৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯:৪৯ পিএম
এক যুগ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়াচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে এখানে অংশ নেওয়া দলগুলোর কখনই সেভাবে সরাসরি আলোচনা করে টুর্নামেন্টের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বনিবনা না হওয়ার ঘটনাও হয়েছে। তবে এবারের বিপিএলের আগে সব দলের সাথে বিশেষ আলোচনা সেরেছে বিসিবি। সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ভালো-মন্দ বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
সব ঠিক থাকলে আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে বিপিএলের ১১তম আসর। আর প্লেয়ার ড্রাফট হতে যাচ্ছে আগামী ১৪ অক্টোবর। এর আগে শনিবার অংশগ্রহণকারী সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আলোচনায় বসে বিবিসি। দলগুলোর সাথে এভাবে সংস্থাটিকে এভাবে আনুষ্ঠানিক মিটিং করতে দেখা যায়নি। একটা অভিযোগ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল যে, বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে বসে না, কথা বলে না।
সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় ফারুক বলেছেন, বিপিএলের ভালো করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন। “এটাই প্রথম, এত লম্বা সময় ধরে আমরা মিটিং করেছি। আমরা তাদের সুবিধা-অসুবিধা জানতে চেয়েছি। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল আপনারা জানেন, তারা আমাদের পার্টনার। তারা কিন্তু খুব ভালো কাজ করছে। তারা আমাদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চায়। এই কারণে আমরা তাদের কথা শোনাটা খুব জরুরি মনে করেছি এবং তাদের ফিডব্যাকটা চেয়েছি। প্রত্যেক দলের আলাদা আলাদা ফিডব্যাক নিয়েছি, যেহেতু বোর্ড হিসেবে আমরা পলিসি ঠিক করি, আমাদের বোর্ডের জন্য যেটা সেরা হবে, সবার জন্য যেটা কাছাকাছি হবে, সেটাই আমরা করব। এই ব্যাপারে আপনারা খুব শীঘ্রই জানতে পারবেন। ড্রাফট পেপার আমরা প্রায় তৈরি করে ফেলেছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের (গত বিপিএলের বকেয়া) পেমেন্ট না করা হচ্ছে, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা সেরা প্রকাশ করতে পারছি না।”
বিপিএলের গত বছর থেকে এবার তিনটি দল পরিবর্তন হবে। বাদ পড়ছে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের জায়গায় আসছে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের নেই বেশি সময় হাতে, কিন্তু শেষ সময়েও সাতটি দল নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, বিসিবি এখনও সব দলের নাম জানায়নি। ফলে নানা নিয়ম কানুন নিয়ে রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর তিনটি সরাসরি সাইনিং চাচ্ছেন। বিপরীতে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এতে রয়েছে আপত্তি।
এসব বিষয়ের সমাধান কি হয়ে গেছে এরই মধ্যে? ফারুক অবশ্য পুরোপুরি ইতিবাচক উত্তর দিতে পারেননি। “ফ্র্যাঞ্চাইজির যে ব্যাপারটা, এটা ৯৫ শতাংশ ঠিক হয়েছে। আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি শেষ দুই মাস। এখনও সেখান থেকে আমরা খুব বেশি একটা বের হতে পারিনি। চ্যালেঞ্জটা তাই এখনও আছে। আমি বলব না সব ঠিক হয়ে গেছে। আমরা ড্রাফট রেখেছি ১৪ তারিখে, আশা করি তার আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।”
দিন যত যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলেছে। নানা আয়োজনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চেষ্টা করছে এবারের আসরকে সবচেয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। সেই ধারায় এবারের বিপিএলের মাসকটও বেছে নেওয়া হয়েছে, যার নাম রাখা হয়েছে ডানা ৩৬। শান্তির প্রতীক হিসেবে সেখানে দেখা যাবে একটি সুসজ্জিত পায়রাকে।
বিপিএলের মাসকটটিকে স্বাধীনতা এবং ক্রীড়া চেতনার স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ডানা বিস্তৃত, আত্মবিশ্বাসী, আনন্দদায়ক হাসিতে পায়রাটি গ্রাফিতি শিল্পে সজ্জিত একটি ক্রিকেট ব্যাট ধরে আছে। এর পালকের রঙিন গ্রাফিতি প্যাটার্ন এবং ব্যাট আমাদের স্বাধীনতা, ইতিবাচক শক্তি এবং সাংস্কৃতিক গর্বের থিম উপস্থাপন করে। এই প্রাণবন্ত মাসকটটি একটি উজ্জীবিত চেতনা বহন করে, যা ক্রিকেট নিয়ে রোমাঞ্চ এবং উদযাপনকে ফুটিয়ে তোলে।
আরও পড়ুন
বিপিএলের টাইটেল স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক |
এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। মাসকটের গ্রাফিতিটি আধুনিক, তারুণ্যের স্পর্শময়, যা সমসাময়িক ক্রিকেট ভক্তদের প্রগতিশীল, প্রাণবন্ত প্রাণশক্তির সাথে আমাদের স্বাধীনতার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে একসুতোয় গেঁথেছে।
এবারের বিপিএল শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল -
রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দীর্ঘদিন ধরে আছেন জাতীয় দলের বাইরে। খেলে যাচ্ছিলেন কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস ঘোষণা দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের। বুধবার নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি।
নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ইমরুল। সাদা বলের ক্রিকেটে অনেকটা সময় ধরেই বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকলেও এই দুটিতে খেলার দুয়ার খোলা রেখেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
আরও পড়ুন
‘অভাগা যেদিকে চায়, সাগর (ইমরুল) শুকিয়ে যায়’ |
২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে এই ফরম্যাটে পথচলা শুরু হয় ইমরুলের। শেষবার খেলেছেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। ৭৬ ইনিংসে ২৬.২৮ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ৭৯৭। সেঞ্চুরি তিনটি আর ফিফটি চারটি।
টেস্টে ইমরুলের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছিল ২০১৫ সালে। খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়া ম্যাচে খেলেছিলেন ১৫০ রানের দারুণ এক ইনিংস। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং জুটিতে ইমরুল যোগ করেছিলেন রেকর্ড ৩১২ রান।
আরও পড়ুন
ছয়ের রেকর্ডে তামিমের সঙ্গী ইমরুল |
চলতি এনসিএলে খেলছেন ইমরুল। শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন যথাক্রমে শূন্য ও ৭১ রান।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে