বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিমান সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্স দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল এবং বাস্কেটবলে স্পন্সর করছে। ইউরো এবং উইয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো ফুটবলের আকর্ষণীয় আসরের স্পন্সর পার্টনার টার্কিশ এয়ারলাইন্স। বিশ্বের জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এফসি বার্সেলোনা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্পন্সরও তুরস্কের রাষ্ট্রীয় এই বিমান সংস্থা। গলফ এবং ইকুয়েস্ট্রিয়ানেও তাদের অর্থায়ন কুড়িয়েছে প্রশংসা।
বাংলাদেশের খেলাধুলায়ও পৃষ্ঠপোষকতার হাত সম্প্রসারিত করেছে এই সংস্থা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এবং বাংলাদেশের ভলিবলের পৃষ্ঠপোষক টার্কিশ এয়ারলাইন্স, এবার বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট দল রংপুর রাইডার্সের স্পন্সর হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৯ জুলাই গায়ানায় অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের ট্রাভেল পার্টনার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। রোববার বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ শাখার মহাব্যবস্থাপক ইসলাম গৌরে এবং রংপুর রাইডার্সের সিইও ইশতিয়াক সাদেক এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময়ে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নূরুল হাসান সোহান উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের জার্সির সামনের অংশে দেখা যাবে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের লোগো। সেই জার্সিটাও উন্মোচিত হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন
জিএসএলে আবারও বাংলাদেশের গর্বের উপলক্ষ্য হতে চায় রংপুর রাইডার্স |
![]() |
গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের স্পন্সর পার্টনার হতে পেরে গর্বিত টার্কিশ এয়ারলাইন্স। সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই বলেছেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম গৌরে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন-' অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি দেশে বিমান চলাচলকারী বিমান সংস্থা হিসেবে টার্কিশ এয়ারলাইন্স সবসময় খেলাধুলার অদম্য শক্তিতে বিশ্বাসী। ফুটবল, বাস্কেটবল থেকে শুরু করে টেনিস এবং গলফ খেলায় টার্কিশ এয়ারলাইন্স সহায়তার হাত প্রশস্ত করেছে। আমাদের এই সাপোর্ট মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। এখন আমরা বাংলাদেশেও সেই সহায়তা প্রসারিত করতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে বাংলাদেশের খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ততা শুরু করেছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশের ভলিবলের পৃষ্ঠপোষকতাও করেছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। আজ, আমরা এমন একটি দলকে সমর্থন করে আরও একটি পদক্ষেপ নিচ্ছি যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি জাতির আশা-প্রত্যাশা বহন করবে।'
গ্লোবাল সুপার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স আসন্ন আসরে শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখার মিশনে উড়াল দিবে গায়ানায়। এই মিশনে রংপুর রাইডার্সের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ শাখার জেনারেল ম্যানেজার ইসলাম গৌরে-'এবছর রংপুর রাইডার্স গায়ানায় অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) প্রতিনিধিত্ব করবে। তুরস্কের সাথে এদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধনকারী হিসেবে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এই যাত্রায় সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। আমরা টুর্নামেন্টে রংপুর রাইডার্সের সাফল্য কামনা করি এবং এই অংশীদারিত্ব সম্ভব করতে যারা সাহায্য করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।'
২৯ জুন ২০২৫, ৩:০৭ পিএম
২৯ জুন ২০২৫, ২:২৯ পিএম
২৮ জুন ২০২৫, ১:০০ পিএম
