১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:৪৬ পিএম

সংখ্যার বিচারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বা সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই বিশ্বের সেরা বোলার রশিদ খান। তার সঙ্গে আফগানিস্তান দলে আছেন নুর আহমেদ, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবী, আল্লাহ্ মোহাম্মদ গাজানফারের মতো বৈচিত্রময় সব স্পিনাররা।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সমীহ করার মতোই বটে আফগানদের স্পিন বিভাগ। তবে তাদের বড় মাথাব্যথার কারণও এই স্পিন। কারণ নিজেদের দলে একঝাঁক স্পিনার থাকলেও, তাদের ব্যাটারদের বড় শত্রু স্পিন বোলিং।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশের পরিকল্পনার বড় অংশজুড়ে তাই থাকতে পারে স্পিন আক্রমণ। প্রথম দুই ম্যাচে দুজন স্পিনার নিয়ে খেললেও, আফগান ম্যাচে স্পিনারের সংখ্যা বাড়ানোর পথে হাঁটাই হয়তো শ্রেয় লিটন কুমার দাসের দলের জন্য।
আরও পড়ুন
| ওমানকে উড়িয়ে শুরু পাকিস্তানের |
|
পেসারদের বিপক্ষে যেমন-তেমন, স্পিনে সম্প্রতি তেমন ভালো করতে পারেনি আফগানিস্তানের ব্যাটিং। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্পিনের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাইরা।
পরিসংখ্যান বলছে, দল হিসেবে ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে স্পিনারদের ২ হাজার ৮৩৯টি বল খেলেছে আফগানিস্তান। যেখানে মাত্র ১০৭.৮৯ স্ট্রাইক রেটে তারা করতে পেরেছে ৩ হাজার ৬৩ রান।
এই সময়ে স্পিন বোলিংয়ে আফগানিস্তান হারিয়েছে ১৩৪ উইকেট। যেখানে তাদের ব্যাটিং গড় মাত্র ২২.৮৫ আর স্পিনারদের ৩৮.৮ শতাংশ বল থেকে কোনো রানই করতে পারেনি তারা। অর্থাৎ প্রায় ৪০ শতাংশ বল ডট খেলেছে আফগানরা।
স্পিনের বিপক্ষে ২০২২ সাল থেকে আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের স্ট্রাইক রেট ও ডট বল খেলার হারই সবচেয়ে বাজে।
গত তিন বছরে স্পিনের বিপক্ষে অন্তত ৭৫ বল খেলা আফগানিস্তানের ১১ জন ব্যাটারের মধ্যে শুধুমাত্র সেদিকউল্লাহ অতলের স্ট্রাইক রেট ১২৫-র বেশি। তিনি ১২৭.২৭ স্ট্রাইক রেটে ১২১ বলে করেছেন ১৫৪ রান। বাকি কেউই ১২৫ স্ট্রাইক রেট ছুঁতে পারেননি।
আফগানিস্তানের স্পিন দুর্বলতা প্রকটভাবে ফুটে ওঠে এশিয়া কাপে তাদের প্রথম ম্যাচেও। তুলনামূলক দুর্বল হংকংয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানের পুঁজি পায় রশিদ খানের দল। তবে এর বেশিরভাগই ছিল পেসারদের বিপক্ষে।
ওই ম্যাচে হংকংয়ের তিন স্পিনার এহসান খান, ইয়াসিম মুর্তজা ও কিঞ্চিত শাহ মিলে ১১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭৫ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট। বিপরীতে পেসারদের করা ৯ ওভারে ১২.৪৪ ইকোনমি রেটে ১১২ রান নিয়েছে তারা।
গত তিন বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষেও স্পিনে তুলনামূলক বেশি ভুগতে দেখা গেছে আফগানদের। এই সময়ে মুখোমুখি ৬ ম্যাচে আফগানদের ৩৪ উইকেটের মধ্যে ১৯টি নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন মাত্র ৫.৪৭ রান। গড় (১৬.৪৭), স্ট্রাইক রেটও (১৮.০০) বেশ ভালো।
সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ৭১ উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩৮টিই গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে। যেখানে ওভারপ্রতি খরচ মাত্র ৫.৫৭ রান। বিপরীতে পেসারদের বলে ওভারপ্রতি ৭.৮৪ করে রান নিয়েছে তারা। গড় আর স্ট্রাইক রেটও স্পিনারদেরই বেশি ভালো।
আবু ধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে তাই মঙ্গলবারের ম্যাচে হয়তো স্পিনের অপশন বাড়ানোর কথা ভাবতে পারে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে ছিলেন শুধু শেখ মেহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া খণ্ডকালীন অফ স্পিনার শামীম হোসেন পাটোয়ারীও ছিলেন দলে।
আরও পড়ুন
| বিসিবির লেভেল থ্রি কোচিং কোর্সে হান্নান-রাজ্জাক-নাফীসরা |
|
এর বাইরে বেঞ্চে বসে আছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও খণ্ডকালীন অফ স্পিনার সাইফ হাসান। আবু ধাবির ঘাসের উইকেটের কথা মাথায় রেখে তিন পেসার নিয়ে নামলেও, সাইফকে একাদশে নিয়ে স্পিনে শক্তি বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ভাগ্যও নির্ধারণ করছে আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর। ম্যাচটি হেরে গেলে সুপার ফোরে খেলার আশা শেষ হয়ে যাবে অনেকটাই। এমনকি জিতলেও অপেক্ষায় থাকতে হবে গ্রুপের সব ম্যাচ শেষ হওয়ার। কেবল বড় ব্যবধানে জিতলেই কিছুটা নির্ভার থাকতে পারবেন লিটনরা।
No posts available.
২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম

ব্যাপারটি সত্যিই অদ্ভুতুড়ে! বিশ্ব ক্রিকেটে সাধারণত ‘কোনো খেলোয়াড় একই সময়ে দলের নেতৃত্বের পাশাপাশি বোর্ডের প্রশাসনিক দায়িত্বও পালন করছেন’ এমনটা দেখা যায়নি। সেটার ব্যতিক্রম ঘটল এবার। পাকিস্তানের টেস্ট ক্যাপ্টেন শান মাসুদকে দেশটির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরামর্শকের দায়িত্ব দিয়েছে পিসিবি। আজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শান মাসুদ বর্তমানে পাকিস্তানের লাল বলের ফরম্যাটের ক্যাপ্টেন। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ করেছে তার দল। ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মাঝখানের বিরতিতে আজ অতিথিদের নিয়ে ডিনার পার্টির আয়োজন করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
মহসিন নকভির সভাপতিত্বে পিসিবির সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই শান মাসুদকে দেশটির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট পদের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় পিসিবি। এশিয়া কাপে করমর্দনকাণ্ডে উসমান ওহালাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বোর্ড। তাকে পুনর্বহাল করা হয়েছে এদিন। তবে শান মাসুদকে নতুন পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করার পর ওহালাকে পিএসএল সংক্রান্ত দায়িত্বে স্থানান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
পিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদটি একটি নেতৃত্বমূলক দায়িত্ব, যেখানে পাকিস্তান দলের ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিচালনা করা হবে। প্রধান কাজ হলো আন্তর্জাতিক টুরগুলো পরিকল্পনা, আয়োজন, সম্পাদনা এবং তদারকি করা।

ক্রিকেটে সাত বছর তুলনামূলক দীর্ঘ বলা চলে। অনেকের ক্যারিয়ারও এতটা দীর্ঘ হয় না। অথচ দল থেকে বাদ পড়ার সাত বসন্ত পর জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন গ্রায়েম ক্রেমার।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে বড় চমক স্পিনার ক্রেমার।
৩৯ বছর বয়সি ক্রেমার সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৮ সালে। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি। পেসার ট্রেভর গওয়ান্ডুর জায়গা স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে দলের নেতৃত্ব দেবেন সিকান্দার রাজা। এ দলে উল্লেখযোগ্য আর কোনো পরিবর্তন নেই। সবশেষ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের সবাই রয়েছেন দলে।
আফগানিস্তানের হারারেতে সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ২৯, ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর।
জিম্বাবুয়ে দল
সিকান্দার রাজা (ক্যাপ্টেন), ব্রায়ান বেনেট, রায়ান বার্ল, গ্রায়েম ক্রেমার, ব্র্যাড ইভান্স, ক্লাইভ মাদান্ডে, টিনোতেন্ডা মাপোসা, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিওঙ্গা, তাশিঙ্গা মুসেকিওয়া, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিওন মায়ার্স, রিচার্ড নাগারভা, ব্রেন্ডন টেলর।

সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান যেভাবে ছুটছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল ওপেনিং জুটিতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের রেকর্ড ভেঙে দেবেন। তবে ১৭৬ রানে থামে তাদের ইস্পাত লৌহ এই জুটি। তাতে চূড়ায় না উঠলেও পেছনে ফেলেন সাবেক ওপেনার মেহেরাব হোসেন ও শাহরিয়ার নাফিসের ১৭৯ রানের জুটি। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন সৌম্য-সাইফের।
সৌম্য-সাইফের তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার স্পর্শ না হলেও গতকাল ঠিকই বাংলাদেশ জিতেছে। তাতে ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। এখন তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে দুই দল।
