২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭:১৬ পিএম
দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ থেকে এখনো সাউথ আফ্রিকা এগিয়ে আছে ১০১ রানে। ম্যাচে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশ দলকে গড়তে হবে বড় পুঁজি। উইকেট বিবেচনায় কাজটা ব্যাটারদের জন্য বেশ কঠিনই বটে। তবে বাংলাদেশ পেসার হাসান মাহমুদ এখনই আশা হারাচ্ছেন না। ম্যাচে টিকে থাকার পথ বাতলে দিয়েছেন ব্যাটারদের। জানিয়েছেন কেবল লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং বাংলাদেশকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখতে পারে এই ম্যাচে।
পিচে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মুশফিক ৩১ রানে আর জয় টিকে আছেন ৩৮ রান নিয়ে। ফিরে আসার দারুণ এক গল্প লিখতে এই দু’জনের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ দল। কাজটা কঠিন মনে হলেও সম্ভব বলেই মানছেন বাংলাদেশ বোলার হাসান মাহমুদ, “জয় ও মুশফিক ভাই অনেক ভালো একটা সময় পার করছেন। কালকে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে, জুটিটা যত বড় করতে পারে, পরের ব্যাটারদেরও একই ইন্টেনশন নিয়ে ব্যাট করা উচিত, যে আমরা কত বড় পার্টনারশিপ করতে পারবো।”
ম্যাচ জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ দলকে অন্তত ২০০ রানের লক্ষ্য দিতে হবে। সেই হিসেবে বাকি ৭ উইকেটে আরও ৩০০ রান চায় টাইগারদের। কমপক্ষে আরও তিন সেশন ব্যাট করতে হবে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, “আমার মনে হয় ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারবো ইনশাআল্লাহ। কাল তিন সেশন ব্যাটিং করলে চারশ রানের কাছে যাওয়া সম্ভব।”
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ দল অল আউট হয় মাত্র ১০৬ রানে। বল হাতে সাউথ আফ্রিকাকেও চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ১০৮ রানের মধ্যে প্রোটিয়াদের ৬ উইকেট ফেলে দিলেও উইয়ান মুল্ডারের সঙ্গে ভেরাইনির ১১৯ রানের জুটি বাংলাদেশকে ফেলে ব্যকফুটে। শেষ পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৩০৮ রানে। শেষ চার উইকেটে ২০২ রান করেছে প্রোটিয়ারা।
ভালো শুরুর পরও টেল এন্ডারদের কাছে খাবি খেয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা। যা নিয়ে সংবাদসম্মেলনে কথা বলেছেন হাসান, “আসলে টেস্টে এমনটা হয়, অহরহ হতে থাকে, আমরাও দেখি, আমাদেরও বিরক্তি চলে আসে। আমরা তখন চাই রান কম দিতে, বেসিকটা ধরে রাখতে হবে। আপনার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটারকে চাপে রাখার। দুই পাশ থেকে জুটি গড়ে বোলিং করা। এটাই আপনার হাতে আছে। এটাই আরকি!”
প্রতিপক্ষের টেইলএন্ডাররা সফল হয়েছে, এখন বাংলাদেশ যদি সফল হয়- তাহলে ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিরে আসবে। উইকেটও সহজ হয়ে এসেছে, এখানে বড় ইনিংস এখন খেলা সম্ভব বলে মানছেন হাসান মাহমুদ।