
সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিয়েছেন ফিফা সভাপতি। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর আল নাসর ছাড়ার সম্ভাবনা এবার আরও বেড়ে গেছে। কারণ, পর্তুগাল তারকা নিজেই আভাস দিয়েছেন এমন কিছুর। অবশ্য কিছুটা ধোঁয়াশাও রেখে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ এই গোলস্কোরার।
গত সোমবার রাতে শেষ হয়েছে সৌদি প্রো লিগের মৌসুম। আল ফাতেহর বিপক্ষে ম্যাচে রোনালদো একবার জালের দেখা পেলেও তার দল হেরে যায় ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায়। এটি ছিল আল নাসরের জার্সিতে ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার ১০৫তম ম্যাচ। আর সব মিলিয়ে নামের পাশে গোল ৯৯টি।
আরও পড়ুন
| দায়িত্ব নিয়ে আলোনসো বললেন, ‘একটা নতুন যুগের সূচনা হল’ |
|
ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আল নাসরের জার্সিতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে রোনালদো ইঙ্গিত দেন ঠিকানা বদলের।
“এই অধ্যায় শেষ। আর গল্পটা? সেটা এখনও লেখা হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ।”
আল নাসরের সাথে রোনালদোর বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুনেই। সদ্য শেষ হওয়া সৌদি প্রো লিগের ২৫ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। তবে আরও একবার খালি হাতেই মৌসুম শেষ করতে হয়েছে রোনালদোর দলকে।
চলতি সপ্তাহে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার জন্য স্বল্পমেয়াদের চুক্তি করা নিয়ে কয়েকটি ক্লাবের সাথে আলোচনা চলছে ৪০ বছর বয়সী রোনালদোর।
এর আগে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছিল, ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া নাম প্রকাশ না করা কয়েকটি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব থেকে রোনালদো লোভনীয় প্রস্তাব পেয়েছেন স্রেফ এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য। ক্লাব বিশ্বকাপ চলবে ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
| বার্সায় দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন ‘নম্বর টেন’ ইয়ামাল |
|
এসব গুঞ্জনের মাঝেই রোনালদোর এমন পোস্ট তার ভক্তদের মাঝে জাগাচ্ছে প্রশ্ন, আগামী মৌসুমে কোন ক্লাবের হয়ে খেলবেন রোনালদোর? বা ক্লাব বিশ্বকাপে কী দেখা যাবে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে?
এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত দেওয়া কঠিনই। কারণ রোনালদোর সরাসরি আল নাসরকে বিদায় জানানোর কথা উল্লেখ করেননি। মৌসুম শেষের দিকটি উল্লেখ করেও তিনি একটা অধ্যায় শেষের কথা বলতেও পারেন।
ক্লাব ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৮০১টি গোল করেছেন রোনালদো। আল নাসরের আগে খেলেছেন স্পোর্টিং সিপি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুসের হয়ে।
No posts available.
১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:০২ পিএম

জয় নিয়ে ফিরছিলেন। উৎসব আমেজ। ফুরফুরে মন। নিজেই গাড়ি হাঁকাচ্ছিলেন ম্যাকলেসফিল্ড ক্লাব ফরোয়ার্ড ইথান ম্যাকলিওড। কে জানত এ আনন্দ রূপ নেবে বিষাদে। ম্যাকলেসফিল্ডের জয়ের কিছুক্ষণ পরই প্রাণ হারান ম্যাকলিওড। বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ২১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ।
ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল লিগ নর্থে গতকাল বেডফোর্ড টাউনের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পায় ম্যাকলেসফিল্ড। ওই ম্যাচে বদলি তালিকায় নাম ছিল ইথানের। তবে ম্যাচে নামানো হয়নি তাঁকে।
ফেরার পথে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ইথান নিজেই। স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১০টা ৪০ মিনিটে নর্থ্যাম্পটনের কাছে তাঁর চালানো মার্সিডিজ গাড়ি সড়কের ব্যারিয়ারের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
এক বিবৃতিতে ম্যাকলেসফিল্ড ক্লাব জানায়,
‘ইথানের মৃত্যু আমাদের পুরো ক্লাবকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই ক্ষতির অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো কোনো শব্দ আমাদের নেই।’
বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া ইথান কিশোর বয়সে ১০ বছর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের (ওলভস) একাডেমিতে কাটান। ক্লাবটির অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ইএফএল ট্রফিতে খেললেও মূল দলে অভিষেক হয়নি তাঁর।
গতির জন্য পরিচিত ইথান উলভারহ্যাম্পটন ছাড়ার পর ধারে খেলেন সাউদার্ন লিগের ক্লাব আলভেচার্চে। পরে রাশাল অলিম্পিক ও স্টোরব্রিজেও স্বল্প সময়ের জন্য খেলেন। সফল ট্রায়ালের পর চলতি বছরের জুলাইয়ে ম্যাকলেসফিল্ডে যোগ দেন তিনি।
সিল্কম্যানদের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন ইথান। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর কিংস লিন টাউনের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে গোল করেন তিনি। ক্লাবের হয়ে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল ছিল।
ম্যাকলেসফিল্ডের পরবর্তী লিগ ম্যাচ শনিবার আলফ্রেটন টাউনের বিপক্ষে। তবে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি ক্লাবটি।