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৭৯ রানের বড় জয় উপহারের ম্যাচে অসুস্থ শরীর নিয়ে খেলেছেন সাইফ হাসান। ওয়ানডে অভিষেক হওয়া স্পিন অলরাউন্ডার কাল সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে করেছেন ৭২ বলে ৮০ রান। দুর্দান্ত এ ইনিংসের পর তার ওপেনিং সঙ্গী সৌম্য সরকার বলেন,
‘সে (সাইফ) সত্যিই দারুণ ব্যাটিং করেছে। তার শট সিলেকশন অসাধারণ। যখনই সে সমস্যায় পড়েছে কথা বলেছে আমার সঙ্গে। ওর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এরপরও যেভাবে ও ব্যাটিং করেছে, লড়ে গেছে, সেটার জন্য ওকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।’
সাত মাসের বেশি সময় পর ওয়ানডেতে ফেরা সৌম্য ৭ চার ৪ ছক্কায় করেছেন ৮৬ বলে ৯১ রান। নার্ভাস নাইন্টির ঘরে আউট হওয়া ছোঁয়া হয়নি তিন অঙ্কের রান। মাঠে যতক্ষণ ছিলেন সর্বোচ্চ উজাড় করে খেলেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। তাকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাইফ,
‘দাদা (সৌম্য) আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। তিনদিন ধরে আমি জ্বর এবং ঠান্ডাজনিত সমস্যা ভুগছিলাম। আমি দাদার (সৌম্য) সঙ্গে অনেক সময় খেলেছি। আমি তার সঙ্গে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।’
সাইফ আর বলেছেন,
‘সেঞ্চুরি না হওয়াতে খারাপ লাগছে। আমরা উইকেটে সেট ছিলাম। খুবই স্বাচ্ছন্দ্য খেলছিলাম। তবে হ্যাঁ, আমরা দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছি এবং ম্যাচ জিতেছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’
সাইফের মতো সেঞ্চুরি মিসে আফসোস নেই সৌম্য সরকারের। এই ওপেনার জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য ও মাইলস্টোনের জন্য তিনি মাঠে নামেননি। তিনি বলেছেন,
‘সেঞ্চুরি না পাওয়াতে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি খুবই খুশি যে, টাফ উইকেটে ব্যাটিং করতে পেরেছি। যদি আমার সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়া যেত, তাহলে আরও ভালো লাগতো। তবে, আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, আমি দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি, দল জিতেছে এবং এটাই আসল।’
নিজের ব্যাটিং কৌশল নিয়ে তিনি বলেছেন,
‘কঠিন উইকেটে ব্যাট করে ভালো লাগছে, আমরা আমাদের দক্ষতার ওপর ভরসা রাখতে পারি। উইকেটে অনেক বড় টার্ন ছিল না, তাই রিভার্স সুইপ আমার কাছে সবচেয়ে ভালো বিকল্প মনে হয়েছে।’
‘সাইফও একবার এই শটটা খেলেছিল। ও বুঝেছিল যে স্পিনারদের বিপক্ষে রিভার্স সুইপই ভালো বিকল্প।’
-তিনি যোগ করেন
সর্বোপরি, সাইফ মনে করেন পজিটিভ মাইন্ডসেটের কারণেই সিরিজের শেষ ম্যাচে জিততে পেরেছে বাংলাদেশ।

পিসিবির পাঠানো আইনি নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল মুলতান সুলতানসের স্বত্বাধিকারী আলি তারিন। বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এটি সমালোচকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।
তারিনের দাবি, পিসিবির পাঠানো নোটিশে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে—তিনি যদি সম্প্রতি দেওয়া সমালোচনামূলক বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন এবং আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চান, তবে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি চুক্তি বাতিল করা হবে এবং তাঁকে পিএসএল থেকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘আমি চুপ করে থাকব না।’
তারিন জানিয়েছেন, ভয় দেখিয়ে চুপ করানো যাবে না তাঁকে। মুলতানের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘এই নোটিশ আসলে ভয় দেখানোর জন্যই পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু আমি এমন কৌশলের সামনে মাথা নত করব না।’
তারিনের দাবি, পিএসএলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাঁর মন্তব্যগুলো কোনো আক্রমণ নয়, বরং গঠনমূলক সমালোচনা, ‘আমি পিএসএলকে ভালোবাসি—এটা পুরো পাকিস্তানের লিগ। আমি শুধু চেয়েছি, যোগ্য ও দক্ষ মানুষদের ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’