গত বছর ক্যারিবিয়ানে রংপুর রাইডার্স যখন গ্লোবাল সুপার লিগে খেলতে যায়, তাদের গায়ে ফেভারিটের তকমা দেননি সেভাবে কেউই। প্রথম কয়েকটি ম্যাচে ধাক্কা খেলেও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে নুরুল হাসান সোহানের দল। এবারের আসরেও বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় খেলতে যাচ্ছে রংপুর। অধিনায়ক সোহানের আশা, শিরোপা ধরে রেখে আবারও দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনবেন তারা।
বিশ্বজুড়ে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পাঁচ দল নিয়ে গতবার বসেছিল জিএসএলের জমজমাট আসর। প্রথম কয়েকটি ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল রংপুর। এরপর একের পর এক ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রংপুরের জনপ্রিয়তা আগে থেকেই বাংলাদেশে বেশ। জিএসএলের শিরোপা বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চেও নতুন করে জানান দেয় রংপুরের দুর্দান্ত উপস্থিতি।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের পৃষ্ঠপোষক টার্কিশ এয়ারলাইন্স |
![]() |
আগামী জুলাইয়ে হতে যাওয়া জিএসএলের দ্বিতীয় আসরকে সামনে রেখে রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রংপুর, যেখানে ঘোষণা করা হয় স্পন্সরের নাম ও করা হয় জার্সি উন্মোচন। সোহান সেখানেই শোনান দল নিয়ে তার বড় স্বপ্নের কথা।
“গত বছর আমরা যখন গ্লোবাল সুপার লিগে গিয়েছিলাম, আমাদের কেউই সেভাবে গোনায় ধরেনি। প্রথম দুইটা ম্যাচ হারের পর একটু ব্যাকফুটেই ছিলাম। সেখান থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমার কাছে মনে হয় এবার তাই অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। গত দুই-তিন মাসে ম্যানেজমেন্ট দল গোছানো নিয়ে অনেক কাজ করেছে। আমরা যখন দল সাজাই, তখন অনেক মতের অমিল থাকেই। তবে আমি বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত আমরা যে দলটি পেয়েছি, সেটা নিয়ে ইনশাল্লাহ ভালো কিছু করতে পারব। আমরা আমাদের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করব।”
বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল হলেও রংপুর দিনশেষে জিএসএলের মত একটি তারকায় ঠাসা টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলাদেশকেই। গতবার তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা সামগ্রিকভাবেই ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক বার্তা। এবার রংপুর যখন জিএসএল খেলতে যাচ্ছে, তখন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে বাংলাদেশ জাতীয় দল।
সোহান তাই এবারও ভালো ফলাফল বয়ে এনে দেশের ক্রিকেটে এনে দিতে চান স্বস্তির সুবাতাস।
“সত্যি বলতে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সময়টা একটু কঠিন যাচ্ছে। গত বছর আমরা গ্লোবাল সুপার লিগ জিতেছি, যা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি অধ্যায়। তাই আমরা এবারও সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। গতবারও আমাদের কেউই সেভাবে হিসাবের মধ্যে রাখেনি বা ভাবেনি যা আমরা ফাইনাল পর্যন্ত যাব। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে খেলতে যাব, অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। আমি মনে করি সবাই এই চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করবে।”
এবারের জিএসএলের আসরে গায়ানা বাদে বাকি তিন দলই ছিল না প্রথম আসরে। সবগুলো দলই ঘোষণা করেছে শক্তিশালী দল। সাথে রংপুরের ওপর থাকবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলার চাপ, যা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে দলের পারফরম্যান্সে।
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্যাপ্টেনসি ছাড়লেন শান্ত, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক ফর্মূলা নিতে পারেননি |
![]() |
সোহান অবশ্য চাপ অনুভব করছেন না।
“গত বছরও যখন গিয়েছি, অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। গতবার আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশকে নিয়েও আলোচনা বেড়ে গিয়েছিল। আমরা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যাচ্ছি, তাই চেষ্টা করব ভালো করার। চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে, আমরা চেষ্টা করব সেটা মোকাবেলা করব। চাপের কিছু নেই, আমাদের নিজেদের খেলাটা উপভোগ করবে।”