প্রায় ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্পোর্টপার্ক উন্টারহাখিং স্টেডিয়াম কিনে নিয়েছে জার্মান ফুটবল জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। এই স্টেডিয়ামটি বায়ার্নের নারী দলের স্থায়ী হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার হবে।
বায়ার্ন নারী দলের ট্রেনিং কমপ্লেক্স মাত্র ২,৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। নতুন স্টেডিয়াম কেনার মাধ্যমে নারী ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ নিল ক্লাবটি।
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেডিয়ামটির মালিকানা যাবে বায়ার্নের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার হাতে। স্টেডিয়ামটি কিনতে বায়ার্নের খরচ হয়েছে ৭৫ লাখ ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০৮ কোটি টাকা।
১৯৯২ সালে উদ্বোধন হওয়া স্পোর্টপার্ক উন্টারহাখিং স্টেডিয়ামটি উন্টারহাখিং শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। ২০২০ সালে জার্মানির চতুর্থ স্তরের লিগ রিজিওনালিগার ক্লাব এসপিভিজিজি উন্টারহাখিং স্টেডিয়ামটি কিনে নেয়।
প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষে উন্টারহাখিং স্টেডিয়ামেই বায়ার্ন নারী দলের ম্যাচ ও অনুশীলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বায়ার্ন। পাশাপাশি ২০২৬-২৭ মৌসুম থেকে নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচগুলোও এই স্টেডিয়ামেই আয়োজন করা হবে।

গুরুতর চোটে প্রায় এক বছরের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেলেন বার্সেলোনার বিস্ময়বালক সামা নোমোকো। উয়েফা ইয়ুথ লিগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট অনূর্ধ্ব–১৯ দলের বিপক্ষে ম্যাচে গুরুতর হাঁটুর চোটে পড়েন ১৭ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
গত সপ্তাহে এস্তাদি ইয়োহান ক্রুইফে ম্যাচের প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে চোট পান নোমোকো। একটি লুজ বলের দখল নিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার ইয়ানিস আহুয়ান্নুর সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে অস্বাভাবিকভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তীব্র যন্ত্রণায় কাতর নোমোকোকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়। দুই দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা তখন দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান।
প্রাথমিক শঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে। বার্সেলোনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নোমোকোর ডান হাঁটুর অ্যান্টেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ছিঁড়ে গেছে। একই সঙ্গে হাঁটুর দুটি মেনিস্কাসেও চোট রয়েছে। অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হলেও সম্পূর্ণ সেরে উঠতে তাঁর প্রায় ১২ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ক্লাবটি। ফলে চলতি মৌসুম তো বটেই, পরের মৌসুমেরও বড় একটা সময় তাঁর খেলা অনিশ্চিত।
বার্সেলোনার বিবৃতিতে বলা হয়, ক্লাবের মেডিকেল বিভাগের তত্ত্বাবধানে বার্সেলোনা হাসপাতালে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছেন ডা. জোয়ান কার্লেস মনলাউ। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হবে।
চোট পাওয়ার আগে দারুণ সময় কাটাচ্ছিলেন নোমোকো। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বার্সা বি দল (রিজার্ভ বেঞ্চ) দলে নিয়মিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রিজার্ভ দলের হয়ে ১৪টি লিগ ম্যাচেই খেলেন এই উইঙ্গার। করেছেন দুটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্ট। মাঠে তাঁর গতি, ড্রিবলিং ও আক্রমণভাগে প্রভাব বার্সেলোনার কোচিং স্টাফদের নজর কেড়েছিল। লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা পরবর্তী বড় প্রতিভা হিসেবে তাঁকে দেখা হচ্ছিল, এমনকি প্রথম দলে সুযোগ পাওয়াও সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছিল।
নোমোকোর চোটের ধাক্কা সত্ত্বেও সেদিন ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তন করে বার্সেলোনার অনূর্ধ্ব–১৯ দল। ৩–১ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৪–৩ ব্যবধানে জয় পায় তারা। তবে ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে সতীর্থের গুরুতর চোটই সবার মনে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

