অভিষেক শর্মা-শুভমান গিল যে পথে সূর্যকুমার যাদবও হেঁটেছেন সেই পথে। এশিয়া কাপের ট্রফির মঞ্চে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তাতে ফিকে হয়ে যাচ্ছিল। তবে সব বদলে দিলেন তিলক ভার্মা। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অকুতোভয় বীরের মতো ব্যাট চালালেন। উত্তাল সাগরেও দুর্বার নাবিকের মতো জাহাজ চালালেন। তার ৬৯ রানের ধৈর্য্যশীল ও দায়িত্বশীল ইনিংসে এশিয়া কাপ ট্রফি উঠল ভারতের শোকেসে।
এশিয়া কাপে তো বটে রান তাড়ায় তিলক যেন ভারতের আস্থার প্রতিক হয়ে ওঠেছেন। এখন পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে ১১ ইনিংসে রান তাড়ায় নেমে তিনি রান করেছেন ৩৭০, এভারেজ ছিল ৯২.৫০ এবং স্ট্রাইকরেট ১৩৪.৫৪। রয়েছে তিনটি ফিফটিও। স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে হয়তো ভারতের দলে আরও ভালো ব্যাটার রয়েছেন। তবে যে অবস্থান থেকে এবং যেভাবে দলকে উজ্জ্বীত করেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে আবার হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত |
![]() |
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ পাকিস্তানের ১৪৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারত ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। সেই অবস্থায় লড়াই শুরু করেন তিলক। প্রথমে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসনকে। তাঁরা দলের রান ৭৭ পর্যন্ত নিয়ে যান। ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হন সঞ্জু। তিলক নড়েননি। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়েই এশিয়া কাপে এসেছিলেন তিনি।
দেশকে সম্মান এনে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকা তিলক আজ কি ঠিকমত ঘুমাতে পারবেন, কে জানে। তার বাবা একবার বলেছেন, ঘুমোতে যাওয়ার সময়েও তিলক ব্যাট নিয়ে শুতেন এবং স্বপ্ন দেখতেন। এখন গোটা দেশ তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
No posts available.
দ্বিতীয় ওভারে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেন অভিষেক শর্মা। পরের ওভারে একই পথে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তখন ব্যাটিংয়ে নামলেন তিলক ভার্মা। কিছুক্ষণ পর দলের চাপ বাড়িয়ে আউট হয়ে গেলেন শুবমান গিলও।
মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন মহা বিপদে ভারত। তবে তিলক ছিলেন খুবই স্বাভাবিক। এক প্রান্ত ধরে রেখে রয়েসয়ে তিনি এগিয়ে যান জয়ের পথে। চমৎকার ব্যাটিংয়ে খেলেন ৫৩ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত এক ইনিংস।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ সেরা অভিষেক শর্মা |
![]() |
পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের ৫ উইকেটের জয়ে বড় পার্থক্য গড়ে দেয় তিলকের এই ইনিংস। এর আগে ফিল্ডিংয়েও দুটি ক্যাচ নেন তিলক। তাই ফাইনালের ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে ২২ বছর বয়সী ব্যাটারের হাতে।
চার নম্বরে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন তিলক। পরে ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণ করে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তরুণ এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি নিলো না ভারত |
![]() |
“এটি আমার জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল ইনিংসগুলোর একটি। বেশি কিছু বলার নেই। চাক দে ইন্ডিয়া।”
এসময় শুরুর চাপের কথাও স্বীকার করে নেন তিলক।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন ভারতের জন্য ২৯ কোটি টাকা বোনাস |
![]() |
“অবশ্যই চাপ ছিল। তারা ভালো বোলিং করছিল। গতির তারতম্য কাজে লাগচ্ছিল। আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করছিলাম। নিজের খেলার ওপর আস্থা রেখেছিলাম।”
৭ ইনিংসে ৪৪.৫ গড়ে ৩১৪ রান। ১৭তম এশিয়া কাপে এই হলো অভিষেক শর্মার আমলনামা। ব্যাট হাতে অবশ্য তিনটি অর্ধশতকও রয়েছে ভারতের ২৫ বর্ষী বাঁ-হাতি ব্যাটারের। তাতে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার অভিষেকের হাতেই উঠেছে।
অভিষেক অর্থ কোনো কাজের শুরু। ভারতীয় ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের শুরুটা বর্তায় অভিষেকের ওপরই। রোহিত শর্মা-কেএল রাহুলদের অনুপস্থিতি দলকে স্বস্তিদায়ক শুরুটা এনে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব এখন অভিষেক-শুভমান গিলের। এশিয়া কাপ যাত্রায় কাজটি সিদ্ধহস্তে করেছেন দুজন।
ওপেনিংয়ে শুভমান গিলের চেয়ে একটু বেশিই সফল অভিষেক। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩০ রান করেছিলেন অভিষেক। ফাইনাল ম্যাচ ছাড়া সবগুলো ম্যাচে ৩০ উর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি নিলো না ভারত |
![]() |