ব্যঙ্গ করে তারিন বলেন, ‘যদি লিগে পেশাদারিত্বের দাবি তোলা অপরাধ হয়, তাহলে আমি সেই অপরাধের জন্য ক্ষমা চাই। তারিনের অভিযোগ, পিসিবি কর্মকর্তারা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চান না এবং সামান্য সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আপনারা মালিকদের সঙ্গে কাজ করতে চান না। আপনারা চান, সবাই নিঃশব্দে আপনাদের কথামতো চলুক, কোনো প্রশ্ন তুলবে না।’
তারিন বললেন তাঁর উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি, ‘আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি, অফিসে আসুন, বসে সমস্যা সমাধান করি।’
ভিডিও বার্তায় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে পিসিবির পাঠানো আইনি নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেন তারিন। ঘোষণা দেন, লিগের সমস্যা নিয়ে তিনি খোলাখুলি কথা বলা চালিয়ে যাবেন। দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘নোটিশে দেওয়া হুমকিতে আমি ভয় পাব না।’
এর একদিন আগে পিসিবি মুলতান সুলতানসকে পিএসএল থেকে স্থগিত করে পিসিবি এবং চুক্তি বাতিলের সতর্কবার্তাসহ একটি নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। নোটিশে বলা হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি লিগের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছে এবং চুক্তি বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে। পিসিবির মতে, মুলতান সুলতানস লিগের বিধিবিধান মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজে আলোচনার কেন্দ্রে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। সাত মাস পর ওয়ানডেতে ফিরেছেন এই দুই তারকা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই শুন্য রানে আউট হয়েছেন কোহলি। রোহিত প্রথম ম্যাচে ৮ করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ৭৩ রান। এই দুই তারকার প্রত্যাবর্তন সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হেরেছে ভারত। গুঞ্জন উঠেছে এই সিরিজই দিয়েই ইতি ঘটতে পারে কোহলি কিংবা রোহিতের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।
অ্যাডিলেডে গতকাল শুন্য রানে আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় দর্শকদের উদ্দেশ্যে অনেকটা বিদায় নেওয়ার ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গি করেন কোহলি। তাতে দর্শকদের মধ্যে নতুন করে জেগেছে প্রশ্ন, তবে কি এই সিরিজেই ভারতের জার্সিতে শেষ কোহলির।
আরও পড়ুন
| টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্পিন শক্তি বাড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
|
এমন সময়েই সাবেক আইপিএল সতীর্থ পার্থিব প্যাটেলের একটি পোস্ট কোহলির অবসরের গুঞ্জন আরও জোরালো হলো। আইপিএলে কোহলির সঙ্গে খেলা পার্থিব তাঁর এক্স ( টুইটার) পোস্টে লিখেছেন 'এটা সিডনিতেই!' যা দেখে অনেকেই ধারণা করছেন, অস্ট্রেলিয়ার এই ভেন্যুতেই বুঝি হতে যাচ্ছে ভারতের জার্সিতে কোহলির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
কোহলি-রোহিতের ভারতের ওয়ানডে ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। তবে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে আপাতত সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোহলি ও রোহিতকে নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলছেন তিনি।
চলতি বছরের মে মাসে টেস্ট থেকে অবসর নেন কোহলি। অষ্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবশেষ বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। গত নভেম্বর-জানুয়ারিতে হওয়া সেই সিরিজে ৯ ইনিংসে ২৩.৭৫ গড়ে ১৯০ রান করেন কোহলি। তারপর থেকেই আলোচনা চলছিল কোহলির টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে। এবার ওয়ানডে সিরিজও অষ্ট্রেলিয়ায় এমন সময় হচ্ছে যখন কোহলির ওয়ানডে ক্যারিয়ার দোলাচলে রয়েছে।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে কাল মাঠে নামবে ভারত। এই ম্যাচের জয় পরাজয় ছাপিয়ে কোহলি-রোহিতের দিকে তাকিয়ে ভক্তকূল। দুজনের ওয়ানডে ভবিষ্যত নিয়ে জানা যেতে পারে কালই। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে নয়টায়।