জিএসএল শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই থেকে, ক্যারিবিয়ানের গায়ানায়। একই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলা থাকায় রংপুরকে এবার দল গোছাতে বাড়তি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। কারণ, তাদের শেষ পর্যন্ত সেসব খেলোয়াড়কেই নিতে হয়েছে, যারা জাতীয় দলের অংশ হবেন না। ফলে ইচ্ছা থাকলেও কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিতে পারেনি রংপুর।
এই প্রসঙ্গে রংপুরের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম স্পষ্ট বলেছেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলাটাই প্রতিটি ক্রিকেটারের কাছে প্রধান বিষয় হওয়া উচিত।
“আপনারা জানেন ক্যারিবিয়ানে গিয়ে খেলার ক্ষেত্রে লজিস্টিকসের অনেক জটিল কিছু ধাপ থাকে। তাই আমরা বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কারা দলে থাকতে পারে, সেভাবেই আমরা দল সাজিয়েছি এবং এনওসি চেয়েছি। মেহেদি হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন, নাঈম শেখদেরও এনওসি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন, তাই তাদের রাখা হয়নি। আমি মনে করি জাতীয় দলের প্রাধান্যই সবার আগে। হ্যাঁ, আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি। তবে জাতীয় দলই সবার আগে। আমাদের দলের কেউই যদি বাংলাদেশ দলে ডাক পান, তাহলে আমরা সেটাও স্বাগত জানাব।”
জিএসএলে রংপুর রাইডার্স স্কোয়াড : নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রাকিবুল ইসলাম, ইয়াসির আলী রাব্বি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, সাইফ হাসান, ইব্রাহিম জাদরান, ইফতেখার আহমেদ, কাইল মেয়ার্স, তাবরাইজ শামসি, খাজা নাফে, খালেদ আহমেদ, আকিফ জাভেদ, হারমিত সিং।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে যেভাবে চোট পেয়েছিলেন, তাতে দ্রুত মাঠে ফেরা একটু কঠিনই ছিল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড মনে করেন, দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরার অবস্থায় আছেন স্মিথ।
চলতি মাসেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিন স্লিপে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুলে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। এরপর নিউ ইয়র্কে গত এক সপ্তাহ কাটিয়েছেন তিনি, যেখানে ফিটনেস ফিরে পেতে তিনি টেনিস বল ও সফট ‘ইনক্রেডি বল’ দিয়ে অনুশীলন করেছেন। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া তিন দিনের মধ্যেই জয় পাওয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় বার্বাডোসে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন সাবেক অজি অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের পৃষ্ঠপোষক টার্কিশ এয়ারলাইন্স |
![]() |
আর ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ার কোচ ম্যাকডোনাল্ড জানান, দ্বিতীয় টেস্টেই স্মিথের খেলার ভালো সম্ভাবনাই আছে।
“আসলে এটা (স্মিথের খেলা) নির্ভর করছে তার আঙুলের কার্যকারিতা ঠিকঠাক আছে কিনা, সেটার ওপর। তার দীর্ঘমেয়াদী কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। আমরা আশা করছি এই ম্যাচে সে খেলবে। ম্যাচের দুই দিন আগের অনুশীলন আর ম্যাচের আগের দিন হালকা অনুশীলনের পর যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে তাকে চার নম্বরেই খেলতেই দেখা যাবে।”
উল্লেখ্য, চোট পাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, স্মিথকে অন্তত আট সপ্তাহ হাতে স্প্লিন্ট পরে থাকতে হবে। তাই স্লিপে ফিল্ডিংয়ের বদলে তাকে হয়ত মাঠের অন্য জায়গায় ফিল্ডিংয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। ডানহাতি এই ব্যাটার আগেও কনুইয়ের চোটে ভুগেছেন। এই কারণে এবারের চোটের বিষয়টি তার জন্য ঝুঁকি এড়াতে কিছুটা বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন হতে পারে।
প্রথম টেস্টে স্মিথের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের ব্যাটিং অর্ডারে বড় পরিবর্তন আনেনি। তিনে খেলেন ক্যামেরুন গ্রিনই। স্মিথের চার নম্বর পজিশনে খেলেন জস ইংলিস। ট্রাভিস হেড ছিলেন যথারীতি তার পাঁচ নম্বর পজিশনেই। স্মিথ ফিরলে তাই ইংলিসকে একাদশে জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে।