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৩০, ৩১ ও ৩৮ রানের ইনিংস খেললেও সুপার ফোরের তিনটি ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন অভিষেক। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রান , বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭৫ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে ফাইনাল মঞ্চে হতাশ হয়েছেন, হতাশ করেছেন দলকে। রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মাত্র ৫ রান করতে পেরেছেন।
ফাইনাল সেরা হয়েছেন তিলক ভার্মা। ৫৩ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে জয় বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন মূলত তিলকই। তার দারুণ পারফর্মগুণে ভারত এ নিয়ে নবমবারের মতো মহাদেশের চ্যাম্পিয়ন হলো। সাতবার ওয়ানডে সংস্করণে, দুবার টি–টোয়েন্টি সংস্করণে।
এশিয়া কাপের ফাইনালেও লেগে থাকল ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরিতার ঝাঁজ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেও, নিজেদের মেডেল বা ট্রফি গ্রহণ করল না ভারতীয় ক্রিকেট দল।
ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেন তিলক ভার্মা। টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি গ্রহণ করেন অভিষেক শর্মা। এছাড়া কুলদিপ যাদবের হাতে ওঠে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার পুরস্কার।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন ভারতের জন্য ২৯ কোটি টাকা বোনাস |
![]() |
এসব ব্যক্তিগত পুরস্কারের মাঝে রানার্স-আপ হিসেবে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা নিজেদের মেডেল গ্রহণ করেন। আর পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগার হাতে দেওয়া হয় রানার্স-আপ দলের ৭৫ হাজার ডলারের ডামি চেক।
অভিষেককে টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার দেওয়ার পর ভারতীয় দলকে মেডেল ও তাদের ট্রফি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রেজেন্টেশনের দায়িত্বে থাকা সাইমন ডুল তখন বলেন,
"এসিসির পক্ষ থেকে আমাকে বলা হয়েছে, ভারতীয় দল তাদের পুরস্কার আজকে গ্রহণ করবে না।"
সাইমন ডুল তখন আর কিছু জানাননি। পুরস্কার গ্রহণ না করার কোনো কারণ খোলাসা করেননি। পরে অবশ্য ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা ট্রফি ছাড়াই নিজেদের মতো করে উদযাপন সারেন এবং মাঠের ফটোগ্রাফারদের জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পোজ দিয়ে ছবিও তোলেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে পাকিস্তানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য মহসিন নাকভি উপস্থিত থাকার কারণেই তার হাত থেকে পুরস্কার নিতে রাজি হয়নি ভারত।
আরও পড়ুন
তিলক যেন আকাশ ছুঁলেন |
![]() |
নাকভির আরও দুইটি পরিচয় আছে। তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান। মূলত এসিসি প্রধান হিসেবেই ফাইনালের ট্রফি তার হাত থেকে নেওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন দলের।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে, ফাইনালের আগেই বলা শোনা যাচ্ছিল, চ্যাম্পিয়ন হলে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেবে না ভারত। শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও, হয়তো সে কারণেই চ্যাম্পিয়ন হয়েও কোনো পুরস্কার নিলো না তারা।
পাকিস্তানকে তৃতীয়বারের মতো হারিয়ে এশিয়া কাপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি হাতে নেওয়ার আগেই বোনাসের ঘোষণা পেয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এশিয়া কাপের মূল প্রাইজমানির চেয়ে প্রায় ৮ গুণ বেশি পুরস্কার তারা পাবে নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) থেকে।
দুবাই ফাইনালের পর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শুরুর আগেই ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের জন্য ২১ কোটি ভারতীয় রুপি বোনাসের ঘোষণা দিয়েছে বিসিসিআই। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি।
আরও পড়ুন
তিলক যেন আকাশ ছুঁলেন |
![]() |
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় এই ঘোষণা দিয়েছে বিসিসিআই।
“(পাকিস্তানকে) তিনটি বড় ধাক্কা। কিন্তু কোনো প্রতিউত্তর নেই। এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন। বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন দল ও সাপোর্ট স্টাফের জন্য ২১ কোটি রুপি প্রাইজমানি।”
অথচ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পক্ষ থেকে মাত্র ৩ লাখ ডলার পাবে ভারত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার কাছাকাছি। তবে এর চেয়ে অনেক বেশিই তারা পাবে নিজ দেশের বোর্ড থেকে।
অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধ্বসের পর বোলারদের নৈপুণ্যে জয়ের আশা জাগাল পাকিস্তান। কিন্তু তিলক ভার্মার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মিলিয়ে গেল তাদের সব সম্ভাবনা। আরেকটি চমৎকার জয়ে এশিয়া কাপের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববারের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ভারত। ১৪৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ১৯.৪ খেলে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল।
এশিয়া কাপে ভারতের এটি নবম শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় শিরোপা শ্রীলঙ্কার। আর বাকি দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচেই পাকিস্তানকে হারাল ভারত। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৬ ম্যাচে ভারতের এটি ১৩তম জয়।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানকে নাচিয়ে কুলদিপের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
ভারতকে শিরোপা জেতানো ম্যাচে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখেন তিলক। চাপের মুখে চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার।
রান তাড়ায় ভারতের শুরুটা হয় যাচ্ছেতাই। দ্বিতীয় ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন আগের ছয় ম্যাচেই ৩০+ রান করা অভিষেক শর্মা। সব মিলিয়ে আসরের সর্বোচ্চ ৩১৪ রানে শেষ হয় বাঁহাতি ওপেনারের এশিয়া কাপ।
পরের দুই ওভারে বাজেভাবে আউট হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব (৫ বলে ১) ও শুবমান গিল (১০ বলে ১২)। পুরো আসরেই রানের দেখা পাননি ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার। মূলত বছরজুড়েই একদম বাজে খেলছেন তিনি।
আরও পড়ুন
৩৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বেশি দূর যেতে পারল না পাকিস্তান |
![]() |
মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর বিপদের মুখে চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসন। দুজন মিলে গড়েন ৫০ বলে ৫৭ রানের জুটি।
১৩তম ওভারে আবরার আহমেদের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন স্যামসন। তার ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ বলে ২৪ রান। ফলে আবারও চাপে পড়ে যায় ভারত। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৬৩ রান।
সেখান থেকে হারিস রউফের করা ১৫তম ওভারে দুই চারের পর ছক্কা মেরে ১৭ রান নিয়ে নেয় ভারত। পরে রউফের করা ১৮তম ওভারে ১৩ রান নিয়ে সমীকরণ ১২ বলে ১৭ রানে নামিয়ে আনেন তিলক ও দুবে।
আরও পড়ুন
রাজ্জাকসহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৪ প্রার্থী |
![]() |
৩২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি ছুঁতে ৪১ বল খেলেন তিলক। চাপের মুখে দুবেকে নিয়ে মাত্র ৩৪ বলে পূর্ণ করেন জুটির পঞ্চাশ রান।
১৯তম ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে বাউন্ডারি মারেন দুবে। তবে শেষ বলে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। তাই শেষ ওভারে বাকি থাকে ১০ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে দায়িত্ব পড়ে রউফের কাঁধে। তবে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দেন তিলক। আর চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করেন রিঙ্কু সিং।
এর আগে সাহিবজাদা ফারহান ও ফাখার জামানের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পাওয়ার পর মনে হচ্ছিল, দুইশ রান করে ফেলবে পাকিস্তান। কিন্তু অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধ্বসে দেড়শও করতে পারেনি তারা। ভারতের স্পিনারদের চমৎকার বোলিংয়ে মাত্র ৩৩ রানে শেষের ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
টেইলরের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের |
![]() |
অথচ এক পর্যায়ে ১১৩ রানে ১ উইকেট ছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের পেছন পানে দৌড়। যা শেষ হয় ২০তম ওভারের প্রথম বলে।
উইকেটের মন্থরতা ধরতে পেরে এই ম্যাচে স্পিনার বাড়িয়ে খেলতে নামে ভারত। স্পিনাররাই করে দেন আসল কাজ। ৪ ওভারে ৩০ রানে ৪ উইকেট দেন কুলদিপ যাদব। এই আসরে তার শিকার সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট।
এছাড়া বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেলও নেন ২টি করে উইকেট। একমাত্র বিশেষজ্ঞ পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ নেন শেষ ২ উইকেট।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ফারহান। ফাখারের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। দুজনের উদ্বোধনী জুটির সংগ্রহ ছিল ৮৪ রান।
আরও পড়ুন
টসে আগার সঙ্গে শাস্ত্রী, সূর্যকুমারের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াকার |
![]() |
এরপর তিন নম্বরে নেমে সাইম আইয়ুব করেন ১৫ রান। আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। তবে দুর্দান্ত বোলিং প্রদর্শনীতে ১৪৬ রানই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯.১ ওভারে ১৪৬ (ফারহান ৫৭, ফাখার ৪৬, সাইম ১৪, হারিস ০, সালমান ৮, তালাত ১, নাওয়াজ ৬, আফ্রিদি ০, ফাহিম ০, রউফ ৬, আবরার ১*; দুবে ৩-০-২৩-০, বুমরাহ ৩.১-০-২৫-২, বরুণ ৪-০-৩০-২, অক্ষর ৪-০-২৬-২, কুলদিপ ৪-০-৩০-৪, তিলক ১-০-৯-০)
ভারত: ১৯.৪ ওভারে ১৫০/৫ (অভিষেক ৫, গিল ১২, সূর্যকুমার ১, তিলক ৬৯*, স্যামসন ২৪, দুবে ৩৩, রিঙ্কু ৪*; আফ্রিদি ৪-০-২০-১, ফাহিম ৪-০-২৯-৩, নাওয়াজ ১-০-৬-০, রউফ ৩.৪-০-৫০-০, আবরার ৪-০-২৯-১, সাইম ৩-০-১৬-০)
ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী