হানুমা বিহারির পর এবার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন দলে পাড়ি জমাতে চলেছেন বিজয় শঙ্কর। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার আগামী মৌসুমে তামিল নাড়ু ছেড়ে ত্রিপুরার হয়ে খেলতে পারেন।
এরই মধ্যে তামিল নাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (টিএনসিএ) কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি- নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) সংগ্রহ করেছেন শঙ্কর।
ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে শঙ্কর নিজেই এই খবর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
১১ বছর পর বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস |
![]() |
“টিএনসিএ থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গেছি। তবে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাইনি। ওখান থেকে চিঠি হাতে পেলেই আমি বিষয়টা ঘোষণা করতে পারব।”
সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ভারতের হয়ে ১২টি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শঙ্কর। ইংল্যান্ডে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতা ম্যাচেও ছিলেন তিনি।
ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন, বিহারির মতো শঙ্করও নতুন মৌসুমে দলে যোগ দেবেন। আসন্ন মৌসুমে রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি- সব ফরম্যাটেই এলিট বিভাগে খেলবে ত্রিপুরা। বিহারিই নেতৃত্ব দেবেন দলকে।
২০১২ সালে তামি লনাড়ুর হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় শঙ্করের। এখন পর্যন্ত ৫৮টি রঞ্জি ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩ হাজার ১৪২ রান, গড় ৪৪.২৫।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে আছে ১১ সেঞ্চুরি ও ১৬ হাফসেঞ্চুরি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৬২ ম্যাচে করেছেন ১৭০২ রান, আর টি২০তে খেলেছেন ৪৭ ম্যাচে ১০০৪ রান।
গত মৌসুমেও ভালো ছন্দে ছিলেন শঙ্কর। রঞ্জি ট্রফিতে ৬ ম্যাচে ৫২.৮৮ গড়ে তার সংগ্রহ ৪৭৬ রান। একটি হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন দুটি সেঞ্চুরি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫ ম্যাচে করেছেন ১৮৮ রান।
আরও পড়ুন
৬ ছক্কায় হৃদয়ের ঝড়ো ফিফটি, সৌম্যর ব্যাটে রান |
![]() |
শঙ্করের আভে ভিহারি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রিপুরায় যোগদানের ঘোষণা দেন।
“অনেক ভেবে আমি ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানেই তিন ফরম্যাটে খেলব। অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, তবে এখন আমার ক্যারিয়ারের জন্য এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দরকার, যেখানে নিয়মিত অবদান রাখতে পারব। নতুন এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত।”
No posts available.
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪২ পিএম
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৬:০২ পিএম
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৪ পিএম
আহমেদাবাদে সিরিজে ইনিংস ও রান ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টেও বড় জয়ের পথে শুভমান গিলরা। যদিও ফলোঅনে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ। তাদের পথচলা কতটা মসৃণ হবে তা সময় বলে দেবে।
আজ ১৫০ রানে তৃতীয় দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ২৪৮ রানে। সফরকারীদের ফলোঅন করান শুভমান গিল। প্রথম ইনিংসে অল্পতে আটকে যাওয়ার পেছনের কারিগর কুলদীপ যাদব। ২৬.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫ উইকেট তুলেন ভারতের এই লেগস্পিনার।
তৃতীয় দিন শেষে কুলদীপ সম্প্রচার চ্যানেলকে বলেছেন,
‘আমাদের শুরুটা ভালো ছিল। উইকেটে তেমন একটা গতি ছিল না (ধীরগতি)। তাই স্ট্যাম্পে বল করার চেষ্টা করেছি। প্রথম ইনিংস সত্যিই অসাধারণ ছিল।’
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অল্পতে উইকেট পেয়ে বসে ভারত। ১৭ রানে প্রথম উইকেট ও ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ। দুজনের ফিফটিতে সম্মান রক্ষার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কুলদীপ বলেছেন,
‘প্রথম ইনিংসটা আমাদের পক্ষেই ছিল। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে হোপ ও ক্যাম্পবেল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। উইকেট ভালো, তবে একটু ধীর। তাই স্পিনার হিসেবে নিজে থেকেই বলের গতি ও টার্ন তৈরি করতে হবে, যেটা লেগ স্পিনারের জন্য চ্যালেঞ্জিং।’