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্যাপ্টেনসি ছাড়লেন শান্ত, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক ফর্মূলা নিতে পারেননি |
![]() |
ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, স্মিথ ফিরতে পারেন, এটা জেনেই তারা হেডকে পাঁচ নম্বর থেকে প্রমোশন দেননি।
“আমরা ব্যাটিং অর্ডারে অপ্রয়োজনীয় একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চাইনি। আমরা জানতাম যে স্মিথ ফিরে আসবে, তাই হেডের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করিনি।”
নাজমুল হোসেন শান্ত'র টেস্ট ক্যাপ্টেনসির রেকর্ডটা খারাপ নয়। তার অধিনায়কত্বে ১৪ টেস্টে ৪ জয়, ১ ড্র'র বিপরীতে ৯ হার। টেস্ট ক্যাপ্টেনসি অধ্যায়ে তার ব্যাটিং রেকর্ডটাও খারাপ নয়। ১৪ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরি, ২ ফিফটিতে ৩৬.২৪ গড়ে ৯০৬ রান। সাকিবের টেস্ট ক্যাপ্টেনসির রেকর্ডও শান্ত'র মতো নয়। টেস্ট ক্যাপ্টেন সাকিবকে ৪টি টেস্ট জিততে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে ১৯টি ম্যাচ।
২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে টেস্ট ক্যাপ্টেনসির অভিষেক জয় দিয়ে উদযাপন করেছেন শান্ত। ২০২৪ সালে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শান্ত'র নেতৃত্বে ২-০তে জয়ও কম গর্বের নয়। শ্রীলঙ্কা সফরে আসার আগে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল শান্ত'র নেতৃত্বে। তবে ওই সিরিজের প্রথম টেস্টে সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশের হার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিসিবিতেও।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের পৃষ্ঠপোষক টার্কিশ এয়ারলাইন্স |
![]() |
২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ বছরের শুরুতে টি–টোয়েন্টির ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার শুণ্যস্থান পূরণ করেছে বিসিবি লিটন দাসকে দিয়ে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে তাঁকে না জানিয়ে কেড়ে নেয়া হয়েছে ওয়ানডে ক্যাপ্টেনসি। বয়সভিত্তিক দল থেকে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা টিমমেট করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে দেয়া হয়েছে ওয়ানডে ক্যাপ্টেনসি। এভাবে ক্যাপ্টেন্সির ব্যাটন কেড়ে নেয়ায় মনোকষ্টে ছিলেন। কলম্বো টেস্টে ইনিংস এবং ৭৮ রানে হারের পর প্রকাশ হয়েছে সেই কষ্ট। টেস্টের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শান্ত।
শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজের আগে এই ফরম্যাটে অধিনায়কত্বের মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল। তবে মেয়াদ পার করেননি। মেয়াদ শুরুর এক মাসের মধ্যেই টেস্ট ক্যাপ্টেনসি অধ্যায়ের যবনিকা টেনেছেন।
ওয়ানডে ক্যাপ্টেনসি হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন বড় একটা চাপ নিয়ে। এই চাপে পিষ্ট হয়ে ব্যাটিংয়ে তার বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা করেছিলেন অনেকে। তবে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১০০.০০ গড়ে করেছেন ৩০০ রান। গল টেস্টে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি (১৪৮ও ১২৫) করে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে প্রথম রেকর্ড করেছেন। তবে গল টেস্টে ইনিংস ঘোষণায় বিলম্ব করায় বিস্তর সমালোচনা হয়েছে তাকে নিয়ে।কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ১৪তম টেস্ট অধিনায়ক ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
চোট কাটিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে স্মিথকে পাওয়ার আশায় অস্ট্রেলিয়া |
![]() |
টেস্ট ক্যাপ্টেনসি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক নির্বাচনকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দেয়ার কারণ হিসেবে তা বলতে দ্বিধা করেননি নাজমুল হোসেন শান্ত।সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- ' টেস্ট সংস্করণে আর এই দায়িত্ব পালন করতে চাই না। এটা ব্যক্তিগত কোনো কিছু নয়। দলের ভাল'র জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ড্রেসিংরুমে কয়েক বছর ধরে, লম্বা সময় ধরে আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। দলের ভাল'র জন্য তাই ক্যাপ্টেনসি ছেড়ে দিলাম। ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে, তিন অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।'