মাঝে নেইমারের ওপর দিয়ে কি ঝড়টাই না কি বয়ে গেল। শৈশবের ক্লাবের সমর্থকদের কাছ থেকে রীতিমতো দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছিল। ‘রাজপুত্রকে’ ক্লাব থেকে দ্রুত তাড়িয়ে দিয়েই যেন ক্ষান্ত হবে তারা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন পুরোই উল্টো। ত্যাগ আর বিসর্জনের সংজ্ঞাকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সান্তোসকে বাঁচিয়েছেন নেইমার। আর এখন নিন্দুক আর সমালোচকরাই নেইমারকে ক্লাবে ধরে রাখতে চান।
২০২৬ বিশ্বকাপের আগে নেইমারও নতুন করে ঠিকানা বদল করতে চাচ্ছেন না। মৌসুম শেষে নেইমার নিজেই বলেছিলেন, তাঁর প্রধান অগ্রাধিকার সান্তোসেই থেকে যাওয়া। তাতে দুইয়ের স্বার্থ মিলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতেই থেকে যাচ্ছেন সান্তোসের রাজপুত্র। ইএসপিএনের খবর, নেইমারের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পথে সান্তোস। কিংবদন্তি পেলের ক্লাবে নেইমারের চুক্তি নবায়নের বিষয় শেষ ধাপের আলোচনায় পৌঁছে গেছে।
নেইমারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ চলতি মাসের শেষেই শেষ হচ্ছে। তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং খেলোয়াড়ের প্রতিনিধিরা—যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার বাবা ও এজেন্ট নেইমার সিনিয়র—২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অর্থাৎ ছয় মাসের একটি নতুন চুক্তিতে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছেন জানিয়েছে ওই প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন
| সমর্থকদের জন্য সুখবর, কমদামের বিশ্বকাপ টিকিট আনল ফিফা |
|
৩৩ বছর বয়সী নেইমার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছেন। বাঁ হাঁটুর চোট নিয়েই এই ফরোয়ার্ড সান্তোসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। লিগের শেষ তিন ম্যাচে চার গোল করে দলকে শীর্ষ লিগে টিকে থাকতে নিজের সবটুকু নিংড়ে দেন সাবেক পিএসজি ও বার্সেলোনা তারকা। সান্তোসের হয়ে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ৩০ ম্যাচে ১২টি গোল ও ৬টি অ্যাসিস্ট করেন।
নেইমারের বাঁ হাঁটুতে আর্থ্রোস্কোপিক অস্ত্রোপচার চলতি বছরের শেষের আগেই হওয়ার কথা। চিকিৎসকরা এটিকে তুলনামূলকভাবে সহজ একটি অস্ত্রোপচার বলেই মনে করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর সেরে উঠতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে।
সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলাল ছাড়ার পর গত জানুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে আসা নেইমার আগামী বছর নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। চোটের কারণে প্রায় দুই বছর ব্রাজিল জাতীয় দলে নিয়মিতভাবে খেলতে পারেননি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

আফ্রিকা কাপ অব নেশনস (আফকন) শুরু হওয়ার আগে মিশরের একাদশেও রাখা হয়নি মোহাম্মদ সালাহকে। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্ট-পূর্ব একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেননি লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ড। মঙ্গলবার কায়রোতে হওয়া ম্যাচে ২–১ ব্যবধানে জয় পেলেও মিশরের স্কোয়াডে ছিলেন না দলের সবচেয়ে বড় তারকা।
মরক্কোয় ২০২৫–২৬ আফকনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আগেই জাতীয় দলে যোগ দেন সালাহ। তবে কোচ হোসাম হাসান প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। ক্লাব ফুটবলেও সাম্প্রতিক সময়ে সালাহর ম্যাচ খেলা অনিয়মিত ছিল। ছন্দে না থাকায় লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট তাঁকে টানা কয়েকটি ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন
| সমর্থকদের জন্য সুখবর, কমদামের বিশ্বকাপ টিকিট আনল ফিফা |
|
এ অবস্থার মধ্যেই ক্লাব ও কোচকে ঘিরে সালাহর কিছু মন্তব্য নতুন করে আলোচনা তৈরি করে। লিডসের বিপক্ষে ম্যাচের পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিভারপুলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেন তিনি। এমনকি কোচ আর্নে স্লটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মিসরীয় ফরোয়ার্ড।
তবে সব জল্পনার মধ্যেই ব্রাইটনের বিপক্ষে লিভারপুলের সবশেষ ম্যাচে দলে ফেরেন সালাহ। বেঞ্চ থেকে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ২–০ গোলের জয়ে। তারপরই তিনি জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেন, যদিও প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁকে খেলাননি কোচ।
নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে মিশরের হয়ে গোল করেন মাহমুদ সাবের ও মোস্তাফা মোহাম্মদ। এই ম্যাচ দিয়েই এএফকনের প্রস্তুতি শেষ করে দলটি। গ্রুপ পর্বে মিসরের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অ্যাঙ্গোলা।
আফকনে এখনও শিরোপা জয়ের স্বাদ পাননি সালাহ। ২০১৭ সালে খুব কাছে গিয়েও শিরোপা হাতছাড়া হয় তাঁর। জাতীয় দলের হয়ে প্রথম বড় ট্রফি জেতার আকাঙ্ক্ষা আগেই প্রকাশ করেছেন তিনি। মরক্কোয় শুরু হতে যাওয়া এবারের টুর্নামেন্টে সেই স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় মিসর অধিনায়ক।