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কুলদীপ বলেছেন,
‘আমি আমার বলের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। গতকালও উইকেট থেকে তেমন গতি মেলেনি। বাতাস কাজে লাগিয়ে ব্যাটারকে পরাস্ত করার চেষ্টা করেছিলাম।’
পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতীয় লেগ স্পিনার বলেছেন,
‘আমি সবসময় চেষ্টা করি সব ফরম্যাটে নিজেদের সেরাটা দিতে। পাঁচ উইকেট পাওয়াটা আমার জন্য স্পেশাল। মাঠে জাদু দেখাতেই হবে, গ্যাপ ছিল কতদিন সেটা কোনো বিষয় না, হোক তা ১৮ মাস কিংবা মাত্র এক মাস।’
১৫ টেস্টের (২৮ ইনিংস) ক্যারিয়ারে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইফার স্পর্শ করলেন কুলদীপ। এ সময়ে মোট ৬৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে আরও একটি ইনিংস বাকি। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ৩০ বর্ষী স্পিনারের হাতে।
দিল্লি টেস্টে খেলা হয়েছে তিন দিন। তাতেই স্পষ্ট ফল কী হতে যাচ্ছে। ভারতের দেওয়া প্রথম ইনিংসের ৫১৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ২৭০ রানে পিছিয়ে পড়া সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় দিন শেষে যোগ করতে পেরেছে ১৭৩ রান। ভারতীয় দল ৯৭ রানে এগিয়ে রয়েছে। শাই হোপ ৬৬ ও জন ক্যাম্পবেল ৮৭ রানে অপরাজিত।
১৫০ রানে তৃতীয় দিন (সোমবার) শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৮ রানে। যদিও সফরকারীদের রান ২০০ রানে শেষ হয়ে যেত। আট উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও ক্যারিবিয়ানদের হয়ে খানিক লড়েছেন পিয়ের ও ফিলিপ। দুই জনের ছোট্ট জুড়িতে ২৪৮ রান করতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৭০ রান পিছিয়ে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। এ যাত্রাতেও বিপাকে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। তেগনারায়াণ চন্দ্রপাল ও অ্যালিক অ্যাথানাজকে হারিয়ে ফেলে অল্পতে। তবে জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এদিন তেগনারায়াণকে ফিরিয়ে ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুপে নেন শুভমন গিল। ১৭ রানে পড়ে প্রথম উইকেট।
ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অনবদ্য বলে অ্যালিক অ্যাথানাজকে সাত রানে ফেরান সুন্দর। ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়েই দ্বিতীয় সেশন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা দেখাচ্ছেন। দুইজনে তৃতীয় উইকেটে শতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন। ৪৯ ওভারে দুই উইকেটের বিনিময়ে ১৭৩ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আপাতত ভারতীয় দল ৯৭ রানে এগিয়ে রয়েছে। হোপ ৬৬ ও ক্যাম্পবেল ৮৭ রানে অপরাজিত।
ভারতের বিপক্ষে চলমান দিল্লি টেস্ট আইসিসির আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেডন সিলস। ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি তাঁর নামের পাশে যুক্ত করা হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। গত ২৪ মাসে দ্বিতীয় ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন সিলস। প্রথমটি এসেছিল গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে।
ঘটনাটি ঘটে টেস্টের প্রথম দিন, ভারতের ইনিংসের ২৯তম ওভারে। নিজের বোলিংয়ের ফলো-থ্রুতে বল কুড়িয়ে ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়ালের দিকে নিক্ষেপ করেন সিলস, এবং বলটি গিয়ে লাগে জয়সওয়ালের প্যাডে।
আইসিসি আচারণবিধির ধারা ২.৯ অনুযায়ী এটি একটি লঙ্ঘন— যেখানে বলা আছে, খেলার সময় কোনো খেলোয়াড় বা সাপোর্ট স্টাফের প্রতি অনুপযুক্ত বা বিপজ্জনকভাবে বল (অথবা অন্য কোনো ক্রিকেট সরঞ্জাম) নিক্ষেপ করা যাবে না।
যদিও ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট প্রস্তাবিত শাস্তি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান সিলস, ফলে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক শুনানি হয়। শুনানিতে ২৪ বছর বয়সী এই পেসার দাবি করেন, তিনি আসলে ব্যাটারকে রান আউট করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পুনরায় ভিডিও দেখে পর্যালোচনা করে রেফারি সিদ্ধান্তে আসেন—সিলসের সেই নিক্ষেপ ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অনুপযুক্ত, তাই শাস্তি বহাল রাখা হয়।