গল টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ড্র থেকে টনিক নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। টেস্ট স্ট্যাটাসের রজত জয়ন্তী উৎসবের আঁচও লাগেনি ক্রিকেটারদের গায়ে। কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কা স্পিনারদের বিষধর ছোবলে গল-এর অর্জন দিয়েছে বিসর্জন।তৃতীয় দিনেই কলম্বো টেস্টের গতিপথ নির্ধারিত হয়ে গেছে।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আর একটি বড় ব্যবধানে হারের পথ তৈরি হয়েছে। চতুর্থ দিনের চ্যালেঞ্জটা ছিল ইনিংস হার এড়ানো। তবে এই দিনে শেষ ৪ জুটির পক্ষে ৯৭ রানের সেই চ্যালেঞ্জ পাড়ি দেয়া দুরূহ হয়ে গেছে। শেষ ৪ জুটি এদিন খেলেছে মাত্র আধ ঘন্টা। যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১৮ রান। তৃতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ থেমেছে ১৪৪-এ। ফলে ইনিংস এবং ৭৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রে ০-১ এ সিরিজ হতাশার শুরু করেছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বেশ ক'টি স্পটে ধরেছে ফাঁটল। বল পড়ে লো বাউন্স এবং আনইভেন বাউন্স করা শুরু করে দিয়েছে। তাতেই শ্রীলঙ্কার দুই স্পিনার প্রবথ জয়সুরিয়া-থারিন্দু রত্নায়েকের বল ঘুরেছে যথেষ্ট। আগের দিন ১৩ রানে ব্যাটিংয়ে থেকে স্পিনারদের গর্জে ওঠার দৃশ্য দেখেছেন লিটন। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারে বলের পিচিং পয়েন্টের ফাটল, গর্ত দেখিয়ে লিটন করেছিলেন অভিযোগ।
তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বড় হামানদিস্তা এনে ফাটল সমান্তরাল করেও বিপর্যয় থামানো সম্ভব হয়নি। মাঠকর্মীদের চেষ্টায় সনাতনী কায়দায় পিচ সমান্তরাল করার চেষ্টার পরের বলেই লিটন প্রবথ জয়সুরিয়ার টার্নিং ডেলিভারিতে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে যেয়ে উইকেটের পেছনে দিয়ে এসেছেন ক্যাচ (৪৩ বলে ১৪)। দিনের ৫ম বলে লিটনের এভাবে চলে যাওয়া টেল এন্ডারদের ভালই সংক্রমিত করেছে। প্রথম ইনিংসে লেজের জোরে ২৪৭ পর্যন্ত ইনিংস টেনে নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় ইনিংসে লেজের জোর দেখাতে পারেনি নাজমুল হাসান শান্ত'র দল।
আগের দিনের পড়ন্ত বেলা থেকে শুরু করা প্রবথ জয়সুরিয়ার স্পেলটি ভয়ংকর (৬-০-১৮-৪) রূপ পেয়েছে। এদিন তিন শিকার করেছেন এই বাঁ হাতি স্পিনার। লিটনকে দিয়ে শুরু। পরের ওভারে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে নাঈম হাসান (৮ বলে ৫) স্ট্যাম্পিংয়ে কাটা পড়েছেন। তার পরের ওভারে তাইজুল দিয়েছেন রিটার্ন ক্যাচ (১৫ বলে ৬)। তাতেই টেস্ট ক্যারিয়ারে ত্রয়োদশতম ৫ উইকেট শিকার (১৮-২-৫৬-৫) পূর্ণ করেছেন প্রবথ জয়সুরিয়া। এবাদতকে এলবিডাব্লুউতে ফিরিয়ে শেষ শিকারটি করেছেন আর এক বাঁ হাতি স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে। তার শিকার ২টি (৫.২-০-১৯-২)।
একদিন আগেই বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার রজত জয়ন্তী উৎসব করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশাল কেক কেটে টেস্ট মর্যাদার রজত জয়ন্তী উৎসবে উন্মোচিত হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটারদের অনার্স বোর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা করেছেন অতিথিরা। তবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ওই উৎসব থেকে টনিক নিতে পারেনি বাংলাদেশ দল। গল টেস্টে বীরত্বপূর্ণ ড্র ফিকে হয়ে যাচ্ছে কলম্বোতে।
কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ দলের বিপর্যস্ত অতীতটাই যেনো আর একবার ফিরে পেতে যাচ্ছে শান্ত’র দল। ইতোপূর্বে এই ভেন্যুতে ৩টি টেস্টের প্রতিটিতেই বড় হারকে নিয়তি বলে মেনে নিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২০০১ সালে ইনিংস ও ১৩৭ রানে, ২০০২ সালে ২৮৮ রানে এবং ২০০৭ সালে ইনিংসও ২৩৪ রানে হারের সেই কষ্টটা এবারো বুঝি ভুলিয়ে দিতে পারছে না বাংলাদেশ দল। তৃতীয় দিনে এসে টেস্টের গতিপথ প্রায় নির্ধারিত হয়ে গেছে। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ১১৫/৬।
