও উঠে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পেলেন সালমান।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত আসরে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছিলেন সালমান। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে শেষ ওভারে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল বরিশালের। ইফরান হোসেনের ওভারে তিন চারের সঙ্গে দুই ছক্কা মেরে ২৭ রান নিয়ে নেন সালমান।
আরও পড়ুন
সিলেটে মুশফিক, মেট্রোতে রিয়াদ, অধিনায়কহীন বরিশাল |
![]() |
ওই ম্যাচে একপর্যায়ে ১৭ বলে ১৬ রানে খেলছিলেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার। সেখান থেকে পরের ১২ বলে ৩৭ রান করে দলকে জিতিয়ে আনন্দে মাতেন তিনি। টুর্নামেন্ট অবশ্য সার্বিকভাবে ভালো যায়নি বরিশালের। মাত্র ২ জয়ে সবার নিচে ছিল তারা।
ম্যাচ জেতানো ওই ইনিংস ছাড়া সালমানও আর তেমন কিছু করতে পারেননি। ৬ ইনিংসে ২৩.২০ গড়ে তার সংগ্রহ ছিল ১১৬ রান। তবে স্ট্রাইক রেট অবশ্য বেশ ভালো ছিল, ১৩৯.৭৫! আসরজুড়ে ৫ চারের সঙ্গে মারেন ৭টি ছক্কা। যার ৪টি একই ম্যাচে।
সব মিলিয়ে প্রায় এক যুগের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৩ ম্যাচ খেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ওই এক ফিফটিতে তার সংগ্রহ ২৫৪ রান। আর মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে ক্যারিয়ারে করেছেন মোটে দুই ওভার।
বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে দুই আসরে খেলেছেন সালমান। তবে খুব বেশি সুযোগ পাননি। সব মিলিয়ে ৪ ইনিংসে তার সংগ্রহ ৩৩ রান। তার নেতৃত্বেই এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলবে বরিশাল বিভাগ।