সোফি মলিনিউয়ের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়ে গেলেন স্মৃতি মান্ধানা। হতাশা নিয়ে ধীরে ধীরে মাঠ ছেড়ে গেলেন ভারতীয় ওপেনার। আশা জাগিয়েও সেঞ্চুরি না হলেও, ফেরার আগে খেলা ৮০ রানের ইনিংসে নতুন ইতিহাস গড়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন মান্ধানা। এর সৌজন্যে গড়েছেন একাধিক রেকর্ড, পৌঁছে গেছেন নতুন নতুন উচ্চতায়।
এই ইনিংসে ১৮তম রান দেওয়ার মাধ্যমে ২০২৫ সালে ওয়ানডেতে হাজার রান পূর্ণ হয় মান্ধানার। চলতি বছর ওয়ানডেতে ১৮ ইনিংসে ৪ ফিফটি, ৪ সেঞ্চুরিতে ৫৯.০০ গড়ে মান্ধানার সংগ্রহ ১০৬২ রান। এই ফরম্যাটে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রান করা বিশ্বের প্রথম ব্যাটার তিনি।
এত দিন বছরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ক্লার্কের। ১৯৯৭ সালে ১৪ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে ৮০.৮৩ গড়ে ৯৭০ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।
পরে পঞ্চাশ ছুঁয়ে কিম গার্থের বলে ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন ২৯ বছর বয়সী ওপেনার। ভারতের দ্বিতীয় ও বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে এই সংস্করণে ৫ হাজার রানের মালিক হলেন তিনি।
তার আগে ৫ হাজার রান করা ব্যাটাররা হলেন মিথালি রাজ (৭৮০৫), শার্লট এডওয়ার্ডস (৫৯৯২), সুজি বেটস (৫৯২৫) ও স্টেফানি টেলর (৫৮৬৩)। এই সবার চেয়ে কম ইনিংস ও কম বল খেলে ৫ হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।
১১২ ইনিংসে ৫ হাজার ৫৬৮ বল মোকাবিলা করে ৫ হাজার রান করেছেন মান্ধানা। ইনিংসের হিসেবে এত দিন রেকর্ডটি ছিল স্টেফানি টেলরের (১২৯)। আর বলের হিসেবে সুজি বেটসকে (৬১৮২) পেছনে ফেলেছেন ভারতীয় তারকা।
৫ হাজার রান করার পথে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে সফল মান্ধানা। ২০ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে করেছেন ৯৯৬ রান। অজিদের বিপক্ষে টানা পাঁচ ইনিংসে পঞ্চাশ পেরিয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আর কোনো ব্যাটারের টানা চার ফিফটিও নেই।
মান্ধানার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৫ রান যোগ করেছেন প্রতিকা রাওয়াল। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। ১৯৭৩ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ইংল্যান্ডের ওপেনাররা গড়েছিএলন ১০৬ রানের জুটি।
সব মিলিয়ে মান্ধানা ও রাওয়ালের ২১ ইনিংসের মধ্যে ষষ্ঠ শতরানের জুটি এটি। ভারতের ব্যাটারের মধ্যে এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরিছোঁয়া জুটি আছে শুধু মিথালি রাজ ও পুনম রাউতের, ৩৪ ইনিংসে ৭টি।
ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সুখবর পেল বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুই সিরিজের শুরু থেকে খেলতে পারবেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ও দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার লিটন কুমার দাস।
গত মাসে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে অনুশীলনের সময় পিঠের পাশের পেশিতে চোট পান লিটন কুমার দাস। যে কারণে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচ দুইটি খেলতে পারেননি ৩১ ছুঁইছুঁই এই কিপার-ব্যাটার।
পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই দেশে ফিরে আসেন লিটন। তার জায়গায় এশিয়া কাপের ওই দুই ম্যাচ ও পরে আফগান সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেন জাকের আলি অনিক।
ভারত ও পাকিস্তানের কাছে হারলেও, জাকেরের নেতৃত্বে আফগানদের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তবে টপ-অর্ডারে লিটনের অনুপস্থিতিতে এরই মধ্যে ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ হেরে গেছে তারা।
দেশে ফিরে পুনর্বাসনে ব্যস্ত থাকা লিটন এরই মধ্যে রানিং শুরু করে দিয়েছেন। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই মাঠে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার, এমনটাই জানা গেছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ১৮ অক্টোবর শুরু হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। একই মাঠে পরের দুই ম্যাচ ২১ ও ২৩ তারিখ।
পরে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লা. লে. মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ হবে যথাক্রমে ২৯, ২৯ ও ৩১ অক্টোবর।