এই ভেন্যুতে এখন আরও একবার ইনিংস হারের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়ানোর জন্য এখন দরকার ৯৭ রান। যেভাবে বল ঘুরতে শুরু করেছে, শ্রীলঙ্কার তিন স্পিনার যেভাবে টুটি চেপে ধরেছে, তাতে আপাতদৃষ্টিতে ইনিংস হার এড়ানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে এদিন দু দলের স্পিনারদের ছোবলে ২৮৩ রানে পড়েছে ১৪টি উইকেট। ২৯০/২ স্কোর নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা থেমেছে ৪৫৮/১০-এ। এই দিন শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেট ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ ১৬৮ রানে। দিনের প্রথম ঘন্টায় ৫২ রান যোগ করে ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বড় লিডের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ বোলাররা। লাঞ্চের পর ৭০ মিনিটে স্কোরশিটে ৫৭ উঠতে শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে শেষ ৪ উইকেট।
দিনের শুরুটা করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। দিনের ৬ষ্ঠ ওভারে আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান পাথুম নিশাঙ্কাকে কাভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন তিনি। গল-এ ১৮৩’র পর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে থেমেছেন এই সেঞ্চুরিয়ান ১৫৮-তে। ধনঞ্জয়াকে সেট হওয়ার আগে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাইজুল। আর্ম বলে ধনঞ্জয়াকে (১০) করেছেন এলবিডাব্লুউ।
লাঞ্চের পর থারিন্দু (১০) এবং আসিথাকে শিকারে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭তম বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারের মাইলস্টোন পূর্ণ করেছেন (৪২.৫-৪-১৩১-৫)।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন কৃতিত্ব তাইজুলের জন্য দ্বিতীয়বার। আর দুবারই শ্রীলঙ্কার মাটিতে। ২০২১ সালে পাল্লেকেলের (৫/৭২) পর এবার সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে পেলেন ইনিংসে পাঁচ উইকেটের দেখা।
গল টেস্টে নিজেকে চেনানো অফ স্পিনার নাঈম হাসানও এদিন দারুণ বল ঘুরিয়েছেন। আগের দিন চান্দিমালের শিকারী নাঈম টেস্টের তৃতীয় দিন শিকার করেছেন ২ উইকেট। সেঞ্চুরির পথে সওয়ার কুশল মেন্ডিজকে (৮৭ বলে ৮ চার, ২ ছক্কায় ৮৪) ফাঁদে ফেলে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন। দিনুশাকে (১১) করেছেন বোল্ড। টেস্টে ফেরাটা সুখকর হয়নি মিরাজের। ৭৫ রান খরচায় উইকেটহীন কাটিয়েছেন এই অফ স্পিনার।
ইনিংস হার এড়াতে হলে করতে হবে ২২২। এই টার্গেটটা সম্ভবত মাথায় না রেখেই তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। তার প্রতিফলনই ছিল ব্যাটিংয়ে। আগের ৭টি টেস্টে ৩৯-এর বেশি করতে না পারা এনামুল হক বিজয় এদিন এসেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছেন। এমন মেজাজটা ধরতে পেরে আসিথা দিয়েছিলেন বাউন্সার। সেই বাউন্সারের জবাব হুকে দিতে যেয়ে নিজের মৃত্যু ডেকে এনেছেন বিজয়। দিয়ে এসেছেন শর্ট লেগে ক্যাচ (১৯ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ১৯)।
৩১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপের ব্যাটিং পার্টনার সাদমান বাঁহাতি স্পিনার প্রবথ জয়সুরিয়াকে কাভারে খেলতে যেয়ে ক্যাচে থেমেছেন (২৪ বলে ১২)। শ্রীলঙ্কা সিরিজে আগের তিনটি ইনিংসের তিনটিতেই মুমিনুল দিয়ে এসেছেন উইকেট। চতুর্থ ইনিংসেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অফ স্পিনার ধনঞ্জয়ার বলে স্লিপে দিয়েছেন ক্যাচ (৪৮ বলে ১৯)।
স্পিনের বিপক্ষে বরাবরই দক্ষ মুশফিকুর রহিম প্রবথ জয়সুরিয়ার টার্ন অনুমান করতে পারেননি। ব্যাকফুটে ডিফেন্স করতে যেয়ে হয়েছেন বোল্ড (৫৩ বলে ২৬)। যখন তখন দিনের খেলা শেষ হবে, সেই হিসাবটা মাথায় ছিল না মিরাজের। থারিন্দুর বলে এলবিডাব্লুউতে (১৬ বলে ১১) কাটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে দিয়ে আম্পায়াররা প্রকারান্তরে তা জানিয়ে দিয়েছেন মিরাজকে।
শ্রীলঙ্কার তিন স্পিনার প্রবথ (১৫-২-৪৭-২), ধনঞ্জয়া (৪-১-১৩-২), থারিন্দু (২.৪-০-১০-১) যেভাবে বল ঘোরাচ্ছেন, তাতে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন পার করাটা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে